Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

চাঁদের মাটি  ফিরবে ভারতে

চন্দ্রযান-৩-এর অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার ভারতের পাখির চোখ চন্দ্রযান-৪। এই মিশনের অন্যতম লক্ষ্য চাঁদের মাটিতে জল আছে কি না জানা। ভারতের চতুর্থ চন্দ্র অভিযানের খুঁটিনাটি জানালেন কল্যাণকুমার দে।

১৯৭৫ সালে একটি রুশ রকেটের সাহায্যে আর্যভট্ট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারতের মহাকাশ যাত্রার সূচনা হয়েছিল। ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর ভারতের চন্দ্রযান-১-এর সাফল্যে নড়েচড়ে বসেছিল বিশ্বের তাবড় দেশগুলির মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি। চাঁদের কক্ষপথের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে ভারতীয় চন্দ্রযান-১ তুলে এনেছিল তাক লাগানো বেশ কিছু অজানা তথ্য। সেই তথ্যে ভর করেই চাঁদের মাটিতে জলের অস্তিত্বের কথা অনুমান করেছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।
২০১৯-এর ২২ জুলাই ৪৮ দিনের মহাকাশ সফর শুরু করেছিল চন্দ্রযান-২। ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার পথ। হিসেবমতো সেপ্টেম্বরের শুরুতেই চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছেও গিয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা আর হয়নি। পাখির পালকের মতো নামার কথা ছিল চাঁদের বুকে। তার বদলে অবতরণের সময় গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে একরাশ হতাশা নিয়ে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছিল চন্দ্রযান-২-এর অরবিটের থেকে ছিটকে যাওয়া ল্যান্ডার ‘বিক্রম’কে। গবেষণার জন্যে বিক্রমের শরীরে তিনটি যন্ত্র বসানো হয়েছিল। সেগুলি চাঁদের আবহাওয়ায় তাপমাত্রা, ইলেকট্রনের পরিমাণ বা ঘনত্ব, চাঁদের মাটির তাপমাত্রা এবং চাঁদে ভূকম্পনের ধরন ও তীব্রতা পরীক্ষা করত।
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। চন্দ্রযান-৩ ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে ‘সফট ল্যান্ডিং’-এর মাধ্যমে অবতরণ করে। এর আগে চাঁদের বুকে সফলভাবে মহাকাশযান অবতরণ করাতে পেরেছে তিনটি দেশ। তালিকায় রয়েছে রাশিয়া, আমেরিকা ও চীন। আর চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণের দিক থেকে ভারতই হল প্রথম দেশ। এই অঞ্চলে আগে পরীক্ষানিরীক্ষা চালায়নি অন্য কোনও দেশ। চাঁদের এই অংশ অনেক বেশি রুক্ষ। এখানকার পরিবেশ মহাকাশযান অবতরণের অনুকূল নয়। রয়েছে বিশালাকার গর্ত, উঁচু পাহাড়। সূর্যের আলো পৌঁছয় না। অতিরিক্ত ঠান্ডা পরিবেশ। আর এইসব পরিস্থিতি মহাকাশযান অবতরণের প্রতিকূল। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই মিশন ছিল অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। চন্দ্রযান-৩-এর চাঁদের ল্যান্ডার যে বিন্দুতে অবতরণ করেছিল, সেটি এখন শিবশক্তি নামে পরিচিত।
চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ পদার্পণ করে ইতিহাস রচনা করেছে ভারত। এক ইতিহাস রচনা হতে না হতেই পরবর্তীর জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এবার চন্দ্রযান-৪। চন্দ্রযান-৪ মিশন হতে চলেছে যৌথ অভিযান। ভারতের সঙ্গে এই অভিযানে হাত মেলাবে জাপান। চন্দ্রযান-৪ অভিযানের জন্য জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। যৌথ উদ্যোগে ‘লুপেক্স’ (লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন) মহাকাশযানটিকে চাঁদে পাঠানো হবে। লুপেক্সেরই