Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিশ্বাসের অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত তিন বছর ধরে ভারতের সিংহভাগ সাধারণ মানুষ নিজেদের সঞ্চয়ের টাকা জমা রাখছে বেসরকারি ব্যাঙ্কে। সরকারি তথা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে নয়। দেশের আটটি সরকারি এবং আটটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। যার ফলশ্রুতি হল সরকারি ব্যাঙ্কে যে টাকা জমা রয়েছে তার সিংহভাগই আগে থেকে জমা হয়ে থাকা ফিক্সড ডিপোজিট। নতুন করে ফিক্সড ডিপোজিট করার প্রবণতা কমছে। বরং জমা টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। পক্ষান্তরে, বেসরকারি ব্যাঙ্কে নতুন করে ফিক্সড ডিপোজিটের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের সাধারণ বুদ্ধিতে কী বলে? ভারতের আমজনতার মনোভাব অনুযায়ী সচরাচর কী হওয়া উচিত? সরকারি সংস্থা, সরকারি ব্যাঙ্ক, সরকারি চাকরি, সরকারি জীবনবিমা, সরকারি দপ্তরের দেওয়া সার্টিফিকেট ইত্যাদি মানুষের কাছে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য। যেমন আজও পাত্রপাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে সরকারি চাকুরে পাত্রপাত্রীর অগ্রাধিকার এবং বিবাহের সেক্টরে স্ট্যাটাসও বেশি। কারণ কিন্তু বেতনকাঠামো নয়, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। অর্থাৎ বেসরকারি চাকরিতে বিপুল বেতন হলেও কবে যে সেই চাকরি থাকবে, আর কবেই বা আর থাকবে না, সেটা নিয়ে আজও একটা শঙ্কা কাজ করে আমাদের মধ্যবিত্ত মননে। তাই সরকারি চাকরিতে পেনশন উঠে গেলেও সরকারি চাকরিই এখনও প্রধান মোক্ষ কর্মপ্রার্থীদের সিংহভাগ অংশের কাছে। ঠিক সেভাবেই সরকারি ব্যাঙ্কে নিজের কষ্টার্জিত টাকা জমা থাকলে, যতই দিন দিন সুদ কমে যাক না কেন আমাদের বিশ্বাস টাকাটা সুরক্ষিত আছে এবং থাকবে। তাই আজকের এই মিউচুয়াল ফাণ্ডের যুগেও বহু মানুষ সরকারি ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট কিংবা পোস্ট অফিসের কোনও স্মল সেভিংস স্কিমে টাকা রেখে নিশ্চিন্ত হন।
ঠিক এরকম পরিস্থিতিতে যে রিপোর্টটি পাওয়া গেল, সেটির অভিঘাত সুদূরপ্রসারী। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক রিপোর্টের নাম ‘রিপোর্ট অন ট্রেণ্ড অ্যাণ্ড প্রোগ্রেস অফ ব্যাঙ্কিং ইন ইন্ডিয়া’। সেখানে স্বীকার করা হয়েছে, ভারতের মানুষ সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে নিজেদের টাকা জমা রাখা অথবা ইনভেস্ট করার প্রবণতা বেসরকারি ব্যাঙ্কের দিকে শিফট করে নিচ্ছে। আপাতভাবে এই বিশ্লেষণ দেখে মনে হবে এতে এমন আর কী ক্ষতি হচ্ছে? মানুষ যেখানে সুবিধা বেশি পাবে, সেখানেই যাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে তা নয়। বরং এই মনোভাব ভারতের মতো দেশে চরম উদ্বেগজনক। কারণ মানুষের এই আচরণের সঙ্গে একটি চিন্তাজনক বার্তা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, শাসক দল, রাষ্ট্রের কাছে। সেটি হল মানুষ আর সরকারি ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করতে পারছে না। ‘আমার টাকা সরকারি ব্যাঙ্কে আর নিরাপদ নয়’, এরকম মনোভাব কি তৈরি হচ্ছে? যদি হয়, তা হলে সেটা মারাত্মক এক নেতিবাচক ইঙ্গিত। বস্তুত মোদি সরকারের কাছে বৃহত্তর উদ্বেগের জায়গা ক্রমেই কিন্তু এটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে যে দ্বিতীয় মোদি সরকারের সরকারি সিস্টেমের প্রতি মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। ব্যাঙ্কের রিপোর্ট তারই একটি ক্ষুদ্র উদাহরণ। এবার আর একটি উদাহরণ দেওয়া যাক।
