Bartaman Patrika
 

স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখে হ লি উ ড 

মৃণালকান্তি দাস: মুখ চাই মুখ?
আমাদের দেখেই সাগ্রহে জানতে চাইলেন অ্যান্তলোনি। বছর বাইশের শিল্পীর হাতে পেন্সিল। সামনে ক্যানভাস। পাশে ফাঁকা টুল। ওই টুলে বসিয়ে মাত্র ৫ ডলারের বিনিময়ে অ্যান্তলোনি আগ্রহীদের মুখের ছবি আঁকেন। উল্টো দিকে সোনালি রঙা ডলবি থিয়েটার। রাস্তাজুড়ে ভিনদেশি পর্যটকের ভিড়। হাতে যে সময় নেই! অ্যান্তলোনির চটজলদি উত্তর, ‘পনেরো মিনিটে এঁকে দেবো।’ জাত শিল্পী বলে কথা। হলিউডের রাস্তায় তখন ভেসে আসছে জন ডেনভারের গানের সুর। ইউ ফিল আপ মাই সেন্সেস, লাইক আ নাইট ইন দ্য ফরেস্ট/ লাইক দ্য মাউন্টেন ইন স্প্রিং টাইম, লাইক এ ওয়াক ইন দ্য রেন...। নিক জোনসের সঙ্গে এই রাস্তাতেই নাকি হুল্লোড়ে মেতেছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। কেট উইন্সলেট নাকি অস্কারের অনুষ্ঠানে এসে উল্টো ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যান্তালোনিদের দেখে হাত নাড়িয়েছিলেন। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, জুলিয়া রবার্টস, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, মেরিল স্ট্রিপ থেকে টম হ্যাঙ্কস— এই রাস্তাজুড়েই রয়েছে হলিউড তারকাদের কত গল্প।
রাস্তা মানে, হলিউড ওয়াক অব ফেম। সিনেমা জগতে অসামান্য অবদানকে স্মরণ করে রাখার জন্য হলিউড ওয়াক অব ফেমে কিংবদন্তি তারকাদের নাম খোদাই করে বসানো হয়। এগুলো তাদের অবদানের স্থায়ী স্বীকৃতি। হলিউড বুলভার্ডের ১৫টি ব্লক এবং ভাইন স্ট্রিটের ৩টি ব্লক মিলে এই ওয়াক অব ফেম। আড়াই হাজারের বেশি তারা বসানো রয়েছে হলিউড ওয়াক অব ফেমের মেঝে, দেওয়ালে। তারাগুলো পিতল এবং টেরাজো টাইলস দিয়ে তৈরি। মাইকেল জ্যাকসন, ড্যানিয়েল রেডক্লিফ, টম ক্রুজ, চার্লি চ্যাপলিন, আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার, ড্রু ব্যারিমোর, কেট উইন্সলেট, দ্য বিটলস, ব্যাকস্ট্রিট বয়েজ, ওয়াল্ট ডিজনি, মহম্মদ আলিসহ আরও অনেক তারকার নাম খোদাই করা রয়েছে ওয়াক অব ফেমে। মিকি মাউস, স্নো হোয়াইট, ডোনাল্ড ডাক, উডি উডপেকার এরকম অনেক কাল্পনিক চরিত্রের নামও ফুটপাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামও। ফি বছর এই তল্লাটেই জমে ওঠে অস্কারের আসর। হলিউডের এই ডলবি থিয়েটার যেন হয়ে ওঠে স্বর্গরাজ্য। অধরা তারারা নেমে আসেন বাস্তবের মাটিদের। গ্ল্যামার কোশেন্টে পিছিয়ে থাকেন না কেউই। নিজেদের সেরাটাই উজাড় করে দেয় হলিউড। ডিজাইনার পোশাকে চোখ ধাঁধিয়ে দেয় বেভারলি হিলসের একের পর এক নামী দামী মুখ। দ্য বিগেস্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস অন আর্থ। এক নামে যাকে গোটা বিশ্ব জানে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস বলে। চারদিকে সেই অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের রেপ্লিকার ঝলক।
