Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। এতটা সুপরিকল্পিত স্ক্রিপ্ট রাষ্ট্রীয়ভাবে নিখুঁত ভাবে কার্যকর করা যায়, সেটা বেশ শিক্ষণীয় সমস্ত সরকার ও রাজনৈতিক দলের কাছে। কী সেই চিত্রনাট্য?
প্রথমে বিগত এক বছর ধরে সভা, সমাবেশ, সরকারি, বেসরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীসহ 
ভারত সরকারের নীতি নির্ধারকরা অত্যন্ত নিয়ম করে উচ্চকিত কণ্ঠে বলছিলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত গত ১০ বছরে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে এসেছে। অর্থাৎ ২৫ কোটি মানুষকে 
তুলে আনা সম্ভব হয়েছে গরিবি থেকে। এটা সুশাসনের  প্রমাণ। কিন্তু একটানা এই প্রচার করার পরও 
যদি দেশবাসীর বিশ্বাস না হয়? কারণ হাজার হোক সরকার এবং সরকারের মন্ত্রীরা তো নিজেদের সাফল্য প্রমাণ করতে এরকম দাবি করতেই পারেন! মানুষ তো ভাবতেই পারে এসব দাবির প্রমাণ কী? মিথ্যাও তো হতে পারে! 
তাই এরপর এসেছে পরবর্তী ধাপ। হঠাৎ গত বছরের শেষভাগে প্রধানমন্ত্রীর একটি সরকারি অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিসার্চ সমীক্ষার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হল। দেশের আর্থ সামাজিক কিংবা শিল্প অথবা শিক্ষা সহ নানাবিধ বিষয়ে এই এসবিআই রিসার্চ মাঝেমধ্যেই রিপোর্ট প্রকাশ করে। ওই রিসার্চে হঠাৎ এসবিআই কী বলল? বলল, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে গ্রামীণ ভারতের দারিদ্র্য ৪.৮৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। আর শহরে গরিব মানুষের সংখ্যা কমেছে ৪ শতাংশ। 
ঠিক তারপরই প্রধানমন্ত্রী সেই এসবিআই রিসার্চকে উদ্ধৃত করে বললেন, এই তো আমরা একাই বলছি না, এসবিআই রিপোর্ট পর্যন্ত বলেছে যে, ভারতে কীভাবে দ্রুত কমে চলেছে গরিব মানুষের সংখ্যা। তারপর থেকে ভারত সরকার বারংবার ওই রিপোর্টই প্রচার করে চলেছে। এসবিআই রিপোর্ট যে এই দাবি করল, তার ভিত্তি কী? কীভাবে বোঝা গেল যে এই চরম মূল্যবৃদ্ধি আর বেকারত্বের যুগে গরিব মানুষের সংখ্যা হু হু করে কমে যাচ্ছে? দেখা যাক এসবিআই রিসার্চের প্রক্রিয়াটি কী! 
এসবিআই রিসার্চ মানদণ্ড স্থির করে জানিয়েছে, যে পরিবার মাসে ১৬৩২ টাকার কম খরচ করে তারা গরিব। এটা গ্রামীণ ভারতের হিসেব। আর শহুরে ভারতে যে পরিবারের ব্যয়ক্ষমতা ১৯৪৪ টাকার বেশি নয়, তারাই গরিব। এই নীতির নাম অ্যানুয়াল হাউসহোল্ড কনজামশান। অর্থাৎ বছরে একটি পরিবার যা খরচ করে। তার মানে হল, একদিনে গ্রামীণ ভারতের যে পরিবার ৫৫ টাকা খরচ করে তারা গরিব। শহরে যারা ৬৫ টাকার মধ্যে খরচ করবে তারাও গরিব। তাহলে কি এই অঙ্কের বেশি যারা খরচ করতে পারে তারা গরিব নয়? হাউসহোল্ড কনজামশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভের এই রীতি নিয়ে তাবৎ অর্থনীতিক মহল প্রশ্ন তুলছে। তাদের বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধি, টেন্ডুলকর কমিটির দারিদ্র্যসীমা সংক্রান্ত রিপোর্ট ইত্যাদিকে ভিত্তি করে এই যে গরিবের মাপকাঠি তৈরি হয়েছে এটা ত্রুটিপূর্ণ। এভাবে ২০২৪ সালের গরিব নির্ধারণ করা যায় না। 
কিন্তু এসব যুক্তি ভারত সরকার মানতে নারাজ। তারা খুশি এবং এই রিপোর্ট গ্রহণ করেছে অত্যন্ত আনন্দ সহকারে। আর তাই প্রচারও চলছে জোরকদমে। সুতরাং নিত্যদিনের খাবার কেনার জন্য ৬৫ টাকার বেশি যাঁরা ব্যয় করতে সক্ষম তাঁরা আর গরিব নয়। এটাই রাষ্ট্র এখন মনে করছে। 
খুব ভালো কথা। রাষ্ট্র এই মনোভাব নিয়ে সন্তুষ্ট হতেই পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আর একটি সমীক্ষা ভুলে গেলে চলবে না। ভারতে ২০২৪ সালে ২১ কোটি মানুষ দিনে আয় করেন ১০০ টাকার কম। তাঁদের মাসিক আয় তাহলে কত? তাঁরা কত টাকা চাল, ডাল, তেল, সব্জি ও আমিষ কিনতে ব্যয় করতে পারবেন? এই হিসেবের সমাধান কী? তাঁদের জীবন কীভাবে চলে? তাঁদের মধ্যে গরিব কারা? কারা গরিব নয়? কঠিন অঙ্ক। 
মোটামুটি প্লট নির্মাণ করা হয়েছে। এবার চিত্রনাট্যের পরবর্তী ধাপ কী? সেটা দেখা গেল ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সালের বাজেটে। কী দেখা গেল? দেখা গেল, বহু বছর পর হঠাৎ মধ্যবিত্তের জন্য ভারত সরকার উদারহস্ত। কল্পতরুর মতো একঝাঁক আয়করে ছাড় দিয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে প্রবল প্রচার আর চর্চার আড়ালে সরকারের বাজেট বরাদ্দের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেল, বাজেটে অর্থমন্ত্রী তিনটি তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 
১) কৃষিকার্যে ব্যবহৃত সারের উপর সরকার যে ভর্তুকি দেয়, সেই সারে ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল ২০২৪ সালে। সেটা ২০২৫ সালে দেওয়া হবে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ কৃষকদের চড়া মূল্যের সার কিনতে নিজেকে বেশি খরচ করতে হবে। 
২) খাদ্যে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। খাদ্যে সবথেকে বেশি বরাদ্দ কী কারণে করতে হয়? গরিব কল্যাণ যোজনায় গরিবকে রেশনে বিনামূল্যে চাল-গম দিতে। সেই বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হল কেন? কারণ ওই যে এতদিন ধরে আমাদের বলা হয়েছে যে, গরিব কমে গিয়েছে! গরিব যদি কমেই যায়, তাহলে বিনামূল্যে চাল গম কম দিতে হবে!
৩) ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। যা ২০২৪ সালেও  ছিল। অর্থাৎ বরাদ্দ এক টাকাও বাড়ল না। জনসংখ্যা বাড়ছে। মূল্যবৃদ্ধি বাড়ছে। বেকারত্ব বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই ১০০ দিনের কাজের চাহিদা বাড়ছে। তাহলে বরাদ্দ বাড়ানো হল না কেন? কারণ পৃথকভাবে আর একটি উপকাহিনি রচিত হয়ে চলেছিল বিগত তিন বছর ধরে। সেটি হল, হঠাৎ দেখা যাচ্ছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে জব কার্ড বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে হু হু করে। নানাবিধ করণে। আধার লিংক করা হয়নি কেন? অথবা টেকনিকক্যাল কোনও কারণে ওই জব কার্ড আর বৈধ নয়। কিংবা জাল জব কার্ড ধরা পড়ছে। কত করে জব কর্ড বাতিল হচ্ছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর, মাত্র ৬ মাসে ৮৪ লক্ষ জব কার্ড বাতিল। তাহলে তিন বছরে কত বাতিল হয়েছে? কয়েক কোটি। কিন্তু নতুন করে জব কার্ড তো ইস্যুও করা হয়? হ্যাঁ হয়। কিন্তু দেখা যায়, যতগুলি নতুন নাম নথিভুক্ত হয়, ততগুলি বা তার থেকে বেশি নাম বাদ চলে যাচ্ছে। তাহলে কী হয়? তাহলে আর ১০ দিনের কাজের চাহিদার সংখ্যা বাড়ছে না। যত যুক্ত হচ্ছে, ততই বাতিল হচ্ছে অন্যদিক থেকে। সংখ্যা হয় কমছে, অথবা একই থাকবে। তাহলে? তাহলে আর বেশি টাকা বাজেটে বরাদ্দ করতে হবে কেন? আবেদনকারীর সংখ্যা তো বাড়বে না নিশ্চিত! 
তাহলে মোটামুটি কী দাঁড়ালো? এক বছরে ধরে প্রথমে প্রচার করা হল, গরিবের সংখ্যা কমেছে। তারপর সেটা প্রমাণ করার জন্য এসবিআই রিসার্চ রিপোর্ট দিল। তারপর গরিবকে বিনামূল্যে চাল-গম দেওয়ার বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হল। কারণ কাগজে কলমে গরিব কমে গিয়েছে। কৃষকদের বছরে তিনবার ২ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। সেটা জোরদার প্রচার পাচ্ছে। কিন্তু সারে ভর্তুকি কমে গেল! সেই প্রচার ধামাচাপা থাকছে। ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ বাড়ছে না। কারণ আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়তে দেওয়া হচ্ছে না।
এই নিখুঁত প্ল্যানে লাভ কার? রাজকোষ থেকে জনকল্যাণমুখী প্রকল্পে সরকারের খরচ কমে যাওয়া। আর তাহলেই বাজেট ঘাটতি কমে যাবে! রাজকোষে টাকা রয়ে যাবে। সেই টাকায় কী করা যাবে? কর্পোরেটের ট্যাক্স মকুব করা যাবে! বাজেট পেপারের একটি অংশে একটি বিভাগ থাকে। তাকে বলা হয় রেভিনিউ ফোরগন। মানে কর্পোরেটকে কর মকুব করতে সরকারের কত টাকা লোকসান হয়েছে? পাঁচ বছরে কত সেই অঙ্ক? ৪ লক্ষ ৬৯ হাজার কোটি টাকা! 
গরিবের সংখ্যা কমলে কম খরচ করা যাবে। কম খরচ করলে রেভিনিউ ফোরগনের টাকা জোগাড় করা যাবে। সুতরাং নিপুণ চিত্রনাট্য! নিখুঁত ক্ষতিপূরণ! 
07th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
একনজরে
মাঘী পূর্ণিমায় পূর্ণকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে সঙ্গমে  মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার এক মহিলার। ডুব দিয়ে তিনি উঠে আসতে পারেননি।   ...

কোন সিন্ডিকেটের জন্য চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করল জেলা প্রশাসন। খাদ্যদপ্তর বিভিন্ন রাইসমিলের পাশাপাশি গোডাউনেও অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুচরো বিক্রেতাদের ...

৫৫ বলে ৫২। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের নিরিখে মন্দের ভালো। টানা ব্যর্থতার পর অবশেষে রানে ফেরার ইঙ্গিত মিলল বিরাট কোহলির ব্যাটে। বুধবার মোতেরায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ...

টেমস নদীর ধারে বঙ্গ সংস্কৃতির মুকুটে কৃতিত্বের আরও এক পালক। মার্চেই ব্রিটেনে পাকাপাকিভাবে ঠাঁই পেতে চলেছেন মা দুর্গা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২: লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২: কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৩১: ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৬৯: পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম বাঙালি গভর্নর ও ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান
১৯৭৪ – উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ আমির খাঁর মৃত্যু
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫: কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৭ টাকা ১০৯.৮১ টাকা
ইউরো ৮৮.১৬ টাকা ৯১.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৩৫/২০ রাত্রি ৮/২২। মঘা নক্ষত্র ৩৭/১৩ রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৬ মধ্যে। 
৩০ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৭/৫২। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ৯/০। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ১০/৩৬ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৪০ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৮ মধ্যে। 
১৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিয়ালদহের ফুল বাজারে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন

11:06:00 PM

ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে মোদি এবং মাস্কের বৈঠক

10:43:00 PM

বীরভূমের হেতমপুরে একটি বাড়িতে আগুন
বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুর পঞ্চায়েতের চিৎগ্রামে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, ...বিশদ

10:22:00 PM

এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলা: দার্জিলিং আদালতে আত্মসমর্পণ বিমল গুরুংয়ের
রাজ্য পুলিসের এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ...বিশদ

10:17:00 PM

উত্তরপ্রদেশের আরালি ঘাটে চলছে আরতি

10:04:00 PM

ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের মধ্যে শুরু হয়েছে বৈঠক

09:47:00 PM