অসমের বক্সা জেলার তামুলপুর গ্রামের জাবেদা বেগম মহাসঙ্কটে পড়েছেন। জমির রাজস্ব রশিদ, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক পাসবই, ১৯৬৬ সাল থেকে বাবা-মায়ের ভোটার তালিকায় নাম থাকার প্রমাণপত্র, গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের প্রদান করা ম্যারেজ সার্টিফিকেট ইত্যাদি মোট ১৫টি সরকারি নথি মেনে নিতে রাজি হয়নি গুয়াহাটি হাইকোর্ট ও প্রশাসন। ওই নথিগুলির একটিও জাবেদা বেগমের নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র নয় বলে প্রশাসন জানিয়েছে। জানিয়েছে হাইকোর্টও। এখন একমাত্র সুপ্রিম কোর্ট ভরসা। কেন প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলেন তিনি? কারণ যে বাবা-মায়ের ভোটার তালিকার প্রমাণপত্র তিনি দাখিল করেছেন, তাঁরা যে তাঁরই বাবা মা এটা প্রমাণ করতে পারছেন না তিনি। যে ভাইয়ের সব কাগজপত্র নাগরিকত্ব প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে, তিনি যে সত্যিই জাবেদার ভাই এটাও প্রমাণ করা যাচ্ছে না। এই মহাসঙ্কটে ৫০ বছরের নিরক্ষর জাবেদা বেগম গুয়াহাটি থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহরে এসে দিশাহারা হয়ে ঘুরছেন। এই ঘটনাটি অস্বাভাবিক নয়। বলা যেতেই পারে অসমে এনআরসি চালু হয়েছে। সেখানে তো প্রমাণ করতেই হবে নিজেকে। মহামান্য আদালত প্রমাণ না পেলে কেন নাগরিকত্ব প্রদান করার কথা বলবে? একদম ঠিক। কিন্তু প্রশ্নটা আমাদেরও চরম বিপদে ফেলছে। কারণ আমাদের কাছে কী প্রমাণ আছে যে আমরা ভারতের নাগরিক? স্বয়ং সরকারই বলছে, এনআরসি করা দরকার যাতে নাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। তাহলে এখন আমরা কী করব? সরকার বলেছে, এখন আমাদের কাছে থাকা কোনও কার্ডই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। অর্থাৎ সেটা মেনে নিলে আজ আমাদের মতো বৈধ নাগরিকের যে স্ট্যাটাস, একজন অনুপ্রবেশকারীরও একই স্ট্যাটাস রাষ্ট্রের চোখে।
বহুবছর আগে বলা হল, ভোটার কার্ড ছাড়া ভোটদান হবে না। ওটাই আমাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ জানলাম সেদিন। আমি যদি ভারতের নাগরিক হই, তাহলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হবে। তাই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের জন্য ভোটার কার্ড দিলেই হয়ে যেত। দিন কেটে গেল। আবার একদিন প্রশ্ন শুরু হল, আপনি ভারতের নাগরিক? আয় করেন ভারতে? তাহলে প্যান কার্ড করান। আমরা নিশ্চিন্ত হলাম। হঠাৎ দিকে দিকে বার্তা রটে গেল, আধার নামক একটি কার্ড করতে হবে। ওটাই ভারতের নাগরিকত্বের সবথেকে মোক্ষম প্রমাণপত্র। কারণ ব্যাপারটা ডিজিটাল। বায়োমেট্রিক শব্দটা শুনে আমাদের সমীহ হল। আমরা আমেরিকা হয়ে যাচ্ছি এরকম একটা আলোচনাও চলল। আধার নিয়ে মারাত্মক বাড়াবাড়িও শুরু হল পূর্বতন ইউপিএ সরকারের সময়, যা এখনও মোদি সরকারের আমলে হচ্ছে। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডে বহু গরিব মানুষ রেশন না পেয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটান এখনও। কারণ তাঁদের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগ হয়নি। অন্যদিকেও রেহাই নেই। পি এফের সঙ্গে আধার সংযোগ করান, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযোগ করান, মোবাইলের সঙ্গে আধার সংযোগ করান। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম আধার একটা সাংঘাতিক মূল্যবান নথি।
