পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
গত মাসে পাক সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখার দু’টি ভিন্ন অংশে ভারতীয় গোয়েন্দা কোয়াডকপ্টার গুলি করে নামিয়ে দেয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক ট্যুইটে বলা হয়, কোনও কোয়াডকপ্টারও নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হতে দেওয়া হবে না। সামরিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এতদিন ভারতীয় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তানী চৌকির ছবি তুলতে কোয়াডকপ্টার ব্যবহার করে। এটা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ কাজকর্মের অংশ এবং সীমান্তে গোলাবর্ষণের আগে টার্গেট নির্ধারণ করার কাজে ব্যবহার করা হতো। এবার সেই কোয়াডকপ্টারগুলি সশস্ত্র করে তোলায় ঘুম ছুটেছে পাক বাহিনীর।
অন্যদিকে, চীনের সঙ্গে ৪,০০০ কিলোমিটার সীমান্তে ভারত ৪৪টি কৌশলগত সড়ক নির্মাণ করবে। পাঞ্জাব ও রাজস্তানের সঙ্গে পাকিস্তান সীমান্তেও ২,১০০ কিলোমিটার পার্শ্ব-সড়ক নির্মাণ করা হবে। সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (সিপিডব্লিউডি)’র প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত সেনা নিয়ে যাওয়ার জন্য এই সংস্থাকে ভারত-চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৪৪টি সড়ক নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিপিডব্লিউডি’র রিপোর্টে বলা হয়, এই ৪৪টি সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ২১,০০০ কোটি টাকা। সিপিডব্লিউডি’র রিপোর্টে আরও বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের পাঞ্জাব ও রাজস্থান সীমান্তে ৫,৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২,১০০ কিলোমিটার পার্শ্ব-সড়ক ও শাখা সড়ক নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পের ডিপিআর (ডিটেইল প্রজেক্ট রিপোর্ট) তৈরি করছে সিপিডব্লিউডি। এসব সড়ক রাজস্থান ও পাঞ্জাবের প্রত্যন্ত এলাকা নিরাপদ করবে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
চীনের সঙ্গে ভারতের ৪,০০০ কিলোমিটার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা রয়েছে। যা জম্মু-কাশ্মীর থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। চীন যখন সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ দ্রুততর করছে তখনই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হল। গত বছর ভুটানের সঙ্গে ডোকা লা এলাকায় একটি সড়ক নির্মাণকে কেন্দ্র করে চীনের সঙ্গে ভারতের মতবিরোধ দেখা দেয়। দুই পক্ষের সেনারা প্রায় ৭৩ দিন মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। পরে চীন সড়ক নির্মাণ বন্ধ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং ভারত সেনা সরিয়ে নেয়।
এদিকে, রাশিয়ার কনকুরস অ্যান্টিট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম) ও ল্যান্সার উৎপাদন ও সরবরাহের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে ১১০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান ভারত ডিনামিক্স লিমিটেড (বিডিএল)। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে বিডিএল’র কর্তা ভি গুরুদত্ত প্রসাদ এই চুক্তিতে সই করেন। বিডিএল’র এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ার কারিগরি সহায়তায় তেলেঙ্গানায় অবস্থিত বিডিএল’র ভানুর ইউনিটে মিসাইল ও ল্যান্সরগুলো তৈরি করা হবে। ট্যানডেম ওয়ারহেডের মাধ্যমে কনকুরস এটিজিএমগুলো আপগ্রেড করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ধরনের ৬৮হাজার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের ঘাটতি রয়েছে। যা চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ। এই ঘাটতি পূরণের জন্য কনকুরস মিসাইলের অর্ডার দেওয়া হয়। তবে একটি সূত্র সংবাদসংস্থা স্পুটনিককে জানায় যে, দ্বিতীয় প্রজন্মের কনকুরসে রাতে যুদ্ধ করার সুবিধা যুক্ত নেই।