Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। আয়কর সংক্রান্ত যে ঘোষণা নির্মলাদেবী করেছেন, তাতে সত্যিই মাসে এক লক্ষ টাকা রোজগেরেদের অনেকটা সুরাহা হবে। কিন্তু এর মাঝেও একটা কঠিন বাস্তব লুকিয়ে আছে। তা হল, বাজেট মানে কিন্তু শুধু আয়করের স্ল্যাব ঘোষণা বা রিবেট দেওয়া নয়। এর পরিধি ঢের বেশি। বাজেটের আক্ষরিক অর্থ যদি কিছু থেকে থাকে, তাহলে তা ‘আর্থিক অনুশাসন’। ছোট-বড় সর্বত্র এই অনুশাসনটা দরকার। কোথাও বহর ছোট হয়, কোথাও বড়। একবার নিজেদের সংসারের দিকে তাকালেই বোঝা যায়, আর্থিক অনুশাসন এখানেও পুরোদস্তুর রয়েছে। মাসের শুরুটা ভাবুন। প্রথমেই আমরা একটা হিসেব কষতে বসি। কেমন সেই হিসেব? মোদ্দা ব্যাপারটা হল, বেতন পাওয়ার পর হাতে কত টাকা আছে, আর তার ভিত্তিতে খরচ কী হবে। মাসের বাজার, গ্যাস, পরিচারিকা, বাড়ি ভাড়া বা ফ্ল্যাটের মেইন্টেনেন্স, ছেলেমেয়ের স্কুলের খরচ, যাতায়াত, ওষুধ এবং ইএমআই। এটা মাসের শুরুতেই আমাদের দিয়ে ফেলতে হয়। তারপর কিছু টাকা সরিয়ে রাখতে হয় বিয়েবাড়ি বা অন্য কোনও নিমন্ত্রণের জন্য। বাকি যা থাকল, তা হিসেবের বাইরে খরচযোগ্য, কিংবা ওটাই সঞ্চয়। আমরা, অর্থাৎ আম জনতা প্রত্যেক মাসেই বাজেট করে চলেছি। সোজা কথায়, আর্থিক অনুশাসনে নিজেদের বেঁধে ফেলছি। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার বাজেট করছে মানে, সেও কিন্তু নিজের প্রশাসনকে আর্থিক অনুশাসনের মধ্যেই রাখতে চাইছে। তার মধ্যে যেমন আছে আয়ের সংস্থান, ঠিক তেমনই ব্যয়ের হিসেব। বছর শেষে ব্যালান্স শিট তাকে মেলাতেই হবে। একটা সরকারের ক্ষুদ্রতম সংস্করণ যদি আমার-আপনার সংসার হয়, তাহলে আর একটু বড় ছাঁচ অবশ্যই কর্পোরেট সংস্থা। উল্টে বলা যায়, তাদের সঙ্গেই মিলটা সবচেয়ে বেশি। একটা কোম্পানির সঙ্গে সরকারি বাজেট প্রক্রিয়ার খুব একটা ফারাক নেই বললেই চলে। পয়েন্ট টু বি নোটেড মাই লর্ড—‘বাজেট প্রক্রিয়া’। বাজেটের ‘প্রয়োগ’ নয় কিন্তু! কারণ, প্রয়োগের শক্ত জমিতে দাঁড়ালে একটি মাঝারি মাপের সংস্থাকেও এতটুকু ফাঁক রাখলে চলে না। সেটাই সরকারি বাজেটে বিস্তর থাকে। কীভাবে? তলিয়ে দেখা যাক। 
ধরে নিলাম, ‘ক’ নামে একটি সংস্থা আছে। সেখানে ৩০০ লোক কাজ করে। প্রতি বছর ১০০ কোটি টাকা তাদের টার্নওভার। তাদের ম্যানেজমেন্ট হল সরকার, আর কর্মীরা হল নাগরিক। কেন্দ্রীয় সরকার যেমন অর্থবর্ষের শুরুতেই আয়-ব্যয়ের হিসেব করে, বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দ করে, ‘ক’কেও তাই করতে হয়। প্রথমেই দেখতে হয়, ফেলে আসা বছরে তার উৎপাদন কিংবা পরিষেবার বহর কতটা ছিল, মার্কেটে ডিমান্ড কী ছিল, আয় কেমন হয়েছে, আর ব্যয়ই বা কতটা। অর্থাৎ, শুরুতেই লাভ অথবা লোকসানের হিসেবটা হয়ে যায়। সেই অনুযায়ী আগামী বছরের জন্য টার্গেট সেট করতে হয় তাকে। যাবতীয় রিস্ক ফ্যাক্টরও এর মধ্যে ধরা থাকে। বছরভরের রানিং কস্ট মেপে নিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় আয়ের টার্গেট। খরচ কেমন হয়? দু’ধরনের—এককালীন এবং মাসের। কোন কোন দপ্তরের জন্য এককালীন টাকা লাগবে, সেটার হিসেব কষা হয় আগে। তারপর কর্মীদের বেতন, অফিস চালানোর জন্য ইলেকট্রিক বিল, মেশিন সহ যাবতীয় মেইন্টেনেন্স খরচের মাসিক হিসেব। সেই মতো বরাদ্দ হয় অর্থ। কোন অ্যাকাউন্ট থেকে কোন খাতের