উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কেন শিখবে অ্যানিমেশন?
অ্যানিমেশন এমন একটা শিল্প যার চাহিদা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। প্রচুর বড় বড় ভারতীয় কোম্পানি এখন অ্যানিমেশন প্রোডাকশন হাউস খুলছে। এছাড়া বিশ্বের সমস্ত বড় বড় অ্যানিমেশন কোম্পানিগুলোও প্রচুর কাজ ভারতে পাঠাচ্ছে আউটসোর্সিং হিসাবে। ‘জেনারেল লাইনে’ পড়াশোনা করে এখন চাকরির সুযোগ খুবই কম। হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ারও তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাচ্ছে না।
অ্যানিমেশন শিখলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রী একটা স্থায়ী কেরিয়ার তৈরি করতে পারবে। বর্তমান ডিজিট্যাল দুনিয়ায় অ্যানিমেশনের চাহিদা হু হু করে বাড়ছে।
কী ধরনের কোর্সে ভর্তি হওয়া উচিত?
2D, 3D অ্যানিমেশন এবং VFX-এর ক্ষেত্রটা অনেক বড়। অনেক বিষয় আছে এতে শেখার জন্য। ভালো কেরিয়ার করতে গেলে অ্যানিমেশনের ছোটখাট কোর্স করে লাভ নেই। পশ্চিমবঙ্গে এবং ভারতের অল্প কিছু অ্যাকাডেমিতেই ফুল টাইম রেগুলার অ্যানিমেশনের কোর্স করানো হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের সেইসব কলেজেই ভর্তি হওয়া উচিত যেখানে সপ্তাহে পাঁচদিন এবং অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ক্লাস হয়। সপ্তাহে ২-৩ দিন পার্ট টাইম ক্লাস করে কিছুই শেখা যায় না। তাই ভালো চাকরির সম্ভাবনাও থাকে না। অ্যানিমেশনে ডিগ্রি এবং ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়। ভালোভাবে রিসার্চ করে ইন্টারনেটে রিভিউ পড়ে তবেই কলেজে ভর্তি হওয়া উচিত। ফ্যাকাল্টি কোয়ালিটি এবং কলেজের প্লেসমেন্ট রিপোর্ট কীরকম সেই দিকে শিক্ষার্থীদের খেয়াল রাখা উচিত।
কারা অ্যানিমেশনে ভর্তি হতে পারবে?
উচ্চ মাধ্যমিক পাশ ছাত্র-ছাত্রী অ্যানিমেশনের ডিগ্রি এবং ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে পারবে। কিছু অ্যাকাডেমিতে মাধ্যমিকের পরও কোর্স করানো হয়।
যারা ক্রিয়েটিভ কাজ করতে ভালোবাসে অথবা যারা ড্রয়িং, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে আগ্রহী তাদের জন্য অ্যানিমেশন অবশ্যই একটা ভালো কেরিয়ার অপশন হতে পারে।