Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গুপ্ত রাজধানী: সেন্ট জেমস চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

এই সময়টা খুব গরম পড়ে। আকাশে একফোঁটা মেঘ নেই। প্রিন্টার্সের এই ঘরটা সারাক্ষণ উত্তপ্ত থাকে। এই কাজটাও করতে ভালো লাগে না জেমসের।  দরদর করে সে ঘামছে। কলকাতা নামক শহরটায় এত গরম কেন? এখান থেকে পালাতে পারলে ভালো হতো। 
কিন্তু উপায় নেই। সে যেন কোথাও টিকে থাকতে পারছে না। এই কলকাতার একটা স্কুলে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। চ্যারিটি স্কুল। তার পড়ায় মন বসেনি। এরপর তাকে একটা বোর্ডিং স্কুলে দেওয়া হল। সেটাও সেই বেনারস ছাড়িয়ে। অথচ সেখান থেকে একদিন পালিয়ে গেল জেমস। তবে বেশিদূর যেতে পারেনি। বাচ্চা ছেলে। কিছু‌ই ঩তো চেনে না। ১৭৭৮ সালে জেমস স্কিনারের জন্ম হয়েছিল কলকাতায়। 
নিজের নাম আর গাত্রবর্ণ নিয়ে তার অস্বস্তির শেষ নেই। একদিকে নাম জেমস স্কিনার। সবাই জানে সে সাহেব। আবার গাত্রবর্ণ এই ভারতীয়দের মতোই কালো। কারণটা অবশ্য জেমস বা তার ভাইবোনেরা জানে না তেমন নয়। কারণ হল তাদের মা। তাদের বাবা স্কটিশ সাহেব। আর মা ভারতীয়। এক রাজপুত নারী। নাম জেনি। কিন্তু তার সত্যিই কি জেনি নাম? আর বাবা? জেমস ঠিক নিশ্চিত না যে, ওই সাহেব সাহেব দেখতে লোকটাকে বাবা বলে ডাকা ঠিক হবে কি না। 
স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিল। জেমসের বাবা সেই হারকিউলিস স্কিনারের ভাগ্য বদলে গেল বেনারসের এক যুদ্ধে জড়িয়ে গিয়ে। বেনারসের রাজা চৈত সিং মির্জাপুর না ভোজপুর কোথা থেকে কে জানে এক ১৪ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে এসেছিলেন। এসব রাজা-রাজড়ার দল কোথাও মৃগয়া কিংবা জমিদারির তদারকিতে গিয়ে পথে কিংবা ফসলের মাঠে অথবা গ্রাম্য মেলায় একটি অথবা একাধিক মেয়েকে দেখলে হঠাৎ করে কাউকে পছন্দ করে ফেলে। রাজবাড়িতে নিয়ে আসেন বন্দি করে। চৈত সিং ওই মেয়েকে নিয়ে এসে বেনারসে নিজের রাজবাড়িতেই বন্দি করে রেখেছিল। মেয়েটি কোনও নিম্নবর্গের নয়। ভোজপুরে জমিদার বাড়ির কন্যা। সেই সময় বেনারসেই ছিলেন হারকিউলিস।
ঘটনাচক্রে রাজা চৈত সিংয়ের এই নারীসঙ্গ অভ্যাসের কথা জানা ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আধিকারিকদের। হারকিউলিস জানতে চাই঩ছিলেন কিছু কিছু তথ্য। আরও বেশি জিজ্ঞাসাবাদের ভয়ে সব বন্দি মেয়েদের মুক্তি দেন চৈত সিং। কিন্তু এই পরোপকারের অর্থ নেই। কারণ হারকিউলিস বুঝতে পারলেন যে, তাও রাজবাড়ির বন্দিশালায় এরা ছিল, অন্তত খাওয়া পরা পাচ্ছিল। এবার কোথায় যাবে? 
মেয়েটির নাক চোখ দেখে স্পষ্ট যে, সে খুব দৃঢ়চেতা। গায়ের রং কালো। ভোজপুর নামক একটি গঞ্জ এলাকা থেকে তাকে তুলে আনা হয়েছিল। কিন্তু সে আর ফিরতে চায় না। রাজপুত রমণীকে একবার ডাকাত অথবা লেঠেল কিংবা জমিদারের ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী অপহরণ করে আনলে তার সামাজিক মৃত্যুই হয়। সে আর কখনও সমাজে ফিরতেই পারে না। যা হওয়ার তাই হল। হারকিউলিসই তাকে রেখে দিয়েছেন নিজের কাছে। ক্রমেই ওই রাজপুত মেয়ের গর্ভেই সাতটি সন্তান হল হারকিউলিসের। বিবাহ না হলেও আদতে মেয়েটিকে নিজের স্ত্রী হিসেবেই সম্মান দিতেন হারকিউলিস। তিনি নিজে স্কটিশ। সাত ছেলেমেয়েকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান। 
