Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

রিঙ্কুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণ
মনসুর আলি গাজি

অনেকদিন থেকেই রিঙ্কু ওর বাবা-মার কাছে বায়না ধরেছে ওকে চিড়িয়াখানা দেখাতে নিয়ে যেতে হবে। ওর বাবা একটা বইয়ের দোকানে কাজ করেন। সেবার একটা গল্পের বই ওর বাবা ওকে দোকান থেকে কিনে এনে দিয়েছিলেন। বইয়ের দোকানে কাজ করলে কী হবে, একটা বই এমনি এমনি নেওয়া যাবে না। দাম দিয়ে কিনতে হবে। মালিক বড় কড়া। 
সে যাই হোক, রিঙ্কু ওতে চিড়িয়াখানার ছবি দেখেছে। বড়বড় বাঘের ছবি, হাতির ছবি, সাপের ছবি, জিরাফের ছবি, ময়ূরের ছবি, আরও কত পশুপাখির ছবি। সব রঙিন। যেন এক্কেবারে জ্যান্ত। রিঙ্কুর খুব ভালো লেগেছে। ওকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যেতেই হবে। কোনও কথা ও শুনবে না। 
রিঙ্কু এখন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। ওদের বাড়ি সুভাষগ্রামের উকিলপাড়ায়। 
ওর বাবা সবে কাজ থেকে ফিরেছেন। ও বাবাকে বলে ওঠে, ‘বাবা, তাহলে রোববার চিড়িয়াখানা যাওয়া হচ্ছে তো?’
‘দাঁড়া বাবা, আগে একটু চিন্তাভাবনা করে নিই। তারপর বলছি।’ বলেন ওর বাবা। 
‘না, তোমাকে যেতেই হবে।’ জেদ ধরে রিঙ্কু। 
‘হুঁ, রবিবার কত তারিখ পড়ছে যেন...?’ 
মনে মনে একটু হিসাব কষে নিয়ে রিঙ্কুর বাবা বলেন, ‘আটাশ তারিখ। ঠিক আছে, যাওয়া হবে।’
‘বাবা, আমার একটা ভালো টিফিন বক্স আর একটা ওয়াটার বটল কিনে দিতে হবে কালকে। আমরা রবিবার চিড়িয়াখানা যাব। কিনে দেবে তো বাবা?’ বলে রিঙ্কু।
‘হ্যাঁ হ্যাঁ, দেব। কালকেই দেব।’ বলেন ওর বাবা। 
‘আমার ভালো বাবা।’ বাবার গলা জড়িয়ে ধরে খুশি হয়ে রিঙ্কু বলে। 
যথারীতি রবিবার ওরা বেরিয়ে পড়ল। ট্রেনে যাচ্ছে ওরা। 
ট্রেনে যাওয়ার সময় রিঙ্কু নানান প্রশ্ন করে ওর বাবাকে— ‘বাবা, চিড়িয়াখানার বাঘগুলো খুব বড়বড় হয়? জিরাফগুলো খুব উঁচু উঁচু হয়?
শিম্পাঞ্জিগুলো খুব কালো হয়? ময়ূরগুলোর পেখম থাকে?’ 
ওর বাবা বলেন, ‘চল, গিয়ে সব দেখবি এখন।’
রিঙ্কু তাড়াতাড়ি ওর ব্যাগের মধ্যে হাতটা দিয়ে দেখে নেয় ক্যামেরাটা নিয়েছে কি না, নয়তো ফিরে এসে স্কুলের বন্ধুদের তো ছবিগুলো দেখাতে পারবে না।
উল্টোদিকে বসে থাকা এক মাঝবয়সি ভদ্রলোক রিঙ্কুর দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলেন, ‘চিড়িয়াখানা যাচ্ছ?’
রিঙ্কু লোকটির দিকে তাকিয়ে বলে, ‘হ্যাঁ।’
