Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

মেরুপ্রভার খেলা

রহস্য মোড়া আমাদের এই সৌরজগৎ। প্রতিনিয়তই অগোচরে এমন সব ঘটনা ঘটছে যার রহস্যভেদে বেগ পেতে হয় বিজ্ঞানীদের। সম্প্রতি (১১ মে, ২০২৪) এমনই এক ঘটনা ঘটে গেল। কী এমন ঘটনা? সেটি হল সূর্য থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসেছিল সবচেয়ে বড় ও ভয়ঙ্কর সৌরঝড় বা ‘জিওম্যাগনেটিক স্টর্ম’। জ্যোতিবিজ্ঞানীদের মতে, সৌরঝড়ের নাম হল ‘করোনাল ম্যাস ইজেকশন’ এমনিতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অহরহ আছড়ে পড়ে জলন্ত সূর্যের দীর্ঘশ্বাস। তবে সব সৌরঝড়ের তীব্রতা একরকম নয়। কোনওরকমে এ যাবৎ তা থেকে রক্ষা পেয়ে আসছে পৃথিবী। তবে আগামী দিনে আরও বিপদ অপেক্ষা করছে বলে জানাল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। তারা জানিয়েছে উত্তর মেরুর উপর দিয়ে বিমান চলাচল ইতিমধ্যেই বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। আপনা-আপনিই বহু বিমানের উড়ানের দিশা পাল্টে যাচ্ছে। আগামী দিনে আরও মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে এই সৌরঝড়ের। কারণ প্রতিবারই শক্তি বাড়িয়ে সে আঘাত করছে পৃথিবীকে। আর সেই ঝড়ের বিরুদ্ধে যুঝে চলছে পৃথিবী। কিন্তু শক্তি এভাবে ক্রমশ বাড়তে থাকলে কতদিন পৃথিবী তা আর সহ্য করতে পারবে, সেই আশঙ্কার কথা শোনাল ইসরো। পৃথিবীতে এই সৌরঝড়ের প্রভাবও হয় সুদূরপ্রসারী। এতে মহাকাশে বিরাজমান কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পৃথিবীর রেডিও সংযোগ এবং বৈদ্যুতিন যোগাযোগও বাধাপ্রাপ্ত হয়। পাশাপাশি সৌর বিকিরণ সংস্পর্শে এসে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তেজস্ক্রিয়তা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে, যা থেকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কর্মরত বিজ্ঞানী এমনকী মেরুপ্রদেশের কাছাকাছি এলাকায় বসবাসকারী মানুষজন জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। আর সরাসরি যদি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে সৌরঝড় তাহলে মুহূর্তের মধ্যে সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তবে এই বিপদ থেকে পৃথিবীকে বরাবর রক্ষা করে আসছে ভূচৌম্বকীয় ক্ষেত্র। যা বর্মের মতো পৃথিবীকে আগলে রেখেছে, আঘাত থেকে বাঁচিয়ে চলেছে। এই ভূচৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ধাক্কা খেয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায় সৌরঝড়।
এদিকে গবেষণায় বলা হয়েছে ১৮৫৯ ও ১৯২১ সালে পৃথিবীতে এমন সৌরঝড় হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী মোটামুটিভাবে ৮০ থেকে ১০০ বছরে একবার সূর্যের প্রাকৃতিক জীবনচক্রের জন্য সৌরঝড় বৃদ্ধি পায়। আর এটি পৃথিবীকে আচ্ছন্ন করে রাখে। সম্প্রতি যে সৌরঝড় পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে তা গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিপজ্জনক বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সূর্যের মধ্যেকার সেই তীব্র ঝড়ের ছবি তুলেছে ইসরোর সৌরযান আদিত্য এল-১ এবং চন্দ্রযান-২। যা চন্দ্রের কক্ষপথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ইসরোর মতে, ২০০৩ সালের পর এটাই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়। ২০০৩ সালের অক্টোবরে হ্যালোউইনের সময় শেষবার যখন সৌরঝড় পৃথিবীতে পৌঁছায় তখন প্রায় ভূত দেখার অবস্থা হয়েছিল অনেক