Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

সত্যজিৎ রায়ের 
ছোটদের ছবি

বিশ্ববন্দিত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উদযাপন চলছে। ছোটদের জন্যও তিনি কয়েকটি ছবি তৈরি করেছিলেন। সেই ছবিগুলোর কথায় ড. শঙ্কর ঘোষ।

ছোট্ট বন্ধুরা জানো তো সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ চলছে! তাঁর বাবা সুকুমার রায় ছিলেন বিখ্যাত কবি। মা’র নাম সুপ্রভা রায়। এক রবিবার সত্যজিৎ রায় জন্মেছিলেন। এবার আসি তাঁর ছবিগুলির কথায়। 
প্রথমেই এক গানপাগল যুবকের কথা বলি। রাজবাড়ির দিকে মুখ করে বসে সে গান ধরেছে। গানের শব্দে রাজার ঘুম ভেঙে যায়। যুবকটিকে পেয়াদা পাঠিয়ে ধরে নিয়ে আসেন রাজা। তার কাছে রাজার প্রশ্ন, ‘নাম কী?’ যুবকের উত্তর ‘গোপীনাথ গায়েন’। রাজার পরের প্রশ্ন ‘সপ্তক জানা আছে?’ সম্মতি জানায় যুবকটি। রাজার পরের প্রশ্ন ‘তৃতীয় সুরটা কী?’ যুবক বলে ‘গা’। রাজার এবারের প্রশ্ন, ‘ষষ্ঠ সুর’? যুবকের চটপট উত্তর ‘ধা’। রাজা আবার প্রশ্ন করলেন, ‘দুইয়ে মিলে কী হয়?’ রাজাই উত্তর দিয়ে দিলেন ‘গাধা’। যুবকের হাতের তানপুরাটা নিজের হাতে নিয়ে মেঝেতে ছুঁড়ে ফেললেন রাজা। তানপুরাটা পড়ে খান খান হয়ে গেল। রাজা নির্দেশ দিলেন ‘একে গাধার পিঠে তুলে গ্রামের বাইরে বার করে দাও’। অপমানিত যুবকটি গাধার পিঠে চড়ে বাঁশবন পর্যন্ত চলে আসে। একাই ঢোকে বাঁশবনে। সেখানে তার পরিচয় হয় আর এক যুবকের সঙ্গে। জানতে পারে এই যুবকটিও রাজার কাছে অপমানিত হয়ে গ্রামছাড়া হয়েছে। যুবকটি ভালো ঢোল বাজায়। যুবকটির নাম বাঘা বাইন। গোপীনাথ গাইন থেকে প্রথম যুবক হয়ে ওঠে গুপী গাইন। গুপী গাইন, বাঘা বাইন। তোমরা এতক্ষণে ঠিক বুঝতে পেরেছ যে আমি ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ছবির গল্প করছিলাম। সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদাদা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ একসময় ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।  
পরিচয় পর্বের পর দুটো অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। বাঁশবনের মধ্যেই বাঘের আগমন। বাঘা পরামর্শ দেয় গান-বাজনা করো, তুমি তো গাইন। তাহলে আর বাঘ আসবে না। বাঘার ঢোলের আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গে গুপী গাইন গান ধরে। বাঘটা একবার ওদের দিকে তাকিয়ে চলে যায়। ওরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। আরেক দৃশ্য দেখে ওদের ভয় লেগে যায়। বাঁশবাগানের ফাঁকে ফাঁকে ভুতের নাচ শুরু হয়। ভূতের রাজা গুপী-বাঘার দুঃখের কথা শুনে ওদের তিনটে বর দিলেন। গুপী-বাঘার আনন্দ আর ধরে না। গুপী গান ধরে ‘ভূতের রাজা দিল বর, জবর জবর তিন বর’। সত্যজিৎ রায় এমনভাবে সবকিছু তুলে ধরলেন যাতে তোমরা তো