Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

মাটির গন্ধ
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী

একথা বলে সুমন মিটিমিটি হাসতে লাগল। তখন আমরা মাঠ পেরচ্ছি। দইয়ের ডোবা, মুক্তি ডোবা— আমাদের আশপাশের ডোবাদের নাম। ডোবা মানে যে বিশাল ব্যাপার, তা কিন্তু নয়। একেবারে নাতিদীর্ঘ আয়তন, বর্ষায় টইটম্বুর হয়ে ফুলে থাকে। জল যত কমে, টুলু পাম্প বসিয়ে তুলে নেয় চাষিরা। তখন জল নেমে যায় নীচে, সেখানে তখন বনকলমি আর কচুরিপানার দাম জল ছেয়ে ফেলে। তেমনই একটি জায়গা দেখিয়ে সুমন বলল, ‘ওখানে রহস্য আছে।’
‘কী রহস্য?’
‘ফি-বর্ষায় ওই জায়গাটা গোল হয়ে বসে যায়। এবারেও গিয়েছে। তুই হয়তো বুঝতে পারছিস না, কিন্তু গিয়েছে। আমি মাটি চিনি। মাটির জাত জানি। নতুন ঘাস যতই সে মাটি ঢেকে দিক, আমার চোখ সে এড়াতে পারবে না। আমার কী মনে হয় জানিস, ওখানে কোনও প্রাচীন জন্তু বাস করে।’
‘মাটির নীচে?’
‘হ্যাঁ।’
আমি একটু অবাক হয়ে বলি, ‘সে কোন জন্তু?’
‘কচ্ছপ।’
‘কচ্ছপ!’ আমি আরও অবাক। বলি, ‘মাটির নীচে থেকে সে বেঁচে থাকে কী করে?’
সুমন বলে, ‘হ্যাঁ। এখানেই থাকে সে। এখানের মাটির নীচ দিয়ে মুক্তির ডোবার ভেতর চলাচলের একটি রাস্তা আছে। কচ্ছপটা সেই পথে গিয়ে ডোবার জল-মাটি-নুন খেয়ে আসে। শতাব্দী প্রাচীন কচ্ছপ ওটা। মাটির নীচে ওর বাস। সেখানেই ও ডিম পাড়ে।’
‘বাচ্চা দেখেছিস কখনও?’
‘না।’
‘তবে?’
‘তবু আমার মন হয়, ওটি একটি কচ্ছপ।’
কথা বলতে বলতে আমরা মা মনসার ঢিপি পেরিয়ে যাচ্ছি। বনের ভিতরেই এই ঢিপি। একদা এখানে মা মনসার পুজো হতো। কিন্তু বেদিটা ছিল আমাদের পাশের গ্রাম গণেশপুরের এক লোকের। সে পরে মা মনসাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। সেই থেকে জায়গাটা পরিত্যক্ত। ঝোপঝাড় আর জংলাগাছ, সঙ্গে সাপ-শিয়ালের গর্ত আছে পরপর।
হাঁটতে হাঁটতে আমরা চলে এলাম সুমনের নিজের জমিতে। সেখানে সে তার নিজস্ব ভিটে তৈরি করতে চলেছে। কোমর অবধি দেল গেঁথে ফেলে রেখেছে সুমন। দুটি বর্ষা খেয়ে সেই দেলের উপর সবুজ শ্যাওলা ধরেছে। সঙ্গে অনুচ্চ ফার্ন গাছ।
আলপথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমরা মাটির গন্ধ পাচ্ছিলাম। সোঁদা গন্ধের কথা আমরা সকলে জানি। কিন্তু যারা মাটির কাছাকাছি থাকে, মাটির গন্ধ একমাত্র তারাই পায়। ধান রোয়ার সময় মাটির যে গন্ধ থাকে, ধান পাকলে সে গন্ধ যায় পাল্টে। আবার সে ধান কাটার সময়ও মাটির গন্ধ অন্য। রোদের গন্ধ একেবারে মুছে গেলে সন্ধের গন্ধ উঠে আসে মাটির তল থেকে।