লস এঞ্জেলেস শহর থেকে হলিউড যাওয়ার রাস্তায় পড়ে সানসেট বুলেভার্ড। ১৯১১ সালে এই সানসেট বুলেভার্ডে ছোট্ট একটি স্টুডিও নির্মাণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় হলিউড সিনেমার যাত্রা। হলিউড অভিনেত্রী নরমা ডেসমন্ড-এর কল্পিত কাহিনী নিয়ে ১৯৫০ সালে নির্মিত হয়েছিল সানসেট বুলেভার্ড নামে সিনেমাটি। নরমার ভূমিকায় গ্লোরিয়া সোয়ানসন-এর অসামান্য অভিনয়ে এটি আমেরিকার সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি। তারপর থেকে হলিউড নামটিকে বিশ্বের দরবারে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি আর। কালক্রমে চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলা-কুশলী সবাই এসে ভিড় করেছে এখানে। নামীদামী হোটেল কিংবা বার, বিশাল ব্যয়বহুল মুভি সেটে আজ পরিপূর্ণ হলিউড। আগের শতাব্দীর দুইয়ের দশকের পরের ২০ বছর পরিকাঠামোগতভাবে হলিউড এগিয়েছে তরতর করে। সেই বুলভার্ড অব হলিউডের দুই পাশে এখন বড় বড় পাম গাছ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সম্ভাষণ জানায় প্রত্যেক আগন্তুককে। যাদের চোখে মুখে রয়েছে রঙিন স্বপ্ন। প্রতি সপ্তাহে গড়ে শুধু ৪ কোটি আমেরিকান নাগরিকই ছুটে যায় হলিউডের থিয়েটারগুলোর টানে। সেই জরাজীর্ণ হলিউড আজ স্বপ্নের আঁতুড়ঘর।
যেখানে মূল আকর্ষণ অবশ্যই ডলবি থিয়েটার। ২০১২ সালে ইস্টম্যান কোডাক কোম্পানি যখন দেউলিয়া ঘোষণা করে, তার তিন মাসের মাথায় ডলবি ল্যাব ইস্টম্যানের কাছ থেকে এই থিয়েটারের মালিকানা গ্রহণ করে। সেই থেকে কোডাকের বদলে ডলবি। চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বনেদি পুরস্কারের আসর বসে এই ভবনেই। সে যেন চাঁদের হাট। হাজির হন বিশ্বের নানা প্রান্তের চলচ্চিত্র বোদ্ধা থেকে শুরু করে তারকা শিল্পীরা। অতিথিদের জন্য ৩ হাজার ৪০০টি আসনের পাশাপাশি মিলনায়তনের যে কোনও স্থান থেকে বক্তার কথা সব জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডলবি থিয়েটারে রয়েছে ২০০টি স্পিকার। এছাড়া ছবি দেখার জন্য ৬০ গুণ ৩২ ফুটের দৈত্যাকার স্ক্রিন তো রয়েছেই। শব্দের খোঁজখবর যারা জানেন, তারা বোধ হয় ওয়াকিবহাল— অস্কারের সাউন্ড সবসময় হয় স্টেরিও, নয়তো মনো টাইপের।
২৫ ডলার খরচ করলেই ডলবি থিয়েটারের গাইড আপনাকে চেনাবেন হলিউডের আদ্যপ্রান্ত। কত ইতিহাস। এই ভবন থেকেই চোখে পড়বে দূরে পাহাড়ের কোলে হলিউড সাইন। সাইনটি হলিউডকে পরিচিতি এনে দিয়েছে সারা পৃথিবীতে। মাউন্ট লির শীর্ষে অবস্থিত যে সাইনটি দেখলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হলিউড চলচ্চিত্রের চোখ ধাঁধানো কোনও অ্যাকশন বা লাস্যময়ী কোনও অভিনেত্রীর মিষ্টি চেহারা কিংবা কোনও হার্টথ্রব নায়কের নাম। কিন্তু নজর কাড়া এই সাইনবোর্ডের পিছনেও রয়েছে লম্বা ইতিহাস। রয়েছে শত সহস্র মানুষের পরিশ্রম, রয়েছে আত্মত্যাগ। গাইড শোনাবেন সেই ইতিহাসও।