আনন্দ পেলেই, বয়স্করাও সমান আনন্দ পেলেন। এবার শিল্পী তালিকাটা দেখা যাক। গুপীর ভূমিকায় পরিচালক নিয়ে এলেন নতুন মুখ তপেন চট্টোপাধ্যায়কে। বাঘার চরিত্রে রবি ঘোষ। শুন্ডির রাজা এবং হাল্লার রাজা এই দুই চরিত্রের জন্য এলেন সন্তোষ দত্ত। হাল্লা রাজার মন্ত্রীর চরিত্রে জহর রায়। জাদুকর বরফি চরিত্রে হারীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও অনেক শিল্পী। এই ছবির অন্যতম আকর্ষণ অবশ্যই বাঘ। সত্যিকারের বাঘ। এখনকার ছবির মতো কম্পিউটারে তোলা বাঘ নয়। সত্যিকারের বাঘ মানে তার শ্যুটিংয়ের ধকলটা অনেক। গ্রাম থেকে বিতাড়িত গুপী যখন বাঁশবনের কাছাকাছি তখন তার মনে হয় ‘সন্ধ্যা হইলে বনবাদাড়ে বাঘে যদি ধরে? গুপী যদি মরে?’ এমন ভাবনা যখন গুপীর তখন বাঘকে আনতেই হয় পর্দায়। সত্যজিৎ রায় বেরিয়ে পড়লেন বাঘের খোঁজে। ভারত সার্কাসের খেলায় বাঘ এসেছে। সার্কাসের ম্যানেজারের সঙ্গে এবং বাঘের ট্রেনার মিঃ থোরাটের সঙ্গে কথা পাকাপাকি হয়। লোকেশন সিউড়ির বাঁশবন। নির্দিষ্ট দিনে গাড়ির খাঁচায় চেপে বাঘ নিয়ে আসা হল। তাও একটি বাঘ নয়, দু’ দুটো বাঘ। সঙ্গে মিস্টার থোরাট আর তাঁর দুই সঙ্গী। সত্যজিৎ রায় কারণ জিজ্ঞাসা করার পর তিনি জানালেন,
একটা বাঘ যদি কথা না শোনে তাই আরেকটা বাঘ। দুটোই রয়েল বেঙ্গল টাইগার। ঠিক হল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গলায় বাঘের চামড়া দিয়ে তৈরি বকলেস পরানো থাকবে। মস্ত বড় ইস্পাতের তার বকলেস-এর প্রান্তে এবং তারের অপর প্রান্তে লোহার খুঁটিতে বেঁধে সেটি লুকানো থাকবে বাঁশবনের আড়ালের মাটিতে। শট রেডি। ক্যামেরা অ্যাকশন বলার সঙ্গে সঙ্গে খাঁচার মুখ খুলে দেওয়া হল। বাঘ প্রথমে লাফ দিয়ে নেমে খানিক লম্ফঝম্প করে শান্ত হল। শট ওকে। সত্যজিৎবাবু বাঘের খুব কাছে গিয়ে আরও কিছু শট নিলেন। কলকাতায় ফিরে প্রোজেকশন দেখে সত্যজিৎ রায়ের মন ভরল না। তাঁর মনে হল বাঘ আর বাঁশবন কালো এসেছে। এবার শ্যুটিং স্পট বদল হল। তাঁর প্রথম ছবি পথের পাঁচালীর যে বোড়াল গ্রামে শ্যুটিং হয়েছিল, সেখানে এবার বাঘ ও দলবল নিয়ে শ্যুটিং করলেন সত্যজিৎ রায়। ছবির গানগুলি চিরদিনের গান। ‘ভূতের রাজা দিল বর’, ‘দেখো রে নয়ন মেলে জগতের বাহার’, ‘মহারাজা তোমাকে সেলাম’, ‘ও মন্ত্রী মশাই ষড়যন্ত্রী মশাই থেমে থাক’, ‘এক যে ছিল রাজা তার ভারি দুখ’, ‘ওরে বাবা দেখো চেয়ে কত সেনা চলেছে সমরে’— এমন সব গান। ছবির ভাগ্যে জুটেছিল দেশ-বিদেশের অসংখ্য পুরস্কার। 