সুমন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, ‘ওকে ছেড়েই দেব ভাবছি। একদম কাগজে-কলমে ছেড়ে দেব। যাকে বলে, ডিভোর্স। এতদিন তো ওর সঙ্গে লড়াই করলুম। কিন্তু এখন ক’দিন ওর কথা খুব মনে পড়ছে। মনে হল, যে থাকতে চায় না, তাকে জোর করে ধরে রেখে লাভ কী? ও ছেড়ে দেওয়াই ভালো। তাতে ও বাঁচে, আমিও বাঁচি। শুধুমুদু গোঁ ধরে বসে থেকে লাভ নেই। তোর উকিল কাকাও বলছিল, আর টানা-হেঁচড়া করিস না সুমন, ওকে তুই ছেড়ে দে। ৪৯৮-এ তে যদি কেস দেয়, তুই পালিয়েও বাঁচতে পারবি না।’
সুমনের মুখের দিকে তাকালাম। ওর এই কথায় যে আমি বেশ অবাক হয়েছি, বুঝতে পারছি। মাসখানেক আগেও ও আমাকে বলেছিল, ‘ছাড়াছাড়ির কোনও প্রশ্নই নেই, আমি লড়ে যাব। আবাগীর বেটিকে দেখিয়ে দেব আমার ক্ষমতা, আমার জেদ। ওর জন্য কম টাকা খরচ করেছি? ওর এমএ পড়ার খরচ আমি দিয়েছি। কত গয়না গড়িয়ে দিয়েছি বিয়ের আগেই। ওর বাপকেও টাকা দিয়েছি, দোকান কেনার জন্য। নইলে কাজ করত তো পরের দোকানে। আমি ছাড়ব! বিয়ের আগে আমার যে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে ওর জন্য, তা ফেরত দিক—তখন ভাবব।’
তখন আমি বলেছিলাম, ‘ওকে বিয়েটা করাই তোর ভুল ছিল। নিজে প্রেম করে বিয়ে করেছিস, আমাদের কিছু বলার ছিল না। ও এমএ পাশ আর তুই ক্লাস সেভেন— ম্যাচ খায়?’ তখন সুমন বলে, ‘সেটা প্রেম করার সময় মাথায় রাখা উচিত ছিল ওর— আমি তো লুকাইনি। সেদিন আমার টাকা দেখে আমার সঙ্গে জুড়েছিল। আর আজ আমি নিঃস্ব দেখে আমায় ছেড়ে দিতে চায়। এমন ব্যবহার এখন করছে যেন লাখপতির বাপের একলতি মেয়ে। ওদিকে বাপ তো টিপছাপ পাশ, রেল বাজারের দোকানে সাইকেল সারায়।’ তারপর একটু থেমে বলেছিল, ‘জমি বেচার টাকায় ঘটা করে বিয়ে করেছি, ওকে আমি ছাড়ব না। অন্য কাউকে বিয়ে করতেও দেব না— আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।’
জমি বেচার টাকায় সুমন লোক খাইয়েছে— বিয়ের দিনেই শুনেছিলাম। এখনও শুনলাম। জমি বেচে লোকে মেয়ের বিয়ে দেয়, ছেলের বিয়েতেও জমি বেচতে হয়—শুনিনি কোনওদিন।