‘যাও। কত কী পশু আছে, পাখি আছে গিয়ে সব দেখবে। খুব ভালো লাগবে।’ ভদ্রলোকটি বলেন।
‘তাই নাকি বাবা, অনেক অনেক পশু আছে, পাখি আছে?’ জিজ্ঞাসা করে রিঙ্কু।
ওর বাবা বলেন, ‘হ্যাঁ। বললাম তো গিয়ে সব দেখবি এখন।’
রিঙ্কুর মা ব্যাগ থেকে জলের বোতলটা বার করে ছিপিটা খুলে রিঙ্কুর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বাবু, একটু জল খেয়ে নে।’
ট্রেনের গতি কমে যাচ্ছে। হুইসেল বাজছে। স্টেশনে মাইকে ট্রেন আসার ঘোষণা শোনা যাচ্ছে। রিঙ্কু অস্থির হয়ে ওঠে।
ওর বাবা বলেন, ‘এটা ঢাকুরিয়া এল। এরপর বালিগঞ্জ, তারপর পার্ক সার্কাস। বালিগঞ্জে আমরা নামব।’
রিঙ্কু একটু স্থির হয়ে বসে।
লোকে লোকারণ্য! সবাই যেন ব্যস্ততার কাছে নিজেদেরকে উজাড় করে দিয়ে হেঁটে চলেছে। একটু অবাক হয়ে যায় রিঙ্কু।
ওরা চিড়িয়াখানায় বড় একটা চোখ ধাঁধানো গেট দিয়ে ঢোকে। রিঙ্কু অবাক নয়নে এদিক ওদিক তাকিয়ে আশপাশে সবকিছু দেখতে থাকে।
‘এই দেখো মা কত্তবড় পাখি!’, উটপাখি দেখে রিঙ্কু চেঁচিয়ে ওঠে।
‘এটার মতো আরও অনেক বড়বড় সব পাখি আছে। এদিক দিয়ে আয় দেখবি তো।’ বলেন ওর বাবা।
রিঙ্কুর বাবা বলেন, ‘রিঙ্কু, এই যে চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখছিস, ১৮৭৬ সালে এটা তৈরি হয়েছিল। এর নাম আলিপুর পশুশালা। আমরা মুখের কথায় একে আলিপুর চিড়িয়াখানা বলে থাকি। ইংরেজিতে বলা হয় জুলজিক্যাল গার্ডেন অব কলকাতা, বাইরে দেখবি এর গেটের ওপর লেখা আছে।’
রিঙ্কু বাবার হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে একমনে কথাগুলি শুনছিল।
‘বাবা, ওই দেখো জিরাফ!’, চেঁচিয়ে ওঠে আট বছরের রিঙ্কু।
‘রিঙ্কু বাবা, জিরাফ আমাদের কী শেখায় বল তো দেখি...’, রিঙ্কুর বাবার প্রশ্ন রিঙ্কুকে।
‘কী শেখায় বাবা?’, জানতে চায় রিঙ্কু।
‘ও শেখায় উচ্চ হতে। মনের দিক দিয়ে উচ্চ হতে, ঠিক ওর মতো। দেখ ও কত উঁচু! তাই না?’
‘হ্যাঁ বাবা।’
‘জীবনে ভালো ভাবে বাঁচতে গেলে ছোটখাট বিষয়গুলোকে অত আমল দিতে নেই। উচ্চ হতে হয়, মানে মনটাকে উঁচু করতে হয়। দেখ, ওর পায়ের কাছে কতকিছু পড়ে আছে, ও কিন্তু ওদিকে নজর দিচ্ছে না। ও পাতা খেয়ে যাচ্ছে, ওর যা কাজ ও করে যাচ্ছে। এবার এই দেখ হাতি! এবার বল, হাতির কাছ থেকে তুই কী শিখবি?’
‘জানি না বাবা, তুমি বলে দাও।’
‘ধীর-স্থির হতে। কোনও কাজে তাড়াহুড়ো না করতে। বুঝেছিস?’
‘হ্যাঁ বাবা।’
