Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো। গেরুয়া শিবির মনে করছে, সেই অস্ত্রে শান দিতে পুরস্কার বা সম্মানকেও হাতিয়ার করতে হবে। নরেন্দ্র মোদি মসনদে বসার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে ভারতরত্ন বা পদ্ম সম্মানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হিন্দুত্ববাদী নেতাদের নাম আসছে।
২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই সেই সময়কার দুই প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি ও মুরলী মনোহর যোশিকে মার্গ দর্শক বানিয়ে কার্যত ছেঁটে ফেলেছিলেন মোদি। কিন্তু সেই আদবানিকেই ২০২৪ সালে ভারতরত্ন ও মুরলী মনোহর যোশিকে ২০১৭ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মান দেওয়া হয়। এমনকী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িও ভারতরত্ন পেয়েছিলেন মোদি ক্ষমতায় আসার পরে, ২০১৫ সালে। এ পর্যন্ত তাও মেনে নেওয়া যায়, কারণ বাজপেয়ি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, আদবানি প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী ও মুরলী মনোহর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। কিন্তু চলতি বছরের তালিকায় এমন বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে, যাঁদের কাজের পরিচয় খুঁজতে গেলে উইকিপিডিয়ার সাহায্য নিতে হবে। তাঁদের প্রত্যেকেরই যোগসূত্র একটা জায়গায়, সেটা হল হিন্দুত্ব।
পদ্মপ্রাপকের তালিকায় এবার জ্বলজ্বল করছেন সাধ্বী ঋতম্বরা। কে তিনি? আটের দশকের শেষ থেকে নয়ের দশকে রাম জন্মভূমি আন্দোলনে ফায়ারব্র্যান্ড মহিলা নেত্রী হিসেবে যে দু’জনের নাম উঠে এসেছিল, তার একজন উমা ভারতী ও দ্বিতীয়জন এই সাধ্বী ঋতম্ভরা। উমা ভারতীর রাজনৈতিক কেরিয়ার নিশ্চিতভাবেই তরতর করে উঠেছিল। কিন্তু একটা সময় পর কালের নিয়মেই হারিয়ে গিয়েছেন। এমনকী যে মধ্যপ্রদেশ তাঁর কর্মভূমি ছিল, সেই রাজ্যেই বিগত বিধানসভা নির্বাচনে তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে ভারতীকে ছেঁটে ফেলেছে বিজেপি। রয়ে গিয়েছেন দুর্গা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সন ঋতম্ভরা। গৈরিক বসনধারী ঋতম্ভরা উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেরিয়েছেন। যুব সমাজকে হিন্দুত্বের মোড়কে তৈরি করেছেন। তাঁর গরম গরম মেঠো বক্তৃতা বাড়িয়ে দিয়েছে হিন্দুত্ব আবেগ। নামে সমাজসেবক, আসলে হিন্দুত্বের কট্টর প্রচারক। এহেন সাধ্বীকে তাই পদ্ম সম্মানে ভূষিত করতে দেরি করেনি মোদি সরকার।
চলতি বছরের পদ্ম তালিকায় নাম রয়েছে বাংলার কার্তিক মহারাজের। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের এই মহারাজ বিগত লোকসভা নির্বাচনের সময়ই চর্চায় আসেন। গত লোকসভা ভোটের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরামবাগের সভা থেকে সরাসরি কার্তিক মহারাজের নাম করে বলেছিলেন, ‘আমি ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে অনেক সম্মান করতাম। কিন্তু যে লোকটা তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেন না, তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, তিনি ‘ডাইরেক্ট পলিটিক্স’ করে দেশটার সর্বনাশ করছেন।’ শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরীও বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের যদি এমন মানসিকতা হয় যে, তাঁদের পার্টির নেতাকে পুরস্কার দেবে, তাহলে এর গুরুত্ব থাকবে না। যে কমিটি এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের উপরে রাজনৈতিক প্রভাব সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে গুরুত্ব থাকছে না।’
ঘটনাচক্রে দেখা গিয়েছিল নির্বাচনী প্রচারে এসে কার্তিক মহারাজের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকী এখনও যখন তাঁর নাম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, প্রত্যাশিতভাবেই পাশে রয়েছে বিজেপি। তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তৃণমূল বিরোধিতা বা উগ্র হিন্দুত্ব প্রচারের জন্য নয়, কার্তিক মহারাজ এই সম্মান পেয়েছেন সমাজসেবার জন্য।
পদ্মপ্রাপক হিসেবে নাম রয়েছে আইনজীবী সি এস বৈদ্যনাথনের। কে তিনি? আযোধ্যার রাম জন্মভূমি মামলায় রামলালা বিরাজমানের হয়ে সওয়াল করেছিলেন এই আইনজীবী। রামমন্দিরের প্রধান স্থপতি চন্দ্রকান্ত সোমপুরাকেও পদ্মভূষণ দেওয়া হয়েছে। ‘অযোধ্যা রিভিজিটেড’ গ্রন্থের লেখক কিশোর কুণালও চলতি বছরের পদ্মশ্রী প্রাপকের তালিকায়।
হিন্দুত্ব বিজেপির ট্রেডমার্ক রাজনীতি। কিন্তু স্রেফ এই হাওয়ায় ভর করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মাটি শক্ত করতে পারছে না বিজেপি। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারত ও পূর্ব ভারতে জমি খুঁজে পাচ্ছে না গেরুয়া বাহিনী। দক্ষিণের পাঁচ 
