পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ
তিন যুগলের গল্প। একটি বৈবাহিক অনুষ্ঠানে মিলিত হয়ে এক মজাদার খেলায় অংশ নেয় তারা। সবার মোবাইল আনলকড অবস্থায় সারারাত সকলের সামনে থাকবে। যে কোনও কল বা মেসেজ সকলে শুনবে বা পড়বে! এরপরই প্রতিটি মোবাইল যেন আলাদিনের এক একটি আশ্চর্য প্রদীপ হয়ে ওঠে। এক একটি কল বা মেসেজ যেন এক একটি জিন। আসে আর নিস্তরঙ্গ সমুদ্রে একের পর এক ঢেউ সৃষ্টি করে সবকিছু ওলটপালট করে দিয়ে যায়। গোপনীয়তা মানুষের জীবনে স্থিতাবস্থা বা সামাজিক ভারসাম্য বজায় রাখার কাজ করে। তাই সেই গোপনীয়তার মেঘ সরে গেলে নগ্ন আকাশের নীচে অসহায় মানুষের দুর্গম জীবন সফরের গল্প এটি।
প্রথমা স্ত্রীর মৃত্যুর পর ঋষভের (অক্ষয় কুমার) নতুন সঙ্গী বর্তিকা (বাণী কাপুর)। এক প্রাপ্তবয়স্কা কন্যার পিতা ঋষভ। বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সময় যাপনের গুণগত মান বৃদ্ধি নিয়ে মেয়ের সঙ্গে ঋষভের খোলামেলা আলোচনা একটি চমৎকার সামাজিক বার্তা দেয়। হরপ্রীত সিং (এমি বির্ক) ও হরপ্রীত কৌরের (তাপসী পান্নু) অসামঞ্জস্যপূর্ণ দাম্পত্যে শহর ও গ্রামের বিপরীতধর্মী আবেগ থেকে শুরু করে সন্তান উৎপাদনের সামাজিক চাপ— সবকিছু হাজির। শিল্পপতি বাবার মেয়ে-জামাই নয়না (প্রজ্ঞা জয়সওয়াল) ও সমরের (আদিত্য শীল) ব্যক্তিগত যৌথ জীবনে পেশাগত জীবনযুদ্ধের অবাঞ্ছিত ছায়ার অনুপ্রবেশ ঘটে। এদের সকলের এক ডিভোর্সি বন্ধু কবীরের (ফারদিন খান) নিজের বান্ধবীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তাকে একাই আসতে হয়। সংবেদনশীল বিভিন্ন ইস্যুকে শৈল্পিক দক্ষতায় বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
অক্ষয় কুমারের চরিত্র নির্বাচন দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নের মুখে পড়ছে। একের পর এক অসমবয়সি চরিত্রে তাঁকে রীতিমতো বেমানান লাগতে শুরু করেছিল। এই ছবিতে নিজের ভুল সংশোধন করে স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তাঁর। কমিক টাইমিংয়ে সহ-অভিনেতারাও যোগ্য সঙ্গত করেছেন তাঁকে। সিরিয়াস লেখিকার চরিত্রে বাণী কাপুর অনবদ্য। একটি মজাদার ক্যামিও চরিত্রে চিত্রাঙ্গদা সিংও মানানসই। ফারদিন খান সামান্য দুর্বল। প্রত্যেককে পর্যাপ্ত সময় ও নাটকীয় মুহূর্ত সরবরাহ করার জন্য লেখক-পরিচালক মুদাসসর আজিজেরও প্রশংসা প্রাপ্য। তবে কিছু চরিত্র ও তাদের আচরণ স্টিরিওটাইপ। মনোজ খাটোইয়ের সিনেমাটোগ্রাফি ও নিনাদ খনলকরের সম্পাদনার যুগলবন্দি বেশ সপ্রতিভ। গানগুলি ভালো, তবে চিত্রনাট্যের সঙ্গে খুব একটা সম্পর্কিত নয়, তাই কখনও কখনও অকারণ বোঝা মনে হয়েছে।