নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
নায়িকার আশৈশব ছবি আঁকার অভ্যাস। অন্য অনেককিছুর মতোই ঋতুপর্ণা তাঁর এই গুণটিকেও প্রকাশ্যে আনতে চাননি কখনও। ‘আঁকাটা আমার খুব আনন্দের অবসরের যাপন। ভালো লাগে ছবি আঁকতে। তবে কার্টুন আমার কাছে নতুন বিষয়। বেশ আকর্ষণীয়’, শিল্পীর তৃপ্তি ঋতুপর্ণার হাসিতে। এই ছবিতে পুরুষ প্রোটাগনিস্টের চরিত্রে অভিনয় করছেন রাহুল বসু। সেই ‘অনুরণন’-এর পর আবার ঋতুপর্ণা-রাহুল এক ফ্রেমে। সহ অভিনেতার প্রতি় শ্রদ্ধাশীল ঋতুপর্ণা বললেন, ‘খুব সিরিয়াস অ্যাক্টর রাহুল। ডেডিকেটেড। ওঁর মনোসংযোগ শিক্ষণীয়।’
প্রতিদিনই নতুন চিত্রনাট্য আসে ঋতুপর্ণার কাছে। তার মধ্যে থেকে ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’কে নির্বাচনের কারণ কী? ঋতুপর্ণার ব্যাখ্যা, ‘প্রথমত এটা মলাট চরিত্র। আমার নাম নিয়েই গল্প। দ্বিতীয়ত, সায়ন্তনের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের কাজ করলেও ছবি এই প্রথম করছি। এর মধ্যে সায়ন্তন খুব ভালো কিছু কাজ করেছেন। ম্যাডাম সেনগুপ্ত চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবটা ওঁরই।’
পরবর্তী শটের ডাক পড়ল ম্যাডামের। উঠে পড়লেন ঋতুপর্ণা। ফ্লোরে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ করে শুনতে শুনতে বুঝে নিচ্ছেন দৃশ্যটি। আলো, ক্যামেরা প্রস্তুত। ‘অ্যাকশন’ বললেন পরিচালক। চেয়ারে বসে ঋতুপর্ণা ওরফে ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’। টেবিলে সাদা কাগজ। হাতে স্কেচ আঁকার কলম। চোখ তুলে দূরে তাকালেন অভিনেত্রী। দৃষ্টিতে তখন আঁকা আর লেখা একাকার।
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়