বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
রাগের মাথায় তিনি খুন করেছেন, নাকি পরিকল্পনা করে মারা হয়েছে সবরকম সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীতিবাবুর স্ত্রী আগেই মারা গিয়েছেন। ছেলে সব্যসাচীর সঙ্গেই থাকতেন তিনি। সব্যসাচীর সঙ্গে তার স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের আসল বাড়ি টালিগঞ্জ থানা এলাকায় হাজরায়। সেখানে এখন প্রোমোটিং হচ্ছে। তার বদলে সলুয়ায় একটি ফ্ল্যাটে সেই প্রোমোটারই থাকার ব্যবস্থা করে দেন। এই ঠিকানায় নতুন এসেছেন বাবা ও ছেলে। টাকা না পেলে প্রায়ই বাবার সঙ্গে অশান্তি করতেন সব্যসাচী।
জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যার পর থেকেই বাবা-ছেলের মধ্যে চেঁচামেচি শুনতে পান স্থানীয়রা। এ নিয়ে ছেলেকে সতর্কও করে যান কয়েকজন। এর আগেও বিভিন্ন সময় তাঁরা সব্যসাচীকে সতর্ক করেছেন। এদিন রাত ৯টা নাগাদ চেঁচামেচির অনেক বেশি আওয়াজ পান নিরাপত্তারক্ষী। তিনি সতর্ক করেন। পরে ছেলেটি বাবা, বাবা করে কয়েকবার কেঁদে ওঠেন। নিরাপত্তারক্ষী ওই বহুতলের রুম থেকে চিৎকার শুনে সেখানে গিয়ে বাইরে থেকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু, দরজা খুলতে পারেননি। এরপর তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি অন্যদের বিষয়টি জানান। এরপর পুলিসে খবর দেন। রাত ১২ টা নাগাদ পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে। ড্রয়িং রুমে দেহটি পড়েছিল। বুকে ছুরির আঘাত ছিল। ভিআইপি রোডের ধারে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিস সূত্রের দাবি, জেরায় বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। সব্যসাচী জানিয়েছেন টাকা পয়সা নিয়েই বাবার সঙ্গে গণ্ডগোল হয় তাঁর। তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।