সুমন যখন দিল্লিতে থাকত, তখন বেশ টাকাকড়ি করেছিল। ওরা তিন ভাই, দু’বোন। সুমন সবচেয়ে ছোট। সেভেনে ফেল করে জুয়েলারি কাজে ও দিল্লি চলে গেল। আমাদের এদিকের গ্রামের পর গ্রাম কেবল ওই একটি কাজের ভরসায় বড়লোক হয়ে গেল। প্রায় সকলেরই পাকা বাড়ি, কালার টিভি, ফ্রিজ, বাইক। এখন চল হয়েছে বাড়িতে মেসিন বসিয়ে জল তুলে ছাদের ট্যাঙ্কে ভরে রাখা। রান্নাঘর, বাথরুমে ট্যাপকল, বেসিন। একেবারে শহুরে ব্যবস্থা।
সুমনও এইসব করতে পারত। দিল্লিতে নাকি ওর নিজস্ব দোকান ছিল, একটা ফ্ল্যাটও কিনেছিল। কিন্তু ও যখন পাকাপাকিভাবে ফিরে এল, তখন ও নিঃস্ব! শুনেছিলাম, ওর এক দাদাও দিল্লিতে থাকত। কিন্তু সেখানে জুয়ার ঠেকে যাওয়ার অভ্যাস ছিল তাঁর। সেখানে একবার তার প্রাণ সংশয় হয়। পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তবে নাকি সে ছাড়া পায়। আর এই টাকার সবটাই দিয়েছিল সুমন। এই ঘটনার দু’বছর পর সুমন ফিরে আসে। বিয়ে করে। চাষির ছেলে, চাষের কাজে জুড়ে যায় আবার।
তবে, ওদের নিজেদের জমি তেমন নেই। ভাই, দাদা, জ্যাঠা, কাকা—ইত্যাদিতে ভাগ বাঁটোয়ারা হতে হতে যা হাতে আসে তা সবার জন্য এক ছটাক করে বরাদ্দ হল। সেখানে কেউ বাড়ি তুলেছে, কেউ খামার করেছে, কেউ আম-জাম-কাঁঠালের বাগান করেছে।
ওর জমিটা সুমন ঘিরে দিয়েছে। বাঁশ আর বাঁখারি সহযোগে। এতটুকুন জমিতে সে নানাপ্রকার সব্জি ফলিয়ে রেখেছে। মুলো, বেগুন, লেবু, ঢ্যাঁড়স—কী নেই? মাটিতে পড়ে থাকা কাতানটা নিয়ে খ্যাঁচ খ্যাঁচ করে আখগাছে কোপ মারল। আখের কিনার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে বর্ষার জল। সেখানে বর্ষার মাছ। তারা ভয় পেয়ে চকিতে ধানগাছের ভেতর ঢুকে গেল।
আখ ছুলতে ছুলতে সে বলে, ‘ধানগাছের যে কী সুন্দর গন্ধ—আঃ!’
‘আর ধানফুল?’
‘সেও অতি চমৎকার!’
গ্রামে যাত্রা হবে। গ্রামের ছেলেরাই তা করবে। তার জন্য সুমনের বাড়িতে ছেলের দল চাঁদা চাইতে এল। তিনশো টাকা ধার্য হয়েছে তার জন্য। দলের লিডার বলল, ‘জানি তোকে এখানেই পাব, তাই এই পথেই তোদের পাড়ায় ঢুকলুম।’ সুমন আঁতকে উঠে বলল, ‘তিনশো! কী করে হয়? আমি দেব কোত্থেকে? আমার হাল তো জানো।’ লিম্বু বলে, ‘পুরো টাকা একসঙ্গে না দিলেও হবে। এ মাসে হাফ, বাকিটা ও মাসে দিবি। ঐতিহাসিক যাত্রাপালা—ড্রেসভাড়া করতেই অনেকগুলি টাকা খরচা হয়ে যাবে। তাছাড়া ফিমেলের রেট বেড়েছে। তিনজন ফিমেল আসছে। না করিস না। তোরা না দিলে দেবে কারা বল তো?’