ঠিক এরকম একটি সময়ে এনআরসি হুংকার। বলা হল আরও একটি মজার কথা। ভোটার, প্যান, আধার, পাসপোর্ট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কিছুই নাগরিকত্ব প্রমাণ নয়। এনআরসি যদি করা যায়, তা হলে ওটাই একমাত্র আসল প্রমাণপত্র। এবার একটা ধাঁধা বলা যাক। ধরা যাক, এনআরসি হচ্ছে। আমাকে বলা হল, আপনার কাছে কী কী প্রমাণপত্র আছে? সব দাখিল করুন কিংবা আপলোড করুন। আমি দেখালাম পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড। সব ঠিক থাকলে রাষ্ট্র আমাকে বলল, হ্যাঁ, ঠিক আছে। আপনার নাম এনআরসিতে থাকছে। আপনি নাগরিক। কিন্তু আশ্চর্য কথাটি হল, যেসব কার্ডকে এখন বলা হচ্ছে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্রই নয়, সেইগুলি দেখাতে হবে প্রমাণ হিসেবে। অর্থাৎ তখন সেগুলি নাগরিকেত্বর প্রমাণ! দেখা঩লেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে? এটা কেমন ধাঁধা? তাহলে তো সেগুলিই নাগরিকত্বের প্রমাণ? একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে সরকারকে? এই যে মাঝেমধ্যেই নতুন নতুন কার্ড দেওয়ার প্রকল্প, এই কার্ডের সঙ্গে সেই কার্ডের সংযোগ করার প্রকল্প, নতুন নতুন বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা, এসবের জন্য যে সফটওয়্যার বা ডেটা প্রসেসিং কোম্পানিগুলিকে কনট্রাক্ট দেওয়া হয়, যেসব মেটিরিয়ালস আমদানি করা হয় বিদেশ থেকে, এসব তো একটা বিপুল বাণিজ্য! সব দলের আমলেই হয়েছে। হয়ে চলেছে। কোটি কোটি টাকার লেনদেন। এসব কারা পায়? এই চুক্তি, এই টেণ্ডার, এই কোম্পানি বাছাই করা, এই উপকরণ আমদানি—এই তথ্যগুলি আমজনতার জানা দরকার।
সিংহভাগ মানুষ কেন এনআরসি নিয়ে বিরূপ? কারণ এটাই। সরকারকে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না যে, এরা ঠিক কী চাইছে? অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদিদের কাছে বৃহত্তর উদ্বেগের বার্তা হল, মানুষ আর তাঁদের বলা কথায় বিশ্বাস করছে না। কেন? এই যে একের পর এক রাজ্যে বিজেপি পরাজিত হচ্ছে, এর অর্থ মোটেই এটা নয় যে, বিরোধীরা খুব ভালো, তাই মানুষ তাদের সমর্থন করছে। ভালো করে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া হয়েছে। জয়ীকে জেতানো হবে বলে ভোট দেওয়া হয়েছে এমন নয়। বিজেপিকে হারাতে চেয়েছে মানুষ। কে জিতছে সেটা ভাবা হয়নি। কেন এই প্রবণতা? এটাই প্রকৃত সঙ্কট নরেন্দ্র মোদিদের কাছে। দিল্লিতে গোটা সরকার, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা এত কিছু বললেন কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে, প্রচুর প্রতিশ্রুতি দিলেন। কিন্তু মানুষ একটা কথাও বিশ্বাস করল না কেন?
সরকারি ব্যাঙ্ককে মানুষ বিশ্বাস করছে না। সরকারি সিস্টেমকে বিশ্বাস করছে না। সরকারি সিদ্ধান্তকে সন্দেহের চোখে দেখছে। শাসক দলের নেতা ও মন্ত্রীদের উপর ভরসা করতে পারছে না। সভায় যাচ্ছে, জয়ধ্বনি দিচ্ছে, কিন্তু ফিরে এসে ভোট দিচ্ছে বিরোধীদের, এই আস্থাহীনতা একটা সংক্রমণের মতো। আগামীদিনে অন্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়বে। যে কোনও ইস্যুতে সমালোচক কিংবা বিরোধীদের দেশদ্রোহী আখ্যা না দিয়ে ওই সূক্ষ্ম মনস্তাত্ত্বিক দিকটা নিয়ে ভাবুক বিজেপি। কারণ বিরোধীরা মুখে বলছে বটে যে বিজেপি এরকম বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করুক, আসলে কিন্তু বিরোধীরা এখন বেশি করে চাইবে বিজেপি যেমন আচরণ করছে এরকমই করতে থাকুক। তাহলেই রাজ্যে রাজ্যে বিরোধীদের লাভ বেশি হচ্ছে। তাই বিজেপির অতি আগ্রাসী নেতামন্ত্রীরা বদলে গিয়ে প্রচারের স্ট্র্যাটেজি বদলে দিলেই বরং বিরোধীদের ক্ষতি। এটা সবার আগে বুঝতে হবে বিজেপি ও মোদি সরকারকেই। সন্দেহ হয়,এই ‘কাশ্মীর-পাকিস্তান-নেহরু-সংখ্যালঘু তোষণ-গান্ধী ফ্যামিলি-রামমন্দির-হিন্দুসঙ্কট’ এই চেনা ফরম্যাটের বাইরে অন্য ফর্মুলা বিজেপি নেতামন্ত্রীরা জানেন তো? নাকি আর কোনও বিকল্প প্ল্যান জানা নেই বলেই একই কপি-পেস্ট টাইপের প্রচারের ফরম্যাট চলছে সর্বত্র? দেশের ৬৫ শতাংশ ভোটার ৩৫ বছরের নীচে। অবিলম্বে বিজেপির উচিত রণকৌশলের সফটওয়্যার আপডেট করা!
21st  February, 2020
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোট কার্যত সেমিফাইনাল
হিমাংশু সিংহ

