Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

বিকেলবেলার আলো

রতনতনু ঘাটী: আজ ক্লাস ফাইভ থেকে বিনন্দ সিক্সে উঠেছে। ওর এরকম নামটা মা রেখেছিল। মা একটা পুরনো বই ঠাকুরমার কাছ থেকে পেয়েছিল। বইটার নাম ‘লক্ষ্মীচরিত্র’। বইটার মলাটে একটা লক্ষ্মী ঠাকুরের রঙিন ছবি আছে। মা সন্ধেবেলা বইটা নিয়ে পড়তে বসে। সুর করে পড়ে। সেই বইটায় একটা চ্যাপ্টার আছে। সে চ্যাপ্টারটার নাম ‘বিনন্দ রাখালের পালা’। মায়ের খুব প্রিয় সেই চ্যাপ্টারটা। সেই চ্যাপ্টারের যে হিরো, তারই নাম বিনন্দ। তার নাম দেখে মা ওর নাম রেখেছে—বিনন্দ।
ওরকম আরও একটা বই দাদুর লেপ রাখার দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে আলনায় রাখা আছে বিনন্দ দেখেছে। সে বইটার নাম ‘আনন্দমঠ’। তাতে যে গল্পটা আছে, দাদু মাঝে-মাঝে জোরে-জোরে সে গল্পটা পড়ে। মহেন্দ্র আর তার বউ কল্যাণীর কথা দিয়ে গল্পটা শুরু হয়েছে। গ্রামে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। জল আর সামান্য খাবার ছাড়া আর কিচ্ছু পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মহেন্দ্ররা ঠিক করেছে, দূরের শহরে চলে যাবে খাবারের সন্ধানে। পাশে বসে বিনন্দ মাঝেমাঝে শোনে সে গল্পটা। মহেন্দ্র আর তার বউয়ের জন্যে খুব কষ্ট হয় বিনন্দর। পারলে মহেন্দ্রকে নিজে গিয়ে সেই শহরে পৌঁছে দিয়ে আসে। সে ‘পদচিহ্ন’ নামের একটা গ্রামের গল্প। 
পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে বিনন্দ বাড়ি ফিরে প্রথমে মাকে খবরটা দিতে ছুটল রান্নাঘরে। মা শুনেই ছুটল পিছনবাড়িতে বাবাকে খবরটা দিতে। পিছনবাড়িতে অনেক আগাছা হয়েছে বলে সেগুলো পরিষ্কার করছিল বাবা। বাবা কান উঁচু করে মাকে জিজ্ঞেস করল, ‘আমাদের বিনন্দ সিক্সে উঠে গেল বড়বউ?’
 মা বলল, ‘তাই তো! শোনো, আমি বিনন্দকে আগে থেকে বলে রেখেছি, ও সিক্সে উঠলে ওকে একটা সেকেন্ডহ্যান্ড সাইকেল কিনে দেব। আমি খোঁজ নিয়েও রেখে এসেছি। মুকুন্দ সামন্ত তার ভাঙা সাইকেলটা এ মাসেই বিক্রি করবে শুনছি।’
বিনন্দ দূর থেকে শুনছিল মায়ের কথাটা। আনন্দে লাফাতে লাফাতে পুব পুকুরের পাড় ধরে দক্ষিণ পল্লির মাঠে ফুটবল পেটাতে চলে গেল। তার মনটা শুধু খচখচ করছিল, বাবা সাইকেলটা সত্যিই কিনে আনবে তো? কবে আনবে?
সন্ধেবেলা বাড়িতে ফিরেই বিনন্দ দেখল, বাবা হুমড়ি খেয়ে পড়ে একটা সাইকেল পরিষ্কার করছে। ‘ও মা! বাবা কি সত্যি-সত্যি মুকুন্দজেঠুর সাইকেলটা কিনে নিয়ে এসেছে তাহলে?’
কই, মা যে বলেছিল, সাইকেলটা ভাঙা! কিন্তু দেখে তো তেমন মনে হচ্ছে না। লজ্জায় ধীর পায়ে বিনন্দ সাইকেলটার হ্যান্ডেলে একবার হাত বুলিয়ে দৌড়ল রান্নাঘরে, ‘মা, বাবা সাইকেলটা কিনে এনেছে তো। দেখবে এসো! কই, মোটেও ভাঙা নয় তো সাইকেলটা।’
মা বলল, ‘মুকুন্দ সামন্তরা বড়লোক তো। ওদের কাছে ওটাই ভাঙা সাইকেল। বড়লোকরা সব জিনিসকেই অমন পুরনো আর ভাঙা বলে মনে করে! বাতিল করে দেয়।’ বিনন্দকে মা জিজ্ঞেস করল, ‘তোর পছন্দ হয়েছে তো?’