রাজ্য কেরল,কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। এর মধ্যে একমাত্র কর্ণাটকে বিজেপির প্রভাব রয়েছে। 
অনেক চেষ্টা করেও এবার অন্ধ্রপ্রদেশে দাঁত ফোটাতে পারেনি গেরুয়া বাহিনী। একই অবস্থা তামিলনাড়ু, কেরল ও তেলেঙ্গানাতেও। প্রায় নিয়ম করে দক্ষিণে সফর করেন মোদি। কিন্তু সেটাও বিজেপিকে ডিভিডেন্ড দিচ্ছে এমন নয়। সেই কারণে বিজেপির পুরস্কার-সম্মান রাজনীতি। চলতি বছর পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন সাতজন। তার মধ্যে দক্ষিণের তিন। পদ্মভূষণের ১৯ জনের মধ্যে দক্ষিণ থেকে আট জন। এর সঙ্গে যোগ করতে হবে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অসম ও গুজরাতের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যকে। বিগত বছরেও একই চিত্র দেখা গিয়েছিল। আসলে বিজেপি মানেই উত্তরের দল—এমন একটা ধারণা রয়েছে। পুরস্কার রাজনীতিতে সেই মিথ ভাঙারই চেষ্টা চলছে।
পূর্ব ভারতের তিন রাজ্য বাংলা, বিহার ও ওড়িশা। গত বছর বিহারের নেতা কর্পূরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের ভিত্তি শক্তিশালী করতে চেয়েছে বিজেপি। এবারও পদ্মবিভূষণের তালিকায় রয়েছেন প্রয়াত শিল্পী সারদা সিনহা। আর প্রয়াত নেতা সুশীল মোদিকে দেওয়া হয়েছে মরণোত্তর পদ্মভূষণ। বিজেপির গাঁট বাংলা। এই রাজ্যের প্রতিটি ভোটেই দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামক একটি শক্তপোক্ত দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে প্রতিহত হয়েছে মোদি-ঢেউ। বাংলায় একটাও উল্লেখযোগ্য মুখ খুঁজে পায়নি বিজেপি। তাই পুরস্কার রাজনীতি চলছেই। যদি কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে খুঁজে পাওয়া যায়। ২০১৯ সালে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া হয়েছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে গত বছরই পদ্মভূষণ ও দাদা সাহেব ফালকে দেওয়া হয়েছে। অভিনেতা মিঠুনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন না তুলেও বলা যায়, বিজেপি যোগ না থাকলে এত দ্রুত তিনি ওই পুরস্কার পেতেন না।
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মিডিয়া উপদেষ্টা ছিলেন সঞ্জয় বারু। ‘বারনিশিং দ্য পদ্মাস’ বইয়ে তিনি লিখেছিলেন, যাঁরা ন্যাশনাল আইকন হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন, একমাত্র তাঁদেরই এই সম্মানের জন্য মনোনীত করা উচিত। পদ্মে লবিবাজি দেখে মনমোহন সিংও আশাহত হয়েছিলেন। পদ্ম সম্মান নিয়ে বিতর্ক আগেও হয়েছে। ইউপিএ বা পূর্বতন কংগ্রেস জমানায় বহু ব্যক্তির নাম নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে সেটা সমালোচনাই। কিন্তু মোদি ক্ষমতায় আসার পরে এই সম্মানকে দলীয় ভিত্তি প্রসারে কাজে লাগিয়েছেন। যে সম্মান দেশের প্রথিতযশা ব্যক্তিদের দেওয়ার কথা, সেটাই এখন রাজনীতির ঘুঁটিতে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের আগে প্রথমবার নির্বাচনী ইস্তাহারে বিজেপি ঘোষণা করেছিল, জিতলে ভারতরত্ন দেওয়া হবে সাভারকর, জ্যোতিবা ও সাবিত্রী ফুলেকে। ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও দল এভাবে ‘সম্মান’কে ভোট রাজনীতিতে মিশিয়ে দিল। দুই পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও ও চৌধুরাী চরণ সিংকেও ভারতরত্ন দেওয়ার ক্ষেত্রেও একই রাজনীতির খেলা খেলেছে বিজেপি। ঠিক ভোটের আগে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষক ভোট সংহত করতে ও সমাজবাদী পার্টির হাত থেকে রাষ্ট্রীয় লোক দলকে ভাঙিয়ে আনতে চৌধুরী চরণ সিংকে ভারতরত্ন (মরণোত্তর) দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। দক্ষিণের দুই রাজ্য বিশেষত তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে ভোটের ভিত্তি বাড়াতে বিগত লোকসভা ভোটের আগে ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল নরসিমা রাও ও বিশিষ্ট কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনকে। মদনমোহন মালব্য, নানাজি দেশমুখের মতো হিন্দুত্ববাদী নেতাকেও দেশের সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয়েছিল এই সময়। বার্তা স্পষ্ট, উগ্র হিন্দুত্ববাদের আদি রাস্তা থেকে সরে আসছেন না মোদি। ইউপিএ জমানায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল অ-রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর অত্যন্ত সুচারুভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে বেছে নিয়েছেন। 
12th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
একনজরে
১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী হিংসা। তৎকালীন সময়ে দিল্লির সরস্বতী বিহারে এক বাবা ও ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ ওঠে সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে। ...