অন্য নাম চন্দ্রযান-৪। চাঁদের মাটিতে জল আছে কি? শুধুমাত্র এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই রওনা দেবে সেটি। বিগত কয়েক বছরে মহাকাশে নজরদারি চালাতে গিয়ে একাধিকবার চাঁদের বুকে জলের অস্তিত্বের ইঙ্গিত মিলেছে। ভবিষ্যৎ মহাকাশ অভিযানের কথা মাথায় রেখে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জরুরি। কারণ জলের খোঁজ পাওয়ার অর্থ, তাকে কাজে লাগিয়ে চাঁদের বুকে স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা সম্ভব। চন্দ্রযান-৪ সেই গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়ে রওনা দেবে। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, সেই অনুযায়ী চাঁদের মেরু অঞ্চলে জলের খোঁজ চালাবে চন্দ্রযান-৪। সেই জলের সন্ধান পাওয়া গেলে, সেই জলের গুণমান কেমন, কত পরিমাণ জল রয়েছে এবং তাকে কোন কাজে লাগানো যেতে পারে, সেই নিয়ে চলবে গবেষণা।
এর আগে একাধিক দেশের মহাকাশ গবেষণায় উঠে এসেছে চাঁদ সম্পর্কিত নানা চমকপ্রদ তথ্য। চাঁদের বুকে ৬০ হাজার কোটি কিলোগ্রাম বরফ রয়েছে, যা দিয়ে বৃহদাকার ২ লক্ষ ৪০ হাজার সুইমিং পুল ভর্তি করা সম্ভব। এই অনুমান আদৌ কতটা সঠিক, তাতে সিলমোহর দেওয়ার আগে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্যতালাশ করবে ভারত-জাপানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি চন্দ্রযান-৪। পৃথিবী থেকে কোনও উপায়ে চাঁদে জল সরবরাহ করা যায় কি না, করা গেলেও ভবিষ্যতের অভিযানের জন্য কত পরিমাণ জল বয়ে নিয়ে যেতে হবে, চাঁদের মাটি থেকেই বা কত জল তোলা যাবে, সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ এবং হিসেব-নিকেশের কাজ করবে চন্দ্রযান-৪। চাঁদের মাটিতে জল পাওয়া গেলেই হল না, সেই জল আদৌ ব্যবহারের উপযোগী কি না, কোথা থেকে তার উৎপত্তি—এসবও খতিয়ে দেখবে চন্দ্রযান-৪। জল সংরক্ষণ, প্রাণ ধারণে তার ব্যবহার, ওই জলের চালিকাশক্তিও পরখ করে দেখা হবে। এর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে চন্দ্রযান-৪ তৈরিতে।
চন্দ্রযান-৪ মহাকাশযানে থিন-ফিল্ম সোলার সেলস ব্যবহার করা হবে, যার মাধ্যমে আলোকশক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা রয়েছে। আলট্রা-হাই-এনার্জি-ডেনসিটি ব্যাটারি থাকবে যাতে রাতে বা অন্ধকার জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগে কোনও সমস্যা তৈরি হয়। চাঁদের মাটিতে দীর্ঘদিন টিকে থাকার উপযোগী করে তোলা হবে চন্দ্রযান-৪ মহাকাশযানকে।
চাঁদে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অত্যন্ত কম। তাই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে চন্দ্রগর্ভ পর্যন্ত অন্বেষণ করে দেখবে চন্দ্রযান-৪। শুধু চাঁদই নয়, চন্দ্রযান-৪ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে মঙ্গল অভিযান আরও সহজ হবে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০২৮ সালে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারে চন্দ্রযান-৪।
ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ২০২৮ সালের মিশনটি বেশ কয়েকটি ধাপে পরিচালিত হবে। চন্দ্রযান-৪-কে সফলভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে এমন একটি স্থানে অবতরণ করা হবে, যা এখনও অনাবিষ্কৃত বলে ইসরোর তরফে করা হয়েছে দাবি। তবে, বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