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশের মতো সত্যজিৎ রায় সৃষ্টি করলেন তাঁর গোয়েন্দা চরিত্রের, নাম প্রদোষ চন্দ্র মিত্র। সবাই অবশ্য ফেলুদা নামে চেনে। শার্লক হোমস আর ওয়াটসন যেমন দারুণ জুটি ঠিক তেমনি ফেলুদার সহকারীর নাম তপেশ। ফেলুদা ডাকেন তোপসে বলে। এছাড়া আর একজন নিয়মিত সঙ্গী আছেন— লালমোহন গাঙ্গুলী। জটায়ু ছদ্মনামে তিনি রহস্য-রোমাঞ্চ গল্প লেখেন। জটায়ু চরিত্রটি রসে ভরা। ভুলভালের মধ্য দিয়ে তাঁর শুদ্ধিকরণ ঘটে বারংবার। ‘সন্দেশ’ পত্রিকার ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বর সংখ্যায় ফেলুদার আবির্ভাব। প্রথম পাঁচটি গল্পে জটায়ু নেই। জটায়ু ঢুকলেন  ‘সোনার কেল্লা’ থেকে। ১৯৭২ সালের  ‘দেশ’ শারদ সংখ্যাতে এটি প্রকাশিত। ফেলুদাকে নিয়ে বড় পর্দার জন্য সত্যজিৎ রায় তৈরি করলেন ‘সোনার কেল্লা’ ছবিটি। তিনি অযথা গোলাগুলি মারদাঙ্গা দেখাতে চাননি। তাই ফেলুদার অস্ত্র হল মগজাস্ত্র। সেই মগজ খাটিয়ে তিনি কঠিন সব রহস্যের সমাধান করেন। মুকুল নামের একটি বাচ্চাকে কেন্দ্র করে গল্পের বিস্তার। মুকুল আঁকার খাতায় রাজস্থানের সোনার কেল্লার ছবি আঁকে। সে নাকি পূর্বজন্মে সেখানেই থাকত। তার কথার সত্যাসত্য অনুসন্ধানের জন্য প্যারা সাইকোলজিস্ট ডাক্তার হাজরা তাকে নিয়ে দুর্গের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন। একদল বদমাশ তাদের পিছু নেয়। ছেলের সর্বনাশ হতে পারে এই ভয়ে মুকুলের বাবা ফেলুদাকে নিয়োগ করেন দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য। ফেলুদা তোপসে ও জটায়ুকে নিয়ে রাজস্থানে হাজির। তিনি রহস্যের সমাধান করলেন। বড়পর্দায় ফেলুদা চরিত্রে প্রথম এলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তোপসে চরিত্রে সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়। জটায়ু চরিত্রে সন্তোষ দত্ত। মুকুলের চরিত্রে শ্রীমান কুশল। অভিভাবকরা সাদরে গ্রহণ করলেন ফেলুদাকে। জমে গেল সোনার কেল্লা। ১৯৭৪ সালের বড়দিনের সময় এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল। 
এই ছবির সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে ফেলুদা সিরিজের আরেকটি রহস্য গল্পকে সত্যজিৎ রায় বড় পর্দায় নিয়ে এলেন। ছবির নাম ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’। ১৯৭৫ সালের ‘দেশ’ শারদ সংখ্যায় এই উপন্যাসটি বেরিয়েছিল। ফেলুদা তোপসে ও জটায়ুকে নিয়ে বেড়াতে গেছেন বেনারসে। গোয়েন্দাগিরির কোনও ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু বেনারসের এক পরিবারের মূল্যবান গণেশ মূর্তি চুরি হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে ফেলুদা সেই পরিবারের কর্তার অনুরোধে তদন্তে নেমে পড়েন। সেখানে তিনি মুখোমুখি হন কুখ্যাত ব্যবসায়ী মগনলাল মেঘরাজের। একদিন মেঘরাজ করলেন কী, ফেলুদা তোপসে ও  জটায়ুকে নিজের বাড়িতে ডেকে এনে জটায়ুর সঙ্গে এক ভয়ঙ্কর ছুরি ছোঁড়ার খেলায় ফেলুদাকে বুঝিয়ে দেন যে এই তদন্তের কাজ চালিয়ে গেলে ফেলুদা বিপদে পড়বেন। কিন্তু হুমকি দিয়ে কি ফেলুদাকে আটকে রাখা যায়? টানটান রহস্য