স্বদেশের বা বিদেশের নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালাভের সুযোগ পেতে পারেন। সব কাজে কমবেশি সাফল্যের যোগ। আয় ... বিশদ
চার বছরের বিরতি নিলেন কেন? ঊষসী বললেন, ‘চার বছর আগে একটা একঘেয়েমি গ্রাস করেছিল। মনে হয়েছিল, একই রকম হয়ে যাচ্ছে। সেই জায়গা থেকে ব্রেক নিয়েছিলাম। ব্রেক নিলাম বলেই নদীর ওপার দেখতে পেলাম।’ সেটা কেমন? ‘প্রতিদিন অভিনয় করতে পারা আশীর্বাদের মতো। লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন শুনতে পাওয়াটা নেশার মতো। টেলিভিশনে সেটা সম্ভব। একটা ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং খুব বেশি হলে ১৫-২০ দিন। আমি তো ১২ মাসে ১২টা ওয়েব সিরিজ করছি না। এখন কাজের সংখ্যাও অনেক কমে গিয়েছে। ভালো কাজ আর পছন্দমতো চরিত্র করতে গিয়ে আমার কাজ না করার দিনের সংখ্যা বেশি হয়ে যাচ্ছিল। এটা আমাকে কষ্ট দিচ্ছিল। প্রতিদিন প্র্যাকটিসে থাকছি না, সেটা খারাপ লাগছিল।’
কামব্যাকের জন্য ‘গৃহপ্রবেশ’কে বেছে নিলেন কেন? ঊষসীর দাবি, আলাদা করে গল্প নয়, বরং তাঁর কাজে ফেরার তাগিদই মূল কারণ। তাঁর কথায়, ‘এই চার বছরে আমি কোনও গল্প শুনিনি। টেলিভিশন তো বড় সময়ের কমিটমেন্ট। সেটার জন্য তৈরি ছিলাম না। স্টারের সঙ্গে ছোটবেলার সম্পর্ক। ফলে এটার কী গল্প, চরিত্র না জেনেই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ কাজে ফিরতে চেয়েছিলাম। সেই তাগিদটাই আসল।’ ঘরের মেয়ের সাগর পাড়ের গল্প কি বিদেশে শ্যুটিং হচ্ছে? হেসে অভিনেত্রীর জবাব, ‘বিদেশে শ্যুটিং হচ্ছে কি না বলতে পারব না। দর্শকের দেখে যেটা মনে হবে, সেটাই ঠিক।’
চার বছর টেলিভিশন থেকে দূরে থাকা মানে কি কোথাও দর্শকের মন থেকেও হারিয়ে যাওয়া? প্রতিযোগিতার বাজারে এতে কি পিছিয়ে পড়তে হয়? ঊষসীর ব্যাখ্যা, ‘এখন তো সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। এটা আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ বলব, জানি না। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ এত অ্যাকটিভ যে হারিয়ে যাওয়ার ভয়টা নেই। আমার সম্পর্কে আপডেট দর্শক সোশ্যাল মিডিয়াতে পেয়েছেন।’
কম সময়ের মধ্যে ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাওয়া এখন ট্রেন্ড। পাশাপাশি টিআরপির দৌড়। মুখ্য অভিনেত্রী হিসেবে এসব সামলানো কতটা চাপের? ঊষসী বললেন, ‘আমার ফোকাস ক্যামেরার সামনে শটটা ভালো করে দেওয়া। টিআরপির টেনশন আমার নয়। অনেক ছোট থেকে এই গেমটার মধ্যে রয়েছি। টিআরপির উপর আমার পারফরম্যান্স, অভিনয় দক্ষতা বা আমি কেমন শিল্পী সেটা নির্ভর করে না। আমার টিআরপি সবথেকে কম হলেও যে ডেডিকেশন থাকবে, টিআরপিতে এক নম্বরে থাকলেও তার কোনও পরিবর্তন হবে না।’