মাত্র এক বছর পরেই বিধানসভার ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে পরপর তিনবার বাংলায় ক্ষমতা দখলের সুবর্ণ সুযোগ। এই অবস্থায় শাসক তৃণমূলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের উচিত সংযত থাকা। সেইসঙ্গে গণ্ডগোল, রক্তপাত এড়ানোর সবরকম চেষ্টা করা। তাহলেই এরাজ্যের মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দ্বিধায় আরও একবার দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন।
বিশদ

প্রার্থী নির্বাচনে সাহসী হলে পুরভোটে লাভ পাবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন মানেই পরীক্ষা। রাজনৈতিক দলের পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষা পুরসভা বা পঞ্চায়েতের হলে বিষয়বস্তু হয় উন্নয়ন, পরিষেবা ও সমস্যা। কিন্তু, এই ধরনের পরীক্ষায় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর মুখ। আর এবার পুরভোটে তৃণমূলের কাছে প্রার্থী নির্বাচনই অগ্নিপরীক্ষা। তার জন্য তৃণমূল সহ রাজ্যবাসী তাকিয়ে আছে টিম পিকের দিকে।  
বিশদ

22nd  February, 2020
মুখ চাই মুখ
মেরুনীল দাশগুপ্ত

মুখ হয়তো অনেক আছে। কিন্তু, ঠিক সেই মুখটির দেখা এখনও মেলেনি। কোন মুখটি? যে মুখটি সৌজন্যে পরাক্রমে রাজনৈতিক কূটকৌশলে এবং অবশ্যই জনপ্রীতিতে পাল্লা দিতে পারে বাংলার একচ্ছত্র নেত্রীকে, ২০২১ বিধানসভার রণাঙ্গনে ছুঁড়ে দিতে পারে চ্যালেঞ্জ, জাগাতে পারে আর এক মহাবিজয়ের সম্ভাবনা। সেই মুখ কোথায় পদ্মশিবিরে? 
বিশদ

20th  February, 2020
বিপুল অভ্যর্থনা পেয়ে বিশ্বজয়ী বিবেকানন্দ
কলকাতায় বলেন, এ ঠাকুরেরই ‌জয়জয়কার
হারাধন চৌধুরী

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘‘নরেন শিক্ষে দেবে।’’ ঠাকুরের কথা ফলিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর মানসপুত্রটি বেছে নিয়েছিলেন পাশ্চাত্যের মাটি। কারণ, যে-কোনও জিনিস পাশ্চাত্যের মানুষ গ্রহণ করার পরেই যে ভারতের মানুষ তা গ্রহণে অভ্যস্ত! স্বামী বিবেকানন্দের সামনে সেই সুযোগ এনে দিয়েছিল শিকাগো বিশ্ব ধর্ম মহাসভা।
বিশদ

19th  February, 2020
ট্রাম্পের ভারত সফর এবং প্রাপ্তিযোগের অঙ্ক 

শান্তনু দত্তগুপ্ত: সফর মাত্র দু’ঘণ্টার। আর তাতে আয়োজন পাহাড়প্রমাণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে কথা! তাই এতটুকু ফাঁক রাখতে নারাজ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (বা বেসরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি)।  বিশদ

