বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ
গুলির শব্দ। তারপর সব শেষ। প্রার্থনাস্থলে লুটিয়ে পড়ল গান্ধীজির দেহ। শুভ্র বসন রক্তে রাঙা হয়ে উঠল। নাথুরাম গডসে এবার সফল। তার অব্যর্থ লক্ষ্য স্তব্ধ করে দিয়েছে বাপুর হৃদস্পন্দন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে নাথুরাম জানায় জাতির জনককে হত্যা করায় কোনও ক্ষোভ নেই তার। এক দিকে নাথুরামের যুক্তি ও অপরদিকে গান্ধীর স্বপক্ষে মহাদেব দেশাইয়ের যুক্তির ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে দেখা এক মহাজীবন। অস্থির পৃথিবীতে ঘাত প্রতিঘাতের আবহ। যুদ্ধ, মৃত্যু মিছিল। এই অস্থিরতার মধ্যে গান্ধীর অহিংস নীতিকে আবার মনে করিয়ে দিতে মঞ্চে হাজির করা হয়েছে এই মহান চরিত্রকে। টুকরো কোলাজে গান্ধীজির জীবন,আদর্শ, ভাবনা, যুক্তিকে তুলে ধরা হয়েছে।
গান্ধীর চরিত্রে বেশ মানিয়েছে সমীর বিশ্বাসকে। পাশাপাশি নাথুরাম গডসে (শৌভিক মজুমদার), মহাদেব দেশাই (সৌম্য বিশ্বাস)-এর অভিনয় নাটককে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছে। এছাড়া আরও অনেক চরিত্র ছোট হলেও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুযায়ী জরুরি। অভিনয়ে সেই অভিব্যক্তিও ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন সকলে। উল্লেখ করতে হয় জিন্নার চরিত্রে সমীরণ মুখোপাধ্যায়ের অভিনয়।
বাবলু সরকারের আলো, মুরারী রায় চৌধুরীর আবহ পরিকল্পনা, বিলু দত্তের মঞ্চ পরিকল্পনা নাটককে এক সূত্রে বাঁধতে সাহায্য করেছে। এই অস্থির সময়ে দাঁড়িয়ে ‘মাঙ্গলিক’ এমন এক মানুষকে মঞ্চে হাজির করেছে যিনি আজও প্রাসঙ্গিক।