বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
এদিকে, ওই ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দিয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি (এনআইএ)। ওই রিপোর্টে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, হামলায় জঙ্গিরা আরডিএক্স এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করেছিল। শুধু তাই নয়, এই হামলার মাস্টারমাইন্ড গাজি ত্রাল এলাকার কোনও জঙ্গলে লুকিয়ে আছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি গাজিকে কাশ্মীরে পাঠিয়েছিল জয়েশ। উদ্দেশ্য ছিল, নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালানো। সেই লক্ষ্যে কাশ্মীরের ১৮ থেকে ২৩ বছর বয়সী বেশ কয়েকজ যুবককে সংগঠনে নিয়োগ করেছিল সে।
গত শুক্রবার জম্মু কাশ্মীর পুলিসের সহযোগিতায় পুলওয়ামা হামলার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। এখনও পর্যন্ত এই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। হামলার পর থেকেই উপত্যকার মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিন এনআইএ এবং কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবের পৃথক দল বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করে। সূত্রের খবর, হামলার জন্য জঙ্গিরা কেন বারবার পাম্পোরা এবং অবন্তীপোরার মধ্যবর্তী শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কের ১৫ কিলোমিটার অংশটিকেই বেছে নিচ্ছে, তা বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। কারণ, অতীতেও একাধিকবার নিরাপত্তা বাহিনীকে নিশানা করে এই অংশেই হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ২০১৬ সালের ২৫ জুন ওই অংশেই সিআরপিএফের কনভয়ের একটি বাসকে দাঁড় করিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেছিল জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় ৮ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ২০ জন। ২০১৪ সালেও ওই অংশে একই পদ্ধতিতে বিএসএফের একটি কনভয়ে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করেছিল জঙ্গিরা।
এদিন শ্রীনগর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে লেথিপোরার বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছে তদন্তকারীরা ছবি ও ভিডিও তোলার পাশাপাশি বেশকিছু নমুনাও সংগ্রহ করেন। জানা গিয়েছে, এই হামলায় ঠিক কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা বুঝতে ন্যাশনাল বম্ব ডেটা সেন্টার ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে যান। সেই সঙ্গে ওইদিন কনভয়ে থাকা বেশ কিছু সিআরপিএফ জওয়ান এবং আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেও সূত্র খোঁজার চেষ্টা করেছেন তদন্তকারীরা।
বৃহস্পতিবারের হামলার পর থেকেই উপত্যকার মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হামলার আগে-পরে সীমান্তের ওপার থেকে উপত্যকার সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে কারা যোগাযোগ রাখছিল, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে খবর মিলেছে।