সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত জাহাঙ্গীর আলম ও ফারুখ আলম সাইবার জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। ফারুখ ও গুলজারের বাড়ি যথাক্রমে শ্রীপুকুর সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ফারুখ এক মাস আগে দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরেছে। সে পরিযায়ী শ্রমিক। গুলজারের বাড়ি দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ধন্দেগছে। সম্প্রতি গুলজারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা ঢুকেছে। তাই এই গ্রেপ্তারি। এনিয়ে জেলার চোপড়া ও ইসলামপুর ব্লকের বাসিন্দা হিসেবে ধাপে ধাপে বিভিন্ন জেলার পুলিস ২০ জনকে গ্রেপ্তার করল।
ইসলামপুর মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল বলেন, ইন্টারনেট প্রটোকল ডিটেল রেকর্ডের সূত্রেই ফারুখ আলমকে পাকড়াও করেছে হুগলি (গ্রামীণ) সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। ধৃত একটি স্কুলের পোর্টাল অ্যাকাউন্টে ঢুকে সাইবার প্রতারণা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। সে ওই পোর্টাল অ্যাকাউন্টের তথ্য রদবদল করেছে। ধৃত গুলজার আলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা ঢুকেছে। জানা গিয়েছে, এরা কিছুদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুর থানার পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া সাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে যোগসাজশে যুক্ত ছিল।
পুলিস সূত্রে আরও খবর, এদিনই রানাঘাট থেকে আগত পুলিস টিম গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছে জাহাঙ্গীর আলম। তারও সাইবার প্রতারণা চক্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ আছে। পুলিস জানিয়েছে, একেবারে মার্কেটিং এজেন্সির মতো করে চোপড়ার সাইবার জালিয়াত চক্রের বিস্তার ঘটেছে। এমনকী ধৃতদের নিজেদের আত্মীয় পরিজনদের মহিলারাও একসময় যুক্ত হয়ে পড়ে চক্রের সঙ্গে। এছাড়াও আর্থিকভাবে দুঃস্থ পরিবারের লোকজনও এই কাজে যুক্ত হয় বিনা পরিশ্রমে মোটা টাকা আয়ের লোভে। কাজ ছিল এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও প্রয়োজনীয় কিছু নথি জোগাড় করা। অ্যাকাউন্ট নম্বর জোগাড় হয়ে গেলে সাদ্দেকদের মতো মাস্টারমাইন্ডদের কাছে সেগুলি পৌঁছে দেওয়া।
(ধৃতদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।-নিজস্ব চিত্র)