Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। অনুপমা পাকধরা চুলের কয়েক গাছা ধরে বিলি কাটছিল। নীরবতা ভঙ্গ করে অনিমেষ বলে উঠল, ‘সারাটা জীবন সংসারে কাটিয়ে আমরা কী পেলাম বলুন তো? ব্যক্তি মানুষ হিসেবে নিজেকে কোনওদিনই মেলে ধরতে পারলাম না! আজ শেষ পারানের কড়ি নিয়ে ঘাটে বসে আছি। ডাক এলেই জায়গা ছেড়ে দিতে হবে ...।’
অনিমেষকে থামিয়ে অনুপমা বলে উঠল, ‘তবু দেখুন কী পরিহাসের বিষয়, জীবনের শুরুতে কচি মনগুলো নিয়ে আমরা কতরকমের রঙিন স্বপ্ন দেখি। সেই সব ঝকঝকে স্বপ্নগুলো দেখতে দেখতেই কখন যেন জীবনের প্রান্তে এসে পড়ি। জীবনটা জুড়ে কিছুই করা হয়ে ওঠে না।’
‘ঠিকই বলেছেন আপনি,’ অনিমেষের গলায় হতাশার সুর। জীবনশেষের হাতছানিতে কোথাও যেন প্রকৃতির অদ্ভুত আলোয় মিশে যায় বার্ধক্যের বিষণ্ণতা। পরিবারের বাঁধনগুলো আলগা হতে হতে দু’জন অজানা-অচেনা নরনারী বৃদ্ধাবাসের ঘেরাটোপে বড্ড কাছাকাছি। অনুপমার প্রায় মাস ছয়েক পরেই অনিমেষের এই ‘প্রান্তজন’ বৃদ্ধাবাসে আসা। বৃদ্ধাবাসের আবাসিক হিসেবে তাও প্রায় দু’বছর হতে চলল দু’জনের। একে অপরের পারিবারিক অতীতটুকুর খোঁজখবর নেওয়া হয়ে গিয়েছে। সংসার জীবনের অতৃপ্তি, যৌবনের প্রেম, সংসার জীবনের সহযাত্রীর সঙ্গে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের সম্পর্ক, সন্তানসন্ততির স্বার্থপরতা সবকিছু সঙ্গী করে ওরা দু’জনেই কাণ্ডারীহীন একই তরণীর যাত্রী। অনিমেষের ভাষায়, ভাড়াটে সৈনিকদের নিয়ে কাটানো ফেলে আসা জীবনটায় যে সঠিক অর্থে প্রাণটাই ছিল না, সেটা এই বয়সে এসে বেশ বুঝতে পারি। অনুপমাও একসময় কথাগুলোয় সায় দেয়। অনিমেষের মনে হয় প্রকৃতির কী আশ্চর্য এক লীলাখেলায় সারাটা জীবন অতিবাহিত করে দুটো ভগ্ন হৃদয়ের মাঝে যেন আজ এক অদৃশ্য সেতু রচিত হয়েছে। অথচ এমনটা যদি সেই যৌবনের দিনগুলোয় হতো!
অনুপমা অতীতের স্মৃতি খুঁড়ে মাঝেমধ্যেই কান্নাভেজা দিনগুলোর কথা অনিমেষকে বলে। জীবনের দ্বারপ্রান্তে এসে অনিমেষও অনুপমার মনের দোসর হতে চায়। অনুপমা সেদিন বলছিল, ‘জানেন, আমি বাপ-মায়ের একমাত্র আদরের ধন ছিলাম। বাবা ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের আর মা রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ অফিসার। মেয়েবেলায় সংসারে অভাব জিনিসটার সিকিভাগও বুঝতে পারিনি। যদিও পরবর্তীকালে ইশকুলের দিদিমণি হয়ে গরিব দেশের হাড়-হাভাতে পরিবারগুলোর ছেলেমেয়েদের কথা জানতে পেরেছিলাম।’ অনুপমার কথার জালে হারিয়ে যায় অনিমেষ। অনুপমার স্মৃতির পথে ভেসে ওঠে ছটফটে দুরন্ত এক কিশোরীর মেয়েবেলা। তখন সবেমাত্র কলেজে পা রেখেছে অনুপমা। সুন্দরীদের মাঝে অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে সে তখন ক্লাসের হার্টথ্রব। কলেজের তরুণদল সকলেই অনুপমার মন ছুঁতে চায়। তারই মধ্যে অনিকেতকেই অনুপমার একটু মনে ধরত। ক্লাস অফ করে কফি হাউস, আউট্রাম ঘাট, ভিক্টোরিয়া কিংবা রবীন্দ্র সরোবর আড্ডা মেরে বেড়াত। তবুও অনুপমা অনিকেতের সঙ্গে ভালো বন্ধুত্বের বাইরে বেশিদূর এগিয়ে যাওয়ার কথা কখনওই ভাবেনি। অথচ মাঝেমধ্যেই অনিকেত অনুপমার কাছে বারংবার একটু উষ্ণতার খোঁজে ধরা দিত। অনুপমা বলত, ‘এই হয়েছে তোদের পুরুষমানুষদের এক স্বভাব। মেয়ে দেখলেই খালি গায়ে পড়তে চাস। সুন্দর একটা বন্ধুত্বের মধ্যেই তো আমরা একে অপরকে চিনতে পারি, তাই না?’
তবুও সেই বন্ধুত্বের মাঝেই যে পুরুষতন্ত্রের আদিমতায় অনুপমা একদিন নিগ্রহের শিকার হবে সেকথা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি। এরপর বেশকিছুদিন অনুপমার জীবনে গ্রাস করেছিল অবসাদ। পড়াশোনা থেকে বেশ কয়েকবছর বিরতি নিতে হয়েছিল। অবশেষে মনোবিদ আর কাউন্সেলারদের তত্ত্বাবধানে জীবনটাকে খুঁজে পেয়েছিল অনুপমা।
আবার অনিমেষ সেই পুরুষতন্ত্রের শরিক হয়েও ছিল ভিন্ন মানসিকতার। ওর নরম স্বভাবের জন্য বন্ধুরা অনিমেষকে যেন পুরুষদের দলেই ফেলত না। তবুও জীবনজুড়ে অনিমেষ ডাকাবুকো না হলেও বন্ধুরা ওর নারীভাগ্য দেখে ঈর্ষা করত। কলেজের একের পর এক সুন্দরী অনিমেষের আকর্ষণে ধরা দিত। ওর কথাবলা, জীবনদর্শন, চালচলন, পোশাক আশাক সবেতেই মেয়ের দল ছিল উদ্দাম। এরই মাঝে কঙ্কনার সঙ্গেই গাঁটছড়া বেঁধেছিল অনিমেষ। সরকারি চাকুরে অনিমেষের সঙ্গে কলেজের অন্যতম বান্ধবী কঙ্কনার ঘর বাঁধতে একটিবারের জন্যও ভাবতে হয়নি। কিন্তু সংসার জীবনের মাঝ নদীতেই যে এমন তুফান উঠবে তা কোনওদিনই ভাবতে পারেনি অনিমেষ। জীবনের কোনও স্তরেই একটিবারের জন্য অনিমেষ ঈশান কোণে মেঘের দেখা পায়নি। তাই নিশ্চিন্ত মনেই জীবন তরীটি ভাসিয়ে দিয়েছিল। অথচ নারী-পুরুষের পরস্পর বিশ্বাসের সম্পর্কটা যে সুতোয় বাঁধা থাকে সেটা একবার ছিঁড়ে গেলে যে, তা আর জোড়া লাগতে চায় না, তা বলাইবাহুল্য। চাকুরিরতা স্বাধীনচেতা কঙ্কনা দুই পুত্র-কন্যার মা হয়েও একসময় সংসার সমুদ্রে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশাধিকার ঘটিয়েছিল। পরকীয়ার আড়ালে অনিমেষের সংসার জীবন ভেঙে টুকরো টুকরো হয়েছিল। সেই  অর্থে অনুপমা আপাত দৃষ্টিতে সংসার জীবনে সুখীই ছিল। দিদিমণি হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের সাহচর্যে বেশ কাটছিল জীবনটা। বৃহৎ ব্যবসায়ী স্বামী অনির্বাণ বউকে পটের বিবির মতোই সংসারে বসিয়ে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু দিদিমণি হয়ে একজন সমাজ গড়ার কারিগর হিসেবে অনুপমা কোনওদিনই চাকরি ছাড়ার কথা ভাবতে পারেনি। তবুও স্বামীর উচ্ছৃঙ্খল জীবনে রাশ টানতে না পারা অনুপমা একসময় সংসারে একাকী হয়ে পড়েছিল। অনির্বাণ এক একসময় রাতের পর রাত ঘরে আসত না। মদ, জুয়া,  বন্ধুবান্ধব এইসব নিয়েই সময় কাটিয়ে দিত। একসময়ের কলেজের হার্টথ্রব অনুপমার মনে হতো তার আকর্ষণের খামতিই হয়তো সংসার জীবনে স্বামীকে বশে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। দুই ছেলে বড় হয়ে যাওয়ার পর আরও একাকী হয়ে গিয়েছিল অনুপমা।
বৃদ্ধাশ্রমে অনুপমা আর অনিমেষ ক্রমশই যেন একে অপরের উপর ভরসা রাখতে শুরু করেছিল। বয়সের বাধা অতিক্রম করে দু’টি মন পরস্পর পরস্পরের কাছে ক্রমেই যেন খোলা পাতা হয়ে উঠেছিল। একে অপরের সম্বোধনও আপনি থেকে তুমি-তে রূপান্তরিত হয়েছিল। সেদিন দোল উৎসবের সকালে অনুপমা একমুঠো লাল আবির নিয়ে হাজির হয়েছিল অনিমেষের ঘরে। ফাগুন দিনের উদাসী সকালটায় তখন সবেমাত্র বসন্ত উৎসবের আয়োজনে ব্যস্ত আশ্রমের আবাসিকেরা। একমুঠো আবির অনিমেষের পায়ে ছুঁইয়ে অনুপমা বলেছিল, ‘আজকের দিনে বড়দের পায়ে আবির দিয়ে প্রণাম করতে হয়। সংসার জীবনে অনির্বাণ তো সে সুযোগ কোনওদিনই দেয়নি। প্রতিবার দোলেই ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বাইরে কোথাও চলে যেত ফুর্তি করতে।’
তারপর অনুপমা হিড়হিড় করে টানতে টানতে অনিমেষকে নিয়ে বসিয়েছিল বসন্ত উৎসবের অঙ্গনে। একদল আশ্রমিক তখন যৌবনবেলাকেও ছাপিয়ে উঠেছে। সংসার জীবনের মলিনতাগুলো যেন এই রঙিন দিনে জীবনের প্রান্তবেলায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে। ‘আজ সবার রঙে রং মিশাতে হবে...’ রবীন্দ্রসঙ্গীতের আবেগে, নৃত্য-গীতিতে ভেসে উঠেছে আশ্রম প্রাঙ্গণ। অপ্রস্তুত হয়ে অনুপমার পাশটিতেই বসল অনিমেষ। বসন্ত সকালের শেষবেলাকার মৃদুমন্দ শীতের পরশে কোকিলের কুহুতানে মুখরিত প্রকৃতিও যেন একদল পরিবারহীন মানুষের নতুন জীবনের রঙিন আনন্দে মেতে উঠেছে। অনুষ্ঠানের মাঝেই একক নৃত্য পরিবেশনে অনুপমার নাম ঘোষিত হল। ‘বসন্তে ফুল গাঁথল আমার জয়ের মালা...’ গানটায় রবীন্দ্রনৃত্যের সাথী হল অনুপমা। অনিমেষ তখন দর্শকাসনে বসে একের পর এক দৃশ্যকল্প রচনা করেই চলেছেন। অনুষ্ঠান শেষে অনুপমার হাতের পরশ পেতেই অনিমেষের সংবিত ফিরল।
—ওমা কখন যে তোমার নাচ শেষ হল, আর অনুষ্ঠান শেষে সব্বাই আবির খেলায় মেতে উঠল, আমি বুঝতেই পারিনি! তুমি এই বয়সেও এত সুন্দর নাচতে পার অনু!