ইতিহাস তো সঙ্গে নিয়েই এসেছি! ১৯২০ সালের গোড়ার দিকে ‘দ্য লস এঞ্জেলেস টাইমস’ পত্রিকার মালিক হ্যারি চ্যান্ডলার কয়েকজন ধনী ব্যবসায়ীকে নিয়ে প্রোমোটিং ব্যবসায় নেমেছিলেন। ব্যবসায়ী গ্রুপটি মাউন্ট লির পাদদেশে বিপুল পরিমাণে জায়গা কিনে বাড়ি তৈরির কাজে হাত দেয়। প্রকল্পের নামকরণ করা হয় ‘হলিউড ল্যান্ড’। নিজেদের কোম্পানির নামকে অক্ষয় ও ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করতে বেশ জমকালো একটি সাইনবোর্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটি। ওই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ১৯২৩ সালে বিখ্যাত ডিজাইনার থমাস ফিস্কের ডিজাইনকৃত হলিউড ল্যান্ড লেখা ১৩ অক্ষরের সাইনবোর্ড তৈরি করে পাহাড়ের শীর্ষে স্থাপন করা হয়। মাত্র বছর দুয়েকের জন্য স্থাপন করা হলেও সাইনবোর্ডটি আর সরানো হয়নি। গ্রিফিথ পার্কের মাউন্ট লি নামে পাহাড়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত এই সাইনবোর্ডটির প্রতিটি অক্ষরের উচ্চতা ৪৫ ফুট অর্থাৎ ছয়তলা উঁচু দালানের সমান এবং প্রস্থ ৩১ থেকে ৩৯ ফুট। রাতের বেলায়ও এটি যাতে দিনের মতো স্পষ্ট দেখায় সেজন্য ৪ হাজার বৈদ্যুতিক আলো লাগানো আছে!
শুনলে অবাক হবেন, একসময় হলিউড সাইনটিকে অপয়া হিসেবে বিবেচনা করা হতো। অবশ্য এর পিছনে কিছু কারণও ছিল। ১৯৩২ সালে হলিউড অভিনেত্রী ‘পেগ এন্টউইসটল’ হলিউডের এইচ অক্ষরের উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। এরপর ১৯৪০ সালে ওই সাইনের কেয়ারটেকার আলবার্ট কোথ পাহাড়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই এইচ অক্ষরের উপরই পড়েছিলেন। ওই দুর্ঘটনায় কোথ বেঁচে গেলেও এইচ অক্ষরটি দুমড়ে মুচড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল অনেকদিন। ১৯৪৯ সালে হলিউড চেম্বার অব কমার্স ‘ল্যান্ড’ শব্দটি বাদ দিয়ে এটিকে হলিউড সাইন হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যেগ নেয়। কাঠ এবং টিনের শিট দিয়ে তৈরি করা হয় সাইনটি। তবে অল্পদিনেই হলির ‘ও’ অক্ষরটি ভেঙে ইউ আকার ধারণ করে এবং ‘উড’-এর একটা ‘ও’ গায়েব হয়ে যায়। ১৯৭৮ সালে হলিউড চেম্বার মোটা অঙ্কের ডলার খরচ করে অস্ট্রেলিয়া থেকে স্টিল শিট এনে সাইনটি নতুন করে স্থাপনের কাজ শুরু করে। আর ওই বছর ১৪ নভেম্বর হলিউডের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে হলিউড সাইন উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত বেদনাদায়ক যে উদ্বোধনের কয়েকদিন পরেই একজন স্কুল ছাত্রী এর উপর থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর থেকে সাইনটির কাছে যাওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একসময় এক প্রোমোটিং কোম্পানি ঘরবাড়ি নির্মাণসহ এলাকা উন্নয়নের নামে বিশ্বখ্যাত হলিউড সাইন সরিয়ে ফেলারও পরিকল্পনা করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী আমেরিকার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিত্ব করা হলিউড সাইনটি রক্ষার জন্য স্থানীয়রা উদ্যোগ গ্রহণ নেন। জায়গাটি কিনে নেওয়ার জন্য ‘দ্যা ট্রাস্ট ফর পাবলিক ল্যান্ড’ নামে একটি ফান্ড গঠন করা হয়।
