বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিতোষ পানিহাটি এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা করেন তিনি। রাত এগারোটা নাগাদ সোদপুর চৌমাথা থেকে বারাকপুরের দিকে যেতে বিটি রোডের ধারে একটি ধাবার কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে অন্যান্য লোকজনও খাবার নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আচমকা চার চাকা গাড়ি প্রচণ্ড গতিতে এসে ধাবার কাছে দাঁড়ায়। অনেকে মনে করেন, গাড়ি করে খাবার নিতে এসেছে। ফলে, কেউ কোনও সন্দেহ করেনি। তখনও চৌমাথা সহ আশপাশের এলাকায় লোকজনও রয়েছে। আচমকা গাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পরিতোষবাবুকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। দুটি পেটে এবং একটি গুলি হাতে লাগে। এরপরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় ভয়ে কেউ তাদের পিছু ধাওয়া করার সাহস দেখায়নি। তবে, প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় রাস্তায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
দলীয় কর্মীকে গুলি চালানোর ঘটনার পিছনে স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বিজেপিকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, পরিতোষ দলের সক্রিয় কর্মী। লোকসভা নির্বাচনের আগেই এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে বিজেপি এই কাজ করেছে। দলীয় কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য ওরা খুনের রাজনীতি করতে চাইছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিস প্রশাসনকে আমরা বলেছি। অন্যদিকে, বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার সাধারণ সম্পাদক চণ্ডীচরণ রায় বলেন, তৃণমূলই সন্ত্রাসের রাজনীতি করে। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। অকারণে বিজেপির নামে মিথ্যা অভিযোগ করে দলকে ওরা কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। আসলে ওদের ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়েছে। তার জেরেই এই ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।