দেশের। সুইডেনে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে, ট্রান্সফর্মার নষ্ট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। এবারের শক্তিশালী সৌরঝড়টি জিওম্যাগনেটিক সূচকে ৯-এ পৌঁছিয়েছিল, যা সৌরঝড়ের সর্বোচ্চ স্তর। বলা হচ্ছে জি-ফাইভ গোত্রের জিওম্যাগনেটিক স্টর্ম। এই ঝড়ের জেরে পৃথিবীর টেলি যোগাযোগ, ইন্টারনেট পরিষেবা, জিপিএস সিস্টেম ও মোবাইল নেটওয়ার্ক-এর উপর কিছুক্ষণের জন্য প্রভাব পড়েছিল। এই সৌরঝড় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং আমেরিকান অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিল। এর আগে ১৯২১ সালে সৌরঝড়ে যে ক্ষতি হয়েছিল তা অকল্পনীয়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যার নাম ‘ব্যারিংটন এফেক্ট’। তখন ঝড়ের কবলে পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বিশালাকৃতির চৌম্বক ক্ষেত্রে বড় বড় ফাটল ধরেছিল। এ সবের ফাঁকা জায়গা দিয়ে বিষাক্ত সৌরকণা আর মহাজাগতিক রশ্মি প্রবেশ করেছিল। এমনকী ১৯৮৯ সালের মার্চে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা সৌরঝড়ের ঝাপটায় কানাডায় পুরো কুইবেক প্রদেশে টানা ৯ ঘণ্টা ‘ব্ল্যাক আউট’ হয়ে গিয়েছিল।
যে সৌড়ঝড়কে ঘিরে বিজ্ঞানীরা প্রমাদ গুনছেন, তা আসলে কী? প্রতিনিয়ত সূর্যগহ্বরে ঘটে চলেছে নানারকম ছোট বড় বিস্ফোরণ। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন বিস্ফোরণের ফলে সূর্য থেকে প্রচুর পরিমাণে আয়নিত কণা এবং ইলেকট্রনের মিশ্রণ, সৌরপ্লাজমা স্রোতের আকারে মহাশূন্যে ছড়িয়ে পড়ে, যা ঘণ্টায় ৩০ লক্ষ মাইল গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, ওই শক্তিকেই সৌরঝড় বলা হয়। এই সৌরঝড় পৃথিবীতে পৌঁছতে কয়েক মিনিট বা ঘণ্টা লাগতে পারে। আবার দু-একটা দিনও লাগতে পারে। সৌরঝড়ের পাশাপাশি সূর্য থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে সৌরবায়ু, সৌরশিখা ও সৌরকণা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের (ম্যাগনেটোস্ফিয়ার) সামনে সেগুলি বাধাপ্রাপ্ত হয়। তবে বাধা পেলেও, নিরক্ষীয় অঞ্চলের চেয়ে মেরু অঞ্চলে ঢোকার রাস্তা সহজ। সমান্তরাল গতিপথই রাস্তা বাতলে দেয়। সৌরঝড় মানেই আধানযুক্ত কণার বা আয়নের স্রোত। তা পৃথিবীতে বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ার এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে এই আয়নগুলি জমা হয় পৃথিবীর উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধে। সুতরাং পৃথিবীতে ঢুকতেই ইলেকট্রনের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের আয়নিত অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। এর ফলে ইলেকট্রনের শক্তির হাতবদল, বায়ুমণ্ডলকে পরিবর্তন এবং তারই চূড়ান্ত ফলাফল আকাশ জুড়ে আলোর মেলা। যাকে বাংলায় বলা হয় ‘মেরুজ্যোতি’ বা মেরুপ্রভা। ইংরেজিতে ‘অরোরা’। ১৬১৯ সালে ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও এই মেরুজ্যোতির নামকরণ করেন।