এভাবে ওরা পাখি দেখল, কত হরিণ দেখল, জলের পাশে ডাঙায় শুয়ে থাকা কুমির দেখল। তারপর বাঘমামার ঘরের সামনে গেল। রিঙ্কু তো আনন্দে ভরপুর। ক্যামেরা দিয়ে বাঘমামার একটার পর একটা ছবি তুলতে লাগল।
তারপর ওরা সাপের জায়গায় এল। ওরে বাবা, কত রকমের আর কত বড় বড় মোটা মোটা সাপ! কী বিকট দেখতে রে বাবা! রিঙ্কু দেখে আর ভাবে। সবগুলো কাচের ঘরে রয়েছে। ও দেরি না করে একটার পর একটা সাপের ছবি তুলতে থাকে।
এবার ওরা এল বাঁদরদের সামনে। কত্ত বাঁদর! কোনওটা গাছের ডালে বসে, কোনওটা ছোট্ট ঘরগুলোর চালে বসে, আবার কোনওটা এদিক-ওদিক লেজটি তুলে ঝপাৎ ঝপাৎ করে লাফ দিচ্ছে। বাঃ! দেখতে বেশ সুন্দর তো! ভাবে রিঙ্কু।
‘বাবা, আমাকে আগে কেন এখানে আনোনি?’, ওর বাবাকে প্রশ্ন করে রিঙ্কু।
‘এই তো এলি। আমরা আবার আসব। খুশি তো?’
‘হ্যাঁ বাবা, আমার খুব মজা লাগছে। আমরা আবার আসব। তবে এবার আসলে রকিদাদাকে নিয়ে আসব।’
রকি ওর থেকে এক শ্রেণী ওপরে পড়া ওর এক বন্ধু। রকির সঙ্গে ওর খুব ভাব।
‘ঠিক আছে।’ ওর বাবা বলেন।
এরপর ওরা সিংহের ঘরের কাছে আসে। সিংহের কেশর রিঙ্কু তাকিয়ে দেখতে থাকে বিস্ময়ভরা দৃষ্টিতে।
ওর বাবা বলেন, ‘এই হল সিংহ। কথায় বলে ‘পুরুষসিংহ’, মানে তোকে সিংহের মতো পুরুষ হতে হবে, এক্কেবারে সাহসী আর পরাক্রমশালী। বুঝলি?’
‘হ্যাঁ বাবা।’, রিঙ্কু ছোট্ট করে উত্তর দেয়।
তারপর ওরা আশপাশের বেশ কিছুটা জায়গা ঘুরে বেড়ালো। ছোটছোট ফুলের গাছ দেখল। একটা পুকুরে কত রকমের মাছ দেখল। কোনওটা ইয়া বড়, কোনওটা মাঝারি, সবাই জলের মধ্যে চরে বেড়াচ্ছে। অনেকগুলো আবার হাতের নাগালের মধ্যে। রিঙ্কু ধরবে বলে হাত বাড়াল। কিন্তু ধরতে পারল না। ওর কতই না মজা হচ্ছে বলে বোঝানো যাবে না।
রিঙ্কুর বাবা পাউরুটি আর কলা   এনেছিলেন। রিঙ্কু কিছুটা রুটি আর একটা কলা খেল। 
রিঙ্কু আবার বাঁদর দেখতে চাইল। ওর বাবা ওকে বাঁদরদের ঘরের কাছে নিয়ে গেলেন। ও দু’-চারটে ছোলা বাঁদরদের দিকে বাড়িয়ে দিল। ওরা লাফিয়ে লাফিয়ে ছোলাগুলো খেতে লাগল।
রিঙ্কুও আনন্দে লাফাতে লাগল। ওর বাবা বললেন, ‘থাম বাবা থাম। অত লাফাস না, পায়ে লেগে যাবে।’
রিঙ্কু থামল।
রিঙ্কু বলল, ‘বাবা, ময়াল সাপটার আর একটা ছবি তুলব।’
ওর বাবা-মা ওকে সাপের ঘরের কাছে নিয়ে গেলেন। ও গিয়ে কাছ থেকে সেই বিরাটাকার ময়াল সাপের তিনটে ছবি চটপট তুলে নিল।
অনেক ঘুরল ওরা। এখন একটু ক্লান্ত লাগছে ওদেরকে।
