Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না। ১৬৪৮ সালে সমাপ্ত হল লালকেল্লা। আগ্রা ঠিক পছন্দ নয়। তার উপর আবার ভূত আছে। সেটা তো আকবরও বলে গিয়েছেন। শাহজাহানেরও আগ্রা থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রবল। শাহজাহানের কাছে পছন্দ ছিল দু’টি স্থান। নতুন রাজধানী এবং নতুন প্রাসাদের জন্য। লাহোর। দিল্লি। তাও আবার যেখানে দিল্লি শহর এতকাল ধরে গড়ে উঠেছে সেটা নয়। অর্থাৎ সেই পৃথ্বীরাজ চৌহানের লাল পিথোরা নয়। যার অদূরেই গড়ে উঠেছিল কুতুব প্রাঙ্গণ। আবার তুঘলকদের তুঘলকাবাদও নয়। হুমায়ুন দীনপনাহ নামক নগরী স্থাপন করেন। মধ্যদিল্লিতে। কিন্তু ভোগ করতে পারলেন কোথায়? কখনও শের শাহের কাছে পরাস্ত হয়ে পরিবার নিয়ে পালাতে হল। কখনও আবার লাইব্রেরির সিঁড়ি থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে মৃত্যু। অতএব অভিশাপ সেই দীনপনাহকে জুড়েও। যা আজকের পুরনো কেল্লা চত্বর। শাহজাহান এ সব কিছুকে টপকে গিয়ে নতুন এক বিস্তীর্ণ খোলা প্রান্তরে তৈরি করলেন নতুন রাজধানীর নতুন আবাসস্থল। চোখ ধাঁধানো লালকেল্লা। 
কিন্তু তিনি একা কিংবা পরিবার অথবা সেনাদের নিয়ে এসে বসতি স্থাপন করলেই তো হল না। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রেখেছে, রণসহায়তার পারস্পরিক মিত্রতার বন্ধন যাদের সঙ্গে হয়েছে, প্রশাসন ও সেনাবাহিনীতে যাদের ধীরে ধীরে প্রবেশ করানো হয়েছে, এরকম বিশ্বস্ত ও যোগ্যদেরও তো নতুন কেল্লার প্রাঙ্গণে অথবা তাঁর সৃষ্ট নয়া নগরী শাহজাহানাবাদে নিয়ে আসতে হবে! অতএব আগরওয়াল জৈনদের, পূর্বতন মেহরৌলিতে বসবাসরত হিন্দুদের, আগ্রার গহনাশিল্পীদের নিয়ে এলেন। শাহজাহানাবাদে। 
বিশেষ করে আগরওয়াল জৈনদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মধুর ও স্বার্থের। বেশ কিছু সেনাপতি জৈন সম্প্রদায়ের। কোষাগার সংরক্ষক এবং হিসাব রক্ষকও জৈন সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের হাতে। অতএব জৈনদের তিনি আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসে জমি দিলেন। সেখানে বাড়িঘর তৈরি করে যাতে  তারা থাকে। 
কিন্তু থাক঩লেই তো হল না। ধর্মীয় সাংস্কৃতিক একটি জীবন তো আছে। একজন সেনাধ্যক্ষ নিজের তাঁবু এবং বাসস্থানে স্থাপন করলেন পার্শ্বনাথের মূর্তি। সেখানেই তিনি কাজ শেষে  দিনে দু’বার প্রার্থনা করেন। পুজো করেন। প্রথমে একা। যেন পারিবারিক ব্যক্তিগত এক ইষ্টদেবতা। কিন্তু সেই সংবাদ ব্যবসায়ী অথবা প্রশাসনিক কর্মী জৈনদের কানেও পৌঁছল। একে একে তারাও আসতে শুরু করল। তাঁবু হলেও আদতে গড়ে উঠল একটি অঘোষিত মন্দিরই। তবে শাহজাহান আরও উদারতা দেখালেন। বললেন, ওখানেই একটুকরো অতিরিক্ত জমি নিয়ে পরিপূর্ণ মন্দির করে ফেলছ না কেন তোমরা? 
তাই হল। ক্ষুদ্র একটি প্রার্থনাগৃহ, কয়েকটি তীর্থঙ্করদের মূর্তি, প্রবেশদ্বারে একটি স্তম্ভ। এভাবেই শুরু হল। তবে শাহজাহান বেশিদিন আর বাঁচলেন না। প্রথম জীবনে নিষ্ঠুর, অসহিষ্ণু এবং অত্যাচারী হলেও পরবর্তীকালে যেন তিনি অনেক সহিষ্ণুতা এবং সর্বধর্মসমন্বয়ের একটি বার্তা দিতে চাইছিলেন। কিন্তু সেই দায় তো আর তাঁর মেজো পুত্র আওরঙ্গজেবের নেই। তিনি এমনিতেই দিকে দিকে মন্দির ধ্বংস করতে শুরু করলেন। আর যেহেতু পিতার থেকে জৈনরা এই মন্দির ও সংলগ্ন বাস্তুজমি পেয়েছে, তাই সরাসরি ধ্বংস করতে পারলেন না। তবে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন বাদ্যযন্ত্র, ঘণ্টা ও নাগাড়ায়। সুরে বাজছে এরকম কোনও সাঙ্গীতিক বিনোদন হবে না। অতএব জৈন মন্দিরে নাগাড়া কিংবা ঘণ্টাধ্বনি বন্ধ করে দেওয়া হল। 
কিন্তু জৈন ধর্মাবলম্বীরা তো অবাক। মাঝরাতে অথবা ভোররাতে কিংবা সন্ধ্যাকালীন প্রার্থনার সময়ও আচমকা কেন বাজে ঘণ্টা? কেন বেজে উঠছে নাগাড়া? কে বাজায়? ওসব বাজানোর কর্মীদের তো বিদায় দেওয়া হয়েছে। তাহলে গোপনে লুকিয়ে কে বাজাচ্ছে? সম্রাটের নাকের ডগায় এসব চললে এরপর আর মন্দির থাকবেই না। ধ্বংস হবে। 
যা ভয় পাওয়া গিয়েছিল, তাই কিন্তু হল। অর্থাৎ সম্রাট আওরঙ্গজেবের কানেও গেল। ক্ষিপ্ত হয়ে ডেকে পাঠালেন জৈন সিপাহশালারকে। এসব কী? আমার আদেশ নাকি শিরোধার্য হচ্ছে না? ভয়ে কম্পিতচিত্ত। তাও সিপাহশালার বললেন, আমরা নিজেরাই খুব বিভ্রান্ত। জানি না কে বাজাচ্ছে! আওরঙ্গজেব আরও রেগে গেলেন। এসব কি ইয়ার্কি হচ্ছে? নাকি মিথ্যাচার? তিনি নিজেই তদন্ত করবেন। ফতোয়া দিলেন জৈন মন্দির থেকে শব্দ পেলেই তৎক্ষণাৎ গিয়ে দেখতে হবে কী ব্যাপার! কে বাজায়? কেউ পালায় কি না ইত্যাদি। 
প্রত্যেকেই সম্রাটকে বার্তা দিল যে, নাগাড়া বাজে। ঘণ্টা বাজে। কিন্তু কেউ বাজায় না। আওরঙ্গজেব বিস্মিত। তিনি আর সেই জৈন মন্দির নিয়ে কোনও হুঁশিয়ারি অথবা ফতোয়ার পথে হাঁটলেন না। বললেন, যেমন পুজোপ্রার্থনা চলার কথা, তাই হোক। 
তবে মুঘল সাম্রাজ্যের অস্তমিত হওয়ার আগে থাকা সেই মন্দির আজ আর নেই। ১৮৭৮ সালে নতুন করে মন্দির নির্মাণ করা হল। সেখানেই। সেই মন্দিরের অংশবিশেষ আজও হয়তো এই নয়া মন্দিরেও মিশে রয়েছে। চাঁদনি চকের রাস্তায় প্রবেশের ঠিক আগে এই হল তিন চূড়া বিশিষ্ট প্রাচীন জৈন মন্দির। লাল মন্দির। যার সূত্রপাত কমবেশি লালকেল্লারই সময়কালে। দিল্লির এটাই প্রাচীনতম জৈন মন্দির। যার সঙ্গে ওই অলৌকিক গাথা মিশে গিয়ে তৈরি করেছে এক মিথ। 
জীবলদাস পাপড়িওয়ালের ছিল একটিই লক্ষ্য। ভারতজুড়ে ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ মন্দিরে যত বেশি সম্ভব তীর্থঙ্করদের মূর্তি বসাবেন তিনি। তুর্কি আক্রমণের সময় থেকে যেন মন্দির অথবা মূর্তি ধ্বংসের উৎসব শুরু হয়। গুজরাতের ধার্মিক মানুষ জীবলদাস ঠিক করেছিলেন কত ধ্বংস করবে? তার থেকে বেশি নির্মাণ করব। ভারতীয় সংস্কৃতি আর ধর্মকে মুছে ফেলা এত সহজ নাকি? সেই জীবলদাসের এই লক্ষ্য দেখে উদ্দীপ্ত হলেন এক শিল্পী। যিনি আবার জৈন সন্ন্যাসীও বটে। জিনচাঁদ দেব। 
জীবলদাসের জীবনের ওই লক্ষ্যকে পূরণ করতেই যেন তিনি অসম্ভব এক কাজে ব্যাপৃত করলেন নিজেকে। মূর্তি নির্মাণ। জনশ্রুতি যে তিনি একাই এক লক্ষাধিক মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন। আর জীবলদাস সেগুলি ছড়িয়ে দেন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। তারই কয়েকটি হরিয়ানা ও দিল্লিতে ছিল। জানতে পেরেই শাহজাহানের অন্যতম এক জৈন সেনাধ্যক্ষ একটি মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নিজের তাঁবুমন্দিরে! প্রাচীন সেই মহাবীরের মূর্তি ১৪৯১ সালে নির্মিত হয়। লাল মন্দিরের মহাবীর মূর্তি কি সেটাই? বিশ্বাস তেমনই! 
লালমন্দিরে প্রবেশ করার সবথেকে বড় সার্থকতা কী? মানসস্তম্ভের সামনে দাঁড়ানো। ওই স্তম্ভ নশ্বর মানুষকে যেন বলে নত হতে। বিনয়ী হতে। অহংহীন হতে। এই হল লাল মন্দিরের আখ্যান! 
15th  December, 2024
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হোলি ট্রিনিটি চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

দিল্লি মানেই ইতিহাসের গল্প। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এরমধ্যে বেশ কয়েকটির খোঁজ এখন আর রাখেন না পর্যটকরা। ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে গোপনেই পড়ে রয়েছে সেইসব স্থাপত্য। তারই খোঁজে গুপ্ত রাজধানী। বিশদ

29th  December, 2024
আজও রহস্য: রেস কোর্সের অশরীরী
সমুদ্র বসু

ভূত মানুন আর না মানুন, ভূত-প্রেত নিয়ে আগ্রহ কিন্তু সবার। আমাদের আশপাশের গ্রাম, শহর, মফস্‌সল থেকে শুরু করে খোদ কলকাতা শহরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। সেই তালিকায় আছে কলকাতা রেস কোর্সেরও নাম। বিশদ

29th  December, 2024
চোর  মিনার

গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। বিশদ

22nd  December, 2024
কলকাতা এক পরীর দেশ

আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী।
  বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’ বিশদ

03rd  November, 2024
একনজরে
জমির মালিকানার সমস্যা মেটেনি। নাগরিকত্ব নিয়েও পড়তে হচ্ছে প্রশ্নের মুখে। এনিয়ে দিন কাটছে নলগ্রাম ছিটমহলবাসীর।  সাবেক ছিটমহলের সমস্যা সমাধানে এবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন বাসিন্দারা। সোমবার ...

‘বাংলার বাড়ি’র টাকা ঢুকছে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে। এই প্রক্রিয়া নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা জানানোর জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছিল পঞ্চায়েত দপ্তর। এক সপ্তাহের মধ্যেই  গোটা রাজ্য থেকে ১৩০০র বেশি অভিযোগ পেল তারা। ...