আর উত্তেজনাকে তুলে ধরলেন সত্যজিৎ রায়। যথারীতি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ফেলুদা। সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জি তোপসে। সন্তোষ দত্ত জটায়ুর চরিত্রে। মগনলাল চরিত্রে উৎপল দত্ত। ১৯৭৯ সালের ৫ জানুয়ারি শিশু ও কিশোর চিত্র হিসেবে ছবি মুক্তি পেল। ‘সেরা শিশু চলচ্চিত্র’ হিসেবে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেল ছবিটি। এ ছাড়া বিদেশের নানান পুরস্কার তো আছেই। 
‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’-এর পরবর্তী ধাপ ‘হীরক রাজার দেশে’। তবে প্রথমটি সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদার লেখা। দ্বিতীয়টি তাঁর নিজের। ছবির সংলাপ ছন্দ মিলিয়ে মিলিয়ে, যা ছোট বড় সবাই উপভোগ করেছে পুরোমাত্রায়। গুপী-বাঘা নিমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছে হীরক রাজার দেশে। সেই রাজা অত্যাচারী প্রজাপীড়ক। রাজার এক পাগল বিজ্ঞানী আছেন যিনি আবিষ্কার করেছেন মগজ ধোলাই যন্ত্র। রাজার কাজের যারা বিরোধী তাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে রাজার শেখানো বুলি। ‘যায় যদি যাক প্রাণ হীরকের রাজা ভগবান’, ‘বেশি খেলে বাড়ে মেদ অনাহারে নাহি খেদ’, ‘লেখাপড়া করে যে অনাহারে মরে সে’, ‘জানার কোন শেষ নাই জানার চেষ্টা বৃথা তাই’ ইত্যাদি ইত্যাদি। শেষ পর্যন্ত রাজশক্তিকে ভেঙে দিতে আসেন গুরুমশাই উদয়ন। উদয়নকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে গুপী-বাঘা। শেষ পর্যন্ত রাজাই মগজ ধোলাইয়ের শিকার হন। নিজেই নিজের মূর্তি ভাঙার উৎসবে ছুটে গিয়েছেন। তখন রাজা নিজেই বলছেন ‘দড়ি ধরে মারো টান রাজা হবে খান খান’। শেষপর্যন্ত রাজা ও বিজ্ঞানীর পাগলামো থেকে মুক্তি পায় সাধারণ মানুষ। সত্যজিৎ রায় নিজের লেখা একটি লোকগীতি এই সিনেমায় ব্যবহার করেছিলেন, যেটি খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিল— ‘কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায় ও ভাইরে’। গেয়েছিলেন অমর পাল। গুপীর গানগুলি গেয়েছেন অনুপ ঘোষাল। গুপীর চরিত্রে তপেন চট্টোপাধ্যায়। বাঘার চরিত্রে রবি ঘোষ। উদয়ন পণ্ডিত হয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। হীরক রাজার ভূমিকায় উৎপল দত্ত। বিজ্ঞানীর চরিত্রে সন্তোষ দত্ত। এই ছবির ভাগ্যেও জুটেছে দেশি-বিদেশি বহু পুরস্কার। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮০ সালের বড়দিনের সময়। ছোট্ট বন্ধুরা সত্যজিৎ রায় এই ছবিগুলি তৈরি করেছিলেন তোমাদের জন্য। এই ছবিগুলির আবেদন কোনওদিন ফুরোবার নয়। জন্মশতবর্ষে সবাই আমরা তাঁকে প্রণাম জানাই।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
03rd  January, 2021
প্রকৃতির মাঝেই শিক্ষার রসদ 

