সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটিয়া থানার কোড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জব্বার মোল্লার (৫৫) মেয়েকে নিজামুদ্দিন একাধিকবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু পরিবারের লোক সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেননি। রবিবার জব্বারের মেয়ের অন্যত্র বিয়ে হয়। মঙ্গলবার রাতে বারাসত থেকে কাজ সেরে জব্বার মালতিপুর রেলস্টেশনে নামেন। হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে পিটিয়ে খুন করে নিজামুদ্দিন। তারপর সপরিবারে পালিয়ে যায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গুজরাতের সুরাতে পালানোর ছক কষেছিল নিজাম। সেই খবর পেয়ে হাওড়া স্টেশনে অভিযান চালায় বারাসত জিআরপি। স্টেশনে নিজামুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে তারা। ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে জব্বারকে খুন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এনিয়ে বারাসত জিআরপি থানার ওসি রুপসিনা পারভিন বলেন, গোটা ঘটনার তদন্ত করছে বারাসত জিআরপি। বুধবার খুনের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তারপর অভিযুক্তের টাওয়ার লোকেশন সহ একাধিক তথ্য নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। গোপন সূত্রে আমরা জানতে পারি, নাজিমুদ্দিন সুরাতে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্ট করছে। এদিন ট্রেন ধরে তার পালানোর কথা। তাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় হাওড়া স্টেশনে অভিযান। সঙ্গে ছিল মাটিয়া থানার পুলিস। অবশেষে গভীর রাতে তাকে ধরা হয়েছে। সে খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে। তাকে হেফাজতে নিয়ে এর পিছনে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি খুনে কী কী অস্ত্র ব্যবহার করেছিল সে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র