বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
এসটিএফের হাতে ধৃত জেএমবি জঙ্গিদের জেরা করে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পারেন, কওসরকে ছাড়ানোর ছক করা হচ্ছে। তা বাস্তবায়িত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণ-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আরিফুলকে। জানা গিয়েছে, শনিবার সে বাবুঘাট এলাকায় আসবে। এরপরই এসটিএফের অফিসাররা আগেভাগে সেখানে পৌঁছে গিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। পুলিসকে ধোঁকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সে চেহারাতেও বদল এনেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বাবুঘাট এলাকায় আসা মাত্রই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের বাড়ি অসমের বড়াপেটায়। প্রথম জীবনে সে লরির হেল্পার হিসেবে কাজ করত। সেই সুবাদেই এ রাজ্যে তার যাতায়াত ছিল। মুর্শিদাবাদে আসা-যাওয়া করতে করতেই তার সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি আব্দুল মজিদের পরিচয় হয়। আব্দুল মুকিমনগরের খারিজি মাদ্রাসায় জেহাদি শিবির চালাত। তার হাত ধরেই জেএমবিতে নাম লেখায় আরিফুল। মুকিমনগর মাদ্রাসাতেই তার সঙ্গে কওসরের পরিচয় হয়। আরিফুলকে বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর সে নিজেই এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠে। আরিফুল নতুন ছেলে নিয়োগ করে ধুলিয়ান মডিউল তৈরি করে। তারা জেএমবি’র হয়ে বিস্ফোরক তৈরি করত এই জেলার বিভিন্ন জায়গায়। খাগড়াগড়-কাণ্ডের পর কওসরের সঙ্গে আরিফুল রাজ্য ছেড়ে দক্ষিণ ভারতে পালায়। এরপর কওসরের সঙ্গে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করে। সেখানে বিস্ফোরক রেখেছিল আরিফুলই। বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের পর ধরপাকড় শুরু হলে বেঙ্গালুরুতে পালিয়ে গিয়ে থাকতে শুরু করে। টাকার টান পড়ায় সেখানকার বেশ কয়েকটি জায়গায় তারা ডাকাতিও করে বলে অভিযোগ। এর মাঝে ধরা পড়ে যায় কওসর।
এরপরই বাংলাদেশ থেকে আরিফুলের কাছে নির্দেশ আসে, কওসরকে জেল থেকে ছাড়াতে হবে। তারপরই সে কলকাতায় চলে আসে। এসটিএফ সূত্রে খবর, কওসর যে জেলে রয়েছে, সেখানে ঘুরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে গিয়েছে আরিফুল। যে আদালতে তার মামলা চলছে, তার বিস্তারিত তথ্যও জোগাড় করে ফেলে। আদালতে ঘুরেও যায়। যে রুটে তাকে জেল থেকে আদালতে আনা হয়, তার পুরো রাস্তাটাই সে রেইকি করে গিয়েছে। বোমা মিজানের কায়দাতেই পুলিসের উপর হামলা চালিয়ে কওসরকে ছাড়িয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। এ জন্য টিমও তৈরি করেছিল সে। পাশাপাশি জোগাড় করা হচ্ছিল আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক। আরিফুল জেরায় জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর পর গুলি চালিয়ে কওসরকে ছিনিয়ে নেওয়া হতো। এরপর তাকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হতো বলে খবর।