18th  February, 2020
টুকরে টুকরে গ্যাং-ই জিতল
পি চিদম্বরম

 গত ১১ ফেব্রুয়ারি লোকসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরগুলি আনন্দের কারণ হতে পারত যদি না বিষয়টি বিজেপি নেতাদের (এই পঙ্‌ক্তিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও) দুঃখের ধারাবিবরণীতে পরিণত হতো: বিশদ

17th  February, 2020
স্বর্গলোকে মহাত্মা ও
গুরুদেবের সাক্ষাৎকার
সন্দীপন বিশ্বাস

 অনেকদিন পর আবার দেখা হল মহাত্মা এবং গুরুদেবের। মর্ত্যে দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে ১৯১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। কবিগুরু সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন ১৯২০ সালে। বিশদ

17th  February, 2020
এবার হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় অগ্নিকন্যা
হিমাংশু সিংহ

তবে কি দিল্লিতে হেরে বোধোদয় হল অমিত শাহদের? নাকি ভোট জেতার নামে ঘৃণা ছড়ানো ঠিক হয়নি বলাটা আরও বড় কোনও নাটকের মহড়ারই অংশ? বোঝা কঠিন, তুখোড় রাজনীতিকরা কোন উদ্দেশ্যে কখন কোন খেলাটা খেলেন! আর সেই তালে অসহায় জনগণকে তুর্কি নাচন নাচানো চলে অবলীলায়। 
বিশদ

16th  February, 2020
শাহিনবাগে যেসব কথা জানানো হয়নি

 ‘যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ’, যেখানে মহিলারা পূজিতা হন সেখানেই ভগবান অবস্থান করেন। ভারতবর্ষের মানুষ হাজার বছর ধরে এই শ্লোক আবৃত্তি করে এসেছে। গত একমাসের বেশি সময় ধরে দিল্লির শাহিনবাগে শিশু থেকে বৃদ্ধা বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের কষ্ট দেওয়া হয়েছে। বিশদ

15th  February, 2020
মাফলার ম্যানের দিল্লি জয়
মৃণালকান্তি দাস 

ঠেকে শিখেছেন তিনি। ‌‌‌‌পদস্থ আমলা থেকে রাজনীতিক এবং প্রশাসক হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বুঝেছেন, এ দেশের আমআদমি বাড়ির কাছে ভালো স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল চান। বাড়ির মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েই তাঁদের উদ্বেগ। 
বিশদ

14th  February, 2020
রাজনীতির কাছে মানুষের চাহিদাটাই
বদলে দিল দিল্লির এই ভোট-সংস্কৃতি
হারাধন চৌধুরী

 প্রতিমা গড়ে পুজো করা আর ভগবানকে লাভ করা এক নয়। প্রতিমা সাজিয়ে পুজো যে-কেউ করতে পারে। কিন্তু, ভগবান লাভ? মানুষ চিরদিন মনে করে এসেছে, সে শুধু সাচ্চা সাধকের পক্ষেই সম্ভব। কিন্তু, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এসে একেবারে অন্যকথা বললেন।
বিশদ

13th  February, 2020
সেনাবাহিনীও যখন রাজনীতির অস্ত্র
শান্তনু দত্তগুপ্ত

লঞ্চপ্যাড মাত্র ৫০ মিটার দূরে... অন্ধকারের মধ্যেই তাঁর চোখ দু’টো খুঁজে চলেছে... নজরে এসেও গেল দুই জঙ্গি... ছায়ার মতো সেঁটে আছে লঞ্চপ্যাডের অন্ধকারে। নাইট ভিশন গ্লাস চোখে লাগিয়ে নিশ্চিত হলেন মেজর মাইক ট্যাঙ্গো। আগেভাগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়ার কারণ আরও ছিল তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2020
একনজরে
ওয়েলিংটন, ২২ ফেব্রুয়ারি: অন্তিম সেশনে ইশান্ত-সামি-অশ্বিনরা যেভাবে লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন, তা ভারতের পক্ষে খুবই ইতিবাচক। বাইশ গজে দারুণ জমে যাওয়া কেন উইলিয়ামসন ও রস ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: শনিবার নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বসে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল নবদ্বীপ এপিসি ব্লাইন্ড স্কুলের ছাত্রী স্মৃতি নন্দী। ব্লাইন্ড স্কুলের হোস্টেল সুপার সুরেন্দ্রকুমার চক্রবর্তী বলেন, বুধবার রাতে স্মৃতি অসুস্থ হয়ে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মীদের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ)-এর টাকা নিয়ে অনিয়ম আটকাতে পুরো ব্যবস্থাটিকে অনলাইনে এইচআরএমএস পোর্টালে নিয়ে আসা হচ্ছে। অতীতে জিপিএফ নিয়ে সরকারি অফিসে একাধিক অনিয়মের ঘটনা ধরা পড়েছে। ...

