বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
মধ্যমগ্রামের অফিসে বৃহস্পতিবার নুসরত আসছেন শুনেই সকলের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। আশপাশের লোকজনও ভিড় জমিয়েছিলেন সামনে থেকে অভিনেত্রীকে একটিবার দেখার জন্য। দুপুর ১টা নাগাদ শাড়ি পরে তিনি পার্টি অফিসে আসেন। বৈঠকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় নেতাদের ডাকা হয়েছিল। জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সকলের সঙ্গে নুসরতের পরিচয় করিয়ে দেন। তারপর শুরু হয় রুদ্ধদ্বার নির্বাচনী বৈঠক।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কাজের সূত্রে সবার সঙ্গেই যোগাযোগ হয়েছে। বসিরহাটে প্রচুর অনুষ্ঠান করেছি। তবে, এখন একটু অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। দিদির পাশে সব সময় থেকেছি। আগে যখন পার্টির সদস্য ছিলাম না, তখনও পাশে ছিলাম। কারণ, উনি মহিলা হয়েও একা লড়াই করে গিয়েছেন। তাই একজন মহিলা হয়েই ওনার পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা যে নারীশক্তির জাগরণের কথা বলি, দিদি হলেন তার বড় উদাহরণ। আজ সরাসরি দলে এসে সত্যিই ভাল লাগছে!
বসিরহাট লোকসভার লড়াইটা কি কঠিন? হাসিমুখে নুসরতের জবাব, লড়াই তো প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কঠিন। বাড়িতে, অফিসে, জীবনে, সিনেমায় সবেতেই লড়াই আছে। আবার রাজনীতিতেও লড়াই আছে। রাজনীতি চতুর্দিকে, বাড়িতেও আছে। জীবনের প্রত্যেক লড়াইয়ে জিতে এসেছি। তাই এটাকে আলাদাভাবে লড়াই দেখছি না। তিনি বলেন, দেখুন অভিনেত্রী এবং নেত্রী এই দু’টো শব্দের খুব একটা পার্থক্য নেই। দু’টোতেই নেত্রী আছে। আগে ছবির প্রচারে মানুষের কাছে যেতাম। এখনও মানুষের সামনে যাব। তবে, আরও বিশাল দায়িত্ব নিয়ে। এখন তাঁদের জন্য ভালো কিছু করতে পারব এবং তাঁদের পাশেও থাকতে পারব।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল প্রসঙ্গে নুসরত বলেন, এটা একটা ষড়যন্ত্র। এর আগে অভিনেত্রী হিসেবেও আমাকে ট্রোল করা হয়েছে। যাঁরা এটা করছেন, তাঁরা যদি নিজের বাড়ির মা-বোনদের সম্মান করতে শিখে যান, তাহলে তাঁরা আমাদেরও সম্মান করবেন। রাজনীতিতে এসেই লোকসভা ভোটে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে বলেন, আমি যখন প্রথম অভিনয়ে গিয়েছিলাম, তখনও আমার কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু, কাজ করতে করতে শিখেছি। তাই এখানেও কাজ করতে করতে শিখে যাব। আগেও দর্শকদের ভালবাসা ও আশীর্বাদ পেয়েছি। আমি নিশ্চিত, এখনও সেই ভালবাসা ও আশীর্বাদ পাব।