মুগ্ধ বিস্ময়ে অনিমেষের চোখে মুখে অদ্ভুত ভালোলাগার পরশ। অনুপমা বলতে শুরু করল, ‘জানো, একসময় আমার জীবনে এই নাচই ছিল ধ্যানজ্ঞান। বিয়ের পর সংসার সমুদ্রে আমার জীবনের ভালোলাগার পরশগুলোকে তো কেউ অনুভবের চেষ্টাই করল না। ছেলেপুলেদের মানুষ করতে করতেই জীবনটা কেটে গেল। আর অনির্বাণ ওর ইয়ার দোস্তদের নিয়েই সারাটা জীবন মেতে থাকল। ঘরের মানুষটার কথা শোনা কিংবা মনের খবর নেওয়ারও কোনও চেষ্টাই করল না।’ কথাগুলো বলতে গিয়ে অনুপমার গলাটা বুজে এল। অনিমেষ একমুঠো আবির ওর হাত থেকে নিয়ে অনুপমার মাথায়-কপালে মাখিয়ে দিল। অনুপমার বসন্তমন লজ্জায় রাঙা হয়ে উঠল। সচকিত হয়ে অনিমেষকে বাধা দিতে গিয়েও কেমন যেন শরীরে মনে অবশ হয়ে গেল। বেলাশেষের শরীরটা এখন আর আগের মতো উদ্দাম হতে না পারলেও অস্তগামী সূর্যের গোধূলি আলোয় মাখা অদ্ভুত পরিমণ্ডল জুড়ে সমগ্র প্রকৃতিতে যে ভালোলাগার আবেশ  ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনই এক আবেশে দু’টি প্রাপ্তবয়স্ক মন জীবনের এই প্রান্তবেলায় পরস্পর পরস্পরের নিকট যেন এক নৈসর্গিক আলোকবৃত্ত রচনা করল। অনিমেষ মনে মনে বলল, অনু, শেষ জীবনে যেন আমরা একে অপরের মনের মলিনতাটুকু মুছে ফেলতে পারি। তাহলেই দেখবে আমাদের জীবন সার্থক। 
অনির্বাণের উচ্ছৃঙ্খলতা সময়ের অনেক আগেই জীবনে দাঁড়ি টানতে বাধ্য করেছিল। বেঁচে থাকতে মানুষটা অনুপমাকে সঙ্গ না দিলেও ঘরে আসত। অনির্বাণহীন অনুপমার জীবনে সেটাও চুকে গেল। তারপর কালের নিয়মে দুই ছেলের বিয়ে। বউমা, নাতি-নাতনিদের নিয়ে সংসার। বেশ কাটছিল অনুপমার। কিন্তু একে একে দুই ছেলেই বিদেশে চলে গেল। তার কিছুদিন পর বউমা, নাতি-নাতনিরাও। একলা বাড়িটা যেন অনুপমাকে গিলে খেতে আসত। শেষে বৃদ্ধাশ্রমে চলে যাওয়ার কথায় ছেলেরা মাকে ওদের কাছে নিয়ে যেতে চাইলেও অনুপমা রাজি হল না। অবশেষে এই ‘প্রান্তজন’-এ আসা।
অনিমেষের ক্ষেত্রে সংসার জীবনের সমাপ্তির গল্পটা ছিল ভিন্ন। কঙ্কনা একসময় ভালোলাগার মানুষটির হাত ধরে বেরিয়ে গেল। অনিমেষের ছেলে-মেয়ে তখন সবেমাত্র ফাইভ আর সেভেন। তারপর কাজের মাসি, আয়াদের হাতেই ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে উঠেছে। দু’জনেই আজ প্রতিষ্ঠিত। অনিমেষ বাবা হিসাবে তার সব দায়িত্বই পালন করেছিল। তারপর ছেলে-বউয়ের সংসারে আর থাকতে চায়নি। মেয়ে বাবাকে তার কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু অনিমেষ জামাইবাড়ি যেতে রাজি হয়নি। তারপর একদিন ছেলেমেয়েকে বৃদ্ধাশ্রমে পাকাপাকিভাবে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল অনিমেষ। বৃদ্ধাবাসে এসে জীবনের এই প্রান্তবেলায় এমন অদ্ভুত সম্পর্কের দোসর পাওয়া যাবে সেকথা অনুপমা-অনিমেষ কেউই ভাবতে পারেনি। তবুও জীবন জুড়ে  সুখ তো পদ্মপাতার জল। খালি টলমল করতেই থাকে! তাই দীর্ঘ  জীবনের অভিজ্ঞতায় ওদের দু’জনের কেউই আর সুখের কাঙাল নয়। বেলাশেষে দাঁড়িয়ে ওরা জানে এ জীবন অনিত্য।