এ বারের আলোর মেলা দিগদিগন্তে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার কারণ একটাই—শক্তিশালী সৌরঝড়ের প্রভাব। পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ৯৭-১০০০ কিলোমিটার বায়ুমণ্ডল পর্যন্ত আকাশ জুড়ে এঁকে দিয়েছিল আলোর মেলা। লাল, সবুজ নীলের মতো বাহারি রঙের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছিল রাতের কালো অন্ধকার আকাশ। পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে নৃত্যরত এই আলোকচ্ছটা যা মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল। আর এর জেরেই সুদূর তাসমানিয়া (অস্ট্রেলিয়া) থেকে শুরু করে ব্রিটেন ও আমেরিকার আকাশে বর্ণিল আলো বা মেরুজ্যোতি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। এমন বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিল ভারতও। ওই দিন ভারতের লাদাখের প্রান্তবর্তী গ্রাম হ্যানলের আকাশেও দেখা গিয়েছিল লাল আলোর মেরুজ্যোতি। ভৌগোলিক অবস্থানের নিরিখেই লাদাখের মতো জায়গায় মেরুজ্যোতির দর্শন পাওয়া প্রায় বিরল ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। যে সুইজারল্যান্ডে কখনই মেরুজ্যোতি দেখা যায় না, ওই দিন সেই সুইজারল্যান্ডের আকাশেও চলেছিল আলোর খেলা। মেরুজ্যোতির ছটা দেখল আমেরিকার টেক্সাস, ক্যারোলিনা, জর্জিয়ার মতো দক্ষিণী প্রদেশ, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি ইত্যাদি। আমেরিকার ন্যাশনাল ওসানিক অ্যান্ড অ্যাটমসস্ফেরিক অ্যাড মিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে সূর্যের যে অঞ্চলে সৌরঝড় হচ্ছে, তা পৃথিবীর ব্যাসের ১৫ গুণ। অর্থাৎ ১৫টা পৃথিবীকে পাশাপাশি রাখলে যে প্রস্থ হয় ততগুণ। সূর্যের ওই তল্লাটের মোট পরিধির প্রায় ১৪ শতাংশ। প্রায় ২ লক্ষ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে এই সানস্পটের ক্লাস্টার। এতদিন পৃথিবী থেকে স্পষ্ট দেখা গেলেও, সম্প্রতি চোখের আড়াল হয়েছে সে। কিন্তু যাওয়ার আগে ফের পৃথিবীর দিকে দু-দু’টি সৌরঝড় নিক্ষেপ করে গিয়েছে। মেরুজ্যোতি বা অরোরা ঘিরে জড়িয়ে আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। উত্তর মেরুর এই আলোককে অরোরা বোরিয়ালিস এবং দক্ষিণ মেরুতে অরোরা অস্ট্রালিস নামে অভিহিত করা হয়! রোমানদের ভোরের দেবী ‘অরোরা’, গ্রিকদের উত্তরের বাতাসের দেবী ‘বোরিয়ালিস’ এবং দক্ষিণা বাতাসের দেবতা ‘নটুস’ বা ‘অস্টার’-এর সঙ্গে মিল রেখে এই নামকরণ হয়। আর আক্ষরিক অর্থেই ইংরাজিতে এই আলো উত্তর মেরুতে নর্দার্ন লাইটস এবং দক্ষিণ মেরুতে সাউদার্ন লাইটস নামে পরিচিত। তবে নানাকারণে সাউদার্ন লাইটসের চেয়ে নর্দার্ন লাইটস-এর জৌলুস বরাবরই বেশি।
ফিনো ইউগ্রিকদের মতে, অরোরা ছিল অশনি বা দুর্ভাগ্যের সঙ্কেত। ফিনো ইউগ্রিকরা মনে করত মৃতদের আত্মা ফিরে আসত এই আলো হয়ে। তারা বিশ্বাস করত, তাদের কোনও কাজে আত্মারা অসন্তুষ্ট হলে তুলে নিয়ে যাবে কিংবা শিরচ্ছেদ করবে জীবিতদের। ফিনল্যান্ডে এই অরোরার সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক ‘শিয়াল’ এর গল্প। তাদের মতে, পাহাড়ের ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে পাহাড়ের গায়ে লেজ লেগে আবহাওয়া ভেদে আগুনের ফুলকি কিংবা তুষারপাতের কারণে সৃষ্টি হতো এই আলোর।
সৌরঝড় পৃথিবীর সীমানায় আসার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের উপরের দিকে থাকা অক্সিজেনের সঙ্গে সৌর আয়নের সমন্বয়ে নিঃসৃত হয় লাল আলোক রশ্মির, একটু নিচু উচ্চতায় অক্সিজেনের সঙ্গে সমন্বয় হলে বিকিরণ হয় সবুজাভ ও হলুদাভ বর্ণের এবং অরোরা নীচের অংশ লালচে ও নীলচে বর্ণ তৈরি হয়। নাইট্রোজেনের সঙ্গে সৌর আয়নের সমন্বয়ে। আর এ সবের জেরেই রাতের দিগন্তে দেখা যায় বর্ণালীর আলোকচ্ছটা। অসংখ্য তারার ভিড়ে এমনই নৈসর্গিক দৃশ্য যা দেখে চোখ জুড়ায় সকলেরই। এক ঝলক দেখলে মনে হবে যেন কোনও স্বপ্নের রাজ্য, যা কোনও দিন বাস্তবে দেখা যাবে না।
09th  June, 2024
ইউরোর মাঝেই পড়াশোনায় ব্যস্ত ইয়ামাল