কালিয়াচকের রাস্তা থেকে এক গৃহবধূকে অপহরণ! এই অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়েছে এলাকায়। শ্বশুরবাড়ির তরফে বধূকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ...

৫৫ বলে ৫২। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের নিরিখে মন্দের ভালো। টানা ব্যর্থতার পর অবশেষে রানে ফেরার ইঙ্গিত মিলল বিরাট কোহলির ব্যাটে। বুধবার মোতেরায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ...

টেমস নদীর ধারে বঙ্গ সংস্কৃতির মুকুটে কৃতিত্বের আরও এক পালক। মার্চেই ব্রিটেনে পাকাপাকিভাবে ঠাঁই পেতে চলেছেন মা দুর্গা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২: লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২: কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৩১: ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৬৯: পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম বাঙালি গভর্নর ও ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান
১৯৭৪ – উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ আমির খাঁর মৃত্যু
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫: কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৭ টাকা ১০৯.৮১ টাকা
ইউরো ৮৮.১৬ টাকা ৯১.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৩৫/২০ রাত্রি ৮/২২। মঘা নক্ষত্র ৩৭/১৩ রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৬ মধ্যে। 
৩০ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৭/৫২। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ৯/০। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ১০/৩৬ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৪০ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৮ মধ্যে। 
১৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিয়ালদহের ফুল বাজারে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন

11:06:00 PM

ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে মোদি এবং মাস্কের বৈঠক

10:43:00 PM

বীরভূমের হেতমপুরে একটি বাড়িতে আগুন
বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুর পঞ্চায়েতের চিৎগ্রামে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, ...বিশদ

10:22:00 PM

এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলা: দার্জিলিং আদালতে আত্মসমর্পণ বিমল গুরুংয়ের
রাজ্য পুলিসের এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ...বিশদ

10:17:00 PM

উত্তরপ্রদেশের আরালি ঘাটে চলছে আরতি

10:04:00 PM

ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের মধ্যে শুরু হয়েছে বৈঠক

09:47:00 PM