বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
সরকারি সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই ৪৯টি রাষ্ট্র জানিয়েছে, ভারত যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তাতেই তাদের সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে, লাগাতার গত ৪৮ ঘন্টা ধরে ভারত পাকিস্তানকে বিশ্বমঞ্চে কোণঠাসা আর একঘরে করে দিতেই সবথেকে বেশি সক্রিয় হয়েছে। এটাই বস্তুত স্ট্র্যাটেজি ভারতের। পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেওয়ার আগে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলিকে পাশে নেওয়া। ভারত আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে বার্তা দিতে চাইছে যে এবারের নির্ণায়ক অভিযান নেহাতই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয়, বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। আমেরিকা, ইজরায়েল, জার্মানি, কানাডা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স প্রত্যক্ষভাবে ভারতের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছে তারা পাশেই আছে। অন্যদিকে আজ দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে দেশের তাবড় রাজনৈতিক দলকেও একজোট হয়ে একসুরে সরকার ও সেনাবাহিনীর পাশে থাকার অঙ্গীকার করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সংসদ ভবনে আয়োজিত ওই সর্বদলীয় বৈঠকে প্রতিটি দলই পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার কথা বলেছে। তবে অবশ্যই সরাসরি যুদ্ধের কথা উচ্চারণ করেনি কেউ। একমাত্র ব্যতিক্রম শিবসেনা। শিবসেনার প্রতিনিধি সঞ্জয় রাউথ বলেছেন, যুদ্ধ কোনও শেষ বিকল্প হতে পারে না। বরং আমাদের মতে যুদ্ধই হল একমাত্র অ্যাকশন। পাশাপাশি ততটাই স্পষ্টভাবে সমাজবাদী পার্টির সুরেন্দ্র নাগর বলেছেন, যুদ্ধ কখনও একমাত্র বিকল্প হতে পারে না। ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা সর্বদলীয় বৈঠকের মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে বলেন, আমি কাশ্মীরের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বলছি, উপত্যকার সব মানুষই পাকিস্তানপন্থী এমনটা ভেবে নেবেন না। আগে কাশ্মীরের মন জয় করার চেষ্টা করুন। অন্যদিকে তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস আজ সরকারকে চেপে ধরে সর্বসম্মত প্রস্তাবের ভাষা নিয়ে। সেখানে যে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণে সকলেই একমত এরকম একটি বাক্য থাকায় তারা আপত্তি তোলে। তাদের দাবি প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি দলের নেতানেত্রীকে নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকুন । সকলের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ডেরেক ও ব্রায়ান ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন। যদিও সর্বদলীয় বৈঠকে প্রতিটি দলই বলেছে সরকারের পাশে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আছে। পাশাপাশি আজ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, রাজনাথ সিং এবং ইনটেলিজেন্স ব্যুরো, ‘র’ ও মিলিটারি ইনটেলিজেন্স কর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে রাজনাথ সিং এর বাসভবনে। সরকারি সূত্রের ইঙ্গিত, প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ। গোটা বিশ্বকে পাশে নিয়ে এবার পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেবে ভারত। তারই কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে!