Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

চাঁদের মাটি  ফিরবে ভারতে

চন্দ্রযান-৩-এর অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার ভারতের পাখির চোখ চন্দ্রযান-৪। এই মিশনের অন্যতম লক্ষ্য চাঁদের মাটিতে জল আছে কি না জানা। ভারতের চতুর্থ চন্দ্র অভিযানের খুঁটিনাটি জানালেন কল্যাণকুমার দে।

১৯৭৫ সালে একটি রুশ রকেটের সাহায্যে আর্যভট্ট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারতের মহাকাশ যাত্রার সূচনা হয়েছিল। ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর ভারতের চন্দ্রযান-১-এর সাফল্যে নড়েচড়ে বসেছিল বিশ্বের তাবড় দেশগুলির মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি। চাঁদের কক্ষপথের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে ভারতীয় চন্দ্রযান-১ তুলে এনেছিল তাক লাগানো বেশ কিছু অজানা তথ্য। সেই তথ্যে ভর করেই চাঁদের মাটিতে জলের অস্তিত্বের কথা অনুমান করেছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।
২০১৯-এর ২২ জুলাই ৪৮ দিনের মহাকাশ সফর শুরু করেছিল চন্দ্রযান-২। ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার পথ। হিসেবমতো সেপ্টেম্বরের শুরুতেই চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছেও গিয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা আর হয়নি। পাখির পালকের মতো নামার কথা ছিল চাঁদের বুকে। তার বদলে অবতরণের সময় গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে একরাশ হতাশা নিয়ে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছিল চন্দ্রযান-২-এর অরবিটের থেকে ছিটকে যাওয়া ল্যান্ডার ‘বিক্রম’কে। গবেষণার জন্যে বিক্রমের শরীরে তিনটি যন্ত্র বসানো হয়েছিল। সেগুলি চাঁদের আবহাওয়ায় তাপমাত্রা, ইলেকট্রনের পরিমাণ বা ঘনত্ব, চাঁদের মাটির তাপমাত্রা এবং চাঁদে ভূকম্পনের ধরন ও তীব্রতা পরীক্ষা করত।
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। চন্দ্রযান-৩ ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে ‘সফট ল্যান্ডিং’-এর মাধ্যমে অবতরণ করে। এর আগে চাঁদের বুকে সফলভাবে মহাকাশযান অবতরণ করাতে পেরেছে তিনটি দেশ। তালিকায় রয়েছে রাশিয়া, আমেরিকা ও চীন। আর চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণের দিক থেকে ভারতই হল প্রথম দেশ। এই অঞ্চলে আগে পরীক্ষানিরীক্ষা চালায়নি অন্য কোনও দেশ। চাঁদের এই অংশ অনেক বেশি রুক্ষ। এখানকার পরিবেশ মহাকাশযান অবতরণের অনুকূল নয়। রয়েছে বিশালাকার গর্ত, উঁচু পাহাড়। সূর্যের আলো পৌঁছয় না। অতিরিক্ত ঠান্ডা পরিবেশ। আর এইসব পরিস্থিতি মহাকাশযান অবতরণের প্রতিকূল। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই মিশন ছিল অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। চন্দ্রযান-৩-এর চাঁদের ল্যান্ডার যে বিন্দুতে অবতরণ করেছিল, সেটি এখন শিবশক্তি নামে পরিচিত।
চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ পদার্পণ করে ইতিহাস রচনা করেছে ভারত। এক ইতিহাস রচনা হতে না হতেই পরবর্তীর জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এবার চন্দ্রযান-৪। চন্দ্রযান-৪ মিশন হতে চলেছে যৌথ অভিযান। ভারতের সঙ্গে এই অভিযানে হাত মেলাবে জাপান। চন্দ্রযান-৪ অভিযানের জন্য জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। যৌথ উদ্যোগে ‘লুপেক্স’ (লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন) মহাকাশযানটিকে চাঁদে পাঠানো