অনুপমা-অনিমেষ দু’জনেই সমাজমাধ্যমে খানিক সচল। অবসরের বেশ কিছুটা সময় ওদের মোবাইল স্ক্রিনে চোখ রেখেই কেটে যায়। অনিমেষ এফবি অ্যাকাউন্ট থেকেই অনুপমার জন্মদিনের তারিখটা জেনেছিল। মনস্থির করেছিল এবারের জন্মদিনে ওকে একটা সারপ্রাইজ দেবে। অনুপমার পছন্দের ফুল গোলাপ আর জারবেরা। জন্মদিনের দিন খুব সকালেই অনিমেষ অনুপমার ঘরে হাজির হল। অনিমেষকে দেখে খুশিতে উচ্ছল হয়ে উঠল অনুপমা।
—তুমি ফেসবুক থেকে আমার জন্মদিনের তারিখটা ঠিক মনে রেখেছ দেখছি!
—বাহ্, মনে না থাকার কী আছে! তুমি তো আমার ফ্রেন্ডলিস্টে আছ।  তাই আজ সকালে মোবাইলে তো একটা অ্যালার্ট এসেইছে।
অনিমেষ অনুপমার হাতে গোলাপ আর জারবেরার গুচ্ছটা তুলে দিয়ে ‘হ্যাপি বার্থডে অনু’ লেখা একটা গ্রিটিংস কার্ড এগিয়ে দিল। উচ্ছ্বাসে অনুপমার চোখের কোণটা কেমন যেন চিক্ চিক্ করে উঠল। অনিমেষ বুঝতে পারল অনুপমা আজ বেশ আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েছে। অন্যমনস্ক ভাবে বলতে শুরু করল, ‘জানো অনিমেষ,  আমার জন্মদিনটা অনির্বাণ মনেই রাখতে পারত না!’
স্মৃতির সরণী বেয়ে অতীতচারী অনুপমা কথা বলতে বলতে ক্রমশ কেমন যেন ঝিম মেরে আসছিল। হঠাৎই বলল, ‘জানো আমার মাথাটা আজ বেশ ধরেছে। ট্যাবলেট খেলাম। কিন্তু কিছু হচ্ছে না...!’ কথাগুলো বলতে বলতেই অনুপমা হঠাৎই মাথাটা ধরে চেয়ারটায় বসে পড়ল।
—ওহঃ,  ওহঃ- অসহ্য যন্ত্রণা অনিমেষ, আহ্‌-আহ্‌...
অনুপমার মুখ চোখ দেখে ভয় পেয়ে গেল অনিমেষ।  তৎক্ষণাৎ আশ্রম সুপারিন্টেনডেন্টকে ফোন করে ডাক্তারকে ডাকতে বলেই অনুপমার চোখে মুখে জলের ঝাপটা দিল। ততক্ষ঩ণে টেবিলের ওপর শরীরটা এলিয়ে দিয়েছে অনুপমা। ডাক্তার আসার আগেই সব শেষ। 
জন্মদিন-মৃত্যুদিন একাকার করে বছর কয়েকের মধ্যেই অনিমেষের মনের মানুষ হয়ে ওঠা অনু চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেল। মনের নিকটতম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মানুষটা অনিমেষের শেষের বেলাকে কাঙাল করে বিদায় নিল। অনিত্য এ জীবনের দায়ভার বুকে অনিমেষের ক্ষণিক সুখের অনুভূতিটুকুও দীর্ঘায়িত হতে দিল না। দুঃখের পারাবারে ফেলে আসা সংসার জীবন থেকে খানিক নিষ্কৃতি পেতে চেয়েছিল অনিমেষ। অথচ বেলাশেষের মায়ার বাঁধনটুকু ছিন্ন করতে আজ যেন বুকটা ফেটে যাচ্ছে। দু’চোখ শ্রাবণের ধারাপাত হয়ে ভেসে যেতে চাইছে। জ্বরাগ্রস্ত আশ্রমটাকে ঘিরে ধরা এক মায়াময় ভুবন তখন অনিমেষকে বিষণ্ণতার শিখরে তুলে ধরতে মরিয়া। 
05th  January, 2025
হতভম্ব হেমন্ত