টাকা যাবে, সেটা ঠিক করে অর্থের জোগান নিশ্চিত করতে হয়। আর এক দফার বাজেট করতে হয় দূরেরটা ভেবে। যেমন, ৩০ কোটি টাকা দামের যে মেশিন উৎপাদন করছে, সেটা তো সারা জীবন চলবে না! ধরা যাক, আজ থেকে ১০ বছর পর তার মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু এই ১০টি বছর ধরেই একটা নির্দিষ্ট অঙ্ক হিসেব কষে ওই খাতে সরিয়ে রাখতে হয়। এটাও কোম্পানি বাজেটের একটা বড় অংশ। সরকারের বাজেটের সঙ্গে মিলিয়ে একে পরিকাঠামো খাতে খরচ বা ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার বলে ভাবা যেতেই পারে। আর নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়াটাকে কর্মীদের বেতন, স্বাস্থ্যবিমা, বোনাস ভেবে নিলে খুব ভুল হবে না। কিন্তু সরকারের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে একটি দায়িত্বশীল সংস্থার ফারাক কোথায় হয়? হঠাৎ ১০০ দিনের কাজের টাকা সরকার বন্ধ করে দিলে আম জনতা সংসদে ভাঙচুর চালায় না। কিন্তু সংস্থার বেতন বন্ধ হয়ে গেলে? কর্মীরা কিন্তু ছেড়ে কথা বলবে না। আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড দেখিয়ে রোগী হাসপাতালে বেড না পেলে ঘটিবাটি বেচেও বাড়তি টাকা দিয়ে সে নার্সিংহোমে ভর্তি হবে। কর্পোরেট মেডিক্লেমের টাকা না পেলে কিন্তু কর্মী তার সংস্থার ম্যানেজমেন্টের কেবিনের দরজা ভেঙে দিয়ে আসতে দু’বার ভাববে না! নির্মলা সীতারামন গভীর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা করতে পারবেন, চলতি অর্থবর্ষে সরকারের আয়ের ২৪ শতাংশ এসেছে ঋণ থেকে। কিন্তু একটি সংস্থা যদি তার ৫০ কোটি টাকা আয়ের ১২ কোটি টাকা ঋণ দেখায়, কয়েক বছরের মধ্যে সেখানে লাল বাতি জ্বলে যাবে। নির্মলাদেবী বাড়তি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলবেন, ‘টাকা তো দুর্বল হচ্ছে না! ডলার শক্তিশালী হচ্ছে।’ কিন্তু ‘ক’ সংস্থাটিকে ওই শক্তিশালী ডলার দিয়েই বিদেশ থেকে কাঁচামাল কিনতে হবে। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে। অথচ মার্কেটে চাহিদা না থাকলে পণ্যের দামও সে বাড়াতে পারবে না। সোজা কথায়, লাভ কমবে এবং লোকসান বাড়বে। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের করের টাকা দিয়েই সরকার আমাদের জন্য ঘোষিত প্রকল্পের বরাদ্দ ঠিক করে। কোম্পানিকে কিন্তু তার পণ্য বা পরিষেবা বাজারে বেচেই কর্মীদের জন্য বেতন জোগাড় করতে হবে! 
এই বিরাট তালিকা ধরে পার্থক্য বোঝানোর কারণ কী? একটাই—চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া যে, সরকারেরটা হল দায়। আর সংস্থার? দায়বদ্ধতা। সরকার একটা প্রকল্প ঘোষণা করে তা বেমালুম চেপে যেতে পারে। বরাদ্দ তো হয়েই রয়েছে। প্রকল্প কার্যকর না হলে ওই টাকাটা সরকারের কোষাগারে থেকে যাবে। এবার সেটা দিয়ে অর্থবর্ষের শেষে নির্দ্বিধায় বাজেট ঘাটতি কম দেখানো সম্ভব। কিংবা কোনও রাজ্যে যদি ভোট আসন্ন হয়, তাদের জন্য আলাদা প্যাকেজে সেটাই টাকা ‘সাইফন’ করে দিতেও অসুবিধা হবে না। অর্থাৎ, এক প্রকল্পের টাকা অন্য প্রকল্পে লেগে গেল। উল্টে ভোটেও নম্বর বাড়ল। প্রতিশ্রুতির ধাপ্পা না দিতে পারলে এই টাকাটা কি উঠবে? তার উপর লাগাতার ভোটের ঘোষণা চলছে... আড়াই হাজার টাকা মহিলাদের ভাতা, বাসে ভাড়া লাগবে না, বিদ্যুৎ ফ্রি... কোথা থেকে আসবে এসবের খরচ? আকাশ থেকে তো পড়বে না। বিজেপি, কংগ্রেস বা আম আদমি পার্টি নিজেদের পকেট থেকেও দেবে না। তার মানে, অন্য কোনও খাতের বরাদ্দ চুপিসারে ঢুকে যাবে রাজনীতিতে। তাই নয় কি?