হবে। লুপেক্সেরই অন্য নাম চন্দ্রযান-৪। চাঁদের মাটিতে জল আছে কি? শুধুমাত্র এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই রওনা দেবে সেটি। বিগত কয়েক বছরে মহাকাশে নজরদারি চালাতে গিয়ে একাধিকবার চাঁদের বুকে জলের অস্তিত্বের ইঙ্গিত মিলেছে। ভবিষ্যৎ মহাকাশ অভিযানের কথা মাথায় রেখে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জরুরি। কারণ জলের খোঁজ পাওয়ার অর্থ, তাকে কাজে লাগিয়ে চাঁদের বুকে স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা সম্ভব। চন্দ্রযান-৪ সেই গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়ে রওনা দেবে। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, সেই অনুযায়ী চাঁদের মেরু অঞ্চলে জলের খোঁজ চালাবে চন্দ্রযান-৪। সেই জলের সন্ধান পাওয়া গেলে, সেই জলের গুণমান কেমন, কত পরিমাণ জল রয়েছে এবং তাকে কোন কাজে লাগানো যেতে পারে, সেই নিয়ে চলবে গবেষণা।
এর আগে একাধিক দেশের মহাকাশ গবেষণায় উঠে এসেছে চাঁদ সম্পর্কিত নানা চমকপ্রদ তথ্য। চাঁদের বুকে ৬০ হাজার কোটি কিলোগ্রাম বরফ রয়েছে, যা দিয়ে বৃহদাকার ২ লক্ষ ৪০ হাজার সুইমিং পুল ভর্তি করা সম্ভব। এই অনুমান আদৌ কতটা সঠিক, তাতে সিলমোহর দেওয়ার আগে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্যতালাশ করবে ভারত-জাপানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি চন্দ্রযান-৪। পৃথিবী থেকে কোনও উপায়ে চাঁদে জল সরবরাহ করা যায় কি না, করা গেলেও ভবিষ্যতের অভিযানের জন্য কত পরিমাণ জল বয়ে নিয়ে যেতে হবে, চাঁদের মাটি থেকেই বা কত জল তোলা যাবে, সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ এবং হিসেব-নিকেশের কাজ করবে চন্দ্রযান-৪। চাঁদের মাটিতে জল পাওয়া গেলেই হল না, সেই জল আদৌ ব্যবহারের উপযোগী কি না, কোথা থেকে তার উৎপত্তি—এসবও খতিয়ে দেখবে চন্দ্রযান-৪। জল সংরক্ষণ, প্রাণ ধারণে তার ব্যবহার, ওই জলের চালিকাশক্তিও পরখ করে দেখা হবে। এর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে চন্দ্রযান-৪ তৈরিতে।
চন্দ্রযান-৪ মহাকাশযানে থিন-ফিল্ম সোলার সেলস ব্যবহার করা হবে, যার মাধ্যমে আলোকশক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা রয়েছে। আলট্রা-হাই-এনার্জি-ডেনসিটি ব্যাটারি থাকবে যাতে রাতে বা অন্ধকার জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগে কোনও সমস্যা তৈরি হয়। চাঁদের মাটিতে দীর্ঘদিন টিকে থাকার উপযোগী করে তোলা হবে চন্দ্রযান-৪ মহাকাশযানকে।
চাঁদে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অত্যন্ত কম। তাই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে চন্দ্রগর্ভ পর্যন্ত অন্বেষণ করে দেখবে চন্দ্রযান-৪। শুধু চাঁদই নয়, চন্দ্রযান-৪ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে মঙ্গল অভিযান আরও সহজ হবে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০২৮ সালে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারে চন্দ্রযান-৪।
ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ২০২৮ সালের মিশনটি বেশ কয়েকটি ধাপে পরিচালিত হবে। চন্দ্রযান-৪-কে সফলভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে এমন একটি স্থানে অবতরণ করা হবে, যা এখনও অনাবিষ্কৃত বলে ইসরোর তরফে করা হয়েছে দাবি। তবে, বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
চাঁদের মাটি থেকে পাথর খুবলে আনবে চন্দ্রযান-৪। নমুনা সংগ্রহের পর চন্দ্রযানটিকে চাঁদের কক্ষপথে বেশ কয়েকদিন রাখা হবে। পরে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য চন্দ্রযানটিকে যুক্ত করা হবে একটি মডিউলারের সঙ্গে। মিশনের চূড়ান্ত ধাপ হচ্ছে নির্বিঘ্নে চন্দ্রযান-৪-কে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। তারপরেই চাঁদের মাটি থেকে সংগ্রহ করা পাথর সহ চাঁদের মাটি ও অন্যান্য নমুনা নিয়ে চলবে গবেষণা। জানা গেছে, নমুনা সংগ্রহের জন্য চন্দ্রযান-৪-কে চাঁদের মাটিতে ১০০ দিন রাখা হবে।
তবে চন্দ্রযান-৪ অভিযান আগের সব অভিযানের থেকে একেবারে আলাদা হতে চলেছে। কারণ চাঁদের মাটি ছোঁয়া এবং সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে আসার লক্ষ্যপূরণে পৃথকভাবে দু’দফায় মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। এর আগে ল্যান্ডার, রোভার ও প্রপালসন মডিউল— এই তিনটি অংশকে একত্রিত করে চন্দ্রযান-৩ গড়ে তোলা হয়। আরও বাড়তি দু’টি অংশ থাকছে চন্দ্রযান-৪ অভিযানের ক্ষেত্রে। সব মিলিয়ে মোট পাঁচটি অংশ প্রপালসন মডিউল, ডিসেন্ডার মডিউল, অ্যাসেন্ডার মডিউল, ট্রান্সফার মডিউল ও রি-এন্ট্রি মডিউল।
চন্দ্রযান-৪ মিশন দু’টি ধাপে সম্পাদিত হবে। প্রথম ধাপে ভারতের সবচেয়ে ভারী রকেট, জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-৩ ব্যবহার করা হবে তিনটি মহাকাশযান মডিউল চালু করতে— প্রপালশন মডিউল, ডিসেন্ডার মডিউল ও অ্যাসেন্ডার মডিউল। প্রোপালশন মডিউল অন্য দু’টি মডিউলকে চাঁদে নিয়ে যাবে এবং তাদের একটি চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করাবে। ডিসেন্ডার মডিউলটি প্রপালশন মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে, একটি রোবোটিক হাত এবং নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি ড্রিল বহন করবে। অ্যাসেন্ডার মডিউলটি প্রোপালশন মডিউল থেকেও বিচ্ছিন্ন হবে এবং চন্দ্রপৃষ্ঠের ডিসেন্ডার মডিউলের সঙ্গে ডক করবে এবং নমুনাগুলিকে একটি পাত্রে স্থানান্তর করবে। অ্যাসেন্ডার মডিউলটি তখন চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে উঠবে এবং কক্ষপথে প্রপালশন মডিউলের সঙ্গে মিলিত হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্যবহার হবে ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য রকেট পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল। মহাকাশযান মডিউল চালু করতে ব্যবহার করা হবে: ট্রান্সফার মডিউল ও রি-এন্ট্রি মডিউল। ট্রান্সফার মডিউলার রি-এন্ট্রি মডিউলটিকে চাঁদে নিয়ে যাবে এবং কক্ষপথে প্রপালশন মডিউলের সঙ্গে ডক করবে। ডকিং বিশেষভাবে দু’টি পৃথক মুক্ত-উড়ন্ত মহাকাশযানের যোগদানকে বোঝায়। ট্রান্সফার মডিউল, তারপর অ্যাসেন্ডার মডিউল থেকে নমুনা ধারকটিকে রি-এন্ট্রি মডিউলে স্থানান্তর করবে। রি-এন্ট্রি মডিউলটি ট্রান্সফার মডিউল থেকে আলাদা হবে এবং নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবে। রি-এন্ট্রি মডিউল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে এবং প্যারাসুট ব্যবহার করে নিরাপদে অবতরণ করবে।
এখনও পর্যন্ত তিনটি দেশ এই অভিযান করতে পেরেছে। আমেরিকার অ্যাপোলো অভিযানে, সোভিয়েত ইউনিয়নের লুনা অভিযানে এবং চীনের চ্যাং অভিযানের মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই চ্যাং অভিযানেরই ছ’নম্বর মহাকাশযান সদ্য সফল হয়ে ফিরেছে। এরপরে ইসরোর চন্দ্রযান-৪ অভিযান সফল হলে ভারতও বড় সাফল্যের দাবিদার হবে এবং চতুর্থ দেশ হিসাবে ওই স্বীকৃতির অধিকারী হবে।
17th  November, 2024
মাকড়সার জাল