‘আমার বর্তমান অবস্থা তুমি জানো লিম্বুদা। আমি চাষির ব্যাটা, মাঝে দশ বারো বচ্ছর জুয়েলারি কাজে দিল্লি গেছিলাম বটে, কিন্তু নানান কারণে আজ আমি নিঃস্ব। নিজের জমি নেই, পরের জমিতে মুনিষ খেটে খাই। বাঘাটির জগু সিংহরায়দের জমি দেখাশোনা করি। সেই ভোর পাঁচটায় খাবার বেঁধে বেরিয়ে যাই, ফিরি সন্ধেতে। আঝ ফিরলুম তাড়াতাড়ি কেন না আমার বন্ধু দেখা করতে এসেছে অনেকদিন বাদে। ও আমার সঙ্গে দেখা করতে সেই সিংহরায়দের জমি অবধি চলে গেছিল— এমনি টান, তার জন্য এট্টু আগে চলে না এলে হয়? তার উপর দেখছ, এই বাড়িখানা আমি আধখানা করে ফেলে রেখেছি, লিংটন অবধি যেতে পারিনি। দু’টি মাত্র ঘর বানাব, মাথায় টালি দেব—তাও কোঁকাচ্ছি! অথচ একদিন কত লোককে আমি খাইয়েছি। যাক, পুরনো কথা কিছু তুলছি না, তিনশো নয়, আমি একশো টাকা দেব।’
লিম্বু বলে, ‘জানি রে। ডিভোর্সটা আটকে আছে তোর। শুনি সে নাকি গরলগাছার কোনও এক হাইস্কুলে প্যারাটিচার পেয়েছে?’
মুখ গোঁজ করে সুমন বলে, ‘ওসব জানি না, খবর রাখি না।’
একটা শ্বাস ফেলে লিম্বু বলে, ‘যাক, ছাড় ওসব। একশো নয়, দুশো টাকা দিস ভাই। নইলে পালা নামাতে পারব না। গ্রামের মানুষ চাইল প্রতিবারে সামাজিক পালা হয়, এবারে ঐতিহাসিক হোক— তাই করা। যাই হোক, সোনাইদিঘি পালা করছি—পরেরবার আবার সামাজিক করব—ওতে খরচা কম।’
বলে পাঁচজনের দলটি আখ চিবতে চিবতে চলে যায়। চারদিক আবার নিস্তব্ধ হতে শুরু করে। এদিক-ওদিক থেকে পাখিরা আলগোছে ডাকে। সুমন বলে, ‘পাঁচ বছর প্রেম করেছি, বিয়ের পর এক বছর একসঙ্গে থাকা। ও ভেবেছিল বিয়ের পর আমরা দিল্লি চলে যাব, সেখানে গিয়ে থাকব। কিন্তু এটা বুঝতে পারেনি, ওখানে আর আমার ফিরে যাওয়ার কিছু ছিল না।’
সন্ধের পর মাঠের ধারে এসে সুমন প্রায়দিন বসে থাকে। যখন পুরো পূর্ণিমা থাকে, ও মাঠের ভেতর চলে যায়। সাপ বা অন্যান্য জীবজন্তুর ও ভয় পায় না— সকলেই ওকে চেনে জানে— ভয় কীসের? সেখানে দিনের আলোর মতো করে রাত জেগে থাকে। সে গ্রামের কোনও ক্লাবে যায় না, কোনও আড্ডায়ও থাকে না। মনুষ্য-বিবর্জিত হয়ে ও থাকে বলে ওকে আর তেমন কেউ ডাকে না। যাত্রাপালায় চাঁদা দিলেও ও যাত্রা দেখবে না—একথা হলফ করে বলা যায়। আমাদের সঙ্গেও আর যোগাযোগ রাখে না। আমিই ওর কাছে এলাম প্রায় এক বছর পর।
সুমন বলল, ‘হ্যাঁরে, মানুষের জীবনে কি কিছুই থাকে না? স্থায়ী বলে কিছু নেই? ছয় বছরের সম্পর্ক এইভাবে শেষ হয়ে যাবে— আমি কল্পনাতেও আনিনি। বলেছিলাম, মাটির বাড়িতে থাকতে হবে না তোমায়, আমি যেটা ভাগে পেয়েছি, সেখানে দু’কামরা ঘর তুলছি একটা, একটা বছর আর কষ্ট কর। শুনলই না! চলে গেল। ভেবে এখনও তেমন কিছু বুঝতে পারি না, বিয়ে জিনিসটা আসলে ঠিক কীরকম!’