দুপুর গড়িয়ে এল। ওরা একটা জায়গায় কাগজ পেতে বসল। রিঙ্কুর মা বাড়ি থেকে বানিয়ে আনা খাবার বার করতে লাগলেন। রিঙ্কুর বাবা দুটো বোতল নিয়ে গেলেন জল ভরে আনতে। রিঙ্কু বসে বসে শুধু ভাবছে, বাব্বা! কত পশু কত পাখি কত সাপ কত কী দেখলাম আজ! খুব সুন্দর জায়গা এটা। কাল স্কুলে গিয়ে সব্বাইকে বলতে হবে।
তারপর ওরা বাড়ি থেকে আনা মুরগির মাংস আর ভাত তৃপ্তি করে খেল। রিঙ্কু একটা লেগপিস চিবতে চিবতে বাবাকে বলে, ‘বাবা, অনেক ফটো তুলেছি। তুমি কালকেই ওগুলো দোকান থেকে ওয়াশ করিয়ে আনবে। আমি স্কুলে গিয়ে আমার বন্ধুদেরকে দেখাব।’
এ যেন এক নিষ্পাপ শিশুর তার আদরের বাবাকে করা হুকুম। 
ওর বাবা বললেন, ‘ঠিক আছে করে আনব। এখন তুই খা।’
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ওরা কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নিল। রিঙ্কু ততক্ষণ একটা বল নিয়ে একটু খেলে নিল।
তারপর ওরা ময়ূর দেখতে গেল। পেখমওয়ালা ময়ূর দেখে রিঙ্কুর তাক লেগে গেল। ও একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। এক্কেবারে মোহিত হয়ে গেছে রিঙ্কু। তারপর নানান ভঙ্গিতে একটা বড় পেখমওয়ালা ময়ূরের কয়েকটা ছবি তুলে নিল।
আধঘণ্টা পর ওরা যে জায়গাটায় শিম্পাঞ্জি থাকে সেখানটায় এল। দেখে কালো কালো লোমওয়ালা ইয়া বড় একটা শিম্পাঞ্জি লাফিয়ে লাফিয়ে খেলা দেখাচ্ছে। আর সবাই রেলিংয়ে হাত ঠেস দিয়ে সেই খেলা দেখছে।
‘ওরা হল আদিমানব। ওদের থেকে পরিবর্তন হতে হতে আজকের মানুষের রূপ এমন হয়েছে। ডারউইন নামে এক বিজ্ঞানী এমনটাই বলেছেন। বুঝতে পারলি রিঙ্কু?’, বলেন রিঙ্কুর বাবা।
‘তাই নাকি বাবা? সত্যি?’ অবাক চোখে বাবার দিকে তাকায় রিঙ্কু।
‘সত্যি হতে পারে। ওনারা তো বড়বড় মানুষ ছিলেন। অনেক পড়াশোনা করে, অনেক ভাবনাচিন্তা করে কথাগুলো বলে গেছেন। উঁচু ক্লাসে ওঠ, সব জানতে পারবি।’ ওর বাবা ওকে বলেন।
অনেক ঘুরে-বেড়িয়ে বিকেল পাঁচটায় ওরা চিড়িয়াখানা থেকে বেরল।
ফেরার সময় অনেক কষ্ট হয়েছে বলে ট্রেনের মধ্যে রিঙ্কু ঘুমিয়ে পড়েছে। ঘুমোতে ঘুমোতে হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠল, ‘ওই দেখো বাবা কী সুন্দর একটা হরিণ!’
ও হয়তো এখন কোনও এক স্বপ্নের দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে যেখানে এমনই এক চিড়িয়াখানা আছে আর সেখানে ধীর পায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক সুন্দর হরিণ।
অলঙ্করণ : সুব্রত মাজী
20th  December, 2020
গল্পকার বিবেকানন্দ

