Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’
সুগত বলল, ‘ঠিক আছে। বলব।’
মহীন বললেন, ‘এই অবস্থায় যেন বেশিদিন ফেলে না রাখে। যতই রিস্ক থাকুক অপারেশন যেন করে। বিছানায় পড়ে থাকার চেয়ে সুইসাইড করা বেটার।’
সুগত শান্তভাবে বলে, ‘ওটা তো আমার হাতে নেই। চুপচাপ থাক। স্ট্রেচারে করে নামাবে এখন।’
মহীনকে এমারজেন্সি ওয়ার্ডের বেডে শুইয়ে দেওয়া হল। 
সুগত বলল, ‘বিছানায় পড়ে থাকাকে মানুষ মৃত্যুর চেয়েও বেশি ভয় পায়। বাবা ঘুরে বেড়াতে, মানুষের সঙ্গে গল্প করতে ভালোবাসে। ওই জায়গাটা হারিয়ে গেলে বাবা বোধহয় পাগলই হয়ে যাবে।’
অঙ্কিত মাথা নাড়ে, ‘হ্যাঁ, মানুষ স্বেচ্ছায় কখনও বোঝা হতে চায় না। কাকু তাই এত টেনশন করছে।’
সুগত নিজেও উদ্বেগে রয়েছে। দু’দিন আগে সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন মহীন। একটি রিকশর হ্যান্ডেলে মহীনের হাতে ধরা ছাতা ধাক্কা খেয়েছিল। ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন। শুরুতে হালকা চোট ছিল, হাঁটতে অসুবিধে হচ্ছিল। শেষ দুপুরে চিনচিনে ব্যথা বদলে গেল তীব্র যন্ত্রণায়। কোনওমতে খুঁড়িয়ে বাথরুম গেলেন মহীন। বিকেলে অর্থোপেডিকের কাছে নিয়ে গেল সুগত। এক্স-রে করার পরে প্লেট দেখে ডক্টর পাল বললেন, ‘ফিমার নেক ফ্র্যাকচার। হিপ জয়েন্টের বল ভেঙে গিয়েছে।’
‘তাহলে কী উপায়?’
‘ইমিডিয়েট সার্জারি।’
‘কবে করবেন সার্জারি?’
ডক্টর পাল বলেছিলেন, ‘আমি রিস্ক নেব না। লিউকেমিয়ার পেশেন্ট, বয়স হয়েছে। সেভেন্টি ফাইভে এই সার্জারির স্ট্রেস নিতে পারবেন কি না সন্দেহ আছে। তাছাড়া এই শহরে এরকম পেশেন্টের পোস্ট-অপারেটিভ প্রবলেম সামলানোর মতো ইনফ্রাস্ট্রাকচার নেই। ওঁর লিউকেমিয়ার ব্যাপারটা মনিটর করে সার্জারি করা যাবে এমন কোথাও নিয়ে যান। একজন হেমাটোলজিস্টের সুপারভিশন লাগবে। কলকাতায় কোনও বড় প্রাইভেট হসপিটালে নিয়ে গেলে ভালো হয়।’ 
‘সার্জারি করাতেই হবে?’
‘বল ভেঙে গিয়েছে। সার্জারি না করালে ওঁকে বিছানাতেই পড়ে থাকতে হবে। মুভমেন্ট করতেই পারবেন না। সার্জারি মাস্ট।’
মহীনকে শয্যাশায়ী অবস্থায় ফেলে রাখা ঝুঁকি হয়ে যাবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল সুগত। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে একশো কুড়ি কিমি পথ পাড়ি দিয়ে এই নামকরা বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছেছে সে। বাল্যবন্ধু অঙ্কিত এসেছে সঙ্গে। এখন এমারজেন্সিতে ডক্টর মহীনকে দেখছেন। ঘুমিয়ে পড়েছেন তিনি। আপাতত বেড নাকি খালি নেই। বেড খালি হলেই কেবিনে শিফ্ট করা হবে তাঁকে। ঘুমন্ত মহীনের মুখে প্রশান্তির আভাস। কোনও উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তার ছাপ নেই। সম্ভবত তিনি ঠিক জায়গায় এসে পড়েছেন ভেবে অনেকটা আশ্বস্ত।