অভিনেতা ও ক্যালিফোর্নিয়ার তৎকালীন গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জনিগারের উদ্যোগে আমেরিকার পঞ্চাশটি রাজ্য ও কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্র থেকে সাহায্য আসে। চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত শিল্পী এবং কলাকুশলীসহ হাজারো মানুষ এই সাইন রক্ষায় মাঠে নামেন। ওই সময় বিশ্বখ্যাত প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা হিউ হেফনার এককভাবে ৯ লাখ ডলার অনুদান দেন। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অনুদান নিয়ে ১ কোটি ২৫ লাখ ডলারের সংস্থান করে ১৩৮ একর ভূমি রক্ষা করা হয়। একই সঙ্গে আগামী পৃথিবীর জন্যই রক্ষা করা হয় হলিউড সাইন। হলিউড সাইন এখন হলিউডের নিজস্ব সম্পত্তি। এখানে ঘর বাড়ি করার জন্য আর কোনও প্রোমোটিং কোম্পানি ছুটে আসে না।
লস অ্যাঞ্জেলস আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বিশ্বের এই সৃজনশীল শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে আছে বিশ্ববিখ্যাত হলিউড, আছে ডিজনিল্যান্ড, আছে অস্কার আয়োজনকারী ডলবি থিয়েটার, ইউনিভার্সাল স্টুডিওসহ নামকরা আর সব স্টুডিও। রয়েছে মাদাম তুসো মিউজিয়ামও। সবার উপরে আছে মন মাতানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর অনন্য প্রশান্ত মহাসাগর। এখানকার নাগরিকদের প্রতি ছ’জনের একজন কোনও না কোনও সৃষ্টিশীল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোটা মানব সভ্যতার ইতিহাসে পৃথিবীর আর কোনও শহরে একসঙ্গে এত বেশি শিল্পী-লেখক-নির্মাতা বসবাস করেনি। তবে, অন্য আরেকটা ব্যাপার তারা বলতে ভুলে গিয়েছে। আমেরিকার ইতিহাসে অন্য আর কোনও শহরে একসঙ্গে এত বেশি ট্র্যাফিক জ্যামও সৃষ্টি হয়নি। ট্র্যাফিক জ্যামের জন্য গোটা আমেরিকায় কুখ্যাত এই শহর। তবুও এত এত দর্শনীয় জিনিস এই শহরে। কোনটা রেখে কোনটা দেখবেন!
ধরুন ডলবি থিয়েটার লাগোয়া মার্শাল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের কথাই। ঠিকানা ৭০১৩ হলিউড বুলেভার্ড। ৮৯তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস পাওয়া ‘লা লা ল্যান্ড’-এর নামেই এই স্টোরের নাম। যেখানে রয়েছে এলভিস প্রেসলির বিখ্যাত সেই আকাশি রঙের ক্যাডিল্যাক গাড়িটি। গোটা স্টোর জুড়েই হলিউডের নানা রেপ্লিকা। কিন্তু এই বিশাল স্টোরের নাম কেন ‘লা লা ল্যান্ড’ বেছে নেওয়া হয়েছে জানেন? আসলে লা লা ল্যান্ড মানেই লস অ্যাঞ্জেলেস। লা লা ল্যান্ড মানেই হলিউড। আবার লা লা ল্যান্ড মানে এমন একটা জায়গা, যেখানে রোজ শ’য়ে শ’য়ে মানুষ আকাশকুসুম স্বপ্ন নিয়ে আসেন। এই সিনেমা স্বপ্ন দেখতে শেখা আর স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখা নিয়ে। বিষণ্ণ সময়ে ‘লা লা ল্যান্ড’ আশার আলো দেখায়। হলিউডের আড়ম্বরকে ফের ভালবাসতে শেখায়। বলেছিলেন মার্শাল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের কর্মী এমা ক্যালম্যান। 
মহীশূর হাম্পিতে দোতলা বাস 

কর্ণাটক পর্যটন দপ্তর মহীশূর ও হাম্পিতে সাইট সিয়িং করানোর পরিকল্পনা নিয়েছে দোতলা বাসে।  বিশদ

দেবীর ৫১ পীঠ এবার ত্রিপুরায় 

ত্রিপুরা সরকার গোমতী জেলার উদয়পুরে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের কাছে গড়ে তুলছে ৫১ শক্তি পীঠ। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও তিব্বতে ছড়িয়ে থাকা শক্তি স্থলগুলিকে অনুকরণ করে একত্রে নিয়ে আসছে পর্যটন দপ্তর।  বিশদ

ঐতিহ্যশালী পাহাড়ি দুর্গ 

 রাজস্থানের উদয়পুরের নিকট রাজসমন্দ জেলায়, আরাবল্লীর কোলে অবস্থিত কুম্ভলগড় ফোর্ট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যার উচ্চতা ৩ হাজার ৬০০ ফুট। উদয়পুর থেকে গাড়িতে প্রায় ৮৬ কিমি পথ।  বিশদ

টিকটক 

বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্যজনক স্টেশন
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি রেলওয়ে টার্মিনাস। বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা প্রাপ্ত এই ভিক্টোরিয়ান আমলের রেল স্টেশনটি সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্যজনক স্টেশনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান ছিনিয়ে নিয়েছে। 
বিশদ

15th  September, 2019
পাহাড়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম 

লাভা ও লোলেগাঁওয়ের কথা আমরা অনেকেই শুনেছি। তারই পাশে ছোট্ট গ্রাম রিশপ। লাভা থেকে জঙ্গলের পথে ট্রেকিং করেও যাওয়া যায় ৫ কিমি পথ। পথের দৃশ্য খুবই সুন্দর। রিশপের উচ্চতা প্রায় ২ হাজার ৫৯১ মিটার। 
বিশদ

15th  September, 2019
মহীশূরের দশেরা উৎসব
অয়ন গঙ্গোপাধ্যায়

প্রাসাদের শহর মহীশূর কর্ণাটকের এক ইতিহাস প্রসিদ্ধ পর্যটনকেন্দ্র। ওয়াদিয়ার রাজাদের হাতে গড়ে ওঠা এই শৈল্পিক শহরে ছড়িয়ে আছে একাধিক দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহীশূর প্রাসাদ। শহরের বিউটিস্পট এই প্রাসাদ যেন এক স্বপ্নপুরী।  
বিশদ

15th  September, 2019
নতুন নামে, নতুন সাজে দুর্গাপুরের দ্য দামোদর রিট্রিট 

সম্প্রতি সাধারণ পর্যটকের জন্য খুলে দেওয়া হল দুর্গাপুরের দ্য দামোদর রিট্রিট হোটেল। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের এই হোটেলটির একসময় নাম ছিল রিভিয়েরা। জেটেক্স ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস নামক এক বেসরকারি সংস্থার পরিচালনাধীন ছিল হোটেলটি।  
বিশদ

15th  September, 2019
লাটপাঞ্চারে দেখা হতে পারে রেড পাণ্ডার সঙ্গে 

অজন্তা সিনহা: প্রথম একা একা বেড়াতে যাওয়া এবং এক অনামি পাহাড়ি গ্রামে। প্রায় দু’দশক আগে এক বাঙালি মধ্যবিত্ত মহিলার পক্ষে ব্যাপারটা যথেষ্ট দুঃসাহসিক ছিল বলাই বাহুল্য। মনে পড়ছে ট্রেনের কথা। কামরায় একটি বড় পরিবার ছিল। পরিবারের মহিলাদের একজন তো অবাক হয়ে জিজ্ঞেসই করে ফেললেন, ‘আপনার স্বামী আপনারে একা ছাইড়া দিল?’ খুব মজা পেয়েছিলাম।  
বিশদ

01st  September, 2019
ছোট্ট গ্রাম চটকপুর 

দার্জিলিং জেলার সিঞ্চল ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি মধ্যস্থিত একটি ছোট্ট গ্ৰাম চটকপুর। বড় বড় পাইন গাছের মধ্যে ১৮/২০ টি বাড়ি নিয়ে তৈরি গ্রামটি। আকাশ পরিষ্কার থাকলে ১৮০° পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জ স্পষ্ট দেখা যায় গ্রামের যেকোনও প্রান্ত থেকে। ভোরের সোনালি আলোয় আর সন্ধের রুপোলি আলোয়, এক অদ্ভুত মায়াজগৎ রচনা করে সে।  
বিশদ

01st  September, 2019
টিকটক 

রাতের তাজ
শ্বেতশুভ্র তাজকে পূর্ণিমায় দেখার সৌভাগ্য সবার হয় না। পূর্ণিমা না থাক,অন্ধকারের আলোকেও মায়াময় হয়ে ওঠে মমতাজের স্মৃতি। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের রাতের তাজ দেখানোর জন্য নানামহল থেকে অনুরোধ এসেছে পর্যটন মন্ত্রকের দপ্তরে। 
বিশদ

01st  September, 2019
পরাশর হ্রদের তীরে

অয়ন গঙ্গোপাধ্যায়: হিমাচলপ্রদেশের পাহাড়ঘেরা জেলা সদর শহর মাণ্ডি এক প্রাচীন জনপদ। মানালিগামী সড়কপথের মাঝে এর অবস্থান হলেও এখানে সেভাবে পর্যটকের ভিড় চোখে পড়ে না। কিন্তু মাণ্ডি ও তার আশপাশে ছড়িয়ে আছে বেশকিছু দর্শনীয় স্থান। যার মধ্যে অনির্বচনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে লুকিয়ে রয়েছে অচেনা পরাশর হ্রদ।
বিশদ

18th  August, 2019
নাথদ্বারায় বৃহত্তম শিব

 শ্রাবণ মাস শিবের জন্মমাস। দেশভর শিবের মন্দিরগুলি লোকারণ্য। সেই উপলক্ষে রাজস্থানের নাথদ্বারায় উৎসর্গ করা হয়েছে বৃহত্তম শিবের মূর্তি। বিশদ

18th  August, 2019
পুরীর মন্দিরে নিষিদ্ধ পান, গুটকা

ঠোঁট লাল পাণ্ডা দেখার দিন ফুরালো পুরীর মন্দিরে। মন্দির কর্তৃপক্ষ মন্দির অভ্যন্তরে পান,গুটকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আগষ্টের প্রথম দিন থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
বিশদ

18th  August, 2019
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর পুণ্যভূমি চাকলা ও কচুয়া ধাম

‘রণে বনে জলে জঙ্গলে/ যেখানেই বিপদে পড়িবে আমায় স্মরণ করিও, আমি রক্ষা করিব।’ এই উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে এক মহান ধর্মযজ্ঞে শামিল হতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী যে পবিত্র তীর্থে আসেন, সেই পবিত্র তীর্থ হল চাকলা-কচুয়া ধাম।
বিশদ

18th  August, 2019

Pages: 12345

একনজরে
 প্রসেনজিৎ কোলে, কলকাতা: রেল মন্ত্রক প্রতিটি জোনকেই ভাড়া ছাড়া অন্যান্য খাতে আয় বৃদ্ধির রাস্তা খুঁজতে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই পথে চলে বিজ্ঞাপন সহ বিভিন্ন খাতে ইতিমধ্যেই আয় বাড়িয়েছে একাধিক জোন। ভাড়া ছাড়া অন্য খাতে আয় বৃদ্ধিতে এবার অব্যবহৃত জমিতে পুকুর কেটে ...

বিএনএ, কোচবিহার: কোচবিহার পুরসভার বেশকিছু ওয়ার্ডের ভিতরের রাস্তার অবস্থা একেবারে বেহাল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাগুলি বেহাল হয়ে থাকার কারণে বাসিন্দাদের মনে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আসন্ন টি-২০ সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। গত বছরের অক্টোবর থেকে ৫৬টির মধ্যে দেশের জার্সিতে ৪৮টি ...

 মস্কো, ১৯ অক্টোবর (এএফপি): সাইবেরিয়ার ক্রাসনোইয়ারস্ক অঞ্চলে এক খনি দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস
১৮৭১: কবি ও গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেনের জন্ম
১৯৭৮: ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৪ টাকা ৭২.০৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৮৬ টাকা ৯৩.১৫ টাকা
ইউরো ৭৭.৭৩ টাকা ৮০.৬৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  October, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৯২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৯৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ কার্তিক ১৪২৬, ২০ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার, ষষ্ঠী ৪/৩৯ দিবা ৭/৩০। আর্দ্রা ৩০/৩৪ সন্ধ্যা ৫/৫২। সূ উ ৫/৩৮/৩৫, অ ৫/৪/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ গতে ৮/৪২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৯/১৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ১/২৮ মধ্যে পুনঃ ২/১৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৯/৫৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে, কালরাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৩০ মধ্যে।
২ কার্তিক ১৪২৬, ২০ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার, সপ্তমী ৫৩/৪/১৩ রাত্রি ২/৫২/৫২। আর্দ্রা ২৪/৪১/৫৯ দিবা ৩/৩১/৫৯, সূ উ ৫/৩৯/১১, অ ৫/৫/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩২ গতে ৮/৪৫ মধ্যে ও ১১/৪২ গতে ২/৪০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৮ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ১/২৯ মধ্যে ও ২/২১ গতে ৫/৪০ মধ্যে, বারবেলা ৯/৫৬/৪১ গতে ১১/২২/৩১ মধ্যে, কালবেলা ১১/২২/৩১ গতে ১২/৪৮/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ১২/৫৬/৪১ গতে ২/৩০/৫১ মধ্যে।
২০ শফর

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
 আজকের রাশিফল
মেষ: ব্যবসায় অর্থাগম হবে। বৃষ: কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগাযোগ ঘটবে। মিথুন: গৃহে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ১৮৭১: কবি ও গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেনের জন্ম১৯৭৮: ...বিশদ

07:03:20 PM

আইএসএল: প্রথম ম্যাচে এটিকের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয়ী কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি 

09:37:34 PM

আইএসএল: কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি ২ - এটিকে ১ (বিরতি) 

08:29:36 PM

কোচবিহারের দিনহাটার নারায়ণগঞ্জে ৭১ কেজি গাঁজা উদ্ধার 

06:16:00 PM

করণদিঘিতে ব্যবসায়ী খুনে ৫ অভিযুক্ত গ্রেপ্তার, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র 

05:47:32 PM