মাকড়সার জাল কে না দেখেছে। বাড়ির আনাচে-কানাচে, বাগানে সর্বত্রই এই জাল আমরা দেখতে পাই। খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে এর নিখুঁত বুনোট আমাদের তাক লাগিয়ে দেয়। প্রাণীজগতের অতি আশ্চর্য শিল্পকর্ম হল এই মাকড়সার জাল।
বিশদ

17th  November, 2024
রহস্যঘেরা দ্বীপ

আন্দামানের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপে আজও পৌঁছয়নি সভ্যতার আলো। রহস্যঘেরা সেই দ্বীপের কথা লিখেছেন অনির্বাণ রক্ষিত।
বিশদ

17th  November, 2024
শিশুদের জন্য চাচা নেহরুর চার মন্ত্র

আগামী বৃহস্পতিবার শিশু দিবস। জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে পালিত হয় এই দিনটি। শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা তুলে ধরলেন সন্দীপন বিশ্বাস বিশদ

10th  November, 2024
গ্ল্যাডিয়েটরদের লড়াইয়ের কথা

রোমান সভ্যতায় দেখা মেলে বহু বিখ্যাত যোদ্ধার। তেমনই একজন ছিলেন স্পার্টাকাস। সেইসব সাহসী যোদ্ধাদের লড়াইয়ের গল্প বললেন কালীপদ চক্রবর্তী বিশদ

10th  November, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মহামঞ্চ

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। এবারের বিষয় তুলসীর মহামঞ্চ। এমন সব হাতের কাজ শেখানো হচ্ছে, যা কিশোর-কিশোরীরা অনায়াসেই বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারবে। বিশদ

10th  November, 2024
ঘূর্ণিঝড় কীভাবে তৈরি হয়?
স্বরূপ কুলভী

এই তো কয়েকদিন আগেই সবার মুখে ছিল একটাই কথা। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। শেষ পর্যন্ত ও঩ড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ডানা।
বিশদ

03rd  November, 2024
জুতোর ওপর ভরসা নেই
সঞ্জীবকুমার দে

এটা কেমন বিজ্ঞপ্তি! কাচের পাল্লা ঠেলে ভেতরে প্রবেশের মুখে বড় বড় অক্ষরে লেখা স্টিকার দেখে মনে একটা বড় রকমের ধাক্কা খেলেন বটুবাবু।
বিশদ

03rd  November, 2024
আশ্চর্য দুই ডাকঘর
শান্তনু দত্ত

ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই ডাকঘরে গিয়েছ। দূরে কোথাও চিঠি অথবা জিনিস পাঠানো কিংবা টাকা জমা দেওয়া বা তোলা—  কতরকম কাজ হয় সেখানে।
বিশদ

03rd  November, 2024
দীপাবলির আনন্দ

আগামী বৃহস্পতিবার কালীপুজো। দীপাবলি মানেই আলো আর বাজির রোশনাই। কেমনভাবে কাটবে কালীপুজো, জানাল পুরুলিয়ার খুদিবাঁধ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বিশদ

27th  October, 2024
হরেক রকম হাতের কাজ: বোতলে পাটের নকশা
 

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

27th  October, 2024
রঘু ডাকাত
অরিন্দম ঘোষ

অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাংলার কুখ্যাত নাম ছিল রঘু ডাকাত। সে ও তার দলবল এতটাই ভয়ানক ছিল যে, তাদের নাম শুনলে থরহরিকম্প হয়ে উঠত থানার দারোগাবাবু থেকে জমিদার সকলেই। তার ভাই ছিল বিধুভূষণ ঘোষ ওরফে বুধো ডাকাত। বিশদ

27th  October, 2024
সোনার কেল্লা ৫০

১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় সত্যজিৎ রায়ের ‘সোনার কেল্লা’। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই ছবি মাইলস্টোন। পঞ্চাশ বছর আগের শ্যুটিংয়ের স্মৃতিচারণা করলেন ছবির ‘তোপসে’ সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ‘মুকুল’ কুশল চক্রবর্তী এবং পরিচালক-পুত্র সন্দীপ রায়। বিশদ

20th  October, 2024
কীভাবে আবিষ্কার হল স্টেথোস্কোপ
স্বরূপ কুলভী

সাদা অ্যাপ্রন। গলায় বা হাতে স্টেথোস্কোপ। তা দেখেই বোঝা যায় মানুষটি ডাক্তার। স্টেথোস্কোপের একপ্রান্ত গোলাকার। আর অন্য প্রান্ত দু’ভাগে বিভক্ত। ওই বিভক্ত প্রান্তটির দু’টি মাথা কানে দিয়ে রোগীর হৃদস্পন্দন শোনেন চিকিৎসকরা। বিশদ

