বিদ্যার্থীদের মানসিক স্থিরতা রাখা দরকার। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। তবে নতুন বন্ধু লাভ হবে। সাবধানে পদক্ষেপ ... বিশদ
ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, একটি অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করার কথা জানিয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুলি চালনার ঘটনা ঘটে থাকলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিএসপির কুমারমঙ্গলম পার্কের লিজ নিয়েছিলেন বিজেপি নেতা দেবাশিস রায়। লিজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। সেই পার্কেই অন্য একটি সংস্থার ফুড কোর্ট রয়েছে। সেখানে রবিবার রাষ্ট্রীয় হিন্দি পরিষদের একটি অনুষ্ঠান রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে শশী পাঁজা, শান্তিরাম মাহাত, জিতেন্দ্র তেওয়ারি, দিলীপ অগস্থির মতো শাসক দলের প্রথমসারির জনপ্রতিনিধিদের আসার কথা। কিন্তু, বিজেপি নেতা দেবাশিস রায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
অভিযোগ, এই কারণ দেখিয়ে তিনি অনুষ্ঠান বানচাল করার চেষ্টা করেন। এমনকী থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। যে ফুডকোর্টে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, তার মালিক ভাস্কর গুহ বলেন, এদিন সকালে দেবাশিস রায় তাঁর অনুগামীদের নিয়ে ডেকরেটর কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি আমাকেও মারধর করেন। তাঁর অফিস থেকে গুলিও চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপরই বিষয়টি নিয়ে মাঠে নামে তৃণমূল। রাজীব ঘোষের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজন দেবাশিসবাবুকে মারধর করে বলে অভিযোগ। কিছু দুষ্কৃতী দেবাশিসবাবুর রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর করে। এমনকী, তাঁদের এক কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ পর প্রচুর পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
রাজীববাবু বলেন, উনি ওটা বিজেপির সম্পত্তি মনে করেছেন। আমাদের জনপ্রতিনিধিদের অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ায় প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। ওই পার্কে অনেক অসামাজিক কাজ হয়। তারই বহিঃপ্রকাশের জের হিসেবে রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর হতে পারে। বিষয়টি আমার জানা নেই। যদিও দেবাশিসবাবু বলেন, বিজেপি করার অপরাধেই তৃণমূলের হাতে মার খেলাম। গুলি চালানো হয়েছে। আমি লিখিত অভিযোগ করব।
বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্ণণ ঘোড়ুই বলেন, দেবাশিসবাবু আমাদের জেলাস্তরের নেতা। পুলিস তৃণমূলীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।