বিদ্যার্থীদের মানসিক স্থিরতা রাখা দরকার। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। তবে নতুন বন্ধু লাভ হবে। সাবধানে পদক্ষেপ ... বিশদ
ছবির টিজার প্রকাশের পর থেকেই তো আপনাদের নিয়ে আলোচনা।
অর্জুন: ঠিকই বলেছেন। একটু মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। মধুমিতাকে দর্শক ধারাবাহিকে যেভাবে দেখেছেন, এখানে তার থেকে একদম অন্যরকম ও। ফ্যানরা বোধহয় একটু চমকে গিয়েছে।
মধুমিতা: আসলে অনেকেই ভেবে নিয়েছেন যে আমি সারা জীবন ‘পাখি’ হয়েই থাকব! কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয়। অভিনেত্রী হিসেবে আমি সবরকমের চরিত্র করতে চাই। দর্শকদের পছন্দ হলে আমার ভালো লাগবে।
টিজার প্রকাশের পর আপনাদের রয়াসন নিয়েও তো বিস্তর আলোচনা...
অর্জুন: প্রথমবার বলেই অতটা সহজ ছিল না। অনেকগুলো ওয়ার্কশপ করেছি। পরে শ্যুটিং এগনোর সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কটা সহজ হয়েছে।
আর ঘনিষ্ঠ দৃশ্য?
অর্জুন: সেটাও সময়ের সঙ্গে ঠিক করতে হয়েছিল।
জলের নীচে আপনাদের চুম্বন দৃশ্য তো ভাইরাল।
অর্জুন: বাপরে, শ্যুটিংয়ের সময় খুব চাপে ছিলাম। জলের নীচে পজিশন ঠিক রাখা, চুল ঠিক রাখা...
মধুমিতা: অর্জুনদার দায়িত্বই ছিল সময়মতো আমার হেয়ারস্টাইল সামলানো (হাসি)।
মধুমিতা, ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় আসতে এতটা সময় লাগল কেন?
মধুমিতা: ২০১৮ সালের মাঝামাঝি শেষ ধারাবাহিক করেছি। তখন স্বাভাবিকের তুলনায় আমার ১০ কেজি ওজন বেশি ছিল। এখন অবশ্য ওজনটা কমেছে। এই সময়ে নিজেকে তৈরি করেছি। সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ধারাবাহিকের অভিনয় প্যাটার্নটা কাটিয়ে ওঠা।
ছোটপর্দার পর অনেকে হারিয়ে যান। সেখানে এসভিএফ-এর মতো সংস্থা আপনাকে ব্রেক দিচ্ছে। হাতে আরও একটা ছবি। নিজেকে কতটা সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে?
মধুমিতা: প্রচণ্ড। দেখুন, টিভিতে কাজ করেছি মানেই যে গাদাগাদা অফার আসবে সেটা আমি বিশ্বাস করি না। আর হারিয়ে যাওয়ার জন্যেও তো কিছু কারণ থাকে। সবটা পরিস্থিতির ঘাড়ে চাপালে চলে না। নিজেকে তৈরি করা এবং মাটিতে পা রেখে চলা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। পরিশ্রম করেছি বলেই হয়তো আজ তার ফল পাচ্ছি।
অর্জুন, এই প্রথম আপনি লিড চরিত্রে। সুযোগটা কি অনেক আগেই আসা উচিত ছিল?
অর্জুন: এটা নিয়ে আমার অনুশোচনা নেই। দিনের শেষে চাইব আমার অভিনয়ের প্রশংসা হোক। সেখানে মুখ্য বা পার্শ্বচরিত্র গুরুত্বপূর্ণ নয়।
স্টিরিওটাইপড হয়ে যাওয়ারও তো ভয় থাকে?
অর্জুন: যেমন আমার দাদা গৌরবকে ভালো মানুষের চরিত্র অফার করা হয়। কিন্তু সুযোগ না দিলে ও নিজেকে অন্য চরিত্রে প্রমাণ করবে কীভাবে?
আপনাদের দু’জনের প্রথম পরিচয় কীভাবে?
অর্জুন: এই ছবির প্রথম চিত্রনাট্য শোনার দিন।
মধুমিতা: মনে আছে আমি এক ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছেছিলাম (হাসি)। সেইজন্য কথাও শুনতে হয়েছিল। খুব লজ্জা পেয়েছিলাম।
ছবিতে এতগুলো চরিত্রে পাশাপাশি অভিনয় করাটা কতটা কঠিন ছিল?
অর্জুন: হ্যাঁ, তিনটে গল্পে আলাদা আলাদা চরিত্র। একদম নতুন অভিজ্ঞতা। আবার কোথাও গিয়ে চরিত্রগুলো এক। ভাবনার জন্য প্রতিমদাকে (ছবির পরিচালক প্রতিম ডি’গুপ্ত) ধন্যবাদ।
মধুমিতা: এটা কীভাবে করব সেটা ওয়ার্কেশপের সময় ভেবে পাগল পাগল লাগত...
আপনাদের মতে একটা সফল জুটির রহস্য কী?
অর্জুন: দর্শকদের পছন্দ হওয়াটাই সবথেকে বড়। কারণ হতেই পারে যে, কাজ করে আমরা তৃপ্ত, অথচ দর্শকদের ভালো লাগল না।
মধুমিতা: কোনও সফল জুটি তৈরির আগে তার সাফল্য নিয়ে সেই ছেলে ও মেয়েটারও বিন্দুমাত্র ধারণা থাকে না। তাই আমি বিশ্বাস করি যে, কোনও ফর্মুলা বা উপকরণ দিয়ে জুটি তৈরি হয় না।
আপনাদের জুটি কি ভবিষ্যতে বাকিদের টেক্কা দেবে?
অর্জুন: (হেসে) দেখা যাক। অতদূর ভাবছি না।
মধুমিতা: প্রথম ছবির আগেই এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুব কঠিন।
মধুমিতা, আপনার চুল ঠিক করে দেওয়া ছাড়া অর্জুনের থেকে এই ছবির দৌলতে আর কী কী শিখলেন?
মধুমিতা: অনেক কিছু। (একটু ভেবে) খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে ওঁর মারাত্মক নিয়ন্ত্রণ। ওর পাগলামোটার ২০ শতাংশ শিখতে পারলেও আমি বর্তে যেতাম।
অর্জুন, আপনি মধুমিতাকে কোনও টিপস দেবেন?
অর্জুন: আমি কাউকে টিপস দেওয়ার যোগ্য নই (হাসি)। একটাই কথা বলব যে মন দিয়ে কাজ করুক। আর কিছু ভাবার প্রয়োজন নেই।