স্কুলছাত্র। ১৬ বছর বয়সেই দাপাচ্ছে ইউরো কাপ টুর্নামেন্ট। স্পেনের এই উঠতি ফুটবল তারকাকে নিয়ে লিখেছেন সৌগত গঙ্গোপাধ্যায় বিশদ

30th  June, 2024
পর্বতশৃঙ্গের বিভীষিকা

অন্নপূর্ণা, কে-২, নাঙ্গা পর্বতের মতো শৃঙ্গগুলি অভিযাত্রীদের কাছে রীতিমতো আতঙ্কের। তবুও সাহসে ভর করে বেরিয়ে পড়েন পর্বতারোহীরা। সেই গল্পই শোনালেন বিশ্বজিৎ দাস।     বিশদ

30th  June, 2024
ইতিহাসের সাক্ষী রামমোহন লাইব্রেরি
সোমনাথ সরকার

ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক রাজধানী আমাদের গর্বের শহর কলকাতা। আর এই শহরেই দৃপ্ত পদক্ষেপে শতবর্ষ পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে রামমোহন লাইব্রেরি। ১৯০৫ সালের ২৪ জানুয়ারি উত্তর কলকাতার এক ভাড়াবাড়িতে রামমোহন লাইব্রেরির সূচনা হয়। বিশদ

30th  June, 2024
আশ্চর্য আন্দাজ
রিমি মুৎসুদ্দি

মেঘলা আকাশের মতো দেবলামাসির মনটাও আজ খুবই খারাপ। সকাল সকাল রান্না সেরে চারটি মুড়ি ঘুগনি দিয়ে জলখাবার খেয়েই মাসি কাগজ কলম নিয়ে গুছিয়ে বসেছে। বিশদ

23rd  June, 2024
জানা অজানা: দূরদর্শী বঙ্কিম

আগামী বুধবার সাহিত্যসম্রাটের জন্মদিন। তিনি ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। কর্মজীবনে বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। তেমনই কয়েকটি মজার ঘটনা তুলে ধরলেন অরিন্দম ঘোষ। বিশদ

23rd  June, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: গাছের ডালের টব

‘হরেকরকম হাতের কাজ’। ফেলে দেওয়া অপ্রয়োজনীয় জিনিস কাজে লাগিয়ে কেমন করে সুন্দর ক্রাফ্ট তৈরি করা যায়, থাকবে তারই হদিশ। এবারের বিষয় গাছের ডালের টব। এমন সব হাতের কাজ শেখানো হবে, যা কিশোর-কিশোরীরা অনায়াসেই বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারবে। ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।  বিশদ

