Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

চোর  মিনার

সমৃদ্ধ দত্ত: গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। আর কিছুটা উঠেই বৃত্তাকার এক গম্বুজের রূপ ধারণ করেছে। সেই বৃত্তাকৃতি গম্বুজের চারদিকে গর্ত। মোট ২২৫টি। মিনার অথবা স্মৃতিস্তম্ভ তো জীবিত মানুষের বসবাসের জন্য নয় যে বাইরের আলো বাতাসের খুব বেশি মাত্রায় প্রয়োজন হবে! কিছু আলো ও বাতাস প্রবেশের জন্য গবাক্ষ থাক঩লেই চলে! কিন্তু ২২৫? এত গর্তের কারণ কী? 
একদিকে গ্রিন পার্ক। অন্যদিকে হৌস খাস। মাঝখানের রাস্তাটির নাম অরবিন্দ মার্গ। মেহরৌলির দিক থেকে ওই অরবিন্দ মার্গ ধরে অগ্রসর হয়ে আইআইটি ফ্লাইওভার ক্রসিং পার হওয়া প্রথমে। তারপর আরও এগনো। ডানদিকে একটি রাস্তা ঢুকে পড়েছে জনবসতির দিকে। রাস্তার নাম চোর মিনার রোড! সেই রাস্তাই যেখানে গিয়ে পৌঁছচ্ছে তার সামনেই চোর মিনার অবস্থান করছে দিল্লির ইতিহাসের একটি ভয়ঙ্কর প্রথার স্মৃতিকে ধারণ করে নিয়ে। কী সেই ভয়ঙ্কর প্রথা?
এই কাহিনির নায়ক অথবা ভিলেনের নাম চোর মিনার। আর প্রধান চরিত্র আলাউদ্দিন খিলজি। যিনি দিল্লিতে রাজত্ব চালিয়েছেন ১২৯৬ থেকে ১৩১৬ সাল পর্যন্ত। আলাউদ্দিন খিলজির সেনাবাহিনী ছিল দুর্দান্ত শক্তিধর। খিলজির একমাত্র লক্ষ্য আরও কীভাবে শক্তি সঞ্চয় করা যায়। তাঁকে হারাতে পারে এরকম শক্তিশালী তো দেখা যাচ্ছে না! তাহলে খিলজির এই সেনাবৃদ্ধির নেশার কারণ কী? কারণ হল মোঙ্গল সেনা। 
এশিয়ার দুই প্রান্তে দুই সাম্রাজ্যের সূত্রপাত আর উত্থান হয়েছিল একই সময়ে। ১২০৬ সালে। একদিকে চেঙ্গিজ খানের মোঙ্গল সাম্রাজ্য। আর অন্যদিকে দিল্লি সুলতানি আমল। দু‌ই সাম্রাজ্য দ্রুত বাড়িয়েছে নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি। তবে মোঙ্গল বাহিনীর সঙ্গে কোনও তুলনাই হয় না দিল্লি সুলতানতের। চেঙ্গিজ খান মঙ্গোলিয়া ছাপিয়ে কোরিয়া হয়ে রোমানিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত করে ফেলেছিল সাম্রাজ্য। দিল্লি সুলতানত নিজেদের দিল্লি ছাড়িয়ে অন্য রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসে মগ্ন হয়েছে শুধু। যা চূড়ান্ত সাফল্য লাভ করেছে একমাত্র মুঘল আমলে। 
এই বিশ্বে বোধহয় কাউকে ভয় পাননি আলাউদ্দিন খিলজি। একমাত্র ব্যতিক্রম মোঙ্গল বাহিনী। এই বাহিনী যেকোনও সময় ছারখার করে দিতে পারে তাঁর মসনদ! এই আশঙ্কা সারাক্ষণ তাড়িয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে খিলজিকে। নিজের কাকা জালালউদ্দিন খিলজিকে ১২৯৬ সালে হত্যা করে সিংহাসনে বসেছিলেন আলি ওরফে আলাউদ্দিন খিলজি। ঠিক পরের বছরই মোঙ্গল বাহিনী আক্রমণ করে পাঞ্জাব। আলাউদ্দিন নিজে যাননি। ভাই উলুঘ খানকে পাঠালেন মোঙ্গলদের প্রতিরোধ করতে। মোঙ্গল বাহিনী শিবির করেছে জারান মঞ্জুর এলাকায়। সামনেই শতদ্রু নদী। যার উল্টোদিকে জড়ো হচ্ছে খিলজি বাহিনী। মোঙ্গলদের কাছে নৌকা আছে। খিলজিদের কাছে দেখা যাচ্ছে না নৌবহর। অতএব সকাল হলে আক্রমণ করা হবে। 
মধ্যরাতে মোঙ্গল শিবিরে হাহাকার। আলাউদ্দিন খিলজি এমন দুর্ধর্ষ বাহিনী তৈরি করেছেন যে, তারা নৌবহরের অভাবকে পরোয়াই করেনি। ওই শীতকালে শতদ্রু নদী সাঁতরে পেরিয়ে তারা ঢুকে পড়েছে মোঙ্গল শিবিরে। কতজনকে হত্যা করল খিলজি বাহিনী? ২০ হাজারের বেশি মোঙ্গল সেনাকে। যারা জখম হয়ে কাতরাচ্ছে, তাদের মাথা কেটে নেওয়া হল। শিরশ্ছেদ করা আলাউদ্দিন খিলজির প্রিয় যুদ্ধ রীতি। আর যারা বেঁচে রইল, তাদের বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হল দিল্লিতে। কেন? কারণ দিল্লিবাসী এবং বহির্শত্রুদের একটি বার্তা দেওয়া দরকার। কী সেই বার্তা? এই প্রত্যেক বন্দিকে দিল্লির প্রকাশ্য রাস্তায় হাতির পায়ের তলায় ছেড়ে দেওয়া হল মৃত্যুর জন্য। গোটা দিল্লির মানুষকে আসতে বলা হয়েছিল। যাতে তারা চাক্ষুষ করতে পারে।