বিনন্দ দু’ পাশে মাথা দুলিয়ে জানিয়ে দিল পছন্দের কথা! রাতে খেয়ে শুতে গিয়ে বিনন্দর চোখের পাতা জুড়ে ঘুম আর এলই না! শুধু একটাই স্বপ্ন ঘুরেফিরে গোটা রাত জুড়ে ভেসে বেড়াতে লাগল বিনন্দর ঘুমের মধ্যে। এক্ষুনি দেখল, সাইকেলটা একদম ঝকমক করছে, নতুনের মতো। এখনও নতুন ব্রাউন রঙের কাগজটা সাইকেলের রডে জড়ানো! কে যেন এইমাত্র রং করে দিয়েছে! এক্কেবারে নতুন!
আবার একটু পরে বিনন্দ দেখল, সে সাইকেলে চড়ে একবার তাদের স্কুলের মাঠে চক্কর কেটে আসছে, তো এই ফের মন্দিরতলায় চালতা গাছের নীচে সাইকেলটা দাঁড় করিয়ে রেখে একটু হাঁফ ছেড়ে দম নিচ্ছে দক্ষিণের বাতাসে। হঠাৎ স্বপ্নে বিনন্দ দেখল, হাই স্কুলের হেডস্যর স্কুল থেকে বেরিয়ে বিনন্দকে দেখে বললেন, ‘বাহ, তোমার নতুন সাইকেল হল বুঝি? সাবধানে চড়বে। সাইকেল নিয়ে আবার পড়ে আছাড় খেও না যেন!’
স্যরের কথার উত্তরে কী বলবে ভেবে পেল না বিনন্দ। মনে-মনে বলল, ‘আগে সাইকেলটা চালাতে শিখে নিই তো! ভবতোষদাকে বলব, সে আমাকে সাইকেল চালানো শিখিয়ে দেবে!’ স্যরের কথার উত্তরে শুধু সম্মতিসূচক ঘাড় নাড়ল বিনন্দ। বড়দের কথার উত্তরে কি কোনও কথা বলতে আছে নাকি? 
ভোর রাতে ঘুম ভাঙতে বিনন্দ ভাবল, যাহ! আমি আবার কবে সাইকেল চালাতে শিখলাম? এ বাবা! স্বপ্নে দেখলাম, আমি যে বাঁইবাঁই করে সাইকেল চালাচ্ছি। বাবা তো সবে কাল সাইকেলটা কিনে এনেছে। মনেমনে ভাবল বিনন্দ, আজ বিকেলে বাবা মাঠের কাজ থেকে ফিরে এলে বাবাকে বলবে, ‘বাবা, চল! আমাকে সাইকেল চড়া শিখিয়ে দেবে!’ বাবার হাতে কাজ থাকলে ভবতোষদাকে বলবে, সাইকেল চড়া শিখিয়ে দিতে।
 স্কুল থেকে ফেরার সময় ওরই বয়সি নান্টু সামন্ত সাইকেলের খবর পেয়ে এসে বলল, ‘ধুর! সাইকেল চড়া শেখা এমন কঠিন কাজ নাকি? সে আমিও তোকে একদিনেই শিখিয়ে দিতে পারি!’
গায়ে পড়ে নান্টুর সাইকেল চড়া শিখিয়ে দেওয়ার কথায় ভরসা করতে পারল না বিনন্দ। ও যা দুষ্টু ছেলে! বরং ভবতোষদাই ভালো। তক্ষুনি ভবতোষ সত্যি-সত্যি বিনন্দদের উঠোনে এসে ডাক দিল, ‘বিনন্দ, আয়, সাইকেলটা বের কর। চল, করঞ্জাতলির মাঠে তোকে সাইকেল শিখিয়ে দিই।’
 দু’ জনেই বেরিয়ে পড়ল। ভবতোষ সাইকেলটা ঠেলতে ঠেলতে বলল, ‘সাইকেলটা এমন কিছু ভালো না রে! তা হোক! চল, প্রথমে তোকে হাফ প্যাডেল করাটা তো শেখাই!’
বিনন্দ বলল, ‘আরে সেকেন্ডহ্যান্ড সাইকেল তো! মা আগে থেকে বলে রেখেছিল মুকুন্দজেঠুকে। তাই সাইকেলটা পাওয়া গেল। না হলে দূরের বাজারের কোনও সাইকেল সারাইয়ের দোকানে কবেই বিক্রি করে দিত।’
বিনন্দকে সাইকেলের সিটে বসিয়ে ভবতোষ ঠেলতে লাগল। চেঁচিয়ে বলতে  লাগল, ‘বিনন্দ, তুই পা দিয়ে প্যাডেল কর। আর সবসময় সামনে দূরের দিকে তাকাবি। একদম কাছের দিকে তাকাবি না! সাইকেল চালানো শিখতে হলে প্রথমে হ্যান্ডেলের উপর দিয়ে দূরের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। তা না হলেই দুম ফটাস।’
দু’জনে করঞ্জাতলি মাঠে বেশ ক’বার সাইকেল নিয়ে ঘুরপাক খেল। মাঝেমাঝে ভবতোষ সাইকেল সুদ্ধ বিনন্দকে হাত ছেড়ে ঠেলে দিয়ে হাততালি দিয়ে চেঁচিয়ে উঠতে লাগল, ‘এই তো! তুই সাইকেল চালাতে পেরে গেছিস রে!’
আচমকা চারপাশে তাকিয়ে বিনন্দ যেন নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারছিল না। সত্যিই তো! সে সাইকেল চালাতে পেরে গেছে! ও মা! সত্যিই তাহলে সাইকেল চালানো শেখা এতই সহজ?
সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরে উঠোন থেকে চেঁচিয়ে মাকে ডাকল, ‘মা, ও মা! আমি একদিনে সাইকেল চালাতে শিখে গেছি!’
মা অবাক গলায় জিজ্ঞেস করল, ‘কে তোকে ধরে ধরে সাইকেল চালাতে শেখাল শুনি?’
‘ভবতোষদা! আমাকে সাইকেলের সিটে বসিয়ে ঠেলতে ঠেলতে এক সময় দেখি আমাকে ছেড়ে দিয়ে ভবতোষদা বলল, বিনন্দ, এবার তুই জোরে পা ঘুরিয়ে প্যাডেল কর।’
‘আমি মনে সাহস এনে প্যাডেল করতে লাগলাম। ও মা! দেখি কী, আমার একটুও ভয় করছে না। আমি বাঁইবাঁই করে বেশ সাইকেল চালাচ্ছি!’
মা খুশি হয়ে বিনন্দকে জড়িয়ে ধরল। কয়েকদিন পর থেকে স্কুল ছুটি হলে ভবতোষদার সঙ্গে করঞ্জাতলি মাঠে গিয়ে বিনন্দ সাইকেল চালানো প্র্যাকটিস করতে লাগল। একদিন বিনন্দর বাবা মাঠের কাজ থেকে ফেরার পথে দেখল, বিনন্দ করঞ্জাতলির মাঠে একাই সাইকেল চালাচ্ছে!
বাড়ি ফিরে বাবা সুখবরটা মাকে দিয়ে বলল, ‘কাল থেকে বিনন্দ সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাক, কী বল? আমি নিজের চোখেই আজ দেখে এসেছি, বিনন্দ একা একাই সাইকেল চালাচ্ছে! রোজ অতটা পথ বেচারা হেঁটে হেঁটে স্কুলে যায়। তার দরকার কী? এবার থেকে সাইকেলে চড়েই বিনন্দ স্কুলে যাবে!’
তার পরদিন থেকে বিনন্দ সত্যি সত্যি সাইকেল চড়ে স্কুলে যেতে শুরু করল। হেডস্যর সেদিন বিনন্দকে সাইকেল চড়ে স্কুলে আসতে দেখে বললেন, ‘বাহ! বিনন্দ, তুমি তো বেশ সুন্দর সাইকেল চালাতে শিখে গেছ?’
ক্লাস সিক্সের অ্যানুয়াল পরীক্ষা এসে গেছে! একদিন স্কুল থেকে ফিরে মাকে বলল, ‘মা, তোমাকে একটা দরকারি কথা বলি?’
‘কী কথা রে? বল না!’
‘আমাদের ক্লাসের রবির একটা খুব বিপদের খবর পেলাম গো মা!’
মা ব্যাকুল গলায় জানতে চাইল, ‘কেন? কী হয়েছে রবির?’
‘রবির মায়ের কঠিন অসুখ ধরা পড়েছে মা। কাল হাসপাতাল থেকে ওর মাকে বাড়িতে এনেছে। আমি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আজ রবির মাকে দেখতে গিয়েছিলাম। কী ভীষণ রোগা হয়ে গেছে কাকিমা! একলা উঠে বিছানায় বসতেও পারছে না। ধরে ধরে মাকে বিছানায় বসিয়ে দিল রবি।’
‘এত তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে এল কেন ওর বাবা? আর ক’দিন থেকে আর একটু সেরে উঠলে তবে না হয় বাড়ি নিয়ে আসতে পারত?’
বিনন্দর চোখ ছলছল করে উঠল। বলল, ‘মা, বরির মা আর বেশিদিন বাঁচবেন না, এমন কঠিন অসুখ হয়েছে। ডাক্তারবাবু বলে দিয়েছেন, ‘হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে রাখতে। যে ক’দিন বেঁচে থাকেন, সে ক’দিন বাড়িতেই থাকুন। আর...’
বিনন্দর মা ব্যাকুল হয়ে জানতে চাইল, ‘আর কী?’
‘প্রায় প্রতিদিনই মায়ের জন্যে হাসপাতাল থেকে ওষুধ এনে দিতে হবে। রবিদের অত টাকা তো নেই যে, ওষুধ কিনে দিতে পারবে। হাসপাতাল থেকে বিনা পয়সায় ওষুধ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ডাক্তারবাবু! কিন্তু মুশকিল হল...’
‘কী মুশকিল হল রে?’
বিনন্দর গলা ভারী হয়ে এল। বলল, ‘রবির বাড়ি থেকে হাসপাতাল অনেকটা দূর। দু’-একদিন অন্তর অত দূর থেকে পায়ে হেঁটে ওষুধ আনা সম্ভব হবে না মা! তাই আমি ভাবছি, আমার সাইকেলটা রবিকে দিয়ে দিতে পারলে কেমন হয়? মা, রবিকে কিছুদিনের জন্যে দেব? রবি সাইকেল করে ওর মায়ের জন্যে ওষুধ এনে দেবে হাসপাতাল থেকে। তারপর স্নান করে স্কুলে যাবে সাইকেলে চেপে। না হলে রবির স্কুলটাও যে বন্ধ হয়ে যাবে মা?’
মা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকল বিনন্দর মুখের দিকে। তারপর বলল, ‘তোমার বাবা বাড়ি ফিরে আসুক সন্ধেবেলা। দেখি তোমার কথার উত্তরে তোমার বাবা কী বলে?’
কথা বলতে বলতে বিনন্দর বাবা মাঠের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে এল। মা-ছেলেকে থম হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বাবা মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘কী হয়েছে? তোমরা এমন চুপ করে দাঁড়িয়ে আছ কেন?’
মা বিনন্দর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘বিনন্দ, তুই বাবাকে কথাটা বল না!’
বিনন্দ একটু দম নিয়ে বাবার মুখের দিকে তাকাল, ‘বাবা!’
   বাবা মুখ তুলে জানতে চাইল, ‘কী হয়েছে বল! চুপ করে আছিস কেন?’
বিনন্দ একবার মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে নিয়ে ধীরে ধীরে সব কথা বলল বাবাকে। তারপর চুপ করে থাকল। 
   বাবা বলল, ‘তুমি কী ভেবেছ বিনন্দ?’
বিনন্দ কান্নায় ভিজে ওঠা গলায় বলল, ‘আমি ভেবেছি বাবা, আমার সাইকেলটা আমি রবিকে দিয়ে দেব, যতদিন না ওর মা সেরে ওঠে!’
বিনন্দ থামতে বাবার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল। বাবা বিনন্দর পিঠে হাত রেখে বলল, ‘তুমি যা ভেবছ, তাই হবে! তুমি যে এত ভালো একটা কথা ভাবতে পেরেছ, এতে আমার খুব আনন্দ হচ্ছে বিনন্দ!’
মা বিনন্দর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল, ‘তুমি আর দেরি কোরো না বাবা! কাল সকালেই রবিকে মায়ের ওষুধ আনতে ছুটতে হবে হাসপাতালে! আর একটু পরেই সন্ধে নেমে পড়বে! ওই তো শেফালিদের দেবদারু গাছের মাথায় শেষ বিকেলের রোদের ঝলক মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে!’
বিনন্দ সাইকেলটা উঠোনে নামিয়ে তড়িঘড়ি বাঁ পায়ে প্যাডেলে চাপ দিল, ‘মা আসছি! আমি এক্ষুনি রবিকে সাইকেলটা দিয়েই ফিরে আসব।’
বিনন্দর মা-বাবার চোখ দুটো চিকচিক করে উঠল কি না সেসব দেখার মতো বিকেলবেলার আলোর অত সময় কোথায়?
21st  April, 2024
লড়াইয়ের অপর নাম মানসী

ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। দুর্ঘটনায় হারান একটি পা। কিন্তু হেরে যাননি। তারপর থেকে ব্যাডমিন্টনই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। মনের অদম্য শক্তিতে ভর করে সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছেন মানসী। সেই অনুপ্রেরণার গল্পই শোনালেন সৌগত গঙ্গোপাধ্যায় বিশদ

28th  April, 2024
আশ্চর্য ফুল

ফুল কে না ভালোবাসে! কিন্তু আশপাশের পরিচিত ফুলের বাইরে কিছু অদ্ভুত-দর্শন ফুলের খোঁজ দিলেন রুদ্রজিৎ পাল বিশদ

28th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: রঙিন শিশি

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

28th  April, 2024
রকেট বার্ড
অনির্বাণ রক্ষিত 

ছোট্ট বন্ধুরা, বিশ্বের দ্রুততম প্রাণীর প্রসঙ্গ উঠলে তোমাদের কোন কোন প্রাণীর নাম প্রথমে মাথায় আসে? অনেকেই হয়তো বলবে চিতা কিংবা বাজপাখি বা ঈগলের কথা। কিন্তু এমনও একটি প্রাণী রয়েছে, যা এদের সবাইকে পিছনে ফেলতে পারে। বিশদ

28th  April, 2024
পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়

শুক্রের আহ্নিক গতি অন্য গ্রহগুলির মতো নয়। সৌর জগতে কেন ব্যতিক্রমী এই গ্রহ জানালেন স্বরূপ কুলভী বিশদ

21st  April, 2024
মুদ্রা যখন বিশালাকৃতির পাথর

টাকা-পয়সা বা মুদ্রা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে। সভ্যতার ঊষালগ্নে চালু ছিল বিনিময় প্রথা। তারপর এল তামা, সোনা ও রুপোর মুদ্রা। বর্তমান সময়ে ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি কাগজের নোট চালু আছে।
বিশদ

21st  April, 2024
বাংলা ভাষার প্রতি ঠাকুরবাড়ির ভালোবাসা
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা নববর্ষের দিন জানব বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা। সেই ইংরেজ আমলে রবীন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে এই ভাষার জন্য লড়াই করেছিলেন, তুলে ধরা হল তারই টুকরো কিছু স্মৃতি।  বিশদ

14th  April, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: মটকা পেন্টিং

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

14th  April, 2024
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবিষ্কার
কল্যাণকুমার দে

ঘুম! পড়তে বসলেই ঘুম পেয়ে যায়। এর জন্য বাবা-মায়ের কাছে কম বকুনি খেতে হয় না। বকুনি খেয়েও কিন্তু অভ্যেসটা পাল্টায় না। আসলে ঘুমের অভ্যেসটা আমাদের জন্মাবার সঙ্গেই তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরা কেন ঘুমোই? জীবনে কি ঘুম অত্যন্ত জরুরি? বিশদ

14th  April, 2024
এপ্রিল ফুলের খুনসুটি

পেরিয়ে এলাম পয়লা এপ্রিল। ইংরেজি চতুর্থ মাসের ১ তারিখ মানেই এপ্রিল ফুলস’ ডে। বোকা বানানোর দিন। কীভাবে বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি মজা করে কাটল, সেই গল্পই শোনাল পূর্ব বর্ধমানের ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ‘ফুল’ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিল মাসের বোকা।
বিশদ

07th  April, 2024
যাত্রী যখন গান্ধীজি

১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাস। শীতের বিকেলে সোদপুর স্টেশন দিয়ে কু-ঝিকঝিক আওয়াজ করে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। স্ব-পার্ষদ খাদি আশ্রমে বসে রয়েছেন জাতির জনক। আচমকা বললেন, মাদ্রাজ যেতে হবে। এখান থেকেই ট্রেন ধরব
বিশদ

07th  April, 2024
বিরল সংখ্যা

গণিত মানেই মগজাস্ত্রে শান। সংখ্যার খেলা। কত ধরনেরই যে বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে, তা বলে বোঝানো যায় না। এক একটা সংখ্যাতেই কত না রহস্য। এই ধর, ছয় দশ পাঁচ পঁয়ষট্টির কথা। সংখ্যায় লিখলে— ৬৫। দেখে কী মনে হচ্ছে!
বিশদ

07th  April, 2024
রুকু ঝুকুর চাওয়া পাওয়া
অংশুমান কর

আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। ঝুকুর জন্মের পর এই প্রথম আমাদের সকলের একসঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাওয়া। ও তাই খুব আনন্দে আছে। কতবার আমাকে বলছে, ‘দাদা তুই আর আমি ধানগাছে চড়ে দোল খাব।’ আমি ওকে বলিনি যে, ধানগাছে চড়ে দোল খাওয়া যায় না। বিশদ

31st  March, 2024
মহাকাশযাত্রীদের খাবার-দাবার
উৎপল অধিকারী

মহাকাশ বড়ই রহস্যময় স্থান। এই রহস্যের উদ্ঘাটন করার জন্য মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ সশরীরে সেখানে হাজির হয়েছে। এই অকুতোভয় সাহসী মহাকাশযাত্রীরা জীবন বাজি রেখে অসীম ধৈর্য নিয়ে মহাকাশযানে তাঁদের গবেষণা করছেন। বিশদ

31st  March, 2024
একনজরে
‘মা-মাটি-মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভালো।’ এই থিম সং তৃণমূলের যে কোনও সভা শুরু হওয়ার আগেই শোনা যাচ্ছে। সেই সুরের যেন প্রতিধ্বনি শোনা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের চা চক্রে। অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। তবে তিনি তৃণমূলের থিম ...

আগামী দু’বছরের মধ্যে একটা ট্রফি জিততেই হবে বাবর আজমদের। ওডিআই ও টি-২০ ফরম্যাটে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটারদের ...

 নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই  দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার চারটি লোকসভা আসনের প্রার্থীদের প্রচার শুরু হয়ে যায় পুরোদমে। তার প্রায় দেড় মাস পর দেখা যাচ্ছে, প্রচার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির সংখ্যার নিরিখে যাদবপুর লোকসভা অন্য কেন্দ্রগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ...

জমি দুর্নীতি মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডির জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে। আগামী ৬ মের মধ্যে এব্যপারে জবাব দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস
১৬৩৯ - দিল্লির লালকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়
১৮৪৮- শিল্পী রাজা রবি বর্মার জন্ম
১৯১৭ – সঙ্গীতবিশারদ দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৯ - জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন
১৯১৯- বিশিষ্ট তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লারাখার জন্ম
১৯৩৯- কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষচন্দ্র বসু
১৯৪৫ -  জার্মান বাহিনীর মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ
১৯৪৫ – ইতালির একনায়ক মুসোলিনীর মৃত্যু
১৯৪৯ -  বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৫৪ -  ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি সম্পাদিত
১৯৭০ - টেনিস খেলোয়াড় আন্দ্রে আগাসির  জন্ম
১৯৮০ - চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচককের মৃত্যু
১৯৯৭ -   ব্রিটেন চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয়
২০২০ - বিশিষ্টঅভিনেতা  ইরফান খানের মৃত্যু 

29th  April, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫৭ টাকা ৮৫.০০ টাকা
পাউন্ড ১০২.১২ টাকা ১০৬.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৭ টাকা ৯১.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। ষষ্ঠী ৪/৫৩ দিবা ৭/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫৭/৩০ রাত্রি ৪/৯। সূর্যোদয় ৫/৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৫ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ২/৪৫। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৬ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২২ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৪ গতে ৮/৪৭ মধ্যে। 
২০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বইকে ৪ উইকেটে হারাল লখনউ 

11:24:00 PM

আইপিএল: ৫ রানে আউট টার্নার, লখনউ ১২৩/৫ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

11:10:00 PM

আইপিএল: ৬২ রানে আউট স্টোইনিস, লখনউ ১১৫/৪ (১৪.৫ ওভার), টার্গেট ১৪৫

11:05:35 PM

আইপিএল: ১৮ রানে আউট হুডা, লখনউ ৯৯/৩ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:57:18 PM

আইপিএল: ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি স্টোইনিসের, লখনউ ১০১/৩ (১৩.৩ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:48:34 PM

আইপিএল: লখনউ ৭৯/২ (১০ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:44:24 PM