20th  October, 2024
দুগ্গা এল ঘরে

 আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের আনাগোনা। ভোরের বাতাসে শিউলি ফুলের সুমিষ্ট সুঘ্রাণ। আর হাওয়ার দাপটে কাশফুলের এলোমেলো দুলুনি। এর মধ্যেই প্যান্ডেল বাঁধার তোড়জোড়— ঠুকঠাক শব্দ কানে এলেই মনে হয় পুজো এসে গেল। বিশদ

06th  October, 2024
একনজরে
২১৭ রানে ১৭ উইকেট! সংক্ষেপে শুক্রবার অপ্টাস স্টেডিয়ামের এটাই আসল স্কোর। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পয়লা টেস্টের প্রথম দিনে উঠল ২১৭ রান, পড়ল ১৭ উইকেট। ডনের দেশে ...

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি বিভাগের নতুন কর্মাধ্যক্ষ হলেন প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা (রনি)। শুক্রবার বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনের তিতুমীর কক্ষে বৈঠকের ...

২৬/১১ মুম্বই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৬৬ জন। ২০০৮ সালের সেই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর হুসেন রানা। পাকিস্তান-জাত কানাডার এই নাগরিক বর্তমানে আমেরিকার জেলে ...

এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ হয়েছে প্রচুর টাকা। কিন্তু সেই নিকাশি নালা নির্মাণের কাজ চলছে অত্যন্ত ঢিমেতালে। ব্যস্ততম স্ট্যান্ডে জল জমে থাকছে। ফলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি অবসান দিবস
১৮৮৩: লেখক প্যারীচাঁদ মিত্রের মৃত্যু
১৮৯৭: লেখক নীরদচন্দ্র চৌধুরির জন্ম
১৯০৭: বিশিষ্ট বেতার সম্প্রচারক, গীতিকার, প্রযোজক ও নাট্য পরিচালক বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্যের জন্ম (বাণীকুমার) নামেই পরিচিত
১৯২২: রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন এবং সরকার কর্তৃক তার বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়
১৯২৬: হিন্দু ধর্মগুরু, আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ সত্য সাঁই বাবার, (পূর্বাশ্রমের নাম সত্যনারায়ণ রাজু) জন্ম
১৯৩০: সঙ্গীতশিল্পী গীতা দত্তর জন্ম
১৯৩৭: বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর মৃত্যু  
১৯৫০: লেখক,ইতিহাসবেত্তা ও ভারততত্ববিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯৬৪: ব্রিটেনে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক বেতার কেন্দ্র চালু হয়
১৯৮৭: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পনির্দেশক চিত্রনাট্যকার  রাজেন তরফদারের মৃত্যু 
১৯৯৭: ভারতে সরকারি সম্প্রচার সংস্থা প্রসার ভারতী গঠিত হয়।
২০০৩: প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের একজন দিকপাল ঐতিহাসিক দিলীপকুমার বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৬: বাংলা প্যারোডি গানের রচনাকার ও গায়ক মিন্টু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৭ টাকা ৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৫ টাকা ১০৮.২৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৯ টাকা ৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৩৫/৪৮ রাত্রি ৭/৫৮। মঘা নক্ষত্র ৩৩/৪০ রাত্রি ৭/২৭। সূর্যোদয় ৫/৫৮/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৭/২৪ গতে ৯/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/২৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৭ গতে ৩/২০ মধ্যে। বারবেলা ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। 
৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১০/২৬। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/১, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে ও ১১/৫১ গতে ২/৪১ মধ্যে  ও ৩/২৩ গতে ৪/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫০ গতে ২/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৬ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালবেলা ৭/২১ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৬/১ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে একটি গ্রামে বোমাবাজি
এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি। ...বিশদ

09:39:00 PM

আইএসএল: জামশেদপুরকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:36:00 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ৩-জামশেদপুর ০ (৮৭ মিনিট)

09:15:00 PM

নাগপুরের বাড়িতে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ

09:13:00 PM

আমাদের লক্ষ্য দেশ নির্মাণ: প্রধানমন্ত্রী

09:12:00 PM

হিমাচল প্রদেশের কুলুতে তুষারপাত

09:08:00 PM