অঙ্কিত মৃদু হেসে বলল, ‘কাকু ঘুমিয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় এতটা রাস্তা আসার ধকল তো কম নয়। বুঝেছেন যে, এখান থেকে হতাশ হয়ে ফিরতে হবে না।’
‘হয়তো।’
‘তাছাড়া এইসব নামীদামি হসপিটাল ওটি-তে তোলার জন্য রেডি হয়ে থাকে। সার্জারি হবেই।’
....
প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে তিনতলার মেল ওয়ার্ডের কেবিনে মহীনকে শিফট করা হল। কনসালটিং ডক্টর এক্স-রে প্লেট দেখে জানিয়েছেন যে, সার্জারি করা যাবে। একজন হেমাটোলজিস্ট ভিজিট করে গেলেন। খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্তে মহীন বেজায় খুশি। চিকেন স্যুপ তৃপ্তি করে খেলেন। প্রাইভেট অ্যাটেনডেন্ট রাখা হয়েছে। 
মহীন বললেন, ‘এলাহি বন্দোবস্ত। ঝকঝকে তকতকে ব্যাপার। বেড ভাড়া কত?’
অঙ্কিত চোখ টিপে ইশারা করল। সুগত বলল, ‘ডেইলি দেড় হাজার।’
হয়তো বেডভাড়া চার হাজার শুনলে এই অবস্থাতেই বেড ছেড়ে লাফিয়ে ওঠার চেষ্টা করতেন।
মহীন বললেন, ‘এমন কিছু বেশি নয়। রাজার হালে রেখেছে। সে তুলনায় বরং কম নিচ্ছে।’ 
সার্জারি হবে শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। জিজ্ঞাসা করলেন, ‘বাঁচলাম।  অপারেশন হলে আবার আগের মতন চলাফেরা করতে পারব। তা কত খরচা পড়বে?’
সুগত বিরক্ত হল, ‘খরচ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছ কেন?’
‘ঘামাব না? ব্লাড ক্যান্সারের একটা স্টেজে পৌঁছলে শুনেছি বিস্তর খরচ।’
‘ও নিয়ে কোনও কথা হয়নি।’
সুগত মিথ্যে বলল। ডক্টর জানিয়েছেন যে সাড়ে তিন লক্ষ বা তার বেশি কিছু খরচ হবে। যে বলটা ফিট করা হবে হিপ জয়েন্টে সেটার দাম পড়বে নব্বই হাজার। বেডে শিফট করার সময়ে কাউন্টারে এক লক্ষ টাকা জমা করেছে সে। 
ওয়ার্ডের বাইরে এসে অঙ্কিত পরামর্শ দিল, ‘এভাবেই ট্যাক্টফুলি ম্যানেজ করতে হবে। ট্রিটমেন্টের খরচ সবসময় কমিয়ে বলবি। তোর আবার না ভেবেচিন্তে সত্যি বলে ফেলার অভ্যেস আছে।’                                  
পরের দিন বিকেলে ভিজিটের সময় অ্যাটেনডেন্ট মায়ার খুব প্রশংসা করলেন মহীন। 
‘কী অসম্ভব স্ট্রাগল করে এরা। আয়ার ডিউটি, ফুটপাতে দোকান, সংসার সব সামলাচ্ছে। মেয়ে পলিটেকনিকে পড়ছে। বর ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারে শুধু দুঃখবিলাস আছে।’
‘হুম।’ 
‘হ্যাঁ রে, কত খরচ পড়বে মনে হয়?’
‘আগে সার্জারি হোক। তারপর রিলিজের সময় বিল রেডি হবে। আর্টিফিশিয়াল বল বসবে হিপ জয়েন্টে। বুড়ো বয়সে একখানা গয়না হবে তোমার।’
‘গয়নাটির দাম কত?’
কাঁপা গলায় মিথ্যে বলল সুগত, ‘জানি না। এটা কি সব্জি বাজার পেয়েছ? দরদাম করে লাগাবে!’
মহীন দুপুরের খাওয়া নিয়ে দীর্ঘ বর্ণনা শুরু করলেন। ফার্স্টক্লাস খাবার, তেলমশলা কম কিন্তু সুস্বাদু। সকালে ডায়েটিশিয়ান এসে জেনে যায়। 