মন্তর ফোনটা পেয়ে সারা শরীর শিরশির করে ওঠে মলয়ের। প্রথমে বিস্ময়! তারপর লজ্জা, ভয়, সবকিছু মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সেই শিরশিরানিতে। ফোন ছেড়ে একটু ধাতস্থ হতেই একরাশ অস্বস্তি এসে গ্রাস করে মলয়কে। হেমন্ত কি ওকেই সন্দেহ করছে?
বিশদ

09th  February, 2025
মওলা বকশ  ও লাহোরি   দরওয়াজা

দ্বিতীয় আকবর শাহের একার নয়। মুঘল সম্রাটদের কমবেশি সকলের দুর্বলতা হল হাতি। শাহজাহানের আমল থেকেই আস্তাবলে কমপক্ষে ৬ হাজার হাতি থাকা যেন সর্বদাই স্বাভাবিক।
বিশদ

02nd  February, 2025
সেকালের ডুয়েল

১৭৮০ সালের ১৭ আগস্ট। কলকাতার আকাশে ভোরের আলো ফুটে উঠছে। আলিপুরের এক নির্জন অংশে দু’জন বিদেশি একে অপরের দিকে পিস্তল তাক করে দাঁড়িয়ে।
বিশদ

02nd  February, 2025
ভালোবাসার উপহার

হঠাৎ অসময়ে ইন্দিরাকে দু’কাপ চা নিয়ে ওর ঘরে ঢুকতে দেখে সুচেতন একটু অসন্তুষ্টই হল। সুচেতনের এই একান্ত নিজস্ব ঘরে খুব বেশি লোকজন আসুক সেটা ও পছন্দ করে না। ঘরটা ওর একদম নিজস্ব মনের বিচরণ ক্ষেত্র। ঘরটিতে ওর পছন্দের সব জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো।
বিশদ

02nd  February, 2025
কুলের  রেসিপি

মসুর ডাল ১ কাপ, কুল ১০০ গ্ৰাম, হলুদ গুঁড়ো  চা চামচ, নুন, চিনি স্বাদমতো, কাঁচালঙ্কা ২-৩টে, তেল পরিমাণ মতো, ফোড়নের জন্য: শুকনো লঙ্কা ২টো, কালো সর্ষে  চা চামচ, গোটা জিরে  চা চামচ, রাঁধুনি  চা চামচ। 
বিশদ

01st  February, 2025
টুকরো  খবর

চীনে নববর্ষ উপলক্ষ্যে ড্রাগন ডান্স সহ এক ভিন্ন ধরনের উৎসবের আয়োজন করা হয় চাওম্যান রেস্তরাঁয়। চীনে নৃত্য ও খাবার দুই-ই বিশেষ জনপ্রিয়। চাইনিজ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই বছরটি ইয়ার অব দ্য স্নেক। তা সমৃদ্ধির প্রতীক। চীনে নববর্ষ পালন হবে, অথচ খাওয়াদাওয়া হবে না তাও কি হয়?
বিশদ

01st  February, 2025
কপির কেরামতি

সেদ্ধ বাঁধাকপি ১ বাটি, ছোলা এবং মটর ডাল বাটা ১ বাটি, কাঁচালঙ্কা-আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদ ১ চামচ, লঙ্কার গুঁড়ো ১  চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ, ভাজা মশলা ২ টেবিল চামচ (শুকনো গোটা গরমমশলা, শুকনো লঙ্কা, জিরে, ধনে হালকা করে ভেজে গুঁড়ো করে নিতে হবে), ভাজার এবং রান্নার জন্য প্রয়োজন মতো সর্ষের তেল,  নুন ও চিনি স্বাদ মতো, ফোড়নের জন্য: গোটা শুকনো লঙ্কা, জিরে, হিং। (ধোকা মাখার সময় যদি খুব নরম থাকে তাহলে প্রয়োজনে একটু বেসন মেশানো যেতে পারে।)
বিশদ

