Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন। এই ধর্মব্যবসায়ী রাজনীতিকরাই আজ ভারতকে পিছনের দিকে টেনে নিয়ে চলেছেন। ভারতে তাঁরা এক অস্থির, অন্ধকার যুগ আনতে চাইছেন। ভারতাত্মার শুচিতা এঁরা দিনকে দিন নষ্ট করে দিচ্ছেন। কুম্ভমেলার আগে মুখ্যমন্ত্রী যোগীবাবু বুক বাজিয়ে বলেছিলেন, ‘কুম্ভে আসবেন ৪০ কোটি মানুষ। আমরা কিন্তু একশো কোটি মানুষের জন্য আয়োজন করেছি।’ এ যে মূঢ়তার কত বড় আস্ফালন, তা বুঝিয়ে দিয়ে গেল কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে শত শত মানুষের মৃত্যুর ঘটনা। অথচ দেখা গেল কী দেশের সরকার, কী উত্তরপ্রদেশের সরকার, কারও কোনও এ নিয়ে তেমন উৎকণ্ঠা নেই! এই অমানবিকতা, এই হৃদয়হীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের মানুষ। যাঁরা প্রশ্ন করছেন, যাঁরা কাঁদছেন, যাঁরা রাগে রগরগ করছেন, তাঁরা কিন্তু সকলেই হিন্দু। আর এই চরম মুহূর্তে ‘পলায়নই শ্রেষ্ঠ ধর্ম’ বলে মনে করছেন হিন্দুধর্মের স্বঘোষিত মসিহারা। সুতরাং ধিক্কার জানানোর ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন শোকতপ্ত মানুষ।  
সাত-আট কোটি মানুষের জমায়েত সুষ্ঠুভাবে সরকার করতে পারল না। অথচ এমন কুৎসিত ব্যবস্থা নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেন যোগী, যেন কিছুই হয়নি। আট-দশ ঘণ্টার মধ্যে শত শত লাশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ। কিন্তু ঠিক কতজন ধর্মের বলি হলেন? সেটা তো সরকারকে বলতে হবে। যে সরকার প্রতি মুহূর্তে কুম্ভে জনসমাগমের ফিরিস্তি দিচ্ছিল, তারাই মৃতের সংখ্যা ঘোষণা করতে একের পর এক মিটিং করেছে, কী সাফাই দেওয়া যায় তাই নিয়ে শলা করেছে। অবশেষে প্রায় বারো ঘণ্টা পর তিরিশ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হয়। 
কেন মৃত্যু? কেন এই অব্যবস্থা? তাই নিয়ে অবশ্য রয়েছে সত্যকে এড়িয়ে নানা ধরনের সাফাই। কুম্ভে উপস্থিত ভুক্তভোগীদের বক্তব্য, পয়সাওয়ালা পুণ্যার্থীদের থেকে মোটা মোটা টাকা নিয়ে পুলিস প্রশাসন তাদের ভিআইপি সাজিয়ে আগে স্নানে পাঠাচ্ছে। আর তখন সাধারণ মানুষের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জনজোয়ার রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এক সময় তা আছড়ে পড়ে পিষ্ট করে দিয়ে যায় শত শত মানুষকে। এরকম ঘটনায় বারবার প্রমাণিত, এঁরা বুক বাজিয়ে ‘হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা’ বলেন, কিন্তু বিপদের সময় ঘরে সেঁদিয়ে যান। বাইরে এসে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার মতো দৃঢ়তা এঁদের মধ্যে দেখা যায় না। বিপদের দিনে মানুষ চেনা যায়। এই অভিজ্ঞতা দেশের মানুষের আছে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় ঠিক কী ঘটেছিল, মোদি সরকার আজও তার জবাব দিতে পারেনি। কোভিডকালে কতজন মারা গিয়েছেন? এখনও তা নিয়ে মোদি সরকারের মুখে কুলুপ। নোটবন্দি করে দেশের মানুষের কতটুকু উপকার হল? তারও জবাব মেলেনি। নির্বাচনী বন্ড নিয়েও কোনও উত্তর শোনা যায়নি। পুরোটাই চলছে জুমলাবাজি দিয়ে। মোদির যোগ্য উত্তরসূরি হিসাবে চুপ করে থাকার ধর্ম পালন করে চলেছেন যোগী আদিত্যনাথও। তিনি আবার স্বপ্ন দেখছেন, মোদির পর তাঁর কুর্সি দখল করবেন। কুম্ভমেলায় পুণ্যার্থীরা বলছেন, গোরু নিয়ে যোগীর যেটুকু মমত্ব, তা যদি মৃত ধর্মপ্রাণ মানুষগুলির প্রতি দেখাতেন, তাহলে তাঁদের এই দুর্দশা হতো না।   
সরকার তথ্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পুরোপুরি সফল হতে পারেনি। প্রয়াগে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে যোগী সরকারের অপদার্থতায় পদপিষ্ট হয়ে অন্তত দুশো মানুষের মৃত্যুর খবর। এছাড়া দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ। মেলায়, হাসপাতালে, মর্গের সামনে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। ছবি হাতে তাঁরা তাঁদের নিখোঁজ আত্মীয়স্বজনদের খুঁজে চলেছেন। একদিন আশা ছেড়ে তাঁরা সকলেই যে যাঁর বাড়ি ফিরে যাবেন। পিছনে ফেলে রেখে যাবেন এক ডরপুক সরকারের বিরুদ্ধে চরম ঘৃণা ও অভিশাপ। 
হ্যাঁ, ডরপুক সরকার। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের অনেকের আত্মীয়কেই মুচলেকায় সই করিয়ে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম করা হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটও মেলেনি। কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা চাপা দিতে কী নির্মম, নিষ্ঠুর প্রয়াস। ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের কী চমৎকার পদক্ষেপ! মোদির মতো যোগী সরকারও বারবার তথ্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ২০১৭ সালে ২ সেপ্টেম্বর সেই নির্মম ঘটনার কথা মানুষ ভুলে যাননি। গোরক্ষপুরের শিশু হাসপাতালে একদিনে ৬৩ জন সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছিল যোগী সরকারের অপদার্থতায়। হাসপাতালে অক্সিজেন সাপ্লাইকারী সংস্থা দীর্ঘদিন তাদের বকেয়া টাকা পায়নি। সেই টাকার পরিমাণ ছিল ৬৮ লক্ষ টাকা। সেই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যোগীর ভূমিকা যথার্থ ছিল না। তাঁর ভূমিকা যথার্থ ছিল না হাতরাসে দলিত ধর্ষণের ঘটনায়, উন্নাওয়ের ঘটনাতেও। এমনকী অযোধ্যার মতো তীর্থস্থানে নৃশংসভাবে দলিত কন্যাকে ধর্ষণ করার ঘটনাতেও তিনি গা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
কুম্ভে স্নান খুবই পবিত্র এক স্নান বলে ধর্মীয় মানুষের বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসের আর অবশিষ্ট রইল কোথায়? কুম্ভ হয়ে উঠল মৃত্যুপুরী! কয়েকজন বলে বসলেন, ‘কুম্ভে এসে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মোক্ষলাভ হল’। কী নির্মম, জঘন্য এবং মৌলবাদী যুক্তি। যাঁরা এমন অশিক্ষিতের মতো কথা বলছেন, তাঁরা নিজেরাই তো মানুষের পায়ের তলায় গড়াগড়ি দিয়ে মৃত্যবরণ করে সস্তায় মোক্ষলাভের ভিসা জোগাড় করতে পারেন। হায়রে ধর্ম! আসলে সব ধর্মের মৌলবাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এই নির্বুদ্ধিতা। 
অথচ এই প্রয়াগ, এই সঙ্গম কত পবিত্র স্থান। আমাদের দেশে প্রাচীন কাল থেকে এই জায়গাটিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মেনে আসা হচ্ছে। পুরাণে কিংবা ইতিহাসে বারবার এসেছে প্রয়াগ প্রসঙ্গ। সমুদ্র মন্থনে উদ্ভুত অমৃত নিয়ে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে বারোদিন ধরে লড়াই চলে। বিষ্ণু মোহিনীরূপ ধারণ করে সেই অমৃত নিয়ে পালানোর সময় অমৃতকুম্ভ থেকে চার ফোঁটা অমৃত পৃথিবীর চার জায়গায় পড়েছিল। এই স্থানগুলি হল প্রয়াগ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী ও নাসিক। মনে করা হয়, আদিগুরু শঙ্করাচার্য পুরাণের সেই কাহিনিকে স্মরণ করে কুম্ভমেলার প্রচলন করেন। ঋগ্বেদে প্রয়াগের উল্লেখ আছে। তুলসীদাসের ‘রামচরিতমানস’-এ প্রয়াগের কথা পাওয়া যায়। 
শুধু পুরাণ নয়, ইতিহাসেও প্রয়াগের কথা বারবার এসেছে। চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং লিখে গিয়েছেন প্রয়াগে রাজা হর্ষবর্ধনের দান-ধ্যানের কথা। ‘আইনি আকবরি’তে প্রয়াগকে বলা হয়েছে ‘হিন্দুদের তীর্থস্থানের রাজা’।  এছাড়া কামা ম্যাকলিন, জেমস লোৎসফেল্ড সহ বেশ কয়েকজন বিদেশি প্রয়াগ ও কুম্ভ নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা লিখে গিয়েছেন। ইতিহাসের পরিক্রমণে এই পথে  গিয়েছেন বুদ্ধদেব, মেগাস্থিনিস, ফা হিয়েন, সমুদ্রগুপ্ত, মুঘল বাহিনী। এক সময় এই প্রয়াগের নাম ছিল বৎসদেশ। তার রাজধানী ছিল কৌশাম্বী। পরে আকবর এই শহরের নাম দিলে ইলাহাবাস। শাহজাহান এসে সেটা বদলে রাখেন ইলাহাবাদ। ১৮৯৫ সালে মার্কিন লেখক মার্ক টোয়েনও এসেছিলেন কুম্ভমেলায়। কিন্তু সেই কুম্ভের সঙ্গে এই কুম্ভের পার্থক্য অনেক। যোগীজি ধর্মের সাইনবোর্ডের আড়ালে কুম্ভকে করে তুলেছেন কর্পোরেট কুম্ভ। যেখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার মুনাফা তুলবে সরকার।
কুম্ভে দুর্ঘটনা কিন্তু এই প্রথম নয়। এর আগেও হয়েছে। বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। নিখোঁজ হয়েছেন। কিন্তু এর আগে কোনও সরকার ডরপুকের মতো সব তথ্য ছুপিয়ে ফেলার নির্মম মানসিকতা দেখায়নি। ১৯৫৪ সালে সমরেশ বসু কুম্ভমেলায় গিয়েছিলেন। তাই নিয়ে তাঁর ‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে’ উপন্যাসটি। সে বছর বিরাট দুর্ঘটনা হয়েছিল কুম্ভে। তিনি লিখেছেন, ‘চারিদিকে শুধু মৃতদেহের স্তূপ। তাকে ঘিরে রয়েছে পুলিসবাহিনী। অপরিচিত নারী ও পুরুষ কণ্ঠলগ্ন হয়ে পিষে মরেছে। শিশু চেপটে লেপটে রয়েছে মায়ের বুকে।... কিন্তু সেই স্তূপে সাধু একটিও নেই। পুলিসের কর্ডন ভেঙে মানুষ ছুটে আসতে চাইছে। খুঁজছে। বউ-মা, বাপ-ছেলে, আত্মীয়-বন্ধু, সবাইকে খুঁজছে, ডাকছে, পায়ে পড়ছে পুলিসের। একজন চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে বলছে, ‘সব মাতাল সাধুরা এদের খুন করেছে। রাজপুরুষ থেকে শুরু করে সকলের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ক্রোধ বাড়ছে।’ সত্তর বছর আগের সেই ছবিই যেন অন্যভাবে এবার ফিরে এল।  
আজ অসংখ্য অভিযোগে বিদ্ধ যোগী। তিনি একজন গেরুয়াধারী মুখ্যমন্ত্রী। তাই রাজধর্ম পালন এবং গেরুয়া বসনের মর্যাদা রক্ষা করাই তাঁর প্রধান ধর্ম হওয়া উচিত। কুম্ভমেলা ঘিরে যে হাইপ তিনি নিজেই তুলেছিলেন, তাঁর সেই অহমিকার বেলুন শত শত মৃত্যু এসে ফাটিয়ে দিয়ে গিয়েছে। কুম্ভে উন্মোচিত তাঁর ব্যর্থতা। শত শত পুণ্যার্থীর অশ্রুজলে লেখা থাকবে, যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম।
05th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
একনজরে
১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী হিংসা। তৎকালীন সময়ে দিল্লির সরস্বতী বিহারে এক বাবা ও ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ ওঠে সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে। ...

কোন সিন্ডিকেটের জন্য চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করল জেলা প্রশাসন। খাদ্যদপ্তর বিভিন্ন রাইসমিলের পাশাপাশি গোডাউনেও অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুচরো বিক্রেতাদের ...

মাঘী পূর্ণিমায় পূর্ণকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে সঙ্গমে  মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার এক মহিলার। ডুব দিয়ে তিনি উঠে আসতে পারেননি।   ...

রাজ্যে কৃষিকাজে সেচের জন্য যে পাম্প চলে, সেখানে যাতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়, তার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে রান্নার কাজে এলপিজির বদলে যাতে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার হয়, চেষ্টা চলছে তারও। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২: লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২: কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৩১: ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৬৯: পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম বাঙালি গভর্নর ও ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান
১৯৭৪ – উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ আমির খাঁর মৃত্যু
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫: কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৭ টাকা ১০৯.৮১ টাকা
ইউরো ৮৮.১৬ টাকা ৯১.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৩৫/২০ রাত্রি ৮/২২। মঘা নক্ষত্র ৩৭/১৩ রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৬ মধ্যে। 
৩০ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৭/৫২। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ৯/০। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ১০/৩৬ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৪০ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৮ মধ্যে। 
১৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিয়ালদহের ফুল বাজারে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন

11:06:00 PM

ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে মোদি এবং মাস্কের বৈঠক

10:43:00 PM

বীরভূমের হেতমপুরে একটি বাড়িতে আগুন
বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুর পঞ্চায়েতের চিৎগ্রামে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, ...বিশদ

10:22:00 PM

এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলা: দার্জিলিং আদালতে আত্মসমর্পণ বিমল গুরুংয়ের
রাজ্য পুলিসের এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ...বিশদ

10:17:00 PM

উত্তরপ্রদেশের আরালি ঘাটে চলছে আরতি

10:04:00 PM

ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের মধ্যে শুরু হয়েছে বৈঠক

09:47:00 PM