চাঁদের মাটি থেকে পাথর খুবলে আনবে চন্দ্রযান-৪। নমুনা সংগ্রহের পর চন্দ্রযানটিকে চাঁদের কক্ষপথে বেশ কয়েকদিন রাখা হবে। পরে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য চন্দ্রযানটিকে যুক্ত করা হবে একটি মডিউলারের সঙ্গে। মিশনের চূড়ান্ত ধাপ হচ্ছে নির্বিঘ্নে চন্দ্রযান-৪-কে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। তারপরেই চাঁদের মাটি থেকে সংগ্রহ করা পাথর সহ চাঁদের মাটি ও অন্যান্য নমুনা নিয়ে চলবে গবেষণা। জানা গেছে, নমুনা সংগ্রহের জন্য চন্দ্রযান-৪-কে চাঁদের মাটিতে ১০০ দিন রাখা হবে।
তবে চন্দ্রযান-৪ অভিযান আগের সব অভিযানের থেকে একেবারে আলাদা হতে চলেছে। কারণ চাঁদের মাটি ছোঁয়া এবং সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে আসার লক্ষ্যপূরণে পৃথকভাবে দু’দফায় মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। এর আগে ল্যান্ডার, রোভার ও প্রপালসন মডিউল— এই তিনটি অংশকে একত্রিত করে চন্দ্রযান-৩ গড়ে তোলা হয়। আরও বাড়তি দু’টি অংশ থাকছে চন্দ্রযান-৪ অভিযানের ক্ষেত্রে। সব মিলিয়ে মোট পাঁচটি অংশ প্রপালসন মডিউল, ডিসেন্ডার মডিউল, অ্যাসেন্ডার মডিউল, ট্রান্সফার মডিউল ও রি-এন্ট্রি মডিউল।
চন্দ্রযান-৪ মিশন দু’টি ধাপে সম্পাদিত হবে। প্রথম ধাপে ভারতের সবচেয়ে ভারী রকেট, জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-৩ ব্যবহার করা হবে তিনটি মহাকাশযান মডিউল চালু করতে— প্রপালশন মডিউল, ডিসেন্ডার মডিউল ও অ্যাসেন্ডার মডিউল। প্রোপালশন মডিউল অন্য দু’টি মডিউলকে চাঁদে নিয়ে যাবে এবং তাদের একটি চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করাবে। ডিসেন্ডার মডিউলটি প্রপালশন মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে, একটি রোবোটিক হাত এবং নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি ড্রিল বহন করবে। অ্যাসেন্ডার মডিউলটি প্রোপালশন মডিউল থেকেও বিচ্ছিন্ন হবে এবং চন্দ্রপৃষ্ঠের ডিসেন্ডার মডিউলের সঙ্গে ডক করবে এবং নমুনাগুলিকে একটি পাত্রে স্থানান্তর করবে। অ্যাসেন্ডার মডিউলটি তখন চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে উঠবে এবং কক্ষপথে প্রপালশন মডিউলের সঙ্গে মিলিত হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্যবহার হবে ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য রকেট পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল। মহাকাশযান মডিউল চালু করতে ব্যবহার করা হবে: ট্রান্সফার মডিউল ও রি-এন্ট্রি মডিউল। ট্রান্সফার মডিউলার রি-এন্ট্রি মডিউলটিকে চাঁদে নিয়ে যাবে এবং কক্ষপথে প্রপালশন মডিউলের সঙ্গে ডক করবে। ডকিং বিশেষভাবে দু’টি পৃথক মুক্ত-উড়ন্ত মহাকাশযানের যোগদানকে বোঝায়। ট্রান্সফার মডিউল, তারপর অ্যাসেন্ডার মডিউল থেকে নমুনা ধারকটিকে রি-এন্ট্রি মডিউলে স্থানান্তর করবে। রি-এন্ট্রি মডিউলটি ট্রান্সফার মডিউল থেকে আলাদা হবে এবং নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। রি-এন্ট্রি মডিউল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে এবং প্যারাসুট ব্যবহার করে নিরাপদে অবতরণ করবে।
এখনও পর্যন্ত তিনটি দেশ এই অভিযান করতে পেরেছে। আমেরিকার অ্যাপোলো অভিযানে, সোভিয়েত ইউনিয়নের লুনা অভিযানে এবং চীনের চ্যাং অভিযানের মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই চ্যাং অভিযানেরই ছ’নম্বর মহাকাশযান সদ্য সফল হয়ে ফিরেছে। এরপরে ইসরোর চন্দ্রযান-৪ অভিযান সফল হলে ভারতও বড় সাফল্যের দাবিদার হবে এবং চতুর্থ দেশ হিসাবে ওই স্বীকৃতির অধিকারী হবে।
17th  November, 2024
বুমরাহের সিঁড়ি ভাঙার গল্প