এই শোচনীয় পরাজয় ও অপমানের বার্তা তো মোঙ্গলদের পাওয়া উচিত ছিল! তারপর যাতে তারা আর দিল্লিশ্বর খিলজির সাম্রাজ্যের দিকে চোখ তুলে না তাকায়! কিন্তু সেটা হল না। বরং ১২৯৯ সালে আবার তারা অগ্রসর হল। এবার মোঙ্গল বাহিনীর নেতা মোঙ্গল খান। সে ঠিক করল আর কোথাও নয়। এক ও একমাত্র লক্ষ্য দিল্লিকে জয় করতে হবে। সিন্ধ অথবা পাঞ্জাব নয়। অতএব দিল্লিই নিশানা। মোঙ্গল খান অবশ্য নিজে এল না। এই অভিযানের দায়িত্ব দিল পুত্র কুতলুগ খাজাকে। 
মোঙ্গলরা আসছে। অনেকটা দখল করে নিয়েছে। প্রজারা ভয়ে পালাচ্ছে। খিলজির উপদেষ্টারা বললেন, আমাদের উচিত ওদের টাকাপয়সা সোনাদানা দিয়ে তুষ্ট করে পাঠিয়ে দেওয়া। নয়তো ওরা এমন ধ্বংসলীলা চালাবে যে, আর দিল্লি  মাথা তুলতে পারবে না। আলাউদ্দিন খিলজি এই অপমানের পথে যাবেন কেন? তিনি নিষ্ঠুর নির্মম এবং হার না মানা এক সম্রাট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই অপমানের তকমা মাথায় নিয়ে থাকতে হবে? অতএব তিনি যমুনা তীরে নিজের গোটা বাহিনীকে কিলি নামক স্থানে জড়ো করলেন। আর বললেন, ওদের অপেক্ষা করাও। কেউ আগে থেকে আক্রমণ যেন না করে। এটা একটা কৌশল। 
হঠাৎ মোঙ্গল বাহিনীর একাংশ পিছু হটে গেল। সেটাও ফাঁদ। যাতে খিলজি বাহিনী এগিয়ে আসে। হঠাৎ খিলজি সেনার অন্যতম সেনাপতি জাফর খান এগিয়ে গেল। খিলজির নিষেধ সত্ত্বেও। এবং তৎক্ষণাৎ ওই পিছু হটে যাওয়া মোঙ্গল বাহিনী দ্বিগুণ সংখ্যায় এসে আক্রমণ করল। যুদ্ধে জাফর খান নিহত। এবং খিলজি বাহিনীর পরাজয় ঘটলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে মোঙ্গল বাহিনী আর অগ্রসর হল না। দিল্লি দখলও নয়। কেন? আজও রহস্য! 
কিন্তু আলাউদ্দিন খিলজি এই অপমান ভুলতে পারছেন না। অস্থির লাগছে তাঁর প্রতিশোধ না নিতে পারা পর্যন্ত। ১৩০৫ সালে আবার এল মোঙ্গল বাহিনী। এবার আজকের উত্তরপ্রদেশের যেখানে আমরোহা, সেই স্থানে জড়ো হল তারা। পাঞ্জাবের শাসনভার যাকে দেওয়া হয়েছিল সেই মালিক নায়েককে খিলজি নির্দেশ দিলেন শত্রুদের খতম করতে হবে। আর প্রত্যেকের শিরশ্ছেদ করা দরকার। ভুলে যেও না। প্রত্যেকের শিরশ্ছেদ করবে। মালিক নায়েক জয়ী হল। মোঙ্গলরা পরাজিত এবং বন্দি। 
মোঙ্গল সেনাদের ধড় থেকে মস্তক পৃথক করে নেওয়া হল। কী করবেন এত ধড়হীন মস্তক নিয়ে খিলজি? তিনি তার আগেই তৈরি করেছেন একটি মিনার। যেখানে অসংখ্য গর্ত। মোঙ্গল বাহিনীর সেনাদের সেই কাটামুন্ডু একে একে সেই সব গর্তে ঝুলিয়ে দেওয়া হল। নতুন মুন্ডু এলে পুরনো মুন্ডুকে সরিয়ে দেওয়া হতো। 
সেই মিনারের নামই চোর মিনার! আক্রমণকারী সেনা, চোর, ডাকাত যেই হোক, আলাউদ্দিন খিলজির সম্মানহানি যে করবে তার শিরশ্ছেদ করে ওই  মিনারে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। এই ছিল সুলতানের হুঁশিয়ারি! যাতে কেউ সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির বিরুদ্ধাচারণ করার সাহস না পায়! ওই যে চোর মিনার। ইতিহাসের মুছে যাওয়া সেই ভয়ঙ্কর প্রথার সাক্ষ্য বহন করে আজও দাঁড়িয়ে আছে।  
22nd  December, 2024
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হোলি ট্রিনিটি চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