জেমসের যখন ১২ বছর বয়স, ১৭৯০ সালে, দুই মেয়েকেও স্কুলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হারকিউলিস। জেনি কিছুতেই রাজি হলেন না। কারণ রাজপুত বাড়িতে কোনও মেয়েকে ঘরের বাইরে পড়াশোনা করতে পাঠানোর কথা ভাবাই যায় না। সেই মেয়ে আর রাজপুত থাকবে না। তার জাতধর্ম নষ্ট হবে। বিরক্ত হলেন হারকিউলিস। তিনি বলেছিলেন, তুই কি চাস তোর মতোই এভাবে কোনও এক জমিদার এসে আমাদের মেয়েকেও অপহরণ করে নিয়ে যাক? ওরা আর রাজপুত নেই। ওরা এখন স্কটিশ। ওরা স্কুলে যাবে। হারকিউলিস ভাবতেই পারেননি যে, এরপর কী হতে পারে? জেনি যতই হারকিউলিসকে স্বামী হিসেবে মেনে নিক, মনে মনে তিনি এখনও রাজপুত। কিন্তু তাঁর কথা যখন স্বামী শুনলেনই না, অর্থাৎ মেয়েদের স্কুলে পাঠালেনই, জেনি চরম পথ বেছে নিলেন। আত্মহত্যা করলেন। 
জেমসের জীবন কোন খাতে বইবে? ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনায় তার স্থান হবে না? না হবে না। কারণ সে তো পুরোপুরি ইংরাজ নয়। কিন্তু কলকাতার এই প্রিন্টারের কাছে আর কাজ করতে ভালো লাগে না। অতএব  জেমসকে পিতা পাঠালেন মারাঠা আর্মি কমান্ডার দ্য বয়েনের কাছে। ফ্রেঞ্চ কমান্ডার দ্য বয়েন অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই বুঝে যান যে, এই ছেলেটির মধ্যে অসামান্য দক্ষতা আছে। তাই ক্রমেই মারাঠা আর্মির এক বিশ্বস্ত সেনাপতি হয়ে উঠল জেমস। 
মারাঠাদের প্রভু সিন্ধিয়া রাজপরিবারের প্রতি সেবামূলক মনোভাব নিয়ে বেশ ভালোই দিনযাপন হচ্ছে। সমস্যা হল, মারাঠাদের সঙ্গে ব্রিটিশ সেনার যুদ্ধ শুরু হলে। মারাঠাদের বাহিনীতে কোনও অ্যাংলো ইন্ডিয়ানকে রাখা হবে না স্থির হল। কেন? কারণ তাদের তো বাবা ইংরেজ অথবা স্কটিশ। অতএব তারা যে মারাঠাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না কে বলল? 
অতঃপর? জেমস এতদিন পর নিজের দক্ষতার জোরেই ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে চাকরি পেল। আর পিছনে তাকাতে হয়নি। ১৮০৩ সালে জেমস স্কিনার একটি আশ্চর্য কাজ করলেন। তিনি নিজের একক একটি বাহিনী গড়ে তুললেন। তার নাম হল স্কিনার্স হর্স। খুব প্রয়োজনের সময় ব্রিটিশ আর্মির হয়ে এই বাহিনী লড়াই করবে। স্পেশাল ফোর্স। সবথেকে বিস্ময়কর হল, স্কিনার্স হর্স বাহিনী আজও স্বাধীন ভারতের সেনাবাহিনীতে আছে। 
রাজস্থানের টঙ্কের যুদ্ধে গুলি লেগেছে জেমস স্কিনারের। সব সঙ্গীরা মৃত। নিশ্চয়ই জেমসও মৃত? এরকমই ভেবে শত্রুপক্ষ রাজপুতানার বাহিনী চলে গিয়েছে রণাঙ্গন ছেড়ে। কিন্তু একদিন...দু’দিন...তিনদিন...। জেমসের মাথার উপর শকুন উড়ছে। তিনি বুঝতে পারছেন। যে কোনও সময় তারা নেমে আসবে। অস্ফুটে নিজেই নিজেকে বললেন, যদি বেঁচে যাই, আমি এক মহান পবিত্র গির্জা নির্মাণ করব। যেখানে শান্তি বিরাজ করবে। 
গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। একটু জল কি পাওয়া যাবে না? রাজস্থানের এই রাজ্যে কে দেবে জল? কিন্তু ঠোঁট ভিজছে। কেউ যেন জল দিচ্ছে। কে এল? একটি মেয়ে না? কে মেয়েটি? স্বপ্ন নয়তো? জেমস স্কিনার ধীরে ধীরে চোখ খুললেন। এক আদিবাসী মেয়ে তাঁকে বাঁচিয়ে তুলেছে। 
এহেন জেমস স্কিনার তারপর ফিরলেন বটে আবার সেনাবাহিনীর কাজে। কিন্তু তাঁর জীবনের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল একটি গির্জা প্রতিষ্ঠা। ১৮৩৬ সালে নিজের আয় থেকে ৯৫ হাজার টাকা অর্থ প্রদান করলেন। একটি জমি পাওয়া গিয়েছে। সেখানেই গড়ে উঠবে গির্জা। এই জমিটি কার ছিল? সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহের। অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল দারা শিকোহের জমি একসময় হাতবদল হতে হতে এল জেমস স্কিনারের কাছে। আর সেখানেই গড়ে উঠেছে দিল্লির প্রাচীনতম চার্চ। কাশ্মীরি গেটের কাছে ওই যে ইতিহাসের আশ্চর্য কাহিনি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেন্ট জেমস চার্চ! 
03rd  November, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’ বিশদ