অঙ্কিত মুচকি হেসে বলল, ‘তাহলে খাওয়ার জন্য তিন-চারদিন এক্সট্রা রেখে দেওয়া হবে তোমাকে।’
আগামী কাল দুপুর এগারোটায় মহীনের সার্জারি হবে। মহীন তা নিয়ে একেবারে নিরুত্তাপ।
....
ডক্টর মৌলিক জানালেন, ‘অপারেশন সাকসেসফুল। তবে পেশেন্টকে আইসিইউ-তে শিফট করা হয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখা হবে। তারপর বেডে দেওয়া হবে। বয়স্ক পেশেন্ট, স্ট্রেস গেল, কেয়ারে থাকার প্রয়োজন। দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’
‘এখন যাওয়া যাবে?’ 
‘হ্যাঁ।’
সুইংডোর ঠেলে সুগত ভেতরে ঢুকে দেখল মহীন ঘুমোচ্ছেন। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে মন চাইল না তার। বিকেলে আসবে। 
বিকেলে অভাবনীয় দৃশ্য দেখল সুগত। মোবাইল ফোনে ব্যস্ত। নিলয়ের মা, বউ, মেয়ে সবাইকে একে একে ফোন করে চলেছেন তিনি। কথা জড়িয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে দুর্বলতা রয়েছে শরীরে।  তবুও কথা বলার বিরাম নেই।  বাধ্য হয়ে সুগত বলল, ‘ফোনটা রাখ।’
‘কথা বলে নিলাম একটু। বুঝলি, অপারেশন টেবিলে তোলার সময় থেকে কী যে আরাম লাগছিল! মনে হচ্ছিল যেন নরম তুলতুলে শরীরে শূন্যে ভেসে যাচ্ছি। মনে হচ্ছিল, আহা, এখনই যদি প্রাণটা চলে যায়। তবে এমন প্রশান্তির মৃত্যু ক’জনের কপালে জোটে?’
‘খারাপ কথা বলছ কেন? সব তো ঠিক হয়ে যাচ্ছে। যন্ত্রণা হচ্ছে?’
‘সামান্য। তা টোটাল কত লাগবে?’
সুগত বলল, ‘রিলিজ করার সময়ে জানতে পারব। তবে খুব বেশি লাগবে না মনে হচ্ছে।’
অবশ্য আজ ভিজিটের আগেই বিল স্টেটমেন্ট নিয়েছে সে। খরচ তিন লক্ষ ছুঁতে চলেছে। এখনও কমপক্ষে তিনদিন রাখবে। আইসিইউ-তে চব্বিশ ঘণ্টা রাখার খরচও নেবে।
মহীন আশ্বস্ত হলেন, ‘নিখুঁত সিস্টেম। অভিযোগের কোনও জায়গাই নেই।’ 
‘আগামী কাল দুপুর এগারোটায় তোমাকে কেবিনে দেবে।’
পরের দিন সকালে কেবিনে পৌঁছে মহীনকে ঈষৎ নিস্তেজ দেখল সুগত। চোখ দু’টি বোজা, দু’টি হাত জড়ো করে বুকের ওপর রাখা। তার উপস্থিতি টের পেয়ে চোখ খুললেন তিনি। ম্লান হাসি, হাসির আড়ালে চাপা বিষণ্ণতা। গতকাল আইসিইউ-তে দিলদরিয়া মেজাজে ছিলেন। কী হল তাহলে?
‘অঙ্কিতের সঙ্গে খুব বকবক করছিলে শুনলাম। ওকে কিছুতেই ছাড়ছিলেন না। বেশি কথা বললে টায়ার্ড তো লাগবেই। বলছিল যে, এতদিন বন্ধ থাকার পরে ফ্লাডগেট খুলে গিয়েছে কাকুর।’
‘ও তোরা বুঝবি না। কথা বললে কেউ ক্ষয়ে যায় না। ওতে বরং মন হালকা হয়। আজকাল মানুষ মনের দরজায় খিল এঁটে বসে থাকে। তা তোরা এরকম একজন করে আসছিস কেন?’
‘একটাই কার্ড। একজনের বেশি অ্যালাউ করছে না,’ সুগত নরম গলায় জানতে চায়, ‘ব্যথা হচ্ছে?’
‘না। ক্লান্ত লাগছে। একটা ভালো খবর আছে। কাল থেকে ওয়াকারে হাঁটা প্র্যাকটিস করাবে। এই বয়সে আবার নতুন করে হাঁটতে শেখার পালা।’