স্বামী বিবেকানন্দকে ছোট গল্পকার হিসেবে চেনা হয়নি কখনও। তাঁর বাণী ও রচনায় নানাভাবে তাঁকে চিনেছি বারবার। জেনেছি, স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন মানুষের সেবাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। বিশদ

10th  January, 2021
সিলেবাসের ক্ষেত্রফল কমলে, প্রশ্নের গভীরতা বাড়ে

পরামর্শে বালিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক অরণ্যজিৎ সামন্ত। বিশদ

10th  January, 2021
বাড়তি সময়কে কাজে লাগাও

পরামর্শে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন বালকাশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের  (উচ্চ মাধ্যমিক) ইংরেজির শিক্ষক সমাগত মুখোপাধ্যায়। বিশদ

10th  January, 2021
সময় বেঁধে উত্তর লেখা অভ্যাস করো

পরামর্শে হুগলি ব্রাঞ্চ গভর্নমেন্ট স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক ভাস্কর মৈত্র। বিশদ

10th  January, 2021
স্বামী বিবেকানন্দের ছেলেবেলা

আমাদের এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য অনেকে অনেকভাবে স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষদের ছেলেবেলার কথা। এবার স্বামী বিবেকানন্দ। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। বিশদ

10th  January, 2021
নিউ নর্মালে মাধ্যমিক,  প্রস্তুতি কীভাবে

এবার এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্যে হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক কেউই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন কখনও হননি। প্রায় গোটা বছরটাই স্কুল বন্ধ ছিল, হয়নি টেস্ট পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে তৈরি হবে পরীক্ষার জন্য! জানিয়েছে তোমাদের বন্ধুরা। সঙ্গে রয়েছে শিক্ষকদের পরামর্শ।  বিশদ

10th  January, 2021
সত্যজিৎ রায়ের 
ছোটদের ছবি

বিশ্ববন্দিত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উদযাপন চলছে। ছোটদের জন্যও তিনি কয়েকটি ছবি তৈরি করেছিলেন। সেই ছবিগুলোর কথায় ড. শঙ্কর ঘোষ। বিশদ

03rd  January, 2021
ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস-এর ভার্চুয়াল শিবির 

আজ তোমাদের একটা ভালো খবর দিই। সম্প্রতি ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখা তাদের ‘কাব’ বিভাগের ছেলেদের নিয়ে একটি বিশেষ ভার্চুয়াল শিবিরের আয়োজন করেছিল। বিশদ

20th  December, 2020
ছোটদের রান্নাঘর

করোনার দাপটে স্কুল বন্ধ। সুতরাং বাড়ি থেকে বেরিয়ে এটা ওটা খাওয়ারও জো নেই। তাই বলে কি এইসময় কোনও ভালো খাবারই চেখে দেখার সুযোগ হবে না? চিন্তা নেই, ছোটদের রান্নাঘরে শুধু তোমাদের জন্যই দুটি লোভনীয় রেসিপি দিয়েছেন ৩৭ রেলিশ রুট রেস্তরাঁর কর্ণধার ও শেফ জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। এগুলি আগুনের সাহায্য ছাড়াই তৈরি করা যাবে। তোমরাই করে চমকে দাও বড়দের। বিশদ

20th  December, 2020
ভালোবাসি পশুপাখি

পশুপাখির প্রতি মানুষ যে কখনও নিষ্ঠুর হয়, কখনও বা দয়ালু তা-ই দেখা গিয়েছে পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘ভালোবাসি পশুপাখি’ বইটির ‘খুনি’ গল্পে। এই গল্পে একদিকে কয়েকজন হৃদয়হীন মানুষ দূর দূরান্ত থেকে উড়ে আসা বগেরি পাখিদের জাল ফেলে ধরছে, অন্যদিকে আবার ছোট দুটি ছেলে, সুবল ও পরিমল এই বগেরি পাখিদেরই বাঁচাতে নিজেদের জীবন বিপন্ন করছে। বিশদ

13th  December, 2020
মারাদোনা খেলছেন ময়দানে
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

মাঠ তিনি কাঁপাতেন, নায়কের শিরোপা,
আশপাশে যারা ছিল, একশোতে জিরো পায়! বিশদ

13th  December, 2020
ফুটবলেই মুক্তি খুঁজেছেন ডিয়েগো

স্কুল থাকলে বিকেল থেকে ফুটবল খেলতে খেলতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যেত। রাতের অন্ধকারেও তিনকাঠির মধ্যে বল রাখার জন্য ক্রমাগত শট নিয়ে যেতেন। শনি-রবিবার বা ছুটির দিনে ফুটবল নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়ে যেত দুপুর থেকেই। বিশদ

13th  December, 2020
বিস্ময়কর কিছু প্রাণী

মানুষ ও বিভিন্ন প্রকার প্রাণী চারিত্রিক দিক থেকে আলাদা হলেও অনেক সময় প্রতিকূল পরিস্থিতি উভয়কে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে দেয়। সোনি বিবিসি আর্থ-এর শো ‘লাইফ স্টোরি’তে আমরা এমন কিছু প্রাণীদের সম্পর্কে জানব, যা তোমাদের অবাক করবে। বিশদ