এবারের বাজেট নরেন্দ্র মোদিকে দিল্লি ভোটে ডিভিডেন্ড দেবে বলেই মনে করছে বিজেপি। রাজধানীর ভোটারদের একটা বড় অংশের মাসিক আয় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকার বেশি। এর নীচের চাকরিজীবীদের এমনিতেই এতদিন নতুন কাঠামোয় আয়কর দিতে হতো না। এবার ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের নাগরিকরাও এই সুবিধা পাবেন। মোদি সরকারের ইঙ্গিত এবার স্পষ্ট, যা করার করে দিয়েছি। এবার পালা মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীদের। এখন খরচ করুক! মোবাইল ফোন কিনুক, টিভি, ফ্রিজ, গয়না, গাড়ি, বাড়ি... মাসে ৭-৮ হাজার টাকায় এইসবের ইএমআই তো হয়েই যাবে। তাহলেই তো অর্থনীতির চাকা ঘুরবে। কিন্তু পেট্রল-ডিজেলের দামের জন্য সব্জি, মাছ এবং অন্যান্য নিত্যপণ্যের পরিবহণ খরচ বাড়ছে! সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক আরও কত খরচ। সেই কারণেই তো মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তার উপর জিএসটির বোঝা। একই জিনিসের রূপ বদলে জিএসটি বেড়ে যাচ্ছে। চালে জিএসটি, খাতায়, পেনে, শিশুর দুধে, বিমায়, ওষুধেও জিএসটি। লাভের গুড় তো শেষমেশ সরকারই খেয়ে যাবে। যে প্রেশারের ওষুধ এক বছর আগেও ৮৫-৯০ টাকা ছিল, সেটাই এখন ১২৫ টাকা। যে চালের দাম ৪০ টাকা কেজি ছিল, সেটা এখন ৪৮ টাকা। কিন্তু এই এক বছরে মূল্যবৃদ্ধির লাফের সঙ্গে সাধারণ মানুষের আয় পাল্লা দিতে পারছে কি? যে মানুষটা ২০১৪ সালের মতো এখনও হাজার টাকা পেনশন পান, তাঁর ন্যূনতম চাহিদা পূরণ হবে কীভাবে? যাঁরা বেশি টাকা আয় করেন, তাঁরা ছাড়া অন্যদের কি ভোগ্যপণ্য কেনার অধিকার নেই? সমাজে, সরকারে, অর্থনীতিতে তাঁদের কি একেবারেই কোনও ভূমিকা নেই? সরকারের এসবে কিছুই আসে যায় না। জাহান্নমে যাক সাধারণ মানুষ। শুধু একবার উঁকি মেরে দেখে নিতে হবে, ওই মানুষটির রাজ্যে কাছাকাছি কোনও সময়ে ভোট আছে কি না। করছাড় দিয়ে যদি এক লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়, তাহলে জানবেন, সরকার আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে এই টাকাটা কোথা থেকে ভরপাই হবে। প্রশ্ন হল, এই ক্ষতি কে পুষিয়ে দেবে? আমরা। আম জনতা। আমাদের করের টাকাতেই জনপ্রতিনিধিদের মাইনে বাড়বে, তাঁরা গাড়ি-বাড়ি পাবেন, তেল খরচ, সারা জীবনের জন্য ফ্রি গ্যাস সিলিন্ডার এবং পেনশন। আর সবিতা বাউরি উজ্জ্বলার কানেকশন করানোর পর ফিরে যাবেন সেই কাঠের জ্বালানিতে। গ্যাসের সিলিন্ডার কেনার টাকাটাই যে তাঁর কাছে নেই! বছর পঁচিশের অমিত বিশ্বাস একের পর এক দরজায় কড়া নাড়বেন চাকরির আশায়। সরকার কিংবা বেসরকারি... বোর্ড ঝুলবে ‘নো ভ্যাকেন্সি’র। তখন তাঁর কানে বাজবে একটা বাজেট ঘোষণা... ২ কোটি ৯০ লক্ষ চাকরির। 
04th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
একনজরে
কোন সিন্ডিকেটের জন্য চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করল জেলা প্রশাসন। খাদ্যদপ্তর বিভিন্ন রাইসমিলের পাশাপাশি গোডাউনেও অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুচরো বিক্রেতাদের ...

