Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

বনের রাজা

সোমজা দাস: মধু ওঁরাওয়ের একটা হাতি আছে। যেমন তেমন হাতি নয়। কালাপাহাড়ের মতো বিশাল তার চেহারা, লম্বা দুটো দাঁত। কানদুটো ধামার মতো। মধু তার নাম দিয়েছে মুংলি।         
মুংলি যখন ছোট্টটি ছিল, মধুও তখন হামা টানে। দু’টি সমবয়সি প্রাণীর মধ্যে সখ্য গড়ে উঠতে সময় লাগেনি। জঙ্গলে যারা থাকে, পশুপাখিদের সঙ্গে পাশাপাশি ঘেঁষাঘেঁষি করে পরশির মতো বাস করে। কিন্তু যারা বাইরে থেকে লুকিয়ে ঢোকে, বনের প্রতি তাঁদের কোনও মায়া নেই। নির্দয়ের মতো গাছ কাটে, নির্বিচারে পশুপাখি মারে। এদের অত্যাচারে বন ছোট হয়ে যাচ্ছে আজকাল। নদীর পাড় ভাঙছে। ভেসে যাচ্ছে কত গ্রাম। মধুর ভয় হয়, কোনওদিন হয়তো তাদের এই ছোট্ট গ্রামটাও আর থাকবে না।          
জঙ্গলের ধার ঘেঁষে মধুদের গ্রাম। এখানকার মানুষেরা জঙ্গলের উপরে নির্ভর করেই বেঁচে থাকে। কেউ মাছ ধরে, কেউ মৌচাক ভাঙে। কাঠ কুড়োয়। ঝোপঝাড় হাতড়ে খুঁজে আনে শাকপাতা, ফলপাকুড়, জ্বালানি।    
মধুর মা নেই। বাবা শহরে কাজ করে। মধু থাকে তার বুড়ি ঠাকুরমার সঙ্গে। ঠাকুরমাও ইদানীং খুনখুনে বুড়ি হয়ে পড়েছে। তার উপরে চোখেও দেখে না ভালো। সংসারের সব কাজ মধুকেই করতে হয়। সকালে কাজ সেরে ইশকুলে যায় সে। বাড়ি ফিরে রাঁধেবাড়ে। নিজে খায়, ঠাকুরমাকে খাওয়ায়।        
তারপরেও পড়ে থাকে সারাটা দুপুর। সেই সময়টা মুংলির সঙ্গে খেলে বেড়ায় সে। মুংলি এখন তো আর ছোটটি নেই। শুঁড়ে করে জড়িয়ে মধুকে নিজের পিঠে বসিয়ে নেয়। মধুও হাতে একখানা গাছের ডাল নিয়ে বীরদর্পে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে। তখন নিজেকে বনের রাজা বলে মনে হয় তার।     
।। দুই ।।
সেদিনটাও ছিল অন্যান্য দিনের মতো একটা সাধারণ দিন। মুংলির পিঠে চড়ে বেড়াতে বেড়াতে গভীর জঙ্গলে চলে এসেছিল মধু। এমন সময় চোখে পড়ল, নদীর ধারে বেলগাছে ফলে আছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাকা বেল।   
দেখেই ভারী লোভ হল মধুর। মুংলিকে বুঝিয়ে বলতেই সেই গিয়ে দাঁড়াল বেলগাছের ঠিক নীচে। ওর পিঠে দাঁড়িয়ে বেল পাড়তে শুরু করল মধু। পাকা বেল, যেমন মিষ্টি গন্ধ, তেমনি তার স্বাদ। দু’জনে মিলে যত পারল বেল খেল। তাতে পেট ভরল বটে, কিন্তু মন ভরে কই! ইশ, আরও কিছু বেল যদি নিয়ে যাওয়া যেত সঙ্গে, কী ভালোই না হতো! বেলের শরবত ভারী ভালোবাসে ঠাকুরমা। 
ভাবতে ভাবতেই বুদ্ধি খেলে গেল মধুর মাথায়। চট করে পরনের জামাটা খুলে ফেলল। পুটুলি বানিয়ে তাতে ভরে ফেলল অ্যাত্ত অ্যাত্ত বেল। তারপর সেটা আড়াআড়ি করে বেঁধে নিল পিঠে।      
বেলা পড়ে এসেছে। বনের বিশাল বিশাল গাছের ঝাঁকড়া মাথা আকাশ ঢেকে রাখে। তাই এখানে সন্ধে নামে তাড়াতাড়ি। সূর্য পশ্চিমে ঢলতে শুরু করলে আশপাশের গ্রামের মানুষজন বাড়ি ফিরে যায়। অন্ধকার অরণ্য নিরাপদ নয়।        