আমেদাবাদের অতি সাধারণ পরিবারে জন্ম। ছোট বয়সেই হারান বাবাকে। অদম্য জেদ তাঁকে দিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে সেরা পেসারের তকমা! যশপ্রীত বুমরাহের লড়াইয়ের গল্প শোনালেন  সৌগত গঙ্গোপাধ্যায় বিশদ

15th  December, 2024
পরিত্যক্ত মহাকাশযানের সমাধিস্থল
উৎপল অধিকারী

সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষ অপার আগ্রহে মহাশূন্যের দিকে চেয়ে থাকে। পাখির মতো ওড়ার ইচ্ছা তার দীর্ঘদিনের। তারপর ধীরে ধীরে বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করে মানুষ নানা যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করেছে। এমনভাবে সে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। বিশদ

15th  December, 2024
ঠান্ডা আলো
স্বরূপ কুলভী

রাতের নিকষ কালো অন্ধকারে বনে-জঙ্গলে, গাছের শাখায় শাখায়, পুকুর পাড়ে খুদে আলোর হুল্লোড়। তা দেখে কার না ভালো লাগে! আমরা সবাই জানি, এভাবে আলোর দীপ জ্বেলে কারা ঘুরে বেড়ায়। ওরা জোনাকি। ছোট্ট হলে কী হবে, বড় বিচিত্র প্রাণী ওরা। বিশদ

15th  December, 2024
স্বস্তিকের সাইকেল
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

কী রে সতু, অঙ্কে কত পেলি? আজ তোর রেজাল্ট বেরিয়েছে তো?’ বিশদ

08th  December, 2024
খাঁচা ভর্তি গাছ

একটা অন্য ধরনের হাতের কাজ আজ শেখাবেন তোমাদের ডিজাইনার বিদিশা বসু। নাম ‘কেজ প্লান্টিং’। খাঁচার ভেতর গাছের ছায়া। অবাক হলে নাকি? ভাবছ, খাঁচায় আবার গাছ কবে থেকে রাখা হয়? খাঁচা তো পাখির জন্য। কিন্তু তা মোটেও বিশ্বাস করেন না এই ডিজাইনার। বিশদ

08th  December, 2024
মাস্তুল রহস্য
অরিন্দম ঘোষ

হুগলি জেলার ব্যান্ডেল চার্চের জন্য বিখ্যাত। এটিকে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম গির্জা বলে মনে করা হয়ে থাকে। গির্জাটি নির্মিত হয় ১৫৯৯ সালে। ১৯৮৮ সালের ২৫ নভেম্বর পোপ দ্বিতীয় জন পল ব্যান্ডেল চার্চকে ‘ব্যাসিলিকা’র মর্যাদা দান করেন। বিশদ

08th  December, 2024
কম্পিউটারের ঊষাকাল

আগামী কাল অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর বিশ্ব কম্পিউটার সাক্ষরতা দিবস। কম্পিউটার ছাড়া এখন গোটা বিশ্ব অচল। চার্লস ব্যাবেজের হাত ধরে কীভাবে এল এই বিস্ময়কর যন্ত্র, জানালেন মৃণালকান্তি দাস।
বিশদ