দিল্লি মানেই ইতিহাসের গল্প। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এরমধ্যে বেশ কয়েকটির খোঁজ এখন আর রাখেন না পর্যটকরা। ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে গোপনেই পড়ে রয়েছে সেইসব স্থাপত্য। তারই খোঁজে গুপ্ত রাজধানী। বিশদ

29th  December, 2024
আজও রহস্য: রেস কোর্সের অশরীরী
সমুদ্র বসু

ভূত মানুন আর না মানুন, ভূত-প্রেত নিয়ে আগ্রহ কিন্তু সবার। আমাদের আশপাশের গ্রাম, শহর, মফস্‌সল থেকে শুরু করে খোদ কলকাতা শহরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। সেই তালিকায় আছে কলকাতা রেস কোর্সেরও নাম। বিশদ

29th  December, 2024
কলকাতা এক পরীর দেশ

আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী।
  বিশদ

15th  December, 2024
লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না।
বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’ বিশদ

03rd  November, 2024
একনজরে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। গুম করে খুন সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। ...

‘বাংলার বাড়ি’র টাকা ঢুকছে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে। এই প্রক্রিয়া নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা জানানোর জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছিল পঞ্চায়েত দপ্তর। এক সপ্তাহের মধ্যেই  গোটা রাজ্য থেকে ১৩০০র বেশি অভিযোগ পেল তারা। ...

আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) জঙ্গি আব্বাস আলি বহরমপুর জেলে সাক্ষাতে গেলে তারই ফোন ব্যবহার করে সংগঠনের চিফ জসিমউদ্দিন রহমানির সঙ্গে  কথা বলেছিল তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমন। ...

ট্রেনে মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করল সাঁইথিয়া জিআরপি। ধৃতের নাম আব্দুল মতিন। বাড়ি মুরারই থানার গোকুলপুর গ্রামে। সোমবার ধৃতকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়। আইনজীবী বিদ্যুৎ ঘোষ বলেন, বিচারক ধৃতের তিনদিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৬১০- গ্যালিলিও গ্যালিলি প্রথম তার আবিস্কৃত চারটি চাঁদকে পর্যবেক্ষণ করেন
১৭৮২ - আমেরিকার প্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক অব নর্থ আমেরিকা চালু
১৭৮৫- ফ্রান্সের জন ব্যাল্ন্চার্ড ও আমেরিকার জন জেফার ইংল্যান্ডের ডোভার থেকে ফ্যান্সের ক্যালাস পর্যন্ত গ্যাস বেলুনে উড়ে যান
১৭৮৯- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৭৯৭- বর্তমান ইতালির পতাকা প্রথম ব্যবহার করা হয়
১৮২৯ - ভারতীয়রা এশিয়াটিক সোসাইটির সভ্য হওয়ার অনুমতি লাভ করে
১৮৩৮ - স্যামুয়েল মোর্স প্রথমবারের মতো তার ইলেক্ট্রনিক টেলিগ্রাফের পরীক্ষা চালান
১৮৬৬- কলকাতায় প্রথম আদমশুমারি শুরু হয়
১৯২৪- আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩০- ডিজেল ইঞ্জিন চালিত প্রথম অটোমোবাইলের সফল যাত্রা সম্পন্ন হয়
১৯৩৫- ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমী পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪২- বিশ্বজুড়ে চলাচলকারী প্রথম বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে প্যান আমেরিকান এয়ারলাইন্স
১৯৪৮- লেখিকা শোভা দে’র জন্ম
১৯৫৭- অভিনেত্রী রীনা রায়ের জন্ম
১৯৬১- অভিনেত্রী সুপ্রিয়া পাঠকের জন্ম
১৯৬৭- অভিনেতা ইরফান খানের জন্ম
১৯৭৯- অভিনেত্রী বিপাশা বসুর জন্ম  
১৯৮৪- বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী আঙুরবালার মৃত্যু
২০২২ - বাংলার যাত্রাজগতের কিংবদন্তি সুরকার ও গায়ক প্রশান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৬ টাকা ৮৬.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৮ টাকা ১০৮.৫৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৭ টাকা ৯০.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫। অষ্টমী ২৫/১৩, দিবা ৪/২৭। রেবতী নক্ষত্র ২৮/৩০ সন্ধ্যা ৫/৫০। সূর্যোদয় ৬/২২/২২, সূর্যাস্ত ৫/৩/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১১/২১ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ৮/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১২/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৫৫ গতে ৩/৪১ মধ্যে। পুনঃ ৫/২৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগরাত্রি ৭/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪২ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ১/৩ গতে ২/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৪ গতে ৮/২৪ মধ্যে।
২২ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৩। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ৬/১৬। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ১১/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ গতে ৮/৩৭ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১২/১০ মধ্যে ও ১/৫৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৫/৩০ গতে ৬/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ১/৪ গতে ২/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৪ গতে ৮/২৪ মধ্যে। 
৬ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে দিল্লিতে একটি স্মারক প্রতিষ্ঠার অনুমোদন কেন্দ্রের

10:27:00 PM

 মানুষ কংগ্রেসের প্রতি উৎসাহ দেখাচ্ছেন: কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত

10:00:00 PM

গুজরাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

09:23:00 PM

গুজরাতে একাধিক নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ৭৭৯ কোটি টাকা অনুমোদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

08:59:00 PM

আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা

08:34:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে মাউন্টেড পুলিসের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ৫টি ঘোড়া কিনল যোগী সরকার

08:24:00 PM