কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মোজাম্মেল সাহেব বলেন, বড় আকারের ওল চাষ করতে তেমন খরচ নেই। বীজ রোপণ করার পর জৈবসার দিলেই গাছ বেড়ে ওঠে। মাঝে একবার রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে পারলে গাছের পক্ষে ভালো হয়। ১১ বছরের বেশি সময় ধরে ওল চাষ করে চলেছি। লাভও মেলে। আমাকে দেখে এলাকার অনেকেই এই চাষে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। তিনি বলেন, চৈত্র মাসে বীজ রোপণ করতে হয়। তবে বিশাল সাইজের ওল সব জমিতে হয় না। এর জন্য আলাদাভাবে বীজ তৈরি করতে হয়। অনেক আগে কৃষিদপ্তর থেকে বীজ এনে রোপণ করেছিলাম। ছ’-সাত কাঠা জমিতে এই প্রজাতির ওল চাষ করে ২৫-২৮ হাজার টাকা লাভ পাওয়া যায়। বাজারে বড় আকারের ওলের চাহিদা ভালোই থাকে। এর স্বাদও অন্যরকম।
স্থানীয়রা বলেন, মোজাম্মেল সাহেব বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের ফসলের চাষ করে এলাকার বাসিন্দাদের দিশা দেখাচ্ছেন। এলাকার চাষিদের নিয়ে একটি ফার্মার্স ক্লাব তৈরি করেছিলেন। সেই ক্লাবের সদস্য-চাষিদের আধুনিক উপায়ে বিভিন্ন ফলন ফলানোর পরামর্শ দিতেন। চাষে নয়া দিশা দেখানোর জন্য কৃষিদপ্তরও তাঁকে সম্মানিত করেছে। স্নাতক উত্তীর্ণ ৫২ বছরের ওই চাষি সেনাবাহিনীর চাকরি পেয়েছিলেন। মোজাম্মেল সাহেব বলেন, চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরও কাজে মন দিতে পারতাম না। বারবার গ্রামের কথা মনে পড়ত। প্রথম থেকে ভেবেছিলাম, ভালোভাবে চাষ করেই সংসার চালাব। তাই চাকরিতে যোগদান করার পরও কোনওকিছু না ভেবে আবার গ্রামে ফিরে আসি। সেই থেকেই চাষ করছি। তবে প্রথাগত চাষ ছেড়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করি সবসময়। ওল ছাড়াও পেঁপে চাষ করেও বিশেষ সাফল্য পেয়েছি। আগামী দিনে আরও বেশি ওজনের ওল ফলানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সর্বোচ্চ কত ওজনের ওল ফলতে পারে, সেটাই দেখতে চাই। নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন এই চাষি। ছবি: অসীম ভাস্কর