01st  December, 2024
অঙ্ক কষে বলে দাও বন্ধুর বয়স 
স্বরূপ কুলভী

অঙ্ক মানে সংখ্যার খেলা। যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগের মধ্যে হাজার মজা লুকিয়ে রয়েছে। শুধু শিখে নিতে হয়। খুঁজে নিতে হয়। আর এই মজার মধ্যেই রয়েছে অঙ্কের ম্যাজিক। আজ এমনই একটা ম্যাজিক শিখে নেব। আর এটা একেবারেই যোগ, গুণ, বিয়োগ। বিশদ

01st  December, 2024
পরীক্ষা প্রস্তুতি

সামনেই বার্ষিক পরীক্ষা। এখন শেষ মুহূর্তের পড়া ঝালিয়ে নেওয়ার সময়। কেমন চলছে পরীক্ষার প্রস্তুতি, জানাল কলকাতার ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনের ছাত্রীরা। বিশদ

24th  November, 2024
অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক

ছোট্ট ছেলেটা মুদির দোকানে কাজ করে। কয়েক বছর আগে বাবাকে চিরতরে হারিয়েছে সে। ‌বাড়িতে রোজগেরে বলতে তেমন কেউই নেই। অভাব নিত্য সঙ্গী। অগত্যা নিয়তির পরিহাসেই স্কুলের গণ্ডিটা আর পেরনো হল না। বিশদ

24th  November, 2024
ডাবের খোলায় ফুলের টব

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

24th  November, 2024
মাকড়সার জাল

মাকড়সার জাল কে না দেখেছে। বাড়ির আনাচে-কানাচে, বাগানে সর্বত্রই এই জাল আমরা দেখতে পাই। খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে এর নিখুঁত বুনোট আমাদের তাক লাগিয়ে দেয়। প্রাণীজগতের অতি আশ্চর্য শিল্পকর্ম হল এই মাকড়সার জাল।
বিশদ

17th  November, 2024
রহস্যঘেরা দ্বীপ

আন্দামানের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপে আজও পৌঁছয়নি সভ্যতার আলো। রহস্যঘেরা সেই দ্বীপের কথা লিখেছেন অনির্বাণ রক্ষিত।
বিশদ

17th  November, 2024
শিশুদের জন্য চাচা নেহরুর চার মন্ত্র

আগামী বৃহস্পতিবার শিশু দিবস। জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে পালিত হয় এই দিনটি। শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা তুলে ধরলেন সন্দীপন বিশ্বাস বিশদ

10th  November, 2024
একনজরে
সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...

ফের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল মণিপুরে। এবারও সেই ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার নুংব্রাম এবং লাইরোক ভইেপেই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ দল। ...

শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জার্মানিতে বড়দিনের বাজারে গাড়ি চালিয়ে তাণ্ডব: জখমদের মধ্যে রয়েছেন সাতজন ভারতীয়

11:29:00 PM

সন্ধ্যা থিয়েটারে পদপিষ্টের ঘটনা: আমার চরিত্রহনন করা হয়েছে, বললেন অল্লু অর্জুন
হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ সিনেমার প্রিমিয়ারে পদপিষ্টের ...বিশদ

11:10:07 PM

ব্রাজিলে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ, হত ৩০

10:41:00 PM

রাজাহুলিতে বৃদ্ধ খুনের অভিযোগে আরও দু’জনকে মালদহের কালিয়াচক থেকে গ্রেপ্তার করল এনজেপি থানার পুলিস

10:20:00 PM

ঝাড়গ্রাম শহরে অজানা জন্তুর আক্রমণে গোরুর মৃত্যু, মিলেছে পায়ের ছাপ

10:03:00 PM

মোহালিতে নির্মীয়মান বিল্ডিং বিপর্যয়: উদ্ধারকাজে যোগ দিল ভারতীয় সেনা

09:50:00 PM