06th  December, 2020
রাজা আর এক
জঙ্গলের গল্প
শ্যামল চক্রবর্তী

ছুটিপুরের মহারাজ দেবদত্ত এসেছেন তাঁর সংরক্ষিত অরণ্য রতনপুরের জঙ্গলে। অরণ্যের গভীরে লতাপাতায় ঘেরা সুন্দর একটি বনকুঠি আছে রাজামশায়ের। আশপাশে হুকুমপুর, সিংহিপুর, দখলপুর, মাধবপুরের রাজাদের জঙ্গলে নিয়মিত বাঘ, হরিণ, বুনোশুয়োর ও অন্য বন্যজন্তু শিকার করেন ওইসব রাজার অতিথিরা। বিশদ

06th  December, 2020
একনজরে
করোনা ভাইরাস ত্রাণ তহবিলে ১ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ করলেন ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত বছর টানা লকডাউনের জেরে বহু মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার। ...

দলে ফেরার ছয় মাস পর অবশেষে ‘পুরষ্কৃত হলেন’ বিপ্লব মিত্র। তাঁকে তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হল। ...

বাড়ির সামনেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চোখ পরীক্ষা করার সুযোগ ছাড়তে রাজি হননি সালমা বেগম, মহসিন মল্লিক, রাবেয়া বেগম সহ খালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বাসিন্দা। আর ...

প্ল্যান ছিল স্কুলের পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে নস্টালজিয়ায় ফিরে যাওয়ার। সেইমতোই মিনিবাসে করে গোয়া যাচ্ছিলেন কর্ণাটকের দেবানগিরির বেশ কয়েকজন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিও পোস্ট করেছিলেন বন্ধুরা। ক্যাপশন — স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে ‘গো গোয়া’। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১: ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা
১৭৬৮ - কলকাতায় প্রথম ঘৌড়া দৌড় শুরু হয়।
১৯০১ - ভাষাতাত্ত্বিকও সাহিত্য বিশারদ সুকুমার সেনের জন্ম
১৯১০ - বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের জন্ম
১৯২২ - কুমিল্লায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন।
১৯২৪ -  বিশিষ্ট বাঙালি আইনজ্ঞ রাজা প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু 
১৯৩৮: কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪০ - অভিনেতা চিন্ময় রায়ের জন্ম
১৯৪১ - সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ।
১৯৪৬: অভিনেতা কবির বেদির জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২৬ টাকা ৭৩.৯৭ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৩১ টাকা ১০১.৭৫ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,০৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১, তৃতীয়া ৩/২৮ দিবা ৭/৪৬। শতভিষা নক্ষত্র ৫৯/২৫ শেষ রাত্রি ৬/৯। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৯/৪০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৪৯ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ গতে ১০/২৬ মধ্যে পুনঃ ১২/১১ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/৭ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৪ গতে উদয়াবধি। 
২ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১, তৃতীয়া দিবা ৮/৫৫। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র প্রাতঃ ৬/৪৮। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৯। অমৃতযোগ দিবা ১০/০ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫৭ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/২৬ গতে ২/০ মধ্যে ও ২/৫২ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১/৮ গতে ২/২৮ মধ্যে ও ৩/৪৯ গতে ৫/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৪/৪৬ গতে ৬/২৬ মধ্যে। 
২ জমাদিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইন্ডিয়ান পার্সোনালিটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ
ইন্ডিয়ান পার্সোনালিটি অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়।  ...বিশদ

09:07:32 PM

আইএসএল: মুম্বই :০ হায়দরাবাদ: ০ (প্রথমার্ধ)

08:29:29 PM

রাজ্যে টিকা নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত অসুস্থ হয়েছেন চারজন
করোনা টিকা নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত রাজ্যের চারজনের অসুস্থ হওয়ার ...বিশদ

07:22:06 PM

রাজ্যে আজ কতজন পেলেন করোনার টিকা
রাজ্যের ১৫৬০০ জন স্বাস্থকর্মী টিকা পেয়েছেন। এখনও  পর্যন্ত পাওয়া খবর ...বিশদ

07:19:53 PM

প্রথমদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯৭% স্বাস্থ্য কর্মী টিকা নিলেন

06:59:00 PM

বাংলায় দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত করোনার টিকা নিয়েছেন ৯ হাজার ৩০০ জন
কোউইন সার্ভার বিপর্যয়ের আজ দেশজুড়ে কতজন করোনার টিকা নিলেন তার ...বিশদ

06:23:00 PM