রাজ্যে কৃষিকাজে সেচের জন্য যে পাম্প চলে, সেখানে যাতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়, তার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে রান্নার কাজে এলপিজির বদলে যাতে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার হয়, চেষ্টা চলছে তারও। ...

টেমস নদীর ধারে বঙ্গ সংস্কৃতির মুকুটে কৃতিত্বের আরও এক পালক। মার্চেই ব্রিটেনে পাকাপাকিভাবে ঠাঁই পেতে চলেছেন মা দুর্গা। ...

৫৫ বলে ৫২। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের নিরিখে মন্দের ভালো। টানা ব্যর্থতার পর অবশেষে রানে ফেরার ইঙ্গিত মিলল বিরাট কোহলির ব্যাটে। বুধবার মোতেরায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২: লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২: কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৩১: ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৬৯: পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম বাঙালি গভর্নর ও ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান
১৯৭৪ – উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ আমির খাঁর মৃত্যু
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫: কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৭ টাকা ১০৯.৮১ টাকা
ইউরো ৮৮.১৬ টাকা ৯১.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৩৫/২০ রাত্রি ৮/২২। মঘা নক্ষত্র ৩৭/১৩ রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৬ মধ্যে। 
৩০ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৭/৫২। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ৯/০। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ১০/৩৬ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৪০ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৮ মধ্যে। 
১৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিয়ালদহের ফুল বাজারে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন

11:06:00 PM

ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে মোদি এবং মাস্কের বৈঠক

10:43:00 PM

বীরভূমের হেতমপুরে একটি বাড়িতে আগুন
বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুর পঞ্চায়েতের চিৎগ্রামে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, ...বিশদ

10:22:00 PM

এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলা: দার্জিলিং আদালতে আত্মসমর্পণ বিমল গুরুংয়ের
রাজ্য পুলিসের এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ...বিশদ

10:17:00 PM

উত্তরপ্রদেশের আরালি ঘাটে চলছে আরতি

10:04:00 PM

ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের মধ্যে শুরু হয়েছে বৈঠক

09:47:00 PM