বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
অমরপুর গ্রামের চাষি পল্লবকুমার দাস বলেন, প্রায় আড়াই মাস আগে নেদারল্যান্ড থেকে একটি এজেন্সির মাধ্যমে বীজ এনেছিলাম। বীজ কেনা ও উড়ানে আনার খরচ নিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এবছর ওই বীজে প্রায় দেড় বিঘা জমিতে ফুল লাগিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে বেশকিছু গাছের ফুল ফুটেছে। ফুল ভালো দামে বিক্রিও হয়েছে। হাওড়া মল্লিকঘাটের ফুলবাজারে ওই ফুলের ভালো চাহিদা রয়েছে। এক ডজন ফুল ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়। মন্দার বাজার হলেও ১০০ টাকা ডজন দরে ওই ফুল ক্রেতারা নিয়ে যাচ্ছেন। বর্ধমানের বাজারেও ওই ফুলের চাহিদা বেড়েছে। তবে নেদারল্যান্ড ভ্যারাইটির ওই ফুল ৭০-৯০ দিনের মধ্যে ফুটছে। রং-বেরঙের ওই ফুল ক্রেতাদের নজর কাড়ছে। রাজস্থানেও ওই ফুলের চাহিদা রয়েছে। এছাড়া নিউজিল্যান্ডে সামনের বছর উৎপাদিত ফুল রপ্তানি করার পরিকল্পনা রয়েছে। একটি বীজ থেকে পরবর্তী কয়েক বছর ওই ফুল চাষ হতে পারে। এছাড়াও মূল বীজ থেকে প্রত্যেক বছর আরও নতুন নতুন বীজ তৈরি হবে।
তিনি বলেন, এবছর খরচ বাদ দিয়েও লাভ থাকবে। তবে আগামী বছর বীজ কিনতে হবে না। তাই সব মিলিয়ে প্রতি বিঘায় প্রায় দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বছর অন্তত দুই বিঘা জমিতে ওই ফুল চাষের টার্গেট রয়েছে। এদিকে ওই গ্রামে গ্লাডিওলাস ফুলের চাষ দেখে আশপাশের অনেক চাষি ওই চাষে উৎসাহ দেখিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রায় তিন মাসে শীতকালীন ওই ফুল চাষ করে এত ভালো লাভ অন্য কোনও চাষে নেই । ফুল ফোটার পর এক থেকে দুই সপ্তাহ মজুত রাখা যেতে পারে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গ্লাডিওলাস ফুল চাষে উৎসাহিত চাষিরা সরকারি সহযোগিতা পেতে পারেন।