অন্যদিন অনেক আগেই ফিরে যায় মধুও। কিন্তু আজ বেল পাড়ার আনন্দে সময়ের খেয়াল ছিল না। এখন চারদিকে তাকিয়ে বুঝল, বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। তার উপর এসেও পড়েছে অনেকটা গভীর বনে। সূর্যাস্তের আগে ফিরতে হবে। মুংলিকে তাড়া দিল সে। দু’জনে ফিরতি পথ ধরল।   
সামান্যই এগিয়েছে, হঠাৎ থমকে 
দাঁড়াল মুংলি।  
‘কী হল রে?’ জিজ্ঞাসা করল মধু। খেয়াল করল, মুংলির কান খাড়া। অর্থাৎ সে কোনও শব্দ শুনতে পেয়েছে। কান পাতল মধুও। একটানা একটা চাপা ঘর্ঘর শব্দ কানে এল। এই শব্দ মধুর অচেনা নয়। শুধু সে কেন, জঙ্গলে যারা থাকে, সকলেই চেনে এই শব্দকে। গাছ কাটার কলের করাত।          
মধুর চোয়াল শক্ত হল, শিরদাঁড়া হল টানটান। জঙ্গলে কাঠচোররা ঢুকেছে। ফিসফিস করে বলল সে, ‘চল মুংলি।’ 
।। তিন ।।
মুংলি বুঝি তার নির্দেশের অপেক্ষাতেই ছিল। নিঃশব্দে পা ফেলে এগিয়ে চলল। গভীর বন দিনের বেলাতেও অন্ধকার। কিছু দূর এগতেই চোখে পড়ল দৃশ্যটা। বুড়ো বটের তলায় মারাংবুরুর থান রয়েছে। খুব জাগ্রত দেবতা। পূর্ণিমা তিথিতে আশপাশের গ্রামের লোকেরা এখানে পুজো দেয়। অন্য সময়ে তেমন কেউ আসে না এদিকটায়। সেই সুযোগেই বেশ খানিকটা জায়গা লেপে-পুছে সাফ করা হয়েছে। তাঁবুও পড়েছে একটা। গাছ কাটার বড় যন্ত্র এসেছে। এক পাশে ডাঁই হয়ে পড়ে আছে শাল, সেগুন, শিশু গাছের বিশাল বিশাল কাণ্ড। একটা ট্রাক দাঁড় করানো 
কিছুটা দূরে।         
সব দেখে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল মধু। গত ক’মাস ধরেই রাতারাতি জায়গায় জায়গায় জঙ্গল সাফ হয়ে যাচ্ছিল। সরকার থেকে গ্রামে গ্রামে ঘোষণা করে গিয়েছে, কোনও খবর পেলে ফরেস্ট অফিসে জানাতে। কিন্তু এই মুহূর্তে যেটা চিন্তার, সেটা হল কাঠচোররা দেবতার থান বুড়ো বটগাছটাকেই কাটছে।   
‘মুংলি!’ মৃদুস্বরে বলল মধু।   
মুংলি নিঃশব্দে মাথা নাড়ল। 
‘এদের আটকাতে হবে।’    
মনে মনে হিসেব করল মধু। ফরেস্ট অফিসে গিয়ে খবর দিতে গেলে তার আগেই দেবতার গাছ কাটা পড়বে। যা করার তাদেরই করতে হবে। সতর্কভাবে চারদিকে তকিয়ে দেখল সে। দুটো লোক গাছ কাটছে। ভেতরে আরও 
লোক থাকলেও থাকতে পারে। সেটুকু ঝুঁকি নিতেই হবে।         
ঝোলা থেকে একটা বেল বের করল মধু। মুংলির দিকে বাড়িয়ে দিল সেটা। মুংলির বয়স কম হলে কী হবে ভারী বুদ্ধিমান সে। কী করতে হবে বুঝে নিল। শুঁড় বাড়িয়ে বেলটা নিয়ে ছুড়ে দিল লোক দুটোর মধ্যে একজনের মাথা লক্ষ্য করে। আচমকা আঘাত পেয়ে লোকটা মাথা ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। কান্নার শব্দে তাঁবুর ভেতর থেকে আরও দু’জন বেরিয়ে এল। সতর্কভাবে দেখতে লাগল এদিক-ওদিকে। সঙ্গে সঙ্গে আরও একটা বেল। তারপর আরও একটা। আরও একটা। লোকগুলো লাফাচ্ছে, ঝাঁপাচ্ছে, ভয়ে কান্নাকাটি জুড়েছে।        
