Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে। যিনি একটি অতি সাধারণ পোশাকে এসে এক একদিনে শুধু আমাদের বিপণি থেকেই পাঁচ-ছ হাজার টাকার বই কেনেন। শেষদিনে বিদায় নেবার আগে নিয়ম করে আমায় বলে যান, এ বছরের মতো আমার কেনাকাটা শেষ, আগামী বছর আবার দেখা হবে। না থাকতে পেরে আমি যখন তাঁকে শুধোই, বছরে আপনার বই কেনার বাজেট কত? তখন কিছুমাত্র না ভেবে সেই মানুষটি বলে ওঠেন দেড় থেকে দু’লাখ টাকা, তিন লাখও হয়ে যায় কোনও কোনও বছর। আমি তো দামী শাড়ি গয়না কিনি না, কিনি শুধু বই। কী করেই বা ভুলি সেই দম্পতিটিকে, যাঁরা দুধের শিশু কোলে নিয়ে সুদূর ব্যারাকপুর থেকে তিন চারদিনের ব্যবধানে পনেরো-ষোল হাজার টাকার বই কিনে ভারি ভারি ব্যাগ হাতে একগাল হাসি নিয়ে ফিরে যান নিজেদের বাড়ি...।’
আসলে কলকাতা বইমেলায় বই-পার্বণ আজ শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্তের চতুর্দশ পার্বণ। ১৯৭৬-এর ৩ মার্চ ৫৪টা স্টল নিয়ে বিড়লা তারামণ্ডলের উল্টোদিকে ছোট মাঠটায় যে বইমেলা শুরু হয়েছিল তার এই ৪৯ বছরের যাত্রাটা কেমন? তথ্য বলবে ক্রমশ ফুলতে থাকাই সেই যাত্রার চরিত্র। ৪৯ বছর ধরে বইমেলা মানে দৃশ্যটা একই। চারদিকে কাতারে কাতারে মানুষ। চলেছে যে যার গন্তব্যের দিকে। গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছে অভীষ্ট স্টলের লাইনে। হাতে ম্যাপ। পাবলিশারদের ক্যাটালগ বা লিখে আনা বইয়ের উইশলিস্ট। মায়ের আঁচল ধরা খুদেদের চোখ তখন টিনটিন কিংবা নন্টে-ফন্টের দিকে। স্টলের গায়ে বুক উঁচিয়ে হাঁদা-ভোঁদা কিংবা বাঁটুলের কীর্তি। আর ফেমাস রথী মহারথীর সম্ভার। স্টলে স্টলে ম্যাজিক, ভেন্ট্রিলোক্যুইস্ট, বল ছুড়ুন প্রাইজ পান, টিপ করুন প্রাইজ পান। কোথাও লেখককে ঘিরে ফ্যান। কোথাও ফ্যানের সঙ্গে ফলোয়ার। এদিকে সুলেখা কালির সম্ভার তো ওদিকে ফ্রি গিফট বলে বিলোনো বাইবেল। তারই মধ্যেও আঁতাত আছে। মিছিল আছে। স্লোগান আছে। রাজনীতির কথা আছে। আর আছে বহুদিন পর দেখা হয়ে যাওয়া। অনেকের সঙ্গে প্রথম আন্তরিকতা। আছে বড় সেলেব লেখক নিয়ে হুটোপুটি। মেজ সেলেব লেখকদের সই সংগ্রহ। ছোট সেলেব লেখকদের কূটকাচালি। আর হাজার হাজার পাঠক। যেন এই পুণ্যভূমির ধুলো মেখে নেওয়ার শেষ সুযোগ। বইমেলা মানেই পাঠকের মুক্তাঞ্চল, বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী। হয়তো তাই ‘থিম কান্ট্রি’ জার্মানির রাষ্ট্রদূত ফিলিপ আকারমান বলেছেন, বইমেলা ‘বাঙালি ঘরানার কুম্ভমেলা’। ঠিক তাই— ওখানে পুণ্য অর্জিত হয়, এখানে জ্ঞান। 
এই জ্ঞান বিকোতেই প্রকাশকরা আজ হিমশিম। পাঠকের চাহিদা বুঝতে রীতিমতো গবেষণায় নামতে হয় তাঁদেরও। এক প্রকাশক তো বলেই ফেলেছিলেন, এই নতুন জগতের একটি বড় অংশ জেনারেশন-জি এবং ৪০-এর নীচের বয়সি মিলেনিয়ালদের বোঝাই কঠিন। তাঁদের চাহিদা, মনোজগৎ ছুঁতে গেলে 