‘এত তাড়াতাড়ি হাঁটতে পারবে ভেবেছিলে?’
‘না। শোন, একটা কথা ছিল।’
‘বল।’
মহীন বললেন, ‘আমি তো আর আগের মতন অত হাঁটতে পারব না। শরীর পারমিট করবে না। মেনে নিতে হবে। তাই একটা দোলনা চাই আমার। বাগানে আমগাছে বড় একটা ডালে দোলনা খাটিয়ে দিবি। নাতনিও মাঝেমধ্যে দোলনায় পাশটিতে বসে থাকবে। বাগানে বসে পাখি দেখব, ঘাসের মাথায় ফড়িং বসা দেখব। টবে ফুটে ওঠা ফুল, আমের বোল, রোদের ছায়া। সারাদিন বসে বসে চারদিক দেখে সুন্দর সময় কেটে যাবে। দোলনার বন্দোবস্ত করে দিবি তো?’
মহীনের গলায় আবদারের সুর, চোখে অশ্রুবিন্দু।
....
অপারেশনের দেড়মাস পরে লাঠিতে ভর দিয়ে সামান্য খুঁড়িয়ে পাড়ায় হেঁটে বেড়াতে শুরু করলেন মহীন।
তারপর কী যে হল! শীত আসতেই ঝিমিয়ে পড়লেন। লিউকেমিয়ার পেশেন্ট হলে এমনিতেই শরীরে সারাক্ষণ শীতভাব জড়িয়ে থাকে। বাগানে রোদ আসে না। চারদিকে দোতলা-তিনতলা বাড়িরা রোদ আটকে দেয়।  বিশাল আমগাছের শরীর শুধু ছায়া ছড়ায় বাগান জুড়ে।  মহীন জেদ ধরলেন, ‘গাছটা কেটে ফেল। রোদ আটকে দিচ্ছে।’
‘আমগাছ কাটলে দোলনা খাটাব কীভাবে?’
‘ওটা পরে ভাবা যাবে। আগে তো রোদ পেয়ে বাঁচি।’
সুগতর তেমন ইচ্ছে ছিল না। মহীন গাছপালা ভালবাসেন খুব, সেই তিনিই কেটে ফেলার জন্য তাগাদা দিচ্ছেন। বাধ্য হয়ে আমগাছটা কেটে ফেলতে হল। উষ্ণ রোদও মহীনকে শান্তি দিল না বেশিদিন। অসংখ্য উপসর্গ ঘিরে ধরল তাঁকে। হিমোগ্লাবিন কমতেই থাকে, ফুসফুসে সংক্রমণ বাড়ে। মার্চের শেষে মহীন ভর্তি হলেন ক্যান্সার হসপিটালে। টানা পনেরো দিন অসম্ভব কষ্টে ছটফট করার পরে হিমশীতল আইসিইউ-তে সমস্ত হিসেব-নিকেশের ঊর্ধ্বে চলে গেলেন তিনি।
এক বছর হল মহীন চলে গিয়েছেন। এবার গরম পড়তেই ছাদে শেড লাগানো হয়েছে। প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই আজকাল এই বন্দোবস্ত করছে।
সুগতর মেয়ে টিনা বলল, ‘একটা দোলনা কিনে আনবে।’
‘কেন?’
টিনা অবাক হল, ‘কেন মানে? দোলনায় চড়ব। তাই।’ 
‘কোথায় খাটাব?’
টিনা হাসে, ‘তুমি খুব বোকা। মা মিস্ত্রিদের বলে একটা আংটা ঝুলিয়েছে। ওই দেখ। ওই আংটাটায় দোলনা খাটানো যাবে। বুঝেছ?’
‘হুম। বুঝলাম।’
‘কালকেই দোলনা কিনে এনো।’
নিশ্চুপ থাকে সুগত। শুধু মনে পড়ে হাসপাতালের কেবিনে শুয়ে মহীন জীবনে প্রথমবার তার কাছে আবদার করেছিলেন। একটা দোলনা চেয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় শৈশবে পৌঁছে দোলনার কাছে, ছেলেবেলার কাছে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। 
সেই আবদার রাখার কোনও সুযোগই পেল না সে। 
নীরবতা ভেঙে সুগত বাষ্পাচ্ছন্ন গলায় বলল, ‘হ্যাঁ, কিনে আনব। দশদিন পরে তোর দাদুর মৃত্যুবার্ষিকী। তার আগে একটা দোলনা যে আমাকে কিনে আনতেই হবে।’ 
অঙ্কন: সোমনাথ পাল
03rd  November, 2024
চোর  মিনার

গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। বিশদ

22nd  December, 2024
কলকাতা এক পরীর দেশ

আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী।
  বিশদ

15th  December, 2024
লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না।
বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
গুপ্ত রাজধানী: সেন্ট জেমস চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

এই সময়টা খুব গরম পড়ে। আকাশে একফোঁটা মেঘ নেই। প্রিন্টার্সের এই ঘরটা সারাক্ষণ উত্তপ্ত থাকে। এই কাজটাও করতে ভালো লাগে না জেমসের।  দরদর করে সে ঘামছে। কলকাতা নামক শহরটায় এত গরম কেন? এখান থেকে পালাতে পারলে ভালো হতো।  বিশদ

03rd  November, 2024
আজও রহস্য: বাজিরাওয়ের কেল্লা
সমুদ্র বসু

 

পুনের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্থান হল শনিওয়ার ওয়াড়া দুর্গ। যার সঙ্গে জড়িয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মারাঠাদের নাম। সর্বোপরি এই কেল্লার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাজিরাও পেশোয়া। একসময় মারাঠাদের ঐতিহ্য ও অহংকার এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বিশদ

03rd  November, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
একনজরে
বাংলা হল মিলনক্ষেত্র। সব ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষের সহাবস্থান। সমস্ত উৎসবে একসঙ্গে মাতোয়ারা, আবার সুখ-দুঃখ একসঙ্গে ভাগ করে নেওয়া—ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে সম্প্রীতির চিরন্তন মেলবন্ধনকেই তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ...

পাকিস্তানের বিমান হামলা। আফগানিস্তানে ৪৬ জন নিহত। তাঁদের মধ্যে মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ জানান, মঙ্গলবার রাতে পাকিতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার চারটি এলাকায় হামলা চালায় পাকিস্তান। ...

গত ১৩ বছরে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন পরিকাঠামো উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তার ফলে রাজ্যে লোডশেডিং এখন অতীত। ...

বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে প্রথম তিন টেস্টের পর ১-১ অবস্থায় রয়েছে দু’দল। সিরিজে ভারতের টিকে থাকার নেপথ্যে যশপ্রীত বুমরাহর ভূমিকাই দেখছেন রবি শাস্ত্রী। প্রাক্তন কোচের মতে, ‘বুমরাহ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯১- কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজের জন্ম
১৮০১- বাংলা ও মাদ্রাজের জন্য ব্রিটিশদের প্রথম সুপ্রিম কোর্ট গঠন
১৮৩১- হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর মৃত্যু
১৮৫০- ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক  স্যার কৈলাসচন্দ্র বসুর জন্ম
১৮৯৩- চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সে তুংয়ের জন্ম
১৮৯৯- বিপ্লবী উধম সিংয়ের জন্ম
১৯০৬- অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ‘দি স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাং’ প্রথম প্রদর্শিত হয়
১৯১৩- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ডি লিট উপাধি দেয়
১৯১৯- লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৪৯- মধ্যাকর্ষণের নতুন সাধারণকৃত তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানী আলবার্ট আইস্টাইন
২০০৪- ভয়াবহ সুনামির আঘাত ভারত-সহ ছয়টি দেশে, নিহত আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.২৮ টাকা ৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৬ টাকা ৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৬/৩ রাত্রি ১২/৪৪। স্বাতী নক্ষত্র ২৯/৩৮ সন্ধ্যা ৬/১০। সূর্যোদয় ৬/১৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৩ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪৯ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ৩/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৮ মধ্যে।                                                               
১০ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১১/৪৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৪। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২২ মধ্যে। কালবেলা ২/১৭ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। 
২৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা প্রাক্তন আচার্য মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকের ছায়া বিশ্বভারতীতে
প্রয়াত দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর প্রাক্তন আচার্য মনমোহন সিং। ...বিশদ

01:49:46 AM

প্রয়াত মনমোহন সিং
প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আজ, বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লি ...বিশদ

12:04:38 AM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে আগামী কাল, শুক্রবার সরকারি ছুটির ঘোষণা কর্ণাটক সরকারের

11:55:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

11:54:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের

11:53:00 PM

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা কেন্দ্রের

11:52:00 PM