মধু সাবধান হল। বেল ফুরিয়ে আসছে। খুব দ্রুত ভেবে নিল পরবর্তী কর্তব্য। মুংলির কানের কাছে মুখ নিয়ে কিছু বলল। হাত বুলিয়ে দিল তার মাথায়। মুংলি কয়েক মুহূর্ত চুপ করে রইল। তারপর শুঁড়টাকে শূন্যে তুলে অদ্ভুত সুরে ডেকে উঠল। একবার, দু’বার, তিনবার। লোকগুলো এতক্ষণে দেখতে পেয়েছে তাদের। ভয়ের জায়গায় মুখের রেখায় ফুটে উঠেছে হিংস্রভাব। একজন ঢুকে গেল তাঁবুর ভেতরে। পরক্ষণে বেরিয়ে এল। হাতে ধরা কালো কুচকুচে অস্ত্রটাকে চেনে মধু। সিনেমায় দেখেছে। শিরদাঁড়া দিয়ে হিমেল স্রোত নেমে গেল তার।    
মুংলি আবারও ডেকে উঠল, আগেরবারের চেয়েও উচ্চস্বরে। তারপর হঠাৎই মধুর নির্দেশের পরোয়া না করে বীরবিক্রমে ছুটে গেল লোকগুলোর দিকে।   
‘মুংলি, মুংলি... সাবধান,’ চেঁচিয়ে উঠল মধু। কিন্তু মুংলির কানে কোনও কথাই যেন ঢুকছে না। এগিয়ে গিয়ে শুঁড় দিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল সামনের লোকটাকে। অন্য লোকটা পিস্তল তাক করে আছে, কিন্তু হাত কাঁপছে তার, স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে মধু। মুংলি এবার ঘুরল ওর দিকে।   
দুম!  
প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে উঠল বনভূমি। পাখিরা ওড়াউড়ি শুরু করেছে কলকল শব্দে। মধু চিৎকার করে উঠল, ‘মুংলি!’ 
গুলি মুংলির শরীর ছুঁয়ে গেছে। ঘাড়ের কাছ থেকে গলগলিয়ে রক্ত বেরচ্ছে। প্রচণ্ড রাগে লোকটাকে শুঁড় দিয়ে তুলে মাটিতে আছড়ে ফেলল মুংলি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড হুঙ্কারের শব্দে চমকে উঠল মধু। খুব কাছেই অনেক হাতি একসঙ্গে ডাকছে। মধুর মুখে হাসি ফুটল। মুংলির ডাকে কাজ হয়েছে। হাতির দল ঝোপজঙ্গল ভেঙে ছুটে আসছে এদিকেই। দেখতে দেখতে প্রায় ডজনখানেকেরও বেশি হাতি ঘিরে ফেলল জায়গাটা। লোকগুলো ভয়ে মাটির উপর বসে পড়েছে। দু’হাত জোড় করে কাঁপছে থরথর করে।   
‘চল মুংলি, আমাদের যেতে হবে।’   
।। চার ।।
চল্লিশ মিনিটের মধ্যে ফরেস্ট অফিসারদের গাড়ি এসে পৌঁছল মারাংবুরুর থানের কাছে। মধুর মুখে খবর পেয়ে ভিড় জমিয়েছে গ্রামের মানুষও। তারা দেখল এক অদ্ভুত দৃশ্য। চারজন কাঠচোর মাটির উপর থেবড়ে শুয়ে-বসে গোঙাচ্ছে। তাদের ঘিরে রেখেছে হাতির দল। কাঠচোরদের হাতকড়া পরাতে বেগ পেতে হল না। মুংলিকেও ওরা নিয়ে চলল পশু হাসপাতালে। ওর চিকিৎসা দরকার।         
মধু গিয়ে জড়িয়ে ধরল মুংলির গলা। দু’চোখে জল তার। মুংলিও শুঁড় বাড়িয়ে আদর করল মধুকে। গ্রামবাসীরাও সকলে খুব খুশি। তারা মধুকে কাঁধে তুলে নিয়েছে। মধু যেন আজ সত্যিই বনের রাজা হয়েছে। যেতে যেতে ফিরে তাকাল সে মারাংবুরুর থানের দিকে। মনে হল, দেবতার চোখ দুটোও যেন হাসছে তারই দিকে তাকিয়ে।
02nd  February, 2025
রঙিন ঝাঁঝরি