জন্মের পর থেকেই নানাভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা শিক্ষা পাই। কথা বলা, হাঁটা থেকে শুরু করে আমাদের আচার ব্যবহার সবই সেই শিক্ষার অঙ্গ। স্কুলেও শুধু প্রথাগত শিক্ষা নয়, আরও অনেক কিছুই শেখা যায়।  
বিশদ

17th  January, 2021
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা 

আজ তোমাদের একটা ভালো খবর দিই। আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু স্মারক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা। এবার মেলার থিম ‘কোভিড-১৯’। হেদুয়া পার্কে এই মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। কেবল ছাত্রছাত্রীরাই অংশগ্রহণ করতে পারবে। 
বিশদ

17th  January, 2021
মার্কশিট 

তোমাদের জন্য চলছে জনপ্রিয় বিভাগ মার্কশিট। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় ইংরেজি। 
বিশদ

17th  January, 2021
সোনার ছেলে সোহারাব 

অন্ধকার থাকতে রোজ কোন কাজে আব্বা কোথায় বেরিয়ে যায় ছেলে সেটা জানেই না। আম্মাও কোনওদিন হাসি-খুশি ছেলেটাকে আব্বুর কথা কিছু বলে না। বড় রাস্তার ধারে একটাই তো দরমার বাড়ি। বর্ষাকালে রাস্তার জল এসে ঘরে ঢোকে। সহজে বের হতে চায় না। 
বিশদ

17th  January, 2021
গল্পকার বিবেকানন্দ

স্বামী বিবেকানন্দকে ছোট গল্পকার হিসেবে চেনা হয়নি কখনও। তাঁর বাণী ও রচনায় নানাভাবে তাঁকে চিনেছি বারবার। জেনেছি, স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন মানুষের সেবাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। বিশদ

10th  January, 2021
সিলেবাসের ক্ষেত্রফল কমলে, প্রশ্নের গভীরতা বাড়ে

পরামর্শে বালিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক অরণ্যজিৎ সামন্ত। বিশদ

10th  January, 2021
বাড়তি সময়কে কাজে লাগাও

পরামর্শে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন বালকাশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের  (উচ্চ মাধ্যমিক) ইংরেজির শিক্ষক সমাগত মুখোপাধ্যায়। বিশদ

10th  January, 2021
সময় বেঁধে উত্তর লেখা অভ্যাস করো

পরামর্শে হুগলি ব্রাঞ্চ গভর্নমেন্ট স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক ভাস্কর মৈত্র। বিশদ

10th  January, 2021
স্বামী বিবেকানন্দের ছেলেবেলা

আমাদের এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য অনেকে অনেকভাবে স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষদের ছেলেবেলার কথা। এবার স্বামী বিবেকানন্দ। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। বিশদ

10th  January, 2021
নিউ নর্মালে মাধ্যমিক,  প্রস্তুতি কীভাবে

এবার এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্যে হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক কেউই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন কখনও হননি। প্রায় গোটা বছরটাই স্কুল বন্ধ ছিল, হয়নি টেস্ট পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে তৈরি হবে পরীক্ষার জন্য! জানিয়েছে তোমাদের বন্ধুরা। সঙ্গে রয়েছে শিক্ষকদের পরামর্শ।  বিশদ

10th  January, 2021
রিঙ্কুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণ
মনসুর আলি গাজি

অনেকদিন থেকেই রিঙ্কু ওর বাবা-মার কাছে বায়না ধরেছে ওকে চিড়িয়াখানা দেখাতে নিয়ে যেতে হবে। ওর বাবা একটা বইয়ের দোকানে কাজ করেন। সেবার একটা গল্পের বই ওর বাবা ওকে দোকান থেকে কিনে এনে দিয়েছিলেন। বইয়ের দোকানে কাজ করলে কী হবে, একটা বই এমনি এমনি নেওয়া যাবে না। দাম দিয়ে কিনতে হবে। মালিক বড় কড়া।  বিশদ

20th  December, 2020
ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস-এর ভার্চুয়াল শিবির 

আজ তোমাদের একটা ভালো খবর দিই। সম্প্রতি ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখা তাদের ‘কাব’ বিভাগের ছেলেদের নিয়ে একটি বিশেষ ভার্চুয়াল শিবিরের আয়োজন করেছিল। বিশদ