23rd  June, 2024
সাহিত্য পাঠের আসর

গরমের ছুটি শেষ। অবশেষে খুলে গিয়েছে স্কুল। সামনেই দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা। জোরকদমে চলছে পড়াশোনা। তারমধ্যেই চলছে গল্প-উপন্যাস পড়া। কারও প্রিয় পাঠ্য বইয়ের গল্প। কেউ আবার পড়ার বইয়ের বাইরের গল্প-উপন্যাস ভালোবাসে। নিজেদের প্রিয় গল্প ও উপন্যাসের কথা জানাল আরামবাগের চাঁদুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

16th  June, 2024
রংবেরঙের পাখি
রুদ্রজিৎ পাল

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক পাখি চিরকালের মতো হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাও এখনও পৃথিবীতে যেসব পাখি আছে, তাদের রং, গলার স্বর আর স্বভাবের বৈচিত্র্য সীমাহীন। এরকম বহু মানুষ আছেন, যাঁরা সময় পেলেই ক্যামেরা আর বাইনোকুলার হাতে বেরিয়ে পড়েন। বিশদ

16th  June, 2024
ডাঙায় হেঁটে বেড়ানো মাছ!
স্বরূপ কুলভী

ডাঙ্গায় চরে রুই কাতলা জলের মাঝে চিল!’ কোনও কল্পনার ‘মজার দেশ’ নয়। এই পৃথিবীতেও এমন মাছ রয়েছে, যারা মাটিতে হাঁটতে পারে! তারা অবশ্য রুই-কাতলা নয়। বিশদ

16th  June, 2024
কেন ব্যাক পাসের নিয়ম বদল?

১৯৯২ সালে ডেনমার্কের ইউরো জয়কে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় অঘটন মানা হয়। সেবার তো টুর্নামেন্টে খেলারই কথা ছিল না ড্যানিশদের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বলকান যুদ্ধের জন্য যুগোস্লাভিয়ার অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিশদ

09th  June, 2024
কোকোনাট ক্যান্ডেলস

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

09th  June, 2024
রবীন্দ্রনাথের  পরিবেশ ভাবনা

জীবনশিল্পী রবীন্দ্রনাথ। যা কবির চোখে দেখেছেন, অনুভব করেছেন, ব্যবহারিক জীবনে মানুষের মাঝে তার বিকাশ দেখতে চেয়েছেন বারবার। তাতেই তাঁর আনন্দ, তাতেই তৃপ্তি। তা না হলে বর্ষামঙ্গল, হলকর্ষণ সবেতেই বৃক্ষরোপণকে উৎসবে আয়োজনে ভরিয়ে তোলার প্রয়োজনও বোধহয় ছিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
চাঁদ কি ছোট হচ্ছে!

মামার বাড়ি মানেই দেদার খেলাধুলো। মায়ের চোখরাঙানি থেকে একটু নিস্তার। তিতাস দু’দিন হল মামাবাড়ি এসেছে। পরীক্ষা শেষের পর। সকালে পাশের মাঠে একটু ফুটবল খেলে বাড়ি ঢুকতেই দিদা বলল, এই রোদে কেউ খেলে? আঁচল দিয়ে মুখটা মুছিয়ে বলল, দেখ তো, চাঁদপানা মুখটা রোদে কেমন ছোট হয়ে গিয়েছে।
বিশদ

02nd  June, 2024
ঠিকানা চাও, বলছি শোন...