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

09th  February, 2025
টাকার মিউজিয়ামে ঢুঁ

কিছু কিনতে গেলেই লাগে টাকা। ভারতের টাকার ইতিহাস আর বিভিন্ন দেশের মুদ্রা সম্বন্ধে জানতে হলে যাওয়াই যায় 
কলকাতার আরবিআই মিউজিয়ামে। অভিনব এই সংগ্রহশালা ঘুরে এসে লিখলেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়।
বিশদ

09th  February, 2025
বাগধারার রহস্য

বাংলা ভাষায় রয়েছে অসংখ্য বাগধারা বা প্রবাদ প্রবচন। আভিধানিক অর্থ নয়, বিশেষ অর্থে এগুলি ব্যবহার করা হয়। কীভাবে এল এই বাগধারাগুলি? তারই কারণ খোঁজা হল।
বিশদ

09th  February, 2025
ঠাকুরবাড়ির সরস্বতী পুজো

আমাদের বাড়ির বাগানে একটা লটকানো গাছ ছিল। আমরা তার ফল কুড়িয়ে এনে শুকিয়ে রাখতুম। সরস্বতীপুজোর সময় কাপড় রং-করা হতো। শিউলি ফুলের বোঁটা শুকিয়েও সুন্দর বাসন্তী রং হতো।
বিশদ

02nd  February, 2025
প্রাণীজগতের কুম্ভকর্ণ

কী কুম্ভকর্ণ রে বাবা! ঘুমকাতুরেদের এমন ঠাট্টা মাঝেমধ্যেই সহ্য করতে হয়। রামায়ণের চরিত্র কুম্ভকর্ণ নাকি টানা ছ’মাস ঘুমোতেন। আর তারপর এক মাস জেগে থেকে ফের নিদ্রা। লঙ্কাধিপতি রাবণের ভাইয়ের এই কাহিনি তো সবারই জানা। প্রাণীকুলেও এমন অনেকেই রয়েছে, যারা কুম্ভকর্ণকে কিছুটা লড়াইয়ে ফেলে দিতে পারে।
বিশদ

02nd  February, 2025
মুক্তির মন্দির সোপানতলে...

আজ সাধারণতন্ত্র দিবস। ১৯৫০ সালে আজকের দিনেই কার্যকর করা হয়েছিল স্বাধীন ভারতের সংবিধান। দেশ স্বাধীন করতে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁদের স্মরণ করল যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্রছাত্রীরা।
বিশদ

26th  January, 2025
আমাজন নদীতে    কোনও সেতু নেই কেন? 

ইংল্যান্ডের টেমস নদীর উপর রয়েছে একটি বিখ্যাত সেতু। ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ। কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ ঘুমন্ত লন্ডন শহরকে দেখতেন সেই ব্রিজের উপর থেকে।
বিশদ

26th  January, 2025
বার্ষিক অনুষ্ঠান

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই শিশুর মধ্যে নিজের সংস্কৃতি সম্বন্ধে ধারণা জন্মায়। দিল্লি পাবলিক স্কুল (জোকা) সাউথ কলকাতাও ঠিক এই লক্ষ্য নিয়েই সারা বছর নানারকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
বিশদ

26th  January, 2025
ওয়াল প্লেট

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

26th  January, 2025
প্রতিকণা উল্টো পথের পথিক
স্বরূপ কুলভী

আমাদের মহাবিশ্বে নানা ধরনের পদার্থ রয়েছে। এর বাইরেও এমন কিছু রয়েছে, যা চোখে দেখা যায় না। অথচ তার শক্তি এতটাই বেশি যে, সবকিছু পাল্টে দিতে পারে। ছোট্ট বন্ধুরা, ওই প্রবল শক্তি হল অ্যান্টি ম্যাটার বা প্রতি পদার্থ। একে প্রতি কণাও বলা যেতে পারে। বিশদ