20th  December, 2020
ছোটদের রান্নাঘর

করোনার দাপটে স্কুল বন্ধ। সুতরাং বাড়ি থেকে বেরিয়ে এটা ওটা খাওয়ারও জো নেই। তাই বলে কি এইসময় কোনও ভালো খাবারই চেখে দেখার সুযোগ হবে না? চিন্তা নেই, ছোটদের রান্নাঘরে শুধু তোমাদের জন্যই দুটি লোভনীয় রেসিপি দিয়েছেন ৩৭ রেলিশ রুট রেস্তরাঁর কর্ণধার ও শেফ জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। এগুলি আগুনের সাহায্য ছাড়াই তৈরি করা যাবে। তোমরাই করে চমকে দাও বড়দের। বিশদ

20th  December, 2020
ভালোবাসি পশুপাখি

পশুপাখির প্রতি মানুষ যে কখনও নিষ্ঠুর হয়, কখনও বা দয়ালু তা-ই দেখা গিয়েছে পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘ভালোবাসি পশুপাখি’ বইটির ‘খুনি’ গল্পে। এই গল্পে একদিকে কয়েকজন হৃদয়হীন মানুষ দূর দূরান্ত থেকে উড়ে আসা বগেরি পাখিদের জাল ফেলে ধরছে, অন্যদিকে আবার ছোট দুটি ছেলে, সুবল ও পরিমল এই বগেরি পাখিদেরই বাঁচাতে নিজেদের জীবন বিপন্ন করছে। বিশদ

13th  December, 2020
একনজরে
কালনা ফেরিঘাটে গাড়ি পারাপারের ভাড়ার (পারানি) রসিদ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মহকুমা শাসক। এছাড়াও ভাড়ার অতিরিক্ত মাঝিদের বকশিসের বিষয়টি ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত দেখার নির্দেশ দেন। ...

শারীরিক অবস্থার অবনতি হল আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের। তাঁকে দিল্লি এইমসে স্থানান্তর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাঁচির হাসপাতালে আট সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড ...

প্রত্যর্পণ এড়াতে নানারকম ছল করছেন প্রায় ন’হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলার মূল অভিযুক্ত বিজয় মালিয়া। গত অক্টোবরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন, একটি গোপন ...

গ্রামের অর্থনীতিকে উন্নত করতে মুক্তিধারা প্রকল্পের মাধ্যমে উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের হাটগাছা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের গদাইপুর গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০ - ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২ - তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৬৫ - ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮৭ - উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেরে জন্ম
১৯৮৮ - ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১ - হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২২ টাকা ৭৩.৯৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৫১ টাকা ১০১.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৯ টাকা ৯০.৫৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  January, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৯৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2021

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী ৪১/৩১ রাত্রি ১০/৫৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৪/৭ রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ১/৩৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৭ গতে ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী রাত্রি ৯/৫০। রোহিণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/২৯। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ১/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৭ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১২/১৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৯ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৯ গতে ৩/৮ মধ্যে। 
১০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হার্টে ব্লক পাওয়া গেল অরূপ রায়ের
সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের হার্টে ব্লক পাওয়া গেল। আজ প্রথমে ...বিশদ

07:18:00 PM

কালীঘাটে বস্তাভর্তি পোড়া টাকা উদ্ধার
কালীঘাটের মুখার্জিঘাটে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি পোড়া টাকা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ...বিশদ

04:29:00 PM

সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে রাজ্যের একাধিক স্টেশনে হাই অ্যালার্ট
মাঝে কেবলমাত্র কালকের দিনটি। এরপরই সাধারণতন্ত্র দিবস। তার আগে জঙ্গি ...বিশদ

04:05:00 PM

লালুপ্রসাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা মমতার 
অসুস্থ লালুপ্রসাদ যাদবের দ্রুত আরোগ্য কামনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। আজ বিহারের ...বিশদ

03:32:00 PM

২৬ জানুয়ারির দুপুর পর্যন্ত স্টেশন সংলগ্ন পার্কিং লট বন্ধ, জানাল দিল্লি মেট্রো
সাধারণতন্ত্র দিবসে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আগামীকাল সকাল থেকে ২৬ ...বিশদ

03:03:15 PM

মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে: অভিষেক 

02:52:00 PM