হয়তো সাহিত্যজগৎ থেকেই ছিটকে যেতে হবে। আসলে গত কয়েক বছরে ওটিটি মঞ্চে হাতে হাতে সিরিজ, সিনেমা দেখার চল বেড়েছে। মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্তের কাছে দু-তিনটে ওটিটির সাবস্ক্রিপশন আর টেলিগ্রামের হরেক চ্যানেলে পাওয়া বিভিন্ন সিরিজ, সিনেমা তো আছেই। প্রায় ৯০ শতাংশ সিরিজ, সিনেমার বিষয়বস্তু থ্রিলার— খুন, একের পর এক খুন, ডাকাতি, রাহাজানি, ঘিনঘিনে অপরাধ, দাবাং পুলিস, ভূতুড়ে অভিশাপ ইত্যাদি। এর বাইরে আর কিছু নেই। সেই দর্শকরাই তো দলে দলে বইমেলায় আসছেন। বেড়ে যাওয়া থ্রিলার-খিদে আর স্ক্রুয়ের থেকেও প্যাঁচালো টুইস্টের পোঁচ লাগানো হরর-থ্রিলারের খিদের জোগান দিতে লেখক-প্রকাশক মুখিয়ে রয়েছেন। উপন্যাসের আখ্যান ধর্ম যেন ওটিটি-সিরিজের পর্ব ভাগ মেনে চলে এবং সম্ভাব্য অডিও-স্টোরির মারকাটারি ‘কন্টেন্ট’ হয়ে উঠতে পারে, লেখকও সেই ব্যাপারে খুবই সচেতন। কোনও কোনও স্টল তো সাজানোই হয় ভৌতিক পরিবেশের আঙ্গিকে। যাকে সবাই বলে ‘থিম’। এইসব বীভৎস হরর আর লোমখাড়া থ্রিলারে মোড়া বইমেলার সন্ধ্যায় শিহরন জাগে বইকি!
বইমেলা বাঙালিকে চেনার হাতছানিও। আশ্চর্য ভাষার মানুষ বাঙালি— যাঁরা যত ক্ষমতাশালী বা ধনীই হোন না কেন, যত বড় নেতা নেত্রী মন্ত্রী আমলা, যত বড় সাধক, গায়ক, নায়ক, বিজ্ঞানী, খেলোয়াড়ই হন, তাঁর লেখা যদি কোনও বই না থাকে বইমেলায়, তাঁর সমস্ত জীবন যেন এক লহমায় মনে হতেই পারে সম্পূর্ণ অর্থহীন। অনেকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন একদিন তিনি থাকবেন না, কিন্তু বইটি তো থেকে যাবে। ইহজীবনে সে বইয়ের সাফল্য জুটুক বা না জুটুক। লেখক জানেন, আজকের দুনিয়ায় কমেন্ট আর সেলফি আর সইমাখা বইয়ের ‘রিচ’ বেশি। এই ‘রিচ’ অতি বিষম বস্তু। ‘রিচ’ অর্থে সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা বন্ধুতালিকার কতজনের কাছে নিজেকে বিজ্ঞাপিত করা গেল। বইমেলার ভিড়ে ‘রিচকামী’ হতে হয়, নইলে ভিড়ে হারিয়ে যেতে হয়।
‘বেস্টসেলার’ বইয়ে ছেয়ে যাওয়া বইমেলায় বিগত কয়েক বছরে ইতিহাস আর ধর্ম, ইতিহাস আর বিশ্বাসকে গোঁজামিলে চুবিয়ে পাঠক মগজে ঠুসে দেওয়ার চেষ্টাটা বেশ চোখে পড়ার মতো। ফেসবুকের বইয়ের গ্রুপগুলিতে ‘তান্ত্রিক থ্রিলার’, তন্ত্রকাহিনির চাহিদা-জোগানের বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। ‘তারানাথ তান্ত্রিক’-এর পাঠপ্রিয়তা বিগত কয়েক বছরে হঠাৎ পুনর্জাগরিত হয়েছে এবং কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের কয়েক শতাব্দী পুরনো ‘তন্ত্রসার’ খুঁচিয়ে তুলে বাংলা সাহিত্যকে গ্রাস করার চেষ্টা চলছে। নিষিদ্ধ ও গুপ্ত বস্তু/পদ্ধতির প্রতি সব বয়সের মানুষেরই আগ্রহ থাকে। তবে, ধর্মের সর্বগ্রাসী গতিপথ যখন রীতি-সংস্কৃতি-ইতিহাস-মিথ-সাহিত্য সবকিছুকেই গিলে নিতে চায়, তখন ওই আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। পাঠক ‘খায়’ বলে বাজারও ‘খায়’, আর প্রকাশকরাও তন্ত্র-গুণিন-ধর্ম-রোমাঞ্চ-মিথ্যে মিশিয়ে বই নিয়ে হাজির। গেরুয়া শিবিরের অনেক ল্যাজ-প্রতিষ্ঠান হিন্দুত্ববাদের পুনরুত্থানের জন্যে বিশ্বাস, গালগল্পের রসদ জুগিয়েই চলেছে। বিশ্বাসে কোনও প্রমাণ লাগে না, ধর্মীয় প্রচারে কোনও বিজ্ঞান খাটে না। গুজবে গুজবে ছড়িয়ে যায়, যদি তা উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে হয় তাহলে তো কথাই নেই। কারণ, উপন্যাসের বা ফিকশনের কিছু প্রমাণের দায় নেই। অথচ সংখ্যাগুরু মতামতকে উস্কে দেওয়া যায়। 
আজ থেকে কুড়ি বছর আগেও লেখক-প্রতি যতজন পাঠক ছিল, সেই সমীকরণ আজ আর নেই, বরং ফাঁকটা এতটাই কমে গিয়েছে যে, পাঠক-লেখক অনুপাতটা প্রায় সমান-সমান হয়ে গিয়েছে। এতে একশ্রেণির প্রকাশকের হয়েছে মস্ত লাভ। প্রকাশকদের একাংশ বছরভর যতই শুকনো কথা শোনান না কেন, বইয়ের বাজার এক বিপুল সম্ভাবনার মুখে দাঁড়িয়ে। বইমেলায় পা রাখলেই তা টের পাওয়া যায়। একটা সাদামাটা হিসেব দিই— তিরিশ লক্ষ পাঠক যদি মাসে একশো টাকার ননটেক্সট-বই কেনেন তাহলে তা হয় মাসে তিরিশ কোটি। বছরে সাড়ে তিনশো কোটির উপর। এবং মাথায় রাখতে হবে এটি কিন্তু ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এরপরে আছে ইনস্টিটিউশনাল সংগ্রহ। সেই অঙ্কটাও কম নয়। বছরের অন্তত দেড়শো কোটির উপর। মানে বাংলা ননটেক্সট বইবাজার কমপক্ষে বছরে পাঁচশো কোটির। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের বইমেলায় ২৫ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন, ২০২৪-এর বইমেলায় তাঁর থেকে অনেক বেশি মানুষ এসেছেন। প্রায় ২৯ লক্ষের কাছাকাছি। এবং এই কয়েকদিনে মেলাপ্রাঙ্গণ থেকে বই বিক্রি হয়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকার। এ বছর নাকি সেই রেকর্ডও ভেঙে যাবে।
যতই এআইয়ের দাপট বাড়ুক না কেন, যতই বর্তমান প্রজন্ম কম্পিউটার গেমস বা অ্যাপস-এ মেতে থাকুক না কেন, তাঁরা বইও পড়ছেন— এটা প্রমাণিত সত্য। কারণ, বর্তমান প্রজন্ম যদি বই-এর জগতে প্রবেশ না করত তাহলে বইয়ের বিক্রি এই হারে বাড়ত না। বইমেলায় গিয়ে পেল্লায় সব লাইনে দাঁড়িয়ে বই উল্টেপাল্টে যারা দেখেনি, পাঁজরা ভরে নতুন বইয়ের গন্ধ যারা নেয়নি, মানিব্যাগ এমনকী স্যালারি অ্যাকাউন্ট অবধি ফাঁকা করে গুচ্ছের বই বাড়ি এনে যারা বৌয়ের বকুনি খায়নি, তারা আর যাই হোক, বাঙালি পদবাচ্য হতে পারে না। 
বিমল মিত্রের সেই গল্পটা মনে পড়ে? ভাইঝির বিয়ে ঠিক করতে এক পণ্ডিতমশাই গিয়েছিলেন জমিদার বাড়িতে। তাঁর সব পছন্দ, তবু বিয়ে দিতে রাজি হলেন না। কারণ একটাই, এত বড় ঘর, এত বৈভব, কিন্তু ঘরে কোথাও বইয়ের চিহ্ন নেই। এটাই বাঙালির ইতিহাস। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া, দেশভাগ, অনুন্নয়ন, একদা উদ্বাস্তু সমস্যাদীর্ণ বিপুল জনসংখ্যার ভারে আজও জর্জরিত একটা জাতি, তার শেষ সামর্থ্যটুকু নিংড়ে দিয়ে যেটুকু পেরেছে, সেটুকুও কম বড় অর্জন বলা যায় না। হয়তো তাই বইমেলা আজ হয়ে উঠেছে বঙ্গের জাতীয় উৎসব। বইমেলা বাঙালিকে হাতছানি দেয়, এই সর্বব্যাপ্ত অবক্ষয়ের যুগে আজও স্বপ্ন দেখায়।
06th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
একনজরে
৫৫ বলে ৫২। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের নিরিখে মন্দের ভালো। টানা ব্যর্থতার পর অবশেষে রানে ফেরার ইঙ্গিত মিলল বিরাট কোহলির ব্যাটে। বুধবার মোতেরায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ...

কালিয়াচকের রাস্তা থেকে এক গৃহবধূকে অপহরণ! এই অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়েছে এলাকায়। শ্বশুরবাড়ির তরফে বধূকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ...

মাঘী পূর্ণিমায় পূর্ণকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে সঙ্গমে  মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার এক মহিলার। ডুব দিয়ে তিনি উঠে আসতে পারেননি।   ...

১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী হিংসা। তৎকালীন সময়ে দিল্লির সরস্বতী বিহারে এক বাবা ও ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ ওঠে সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২: লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২: কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৩১: ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৬৯: পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম বাঙালি গভর্নর ও ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান
১৯৭৪ – উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ আমির খাঁর মৃত্যু
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫: কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৭ টাকা ১০৯.৮১ টাকা
ইউরো ৮৮.১৬ টাকা ৯১.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৩৫/২০ রাত্রি ৮/২২। মঘা নক্ষত্র ৩৭/১৩ রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৬ মধ্যে। 
৩০ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৭/৫২। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ৯/০। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ১০/৩৬ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৪০ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৮ মধ্যে। 
১৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিয়ালদহের ফুল বাজারে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন

11:06:00 PM

ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে মোদি এবং মাস্কের বৈঠক

10:43:00 PM

বীরভূমের হেতমপুরে একটি বাড়িতে আগুন
বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুর পঞ্চায়েতের চিৎগ্রামে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, ...বিশদ

10:22:00 PM

এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলা: দার্জিলিং আদালতে আত্মসমর্পণ বিমল গুরুংয়ের
রাজ্য পুলিসের এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ...বিশদ

10:17:00 PM

উত্তরপ্রদেশের আরালি ঘাটে চলছে আরতি

10:04:00 PM

ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের মধ্যে শুরু হয়েছে বৈঠক

09:47:00 PM