বিদ্যার্থীদের মানসিক স্থিরতা রাখা দরকার। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। তবে নতুন বন্ধু লাভ হবে। সাবধানে পদক্ষেপ ... বিশদ
ছাত্রছাত্রীদের নৈপুণ্য অনেক পেশাদারী দলকেও হার মানায়। সেই কথার পুনরাবৃত্তি হল উদ্বোধক ডঃ হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায়, প্রধান অতিথি শুভ্রা চক্রবর্তী, গৌতম দত্ত, অমিতাভ দত্ত, নিবেদিতা সান্যালের বক্তব্যে। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। তারপর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নৃত্য, নাটক, সঙ্গীত ও দৃশ্যকলা আকাদেমি’র সদস্য সচিব হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নতুন ছেলেমেয়েরা প্রাণশক্তিতে ভরপুর আর তারা থিয়েটারের হাল ধরেছেন। এটা সত্যিই আশার কথা। থিয়েটারের কর্মীরা সমাজকর্মীও বটে। আর এই কাজটা করার জন্য হাওড়া শিল্পী সংঘের সমস্ত নাট্যকর্মীদের শুভেচ্ছা জানাই।’ কথায় কথায় জাতীয় শিক্ষিকা শুভ্রা চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি সবসময় নাটকের ছেলেমেয়েদের ভালোবাসি। নাটকের ছেলেমেয়েরা সবসময় একটা অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে মনের অন্তস্থলের না-বলা কথাটা সহজেই বলতে পারে। নাটক শিখলে ওরা খুব স্টেজ ফ্রি হয়। তাই সবাইকে বলব, নাটক শেখান। ঝরঝর করে বাংলা বলতে পারবে। আর তার ফলেই সহজেই ইংরেজিটা শিখে যাবে।’ এছাড়া সবার কথার মধ্যে ছিল সাহায্যের আশ্বাস। নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাবার স্বপ্ন।
চার দিনের এই নাট্য উৎসবে অংশ নিয়েছিল গ্রাম্য হিতকরী বালিকা বিদ্যালয়, সেন্ট ভিনসেন্ট ডে স্কুল, শিবপুর হিন্দু গার্লস হাইস্কুল, ভট্টনগর কুলোকামিনী বিদ্যামন্দির, সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউশন, হাওড়া সংঘ আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, উষাঙ্গিনী বালিকা বিদ্যালয়, হাওড়া যোগেশচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়, হাওড়া জিলা স্কুল। এছাড়াও ছিল অন্তর্মুখ প্রযোজিত ‘ইতিহাসের গপ্পো’। ‘থিয়েটার দিয়ে লেখাপড়া’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন ডঃ পবিত্র সরকার, ডঃ সৌমিত্র বসু ও মনীষা আদক। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা হয় শিল্পী সংঘ প্রযোজিত বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কর্মশালা ভিত্তিক প্রযোজনা ‘বীরপুরুষ’ নাটকের মাধ্যমে। নতুন প্রজন্মকে থিয়েটারমুখী করার এই প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়। হাওড়া শিল্পী সংঘের আন্তরিক প্রয়াস সাধুবাদযোগ্য।