পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
দাঁত খারাপ হওয়ার কারণ
১. দাঁত খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ হল ক্যাভিটি। যাকে ‘দাঁতের পোকা’ বলা হয়। আসলে দাঁতের পোকা বলে কিছু হয় না। এই ক্যাভিটিকে চলতি কথায় অনেকে ‘পোকা’ বলেন। সময়ে চিকিৎসা না হলে ব্যথা শুরু হয়। দাঁত ঠিকমতো পরিষ্কার না করা হলে ক্যাভিটির ছিদ্র বেড়ে যায়। সেখানে আটকে যায় খাবারের টুকরো। সেই খাবার পচে গিয়ে দাঁতের ক্ষতি হয়।
২. দাঁতের ঠিকমতো যত্ন না নেওয়া হলে মাড়ি দুর্বল হয়ে যায়। ফলে গোড়া আলগা হয়ে দাঁতের ক্ষতি হয়।
৩. দুর্ঘটনা জনিত কারণেও দাঁত খারাপ হতে পারে।
তুলে ফেলাই কি সমাধান?
দাঁত তুলে ফেলার নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সাধারণত মানুষ সামনের দিকের দাঁত তুলতে চান না। দেখতে খারাপ লাগার একটা কারণ কাজ করে এক্ষেত্রে। মূলত ভিতরের দিকের দাঁত তোলা হয়। কোনওভাবে উপরের মাড়ির দাঁত তুললেন, সেক্ষেত্রে নীচের মাড়ির দাঁতের গুরুত্ব কমে যায়। কারণ এক মাড়ির দাঁত তুললে বিপরীতের ব্যালান্স নষ্ট হয়। আশপাশে থাকা দাঁতের উপর চাপ পড়ে। আবার ওই অংশে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, খাবার আটকে যাওয়া সহ একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। রক্তপাতও হয়।
তাহলে উপায়?
দাঁতের মধ্যে ক্যাভিটির জন্য যে ছিদ্র তৈরি হয় সেটি ছোট থাকলেই ফিলিংয়ের মাধ্যমে বন্ধ করা যায়। ছিদ্রের মধ্যে খাবার ঢোকা আটকায় ফিলিং। ক্যাভিটিও আর বাড়ে না। দাঁত বাঁচাতে রুট ক্যানেল, ক্রাউন, ব্রিজও করা সম্ভব। নকল দাঁতও লাগানো যায়। তবে প্রতিক্ষেত্রে ডেন্টিস্টের পরামর্শ মাস্ট।
দাঁতের যত্ন
দাঁত ভালো রাখতে দিনে অন্তত তিনবার ব্রাশ করা ভীষণ দরকার। ব্যস্ততার জন্য তা অনেকেরই সম্ভব হয় না। তবে দিনে দু’বার ব্রাশ করতেই হবে। সকালে ব্রাশের চেয়েও রাতে খাওয়ার পর ব্রাশ করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সারারাত খাবার মুখের মধ্যে জমে নানা জীবাণুর জন্ম দেয়। মনে রাখবেন দিনে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ব্রাশ করতে পারলে খুব উপকার হয়। কারণ দাঁতে প্লাক জমে পরিণত হতে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। তাই এই ব্যবধানে ব্রাশ করলে দাঁতের ক্ষতি অনেকটা আটকানো যায়। দাঁত উপর-নিচ করে মাজা উচিত। এছাড়াও বছরে অন্তত একবার ওরাল ক্লিনিং করা প্রয়োজন।
খাওয়া-দাওয়া
দাঁতের যত্ন নিতে হলে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ রাখা উচিত। যেমন চকোলেট, সন্দেশ এই ধরনের খাবারগুলি বাদ রাখাই শ্রেয়।