 ওয়াশিংটন, ২২ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): নিজের ভূখণ্ডে থাকা জঙ্গি ও চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলেই একমাত্র ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারবে পাকিস্তান। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের আগে সন্ত্রাস ইস্যুতে এভাবেই ইসলামাবাদের উপর চাপ বাড়াল আমেরিকা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের মানসিক স্থিরতা রাখা দরকার। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। তবে নতুন বন্ধু লাভ হবে। সাবধানে পদক্ষেপ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস
১৮৪৮: কার্ল মার্ক্স প্রকাশ করেন কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো
১৮৭৮ - মিরা আলফাসা ভারতের পণ্ডিচেরি অরবিন্দ আশ্রমের শ্রীমার জন্ম
১৮৯৪: ডাঃ শান্তিস্বরূপ ভাটনগরের জন্ম
১৯৩৭: অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫২: পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) ভাষা আন্দোলনে প্রাণ দিলেন চারজন
১৯৬১: নোবেলজয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭০ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার মাইকেল স্লেটারের জন্ম
১৯৯১: অভিনেত্রী নূতনের মৃত্যু
১৯৯৩ - বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও কবি অখিল নিয়োগীর (যিনি স্বপনবুড়ো ছদ্মনামে পরিচিত) মৃত্যু
২০১৩: হায়দরাবাদে জোড়া বোমা বিস্ফোরণে ১৭জনের মৃত্যু

১৭৩২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটনের জন্ম
১৯০৬: অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের জন্ম
১৯৪৪: মহাত্মা গান্ধীর স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধীর মৃত্যু
১৯৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু
২০১৫: বাংলাদেশে নৌকাডুবি, মৃত ৭০

21st  February, 2020


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৯৪ টাকা ৭২.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯০.৯৮ টাকা ৯৪.৩০ টাকা
ইউরো ৭৬.০৫ টাকা ৭৯.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  February, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৩,১৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪০,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪১,৫৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার, (মাঘ কৃষ্ণপক্ষ) অমাবস্যা ৩৭/১৭ রাত্রি ৯/২। ধনিষ্ঠা ১৮/৫৮ দিবা ১/৪৩। সূ উ ৬/৭/২৩, অ ৫/৩৩/৫, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৩ গতে ৯/৫৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৫ গতে ১/১৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৫ গতে ২/৫৮ মধ্যে। 
১০ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার, অমাবস্যা ৩৪/৪২/৪০ রাত্রি ৮/৩/৩৭। ধনিষ্ঠা ১৭/৩৭/৪৩ দিবা ১/১৩/৩৮। সূ উ ৬/১০/৩৩, অ ৫/৩১/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪০ গতে ৯/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ১১/৫১/১৬ গতে ১/১৬/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৬/৫ গতে ৩/০/৫৪ মধ্যে। 
২৮ জমাদিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: নতুন বন্ধু লাভ হবে। বৃষ: বিবাহ যোগ আছে। মিথুন: শিক্ষাকর্ম বিষয়ে চিন্তা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯১৩ জাদুকর সিনিয়ার পিসি সরকারের জন্মদিন১৮৪১ সাহিত্যিক কালীপ্রসন্ন সিংহর জন্মদিন১৯৬৯ ...বিশদ

07:03:20 PM

হলদিয়ায় ২ মহিলার আধপোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা
হলদিয়ায় নদীর চরে আধপোড়া দুই মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যে ...বিশদ

08:38:14 PM

হলদিয়ায় দুই মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত ২ 
হলদিয়ায় নদীর চরে আধপোড়া দুই মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শনিবার ...বিশদ

04:13:53 PM

দঃ দিনাজপুরে বিরোধী শিবির থেকে তৃণমূলে নাম লেখাল ৫০০০ নেতা-কর্মী 
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিজেপিতে বড়সড় ধস। বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের জেলা ...বিশদ

03:59:00 PM

পুরসভা ভোট নিয়ে দিনহাটায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী 

03:48:00 PM