এইভাবে একদিকে ও যেমন একলা হয়ে যাচ্ছে, নিজেকে একলা করে নিচ্ছে, অন্যদিকে ওর জন্য খুলে যাচ্ছে এক অন্যরকম জগতের সুবিশাল, অনন্ত এক দিগন্ত। সেখানে দেওয়ার কিছু নেই, আছে শুধু নেওয়ার। তা, সুমন কার্পণ্য করে না সে সব অমূল্যধন অঞ্জলি ভরে নিতে।
ঘাস, জলকাদা আর ভেজা বালিমাটির উঠোনে আমরা আধলা ইট পেতে বসে আছি। সুমন বলে, ‘কী করে ভুলব বল দিকি!’
আমি বলি, ‘অভ্যেস হয়ে যাবে।’
‘ও যেদিন নতুন করে আবার বিয়ে করবে, আমায় খবর দিস—কেমন?’
কী বলব? বলার কিছু নেই। ওর বউকে আমি দেখেছি দু’বার। বিয়ের দিন আর বিয়ের পরে একবার—যখন আমরা বন্ধুরা মিলে দলবল নিয়ে এসেছিলাম। সেদিন ওর স্ত্রীর আচরণ আমাদের কারও ভালো লাগেনি। সেদিন তাকে খুব অহংকারী ও উদ্ধত লেগেছিল। আমরা সকলেই এখন চাকরি-বাকরি করি, পড়াশোনা শিখেছি। কিন্তু আলটিমেট সুমন আমাদের বন্ধু, তা সে যত কমই লেখাপড়া করুক না কেন। সেদিন আমাদের মনে হয়েছিল, একজন এমএ পাশ মেয়ে প্রায় অশিক্ষিত একটি পরিবারের বউ হয়ে এসে তাদের মাথা যেন কিনে নিয়েছে।
সুমন পাতকুয়ো থেকে জল তুলে নিয়েছে। সারাদিনের পরিশ্রম ধুয়ে ফেলছে সেই ঠান্ডা জলে। ছোট বালতির সেই জল মাথায় ঢালছে আর মুখ দিয়ে একটা শব্দ করছে। খানিক পরেই সন্ধে নামবে বলে পাখিরা ফিরে যাচ্ছে। ঘাসের ভিতর, জলের ভিতর ও অন্তরীক্ষ থেকে নানারকম শব্দ ভেসে আসছে। বর্ষার ব্যাঙ ও উচ্চিংড়েরা ইতিমধ্যেই হল্লা মাচিয়ে আমাদের ঘিরে ফেলেছে। দইয়ের ডোবার ধার দিয়ে ফেরার সময় যে রুগ্ন বউটিকে দেখেছিলাম, সে এখন গোরুর দড়ি ধরে আলপথ দিয়ে ফিরছে। যে মাছেরা উঁকি দিচ্ছিল আখগাছের গোড়ায়, তারা কি ফিরে এসেছে আবার? ওই যে, শুকিয়ে যাওয়া একটি আমপাতা খসে পড়ল সেই জলে। আর এইভাবে একটি সন্ধে এসে উপস্থিত হল সুমনের অর্ধ-সংসারে।
মাঠঘাট, জলজঙ্গল ঘিরে এই যে সুমনের এক একাকী অদ্ভুত জগৎ, তার ভেতর থেকে আমি আমাদের চেনাজানার বাইরের আর এক সুমনকে চিনে নিতে থাকি। বুঝতে পারি, বউ চলে যাওয়ার পর সুমন এই বন-মাটি-জলজঙ্গল, গাছপালার সঙ্গে বড় একাত্ম হয়ে পড়েছে। এই এলাকার মাঠের ধারে ও মাঠের ভেতর যত ