Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

চিড়িয়াখানা ১৫০

সার্ধশতবর্ষ উদ্‌যাপন শুরু হয়েছে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। শীতের মরশুমে পশু-পাখির খাঁচার সামনে কচিকাঁচাদের ভিড় উপচে পড়ছে। তার মধ্যেই চিড়িয়াখানা ঘুরে এসে লিখলেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়।
 
বুলবুল পাখি ময়না টিয়ে
আয় না যা না গান শুনিয়ে...’
হ‍্যাঁ, গান শোনাবে তো! শুধু বুলবুল-ময়না-টিয়া কেন? সেইসঙ্গে থাকবে তোতা-ম‍্যাকাও-ফেজাল্ট-ময়ূর-সাদা ময়ূর আরও কত নাম না জানা পাখির দল! কিন্তু তাদের দেখা পাওয়ার জন্য যে তোমাদের এই শীতের রোদ্দুর গায়ে মেখে সটান চলে আসতে হবে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। গোটা বছর বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকলেও আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত শীতের মরশুমে প্রতিদিনই খোলা থাকছে চিড়িয়াখানা। সময়সীমা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা। টিকিটের দাম মাথাপিছু ৫০ টাকা। তবে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের লাগবে ২০ টাকা। আছে অনলাইনে টিকিট কাটার ব‍্যবস্থাও।
এ বছর আলিপুর চিড়িয়াখানা দেড়শো বছরে পদার্পণ করল। ১৮০০ সাল নাগাদ ব্রিটিশ ভারতের তদানীন্তন গর্ভনর জেনারেল রিচার্ড ওয়েলেসলি তাঁর বাসভবনে গড়ে তুলেছিলেন একটি ব‍্যক্তিগত পশু উদ‍্যান। এই সেই ওয়েলেসলি, যিনি অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রচলন করার জন্য ইতিহাসে কুখ্যাত হয়ে আছেন। যাইহোক, বিশিষ্ট স্কটিশ চিকিৎসক তথা প্রাণীতত্ত্ববিদ ফ্রান্সিস বুকানন হ‍্যামিলটন এইসব পশুদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পান। পরবর্তীকালে এটিকে বিধিবদ্ধ চিড়িয়াখানার রূপ দেওয়ার কথা ভাবতে থাকে ব্রিটিশ সরকার। ১৮৪২ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি মিউজিয়ামের কিউরেটর ডঃ জন ম‍্যাকল‍্যান্ড কলকাতায় জুলজিক্যাল গার্ডেন তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তখন তা কার্যকর করা যায়নি। ১৮৭৩ সালে লেফটেন্যান্ট গর্ভনর স‍্যার রিচার্ড টেম্পল কলকাতায় একটি চিড়িয়াখানা স্থাপনের প্রস্তাব দেন। ১৮৭৬ সালের ১ জানুয়ারি প্রিন্স অব ওয়েলস সপ্তম এডওয়ার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে আলিপুরে চিড়িয়াখানার উদ্বোধন করেন। ১৮৭৬ সালের ৬ মে চিড়িয়াখানার দরজা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন মানুষের ব‍্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা পশুপাখি এখানে রেখে শুরু হয় এর পথচলা। ১৮৮৬ সালের প্রথম দিকে বারাকপুর পার্কের পশুগুলিকে এখানে নিয়ে আসার ফলে আলিপুর চিড়িয়াখানা আরও সমৃদ্ধ হয়। ময়মনসিংহের রাজা সূর্যকান্ত আচার্য ও মহীশূরের রাজা চতুর্থ কৃষ্ণরাজ তাঁদের পশু-উদ‍্যান থেকেও অনেক পশু দান করেছিলেন এখানে। প্রথম দিকে যে সাম্মানিক ম‍্যানেজিং কমিটি এই চিড়িয়াখানা চালাত, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন বিখ্যাত উদ্ভিদবিদ জর্জ কিং। আলিপুর চিড়িয়াখানার প্রথম ভারতীয় সুপারিনটেনডেন্ট হন রায় বাহাদুর রামব্রহ্ম সান‍্যাল (১৮৮৫-১৯০৪)। চিড়িয়াখানার ভেতরে দেখতে পাবে তাঁর আবক্ষ মূর্তি।
চিড়িয়াখানার মূল দরজাটি সাজানো পাথরের বাঘ-হাতি-জিরাফ-গন্ডারের মূর্তি দিয়ে। চিড়িয়াখানার পুরো এলাকাটির আয়তন ৪৭ একর। যা দেখতে সময় লেগে যাবে তিন থেকে চার ঘণ্টা। ঢুকতেই মাঝখানে রেলিং ঘেরা মাঠের ওপর রয়েছে সবুজ ঘাস দিয়ে তৈরি জিরাফ আর হাতির বিশাল মূর্তি। রাস্তার একধারে আছে তির চিহ্ন আঁকা বোর্ড। তাতে নির্দেশ দেওয়া আছে বিভিন্ন পশুপক্ষীদের ডেরার। রয়েছে মস্ত বড় একটা ম‍্যাপ, পুরো চিড়িয়াখানায় কোথায় কী আছে তার বিবরণ সমেত। কয়েকটা বিষয় কিন্তু প্রথমেই মাথায় রেখ, যেমন, কোনওভাবেই যেন পশু ও পাখিরা তোমার কোনও কাজে বিরক্ত না হয়। আর বাইরের কোনও খাবার ওদের যেন খাওয়ানোর চেষ্টা কর না।
চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন খাবারের স্টল রয়েছে ‘ফুড কোর্ট’-এ। এছাড়াও বাড়ি থেকে তৈরি করা খাবার এনেও এখানে বসে খেতে পার। তবে খাওয়ার পর থালা-গ্লাস-প‍্যাকেট-বোতল ইত্যাদি নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলে দিতে ভুলো না যেন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে নোংরা করা কিন্তু মোটেই চলবে না।
চিড়িয়াখানার এবারের নতুন আকর্ষণ ‘ওয়াক-ইন-অ‍্যাভিয়ারি’। দু’পাশে এবং মাথার ওপর কাচ দেওয়া একটা পাথর বাঁধানো টানেল দিয়ে হেঁটে গেলেই দেখতে পাবে তোমার দু’পাশে উড়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ঝাঁক! তাদের কিচিরমিচির আর হুটোপুটির মাঝখান দিয়েই কিন্তু হেঁটে যেতে হবে। পাখিরা চারপাশে উড়ে বেড়াবে, আর তুমি থাকবে খাঁচার ভেতরে! কী? কেমন মজা?
এবার চল অন‍্যান‍্য পশুদের দেখতে। কাচের দেওয়ালের ওপারে বিশাল চত্বরে পরপর দেখতে  পাবে রয়‍্যাল বেঙ্গল টাইগার, জাগুয়ার, শিম্পাঞ্জি, ক‍্যাঙারু, হায়না, নীলগাই, ভল্লুক, বুনো কুকুর, বনবেড়াল, মেছোবেড়াল, খ‍্যাঁকশেয়াল, শ্লথ বিয়ার আরও কত কী! আবার কখনও দেখতে পাবে জলাশয়ের পাথর বাঁধানো পাড়ের ওপর সারি সারি কুমির শুয়ে রোদ পোয়াচ্ছে! রয়েছে নানান প্রজাতির হরিণ— কৃষ্ণসার হরিণ, মণিপুরী নাচুনী হরিণ, চৌশিঙা হরিণ, বার্কিং ডিয়ার ও আরও অনেকরকম। মণিপুরী নাচুনী হরিণদের বিশেষত্ব হল, প্রতিবছর এদের শিংগুলো খুলে পড়ে যায়। আবার সেখান থেকেই পরের বছর নতুন শিং গজায়!
নতুন ধরনের একরকম  পাখি চোখে পড়ল, যেগুলো উড়তে পারে না! নাম ক‍্যাসোয়ারি। এদের বাসস্থান ওশিয়ানিয়ার নিউগিনি। এরা ফল আর গাছের পাতা খায়। শুধু পাখি নয়, এখানে এলে দেখা পাবে নতুন ধরনের পশুরও, যার কথা হয়তো তোমরা বইতে পড়েছ। যেমন— আলপাকা। দক্ষিণ আমেরিকার উট শ্রেণির একটি স্তন‍্যপায়ী প্রাণী এটি। অনেকটা দক্ষিণ আমেরিকার ‘লামা’র মতো। এদের উলের খুব চাহিদা। উটের মতোই তিনকক্ষ বিশিষ্ট পাকস্থলী থাকে এদেরও। খড় আর ঘাস হল এদের খাদ‍্য। এছাড়া আছে অস্ট্রেলিয়ার এমু পাখি। এরাও উড়তে অক্ষম। তবে, ঘণ্টায় পঞ্চাশ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে এই এমু। পারে সাঁতার কাটতেও। বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ আর পোকামাকড় হল এদের খাদ‍্য। 
আলিপুর চিড়িয়াখানার বরাবরের বিশেষত্ব হল এখানকার সাদা বাঘ। এখানে অনেকগুলো সাদা বাঘের দেখা পাওয়া গেল। নিজস্ব ‘ডেন’-এ সিংহ-সিংহীর জোরকদম পায়চারিও নজরে পড়ল। বিশাল জলাশয়ে একশৃঙ্গ গন্ডার ও জলহস্তীও পুরনো ঐতিহ্য মেনে রয়েছে। ছোটবড় নানান মাপের হাতির দল দিব‍্যি খোশমেজাজে ঘুরে বেড়াচ্ছে দেখতে পাবে। নিজের এনক্লোজারে দুটো জেব্রাকে ছুটোছুটি করতে দেখলাম। আবার জিরাফের এনক্লোজারে দেখলাম, প্রাণীগুলি লম্বা গলা বাড়িয়ে গাছের মগডাল থেকে পাতা ছিঁড়ে খেতে ব‍্যস্ত!
একসময় এই চিড়িয়াখানায় আড়াইশো বছর বয়সের ‘অদ্বৈত’ নামক কচ্ছপটি বাস করত। অদ্বৈত বেঁচে না থাকলেও এখানে বিভিন্ন সাইজের অনেকগুলো  কচ্ছপ রয়েছে। প্রত‍্যেক পশুপাখিদের এনক্লোজারের সামনে বোর্ডে ছবি সহ সেই পশুপাখিদের নাম, দেশ, খাদ‍্যতালিকাও দেওয়া আছে। সুতরাং  দেখতে দেখতে তোমাদের শেখাও হয়ে যাবে! পশুপাখি তো অনেক দেখা হল, এবার চল যাই ‘ সরীসৃপ ভবন’-এ। আলাদা এই ভবনে কাচের এনক্লোজারের ভেতরে রয়েছে সারি সারি সাপ! তাদের কেউ কেউ বিষধর, কেউ আবার নির্বিষ। বোর্ডে লেখা রয়েছে তাদের নাম— ইয়েলো অ‍্যানাকোন্ডা, বল্ পাইথন, লাউডগা, কেউটে, বার্মিজ পাইথন, দাঁড়াস, গোসাপ আরও কত জানা-অজানা সাপ! কেউ নড়েচড়ে বেড়াচ্ছে, আবার কেউ চুপচাপ শুয়ে রয়েছে। সরীসৃপ ভবনের থেকে একটু এগলেই আছে একটা বিশাল প‍্যাঁচার মূর্তি! তার পেটের ভেতর আছে নক্টারনাল হোম। প‍্যাঁচার মতো নিশাচর প্রাণীদের আবাসস্থল।
আলিপুর চিড়িয়াখানা হল এমন এক জায়গা যেখানে জল-স্থল-অন্তরীক্ষ তিন দিকের বাসিন্দারই দেখা পাওয়া যায়। তাই চিড়িয়াখানা সংলগ্ন অ‍্যাকোরিয়ামটা দেখতে ভুলো না যেন আবার! ওখানে কাচের ভেতর রয়েছে নানান প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। দেখতে দেখতে মনে মনে পৌঁছে যাবে জলের নীচের রাজত্বে! একটা কারণে মনটা খারাপ হয়ে গেল! আগে শীতকালে চিড়িয়াখানার ঝিল ভরে থাকত পরিযায়ী পাখির ঝাঁকে, সেই ঝিল এখন শূন্য পড়ে রয়েছে তাদের আসার প্রতীক্ষায়। কিন্তু একটা পরিযায়ী পাখিও আসেনি! সবটাই হল উষ্ণায়নের কুফল! স‍্যুভিনির শপ থেকে চিড়িয়াখানার ‘মেমেন্টো’ অবশ্যই নিয়ে নিও! পাবে বাঘ-সিংহ-হাতি-শিম্পাঞ্জির মুখোশ! জন্তু-জানোয়ারের ছবি দেওয়া কফি মাগ, চাবির রিং, টিশার্ট, পেন্সিল, ইরেজার আরও কত কিছু!
তাহলে, আর দেরি কেন! দেড়শো বছরের আলিপুর চিড়িয়াখানা ঝটপট দেখে এসো!
19th  January, 2025
রঙিন ঝাঁঝরি

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

09th  February, 2025
টাকার মিউজিয়ামে ঢুঁ

কিছু কিনতে গেলেই লাগে টাকা। ভারতের টাকার ইতিহাস আর বিভিন্ন দেশের মুদ্রা সম্বন্ধে জানতে হলে যাওয়াই যায় 
কলকাতার আরবিআই মিউজিয়ামে। অভিনব এই সংগ্রহশালা ঘুরে এসে লিখলেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়।
বিশদ

09th  February, 2025
বাগধারার রহস্য

বাংলা ভাষায় রয়েছে অসংখ্য বাগধারা বা প্রবাদ প্রবচন। আভিধানিক অর্থ নয়, বিশেষ অর্থে এগুলি ব্যবহার করা হয়। কীভাবে এল এই বাগধারাগুলি? তারই কারণ খোঁজা হল।
বিশদ

09th  February, 2025
ঠাকুরবাড়ির সরস্বতী পুজো

আমাদের বাড়ির বাগানে একটা লটকানো গাছ ছিল। আমরা তার ফল কুড়িয়ে এনে শুকিয়ে রাখতুম। সরস্বতীপুজোর সময় কাপড় রং-করা হতো। শিউলি ফুলের বোঁটা শুকিয়েও সুন্দর বাসন্তী রং হতো।
বিশদ

02nd  February, 2025
বনের রাজা

মধু ওঁরাওয়ের একটা হাতি আছে। যেমন তেমন হাতি নয়। কালাপাহাড়ের মতো বিশাল তার চেহারা, লম্বা দুটো দাঁত। কানদুটো ধামার মতো। মধু তার নাম দিয়েছে মুংলি।    
বিশদ

02nd  February, 2025
প্রাণীজগতের কুম্ভকর্ণ

কী কুম্ভকর্ণ রে বাবা! ঘুমকাতুরেদের এমন ঠাট্টা মাঝেমধ্যেই সহ্য করতে হয়। রামায়ণের চরিত্র কুম্ভকর্ণ নাকি টানা ছ’মাস ঘুমোতেন। আর তারপর এক মাস জেগে থেকে ফের নিদ্রা। লঙ্কাধিপতি রাবণের ভাইয়ের এই কাহিনি তো সবারই জানা। প্রাণীকুলেও এমন অনেকেই রয়েছে, যারা কুম্ভকর্ণকে কিছুটা লড়াইয়ে ফেলে দিতে পারে।
বিশদ

02nd  February, 2025
মুক্তির মন্দির সোপানতলে...

আজ সাধারণতন্ত্র দিবস। ১৯৫০ সালে আজকের দিনেই কার্যকর করা হয়েছিল স্বাধীন ভারতের সংবিধান। দেশ স্বাধীন করতে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁদের স্মরণ করল যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্রছাত্রীরা।
বিশদ

26th  January, 2025
আমাজন নদীতে    কোনও সেতু নেই কেন? 

ইংল্যান্ডের টেমস নদীর উপর রয়েছে একটি বিখ্যাত সেতু। ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ। কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ ঘুমন্ত লন্ডন শহরকে দেখতেন সেই ব্রিজের উপর থেকে।
বিশদ

26th  January, 2025
বার্ষিক অনুষ্ঠান

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই শিশুর মধ্যে নিজের সংস্কৃতি সম্বন্ধে ধারণা জন্মায়। দিল্লি পাবলিক স্কুল (জোকা) সাউথ কলকাতাও ঠিক এই লক্ষ্য নিয়েই সারা বছর নানারকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
বিশদ

26th  January, 2025
ওয়াল প্লেট

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

26th  January, 2025
প্রতিকণা উল্টো পথের পথিক
স্বরূপ কুলভী

আমাদের মহাবিশ্বে নানা ধরনের পদার্থ রয়েছে। এর বাইরেও এমন কিছু রয়েছে, যা চোখে দেখা যায় না। অথচ তার শক্তি এতটাই বেশি যে, সবকিছু পাল্টে দিতে পারে। ছোট্ট বন্ধুরা, ওই প্রবল শক্তি হল অ্যান্টি ম্যাটার বা প্রতি পদার্থ। একে প্রতি কণাও বলা যেতে পারে। বিশদ

19th  January, 2025
শীতের আনন্দ: কোচবিহার রামভোলা হাই স্কুল

ভারত স্বাধীন হতে তখনও কয়েক বছর বাকি। দেশীয় রাজ্য অর্থাৎ প্রিন্সলি স্টেট কোচবিহার। জ্ঞানচর্চা, খেলাধুলোয় তখন কোচবিহারের নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই রকম একটা সময়ে ১৯৪১ সালে গুঞ্জবাড়িতে স্থাপিত হয় কোচবিহার রামভোলা হাই স্কুল। বিশদ

19th  January, 2025
তোমাদের বিবেকানন্দ

আজ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। অসম্ভব মানসিক দৃঢ়তায় তিনি জয় করেছেন যেকোনও প্রতিকূলতাকে। তাঁর জীবন ছাত্রছাত্রীদের কাছে শিক্ষণীয়। স্বামীজির জীবনের কিছু ঘটনা ছোট্ট বন্ধুদের জন্য তুলে ধরলেন সায়ন্তন মজুমদার।
বিশদ

12th  January, 2025
কাচের মোমদানি

ছোট্ট বন্ধুরা, চল আজ কাচের বোতল দিয়ে অন্য ধরনের একটা হাতের কাজ শিখি। ডিজাইনার বিদিশা বসু বললেন বাচ্চাদের ছোটখাট কাজের মধ্যে দিয়েই নানারকম জিনিস শেখানো যায়। তাই হাতের কাজ শেখার মাধ্যমে তারা অন্য অনেক কিছুই শিখতে পারে। বিশদ

12th  January, 2025
একনজরে
মাঘী পূর্ণিমায় পূর্ণকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে সঙ্গমে  মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার এক মহিলার। ডুব দিয়ে তিনি উঠে আসতে পারেননি।   ...

১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী হিংসা। তৎকালীন সময়ে দিল্লির সরস্বতী বিহারে এক বাবা ও ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ ওঠে সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে। ...

কালিয়াচকের রাস্তা থেকে এক গৃহবধূকে অপহরণ! এই অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়েছে এলাকায়। শ্বশুরবাড়ির তরফে বধূকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ...

কোন সিন্ডিকেটের জন্য চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করল জেলা প্রশাসন। খাদ্যদপ্তর বিভিন্ন রাইসমিলের পাশাপাশি গোডাউনেও অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুচরো বিক্রেতাদের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২: লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২: কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৩১: ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৬৯: পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম বাঙালি গভর্নর ও ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান
১৯৭৪ – উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ আমির খাঁর মৃত্যু
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫: কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৭ টাকা ১০৯.৮১ টাকা
ইউরো ৮৮.১৬ টাকা ৯১.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৩৫/২০ রাত্রি ৮/২২। মঘা নক্ষত্র ৩৭/১৩ রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৬ মধ্যে। 
৩০ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৭/৫২। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ৯/০। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ১০/৩৬ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৪০ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৮ মধ্যে। 
১৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিয়ালদহের ফুল বাজারে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন

11:06:00 PM

ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে মোদি এবং মাস্কের বৈঠক

10:43:00 PM

বীরভূমের হেতমপুরে একটি বাড়িতে আগুন
বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুর পঞ্চায়েতের চিৎগ্রামে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, ...বিশদ

10:22:00 PM

এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলা: দার্জিলিং আদালতে আত্মসমর্পণ বিমল গুরুংয়ের
রাজ্য পুলিসের এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ...বিশদ

10:17:00 PM

উত্তরপ্রদেশের আরালি ঘাটে চলছে আরতি

10:04:00 PM

ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের মধ্যে শুরু হয়েছে বৈঠক

09:47:00 PM