01st  February, 2025
দুই বাংলার পোলাও

এপার ও ওপার বাংলার তিন ধরনের পোলাওয়ের রেসিপি জানালেন ইছামতী রেস্তরাঁর কর্ণধার মিতাশ্রী চৌধুরী।
বিশদ

01st  February, 2025
ভ্যালি অব ডলস

শটি আধুনিক প্রযুক্তির পীঠস্থান। সেই সঙ্গে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন হস্তশিল্প। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেল। তাই নানা কারণে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র— জাপান। চারটি প্রধান এবং অসংখ্য ছোট দ্বীপ নিয়ে এই দেশ।
বিশদ

26th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: সিরি ফোর্ট
সমৃদ্ধ দত্ত

সাবধানে পা ফেলতে হবে। দেখে তো মনে হচ্ছে মাটি। ঘাস। পাথর। অনায়াসে পা রেখে রেখে এগিয়ে চলা যায়। একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে অন্য একটি ধ্বংস চিহ্নে যাওয়ার জন্য যে ব্যাসল্ট পাথরের অমসৃণ টুকরোয় সতর্কভাবে পা রাখতে হয়, সে সতর্কতা নিছক পিছলে পড়ে যাওয়ার জন্য? বিশদ

19th  January, 2025
ডক্টর মিশ্র
নন্দিনী নাগ

সল্টলেকে ঝাঁ-চকচকে চেম্বার, একতলা একটা ফ্ল্যাটের পুরোটা নিয়ে। সাদা পাথরের তিন ধাপ সিঁড়ি ডিঙিয়ে কাঠের জাঁকালো সদর দরজা। সেই দরজা পেরিয়ে ভেতরের হলঘরে সোফার মধ্যে শরীর ছেড়ে দেওয়ার পর মিসেস দত্তের মনে ডাক্তারবাবুর প্রতি বেশ সমীহ জন্মাল। বিশদ

12th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
একনজরে
কালিয়াচকের রাস্তা থেকে এক গৃহবধূকে অপহরণ! এই অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়েছে এলাকায়। শ্বশুরবাড়ির তরফে বধূকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ...

মাঘী পূর্ণিমায় পূর্ণকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে সঙ্গমে  মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার এক মহিলার। ডুব দিয়ে তিনি উঠে আসতে পারেননি।   ...

১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী হিংসা। তৎকালীন সময়ে দিল্লির সরস্বতী বিহারে এক বাবা ও ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ ওঠে সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে। ...

টেমস নদীর ধারে বঙ্গ সংস্কৃতির মুকুটে কৃতিত্বের আরও এক পালক। মার্চেই ব্রিটেনে পাকাপাকিভাবে ঠাঁই পেতে চলেছেন মা দুর্গা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২: লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২: কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৩১: ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৬৯: পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম বাঙালি গভর্নর ও ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান
১৯৭৪ – উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ আমির খাঁর মৃত্যু
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫: কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.০৭ টাকা ১০৯.৮১ টাকা
ইউরো ৮৮.১৬ টাকা ৯১.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৩৫/২০ রাত্রি ৮/২২। মঘা নক্ষত্র ৩৭/১৩ রাত্রি ৯/৭। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৬ মধ্যে। 
৩০ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৭/৫২। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ৯/০। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ১০/৩৬ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৪০ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫২ গতে ১/২৮ মধ্যে। 
১৪ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিয়ালদহের ফুল বাজারে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন

11:06:00 PM

ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে মোদি এবং মাস্কের বৈঠক

10:43:00 PM

বীরভূমের হেতমপুরে একটি বাড়িতে আগুন
বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুর পঞ্চায়েতের চিৎগ্রামে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, ...বিশদ

10:22:00 PM

এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলা: দার্জিলিং আদালতে আত্মসমর্পণ বিমল গুরুংয়ের
রাজ্য পুলিসের এসআই অমিতাভ মালিক হত্যা মামলায় আজ, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ...বিশদ

10:17:00 PM

উত্তরপ্রদেশের আরালি ঘাটে চলছে আরতি

10:04:00 PM

ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের মধ্যে শুরু হয়েছে বৈঠক

09:47:00 PM