মুম্বই, ২২ মে (পিটিআই): পারিবারিক জীবনে কালো মেঘের ঘনঘটা। স্ত্রী ডিভোর্সের নোটিস পাঠিয়েছেন। এমনই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির ছবি ‘ঘুমকেতু’। এই ছবিই নওয়াজকে মনে করিয়ে দিচ্ছে তাঁর ফেলে আসা দিনগুলির কথা।
প্রথম বাংলা ছবি হিসেবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে দেবেশ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ইয়ে’। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন দেবশঙ্কর হালদার, অর্পিতা ঘোষ, নিত্য গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। নতুন অ্যাপ ‘মাই সিনেমা হল’-এ ছবিটি আগামী ২২ মে থেকে দেখা যাবে।
সময়টা ভালো যাচ্ছে না নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির। এবারে স্ত্রী আলিয়া তাঁকে বিবাহবিচ্ছেদের আইনি নোটিস পাঠালেন। সূত্রের মতে গত ৭ মে অভিনেতাকে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। ডাক বিভাগ বন্ধ থাকায় ইমেল ও হোয়াটসঅ্যাপে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
অভিনন্দন দত্ত, কলকাতা: লকডাউনের জেরে প্রায় দু’মাস টলিপাড়ায় যাবতীয় শ্যুটিং বন্ধ। চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে বাংলার সিনে ইন্ডাস্ট্রি। টলিপাড়ার দৈনিক চুক্তিভিত্তিক টেকনিশিয়ানদের অর্থ সাহায্যের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন সংগঠন প্রতিনিয়ত আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র খুঁজতে বদ্ধপরিকর। এরই মধ্যে সোমবার নবান্ন থেকে জারি হওয়া এক নির্দেশিকায় বলা হয়, ‘ক্লিন এরিয়া’ (সি জোন) বা সংক্রমণ মুক্ত এলাকায় সিনেমা ও টিভির আউটডোর শ্যুটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে ইন্ডাস্ট্রির কোনও সংগঠন ওই নির্দেশ পায়নি বলে জানা গিয়েছে। ফলে কবে থেকে টালিগঞ্জে শ্যুটিং শুরু হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে কীভাবে শ্যুটিং করা যেতে পারে, তা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন মহলে চর্চা চলছে। এদিন টালিগঞ্জের অভিনেতাদের সংগঠন আর্টিস্ট ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘সার্কুলার দেখেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি নির্দেশ হাতে পাইনি। ওই নির্দেশ পেলে এই বিষয়ে ফোরাম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। শিল্পীদের সুরক্ষা বজায় রেখে কীভাবে আউটডোর শ্যুটিং করা যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’ এই প্রসঙ্গেই শঙ্করের অভিযোগ, ‘কিছু সংগঠন দাবি করছে, আর্টিস্ট ফোরাম নাকি ইচ্ছা করে শ্যুটিং বন্ধ রেখেছে! এটা একেবারেই ভুল তথ্য। আমাদের কাছে শিল্পীদের সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’ এপ্রসঙ্গে ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা এই নিয়ে আলোচনা করছি। কিন্তু এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আর কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।’ পরিচালক অরিন্দম শীল বলেন, ‘মাল্টিপ্লেক্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া সার্কুলার জারি করে সিনেমা হল চালু হলে কী কী নিয়ম মানতে হবে, তার একটা খসড়া তৈরি করেছে। একইভাবে আউটডোরে শ্যুটিংয়ের ক্ষেত্রেও নিয়ম তৈরি করতে হবে।’ তাঁর ধারণা, জুন মাসের আগে টলিপাড়ায় শ্যুটিং শুরু করা কঠিন। প্রযোজক-পরিচালকদের পাশাপাশি শিল্পীরাও আপাতত আর্টিস্ট ফোরাম ও ফেডারেশনের দিকেই এখন তাকিয়ে।