03rd  November, 2024
আজও রহস্য: বাজিরাওয়ের কেল্লা
সমুদ্র বসু

 

পুনের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্থান হল শনিওয়ার ওয়াড়া দুর্গ। যার সঙ্গে জড়িয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মারাঠাদের নাম। সর্বোপরি এই কেল্লার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাজিরাও পেশোয়া। একসময় মারাঠাদের ঐতিহ্য ও অহংকার এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বিশদ

03rd  November, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
একনজরে
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প সহ মোদি সরকারের একাধিক নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানালেন, ভারতে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত লাভজনক। তাই সেখানে উৎপাদন ...

পুরসভার চেক জালিয়াতির তদন্ত শেষ হতে না হতেই এবার নতুন চক্রের হদিশ বালুরঘাটে। বিডিও অফিসে পদ ফাঁকা রয়েছে,আজকের মধ্যেই অত্যন্ত গোপনে যোগাযোগ করতে হবে। এমন টোপ ...

বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা ম্যাচের আগে পইপই করে ছেলেদের বলেছিলেন, জিতেই মাঠ ছাড়তে হবে। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার জন্য কোনও অঙ্কের অপেক্ষা করা যাবে না। কোচের ...

অণ্ডাল থানার মধুজোর কোলিয়ারিতে পরিত্যক্ত আবাসনে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের নোটিস দিল ইসিএল কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায় ৮০টি পরিবার বিপাকে পড়েছে। ওই পরিবারগুলি বৃহস্পতিবার দক্ষিণখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে পুনর্বাসনের দাবি করেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মসূত্রে বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হবেন। আয় খারাপ হবে না। বিদ্যা ও দাম্পত্য ক্ষেত্র শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু

05th  December, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2024

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪। পঞ্চমী ১৫/৩ দিবা ১২/৮। শ্রবণা নক্ষত্র ২৮/০ সন্ধ্যা ৫/১৯। সূর্যোদয় ৬/৭/২২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৮। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৩ গতে ১/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ৩/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৭ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ১০/৪৭। শ্রবণা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৪/৪৫। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে ও ৭/৪৬ গতে ৯/৫৩ মধ্যে ও ১২/০ গতে ২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/২৫ মধ্যে ও ১২/৬ গতে ৩/৪০ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/৯ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৯ মধ্যে। 
৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হাওড়ায় বধূকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে 

11:15:00 PM

দিল্লি বিমান বন্দরে প্রচুর সোনা সহ আটক ১

10:29:00 PM

কর্ণাটকের তালিকোটি তালুকে সড়ক দুর্ঘটনা, মৃত ৫

10:23:00 PM

বারাণসীতে কালভৈরবের মন্দির পরিদর্শনে গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ

10:14:00 PM

পাঞ্জাবের কালিসান গ্রামে চাষের জমি থেকে ৫৯৯ গ্রাম হেরোইনের প্যাকেট উদ্ধার করল বিএসএফ

09:43:00 PM

পাটনার গান্ধী ময়দানে বইমেলার উদ্বোধন করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

09:33:00 PM