গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
গত সোমবারই পৌনে বারোটা নাগাদ চেয়ার তৈরির ওই কারখানায় আগুন লাগে। বিকালের পর থেকে জানা যায়, পাঁচজন কর্মীর কোনও হদিশ নেই। সেদিন রাত থেকে নিখোঁজ পরিবারের লোকজন কারখানার সামনে জমায়েত হন। মঙ্গলবার প্রশাসন, দমকল বাহিনীর বিরুদ্ধে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন। আগুন লাগার পর চারদিন হতে চলল, এখনও কারও কোনও হদিশ মেলেনি। বুধবার পুলিস প্রশাসনের নজর এড়িয়ে নিখোঁজ পরিবারের কয়েকজন সদস্য কারখানার ভিতরে ধ্বংসস্তূপে নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চালান। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। পুলিস ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবারও কারখানার ভিতরে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা হয়। এই কাজ চলার সময় কারখানার একটি অংশে আচমকা আগুন দেখা দেয়। আগুন যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য স্থানীয় লোকজন জল দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দমকলের এক আধিকারিক বলেন, বড় কোনও আগুনের ঘটনা ঘটলে ফায়ার পকেট থাকে। সেখানে ধিক ধিক করে আগুন জ্বলে নিভে যায়। অনেক সময় সেই আগুন কোনও দাহ্য পদার্থ পেলে জ্বলে ওঠে। এখানে কী হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, মালিকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলার অভিযোগ দায়ের হওয়া নিয়ে কিছু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এখনও পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে কারখানার পাঁচ কর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়নি। প্রশাসনের খাতায় কলমে তাঁরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তাহলে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা পুলিস নিল কেন? পুলিসের ব্যাখ্যা, নিখোঁজ হিসাবে এখন তদন্ত করা হচ্ছে। তবে, চার্জশিট দেওয়ার সময় যা তথ্য পাওয়া যাবে সেটা উল্লেখ করা হবে। তাই ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা নিতে কোনও সমস্যা নেই।