কবি সুকুমার রায়ের ‘ঠিকানা’ কবিতা তোমরা নিশ্চয়ই পড়েছ। আদ্যানাথের মেসোকে খুঁজতে গিয়ে কতই না চক্কর কাটতে হয়েছিল জগমোহনকে! তবে শুধু কবিতা বা সাহিত্যে নয়, যুগ যুগ ধরে কারও বাড়ি, দপ্তর, দোকানের হদিশ পেতে এমনভাবেই নাকানি-চোবানি খেতে হয়েছে সকলকে।
বিশদ

02nd  June, 2024
একনজরে
একটি আর্থিক বছরে পঞ্চায়েতগুলি কেমন কাজ করল, কোথায় খামতি থাকল বা কোথায় উন্নতি করেছে] যাবতীয় কিছু পরীক্ষা করে প্রতিবছরই মূল্যায়ন করা হয়। ২০২৩-২৪ সালে তাদের বার্ষিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এবার আরও বেশি কড়া নিয়ম আনল পঞ্চায়েত দপ্তর। ...

বড়সড় সাফল্য পেল মধ্যপ্রদেশের জঙ্গিদমন শাখা (এটিএস)। তারা ফাইজন শেখ (৩৪) নামে এক সন্দেহভাজন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার খান্ডওয়ার সালুজা কলোনির কানহার মহল্লার ...

সমীক্ষার অঙ্কই অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। বড়সড় পালাবদল ঘটিয়ে ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হল লেবার পার্টি। ৬৫০-র মধ্যে চারশোর বেশি আসনে জয়ী হয়েছে বর্তমান বিরোধী ...

রাত পোহালেই রথযাত্রা। তার আগে হুগলির মাহেশের রথযাত্রা নিয়ে ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতির দাবি তুললেন সেবায়েতরা। এনিয়ে মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের তরফে ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের কাছে চিঠি দেওয়া ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জুনোসিস দিবস
১৬১৪ - রাজা ভগবান দাসের পালিত পুত্র রাজা মানসিংহের মৃত্যু
১৭৮১ - সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফলসের জন্ম
১৮৬৬ - বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম,
১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯ - বিশ্বের প্রথম বিমান 'ব্রিটিশ আর-৩৪' আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা
১৯৩০ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের জন্ম
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৪৭ - সোভিয়েত ইউনিয়ন এ. কে. ৪৭ রাইফেল উৎপাদন শুরু করে
১৯৫২ - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল
১৯৭৯ - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
১৯৯১ - জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ পর পর তৃতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতেন
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু
২০০২ - মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৪ টাকা ৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৯০ টাকা ১০৮.৩৯ টাকা
ইউরো ৮৮.৮১ টাকা ৯১.৯৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ আষাঢ়, ১৪৩১, শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪।  প্রতিপদ ৫৮/৩৫ রাত্রি ৪/২৭। পুনর্বসু নক্ষত্র ৫৯/২৮ শেষরাত্রি ৪/৪৮। সূর্যোদয় ৫/১/১২, সূর্যাস্ত ৬/২১/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৪ গতে ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১১/২০ গতে ১/২৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৮ গতে ১২/৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ৩/১ মধ্যে পুনঃ ৪/৪১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। 
২১ আষাঢ়, ১৪৩১, শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪।  প্রতিপদ শেষরাত্রি ৪/৪। পুনর্বসু নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ১/৩০ মধ্যে ও ২/৫৫ গতে ৫/১ ম঩ধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৭ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/৩ মধ্যে ও ৪/৪৩ গতে ৬/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ মধ্যে ও ৩/৪১ গতে ৫/১ মধ্যে। 
২৯ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: অতিরিক্ত সময়ে গড়াল ম্যাচ, ইংল্যান্ড ১-সুইৎজারল্যান্ড ১

11:29:52 PM

ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: ইংল্যান্ড ১-সুইৎজারল্যান্ড ১ (৮১ মিনিট)

11:15:59 PM

ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: ইংল্যান্ড ০-সুইৎজারল্যান্ড ১ (৭৬ মিনিট)

11:15:03 PM

ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: ইংল্যান্ড ০-সুইৎজারল্যান্ড ০ (হাফটাইম)

10:25:59 PM

ইউরো কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল: ইংল্যান্ড ০-সুইৎজারল্যান্ড ০ (১৮ মিনিট)

09:54:46 PM

সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ভারতকে ১৩ রানে হারাল জিম্বাবোয়ে

08:06:05 PM