ট্রেনে মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করল সাঁইথিয়া জিআরপি। ধৃতের নাম আব্দুল মতিন। বাড়ি মুরারই থানার গোকুলপুর গ্রামে। সোমবার ধৃতকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়। আইনজীবী বিদ্যুৎ ঘোষ বলেন, বিচারক ধৃতের তিনদিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ...

নভেম্বর মাসে ৮ টন সোনা কিনল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। ২০২৪ সালে মোট ৭৩ টন সোনা কিনেছে তারা। এই তথ্য দিয়েছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল। প্রসঙ্গত, আর্থিক বুনিয়াদ মজবুত রাখতে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সোনা কিনে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৬১০- গ্যালিলিও গ্যালিলি প্রথম তার আবিস্কৃত চারটি চাঁদকে পর্যবেক্ষণ করেন
১৭৮২ - আমেরিকার প্রথম কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক অব নর্থ আমেরিকা চালু
১৭৮৫- ফ্রান্সের জন ব্যাল্ন্চার্ড ও আমেরিকার জন জেফার ইংল্যান্ডের ডোভার থেকে ফ্যান্সের ক্যালাস পর্যন্ত গ্যাস বেলুনে উড়ে যান
১৭৮৯- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৭৯৭- বর্তমান ইতালির পতাকা প্রথম ব্যবহার করা হয়
১৮২৯ - ভারতীয়রা এশিয়াটিক সোসাইটির সভ্য হওয়ার অনুমতি লাভ করে
১৮৩৮ - স্যামুয়েল মোর্স প্রথমবারের মতো তার ইলেক্ট্রনিক টেলিগ্রাফের পরীক্ষা চালান
১৮৬৬- কলকাতায় প্রথম আদমশুমারি শুরু হয়
১৯২৪- আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩০- ডিজেল ইঞ্জিন চালিত প্রথম অটোমোবাইলের সফল যাত্রা সম্পন্ন হয়
১৯৩৫- ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমী পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪২- বিশ্বজুড়ে চলাচলকারী প্রথম বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে প্যান আমেরিকান এয়ারলাইন্স
১৯৪৮- লেখিকা শোভা দে’র জন্ম
১৯৫৭- অভিনেত্রী রীনা রায়ের জন্ম
১৯৬১- অভিনেত্রী সুপ্রিয়া পাঠকের জন্ম
১৯৬৭- অভিনেতা ইরফান খানের জন্ম
১৯৭৯- অভিনেত্রী বিপাশা বসুর জন্ম  
১৯৮৪- বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী আঙুরবালার মৃত্যু
২০২২ - বাংলার যাত্রাজগতের কিংবদন্তি সুরকার ও গায়ক প্রশান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৬ টাকা ৮৬.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৮ টাকা ১০৮.৫৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৭ টাকা ৯০.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫। অষ্টমী ২৫/১৩, দিবা ৪/২৭। রেবতী নক্ষত্র ২৮/৩০ সন্ধ্যা ৫/৫০। সূর্যোদয় ৬/২২/২২, সূর্যাস্ত ৫/৩/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১১/২১ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ৮/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১২/৮ মধ্যে পুনঃ ১/৫৫ গতে ৩/৪১ মধ্যে। পুনঃ ৫/২৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগরাত্রি ৭/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪২ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ১/৩ গতে ২/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৪ গতে ৮/২৪ মধ্যে।
২২ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৩। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ৬/১৬। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ১১/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ গতে ৮/৩৭ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১২/১০ মধ্যে ও ১/৫৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৫/৩০ গতে ৬/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ১/৪ গতে ২/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৪ গতে ৮/২৪ মধ্যে। 
৬ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে দিল্লিতে একটি স্মারক প্রতিষ্ঠার অনুমোদন কেন্দ্রের

10:27:00 PM

 মানুষ কংগ্রেসের প্রতি উৎসাহ দেখাচ্ছেন: কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত

10:00:00 PM

গুজরাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

09:23:00 PM

গুজরাতে একাধিক নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ৭৭৯ কোটি টাকা অনুমোদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

08:59:00 PM

আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা

08:34:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে মাউন্টেড পুলিসের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ৫টি ঘোড়া কিনল যোগী সরকার

08:24:00 PM