19th  January, 2025
শীতের আনন্দ: কোচবিহার রামভোলা হাই স্কুল

ভারত স্বাধীন হতে তখনও কয়েক বছর বাকি। দেশীয় রাজ্য অর্থাৎ প্রিন্সলি স্টেট কোচবিহার। জ্ঞানচর্চা, খেলাধুলোয় তখন কোচবিহারের নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই রকম একটা সময়ে ১৯৪১ সালে গুঞ্জবাড়িতে স্থাপিত হয় কোচবিহার রামভোলা হাই স্কুল। বিশদ

19th  January, 2025
চিড়িয়াখানা ১৫০

সার্ধশতবর্ষ উদ্‌যাপন শুরু হয়েছে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। শীতের মরশুমে পশু-পাখির খাঁচার সামনে কচিকাঁচাদের ভিড় উপচে পড়ছে। তার মধ্যেই চিড়িয়াখানা ঘুরে এসে লিখলেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। বিশদ

19th  January, 2025
তোমাদের বিবেকানন্দ

আজ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। অসম্ভব মানসিক দৃঢ়তায় তিনি জয় করেছেন যেকোনও প্রতিকূলতাকে। তাঁর জীবন ছাত্রছাত্রীদের কাছে শিক্ষণীয়। স্বামীজির জীবনের কিছু ঘটনা ছোট্ট বন্ধুদের জন্য তুলে ধরলেন সায়ন্তন মজুমদার।
বিশদ

12th  January, 2025
কাচের মোমদানি

ছোট্ট বন্ধুরা, চল আজ কাচের বোতল দিয়ে অন্য ধরনের একটা হাতের কাজ শিখি। ডিজাইনার বিদিশা বসু বললেন বাচ্চাদের ছোটখাট কাজের মধ্যে দিয়েই নানারকম জিনিস শেখানো যায়। তাই হাতের কাজ শেখার মাধ্যমে তারা অন্য অনেক কিছুই শিখতে পারে। বিশদ

12th  January, 2025
একনজরে
কালিয়াচকের রাস্তা থেকে এক গৃহবধূকে অপহরণ! এই অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়েছে এলাকায়। শ্বশুরবাড়ির তরফে বধূকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ...

টেমস নদীর ধারে বঙ্গ সংস্কৃতির মুকুটে কৃতিত্বের আরও এক পালক। মার্চেই ব্রিটেনে পাকাপাকিভাবে ঠাঁই পেতে চলেছেন মা দুর্গা। ...

রাজ্যে কৃষিকাজে সেচের জন্য যে পাম্প চলে, সেখানে যাতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়, তার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে রান্নার কাজে এলপিজির বদলে যাতে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার হয়, চেষ্টা চলছে তারও। ...

মাঘী পূর্ণিমায় পূর্ণকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে সঙ্গমে  মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার এক মহিলার। ডুব দিয়ে তিনি উঠে আসতে পারেননি।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২: লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২: কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৩১: ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৬৯: পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম বাঙালি গভর্নর ও ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান
১৯৭৪ – উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ আমির খাঁর মৃত্যু
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫: কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৭ টাকা ১০৯.৮১ টাকা
ইউরো ৮৮.১৬ টাকা ৯১.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৩৫/২০ রাত্রি ৮/২২। মঘা নক্ষত্র ৩৭/১৩ রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৬ মধ্যে। 
৩০ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৭/৫২। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ৯/০। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ১০/৩৬ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৪০ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৮ মধ্যে। 
১৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিয়ালদহের ফুল বাজারে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন

11:06:00 PM

ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে মোদি এবং মাস্কের বৈঠক

10:43:00 PM

বীরভূমের হেতমপুরে একটি বাড়িতে আগুন
বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুর পঞ্চায়েতের চিৎগ্রামে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, ...বিশদ

10:22:00 PM

এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলা: দার্জিলিং আদালতে আত্মসমর্পণ বিমল গুরুংয়ের
রাজ্য পুলিসের এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ...বিশদ

10:17:00 PM

উত্তরপ্রদেশের আরালি ঘাটে চলছে আরতি

10:04:00 PM

ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের মধ্যে শুরু হয়েছে বৈঠক

09:47:00 PM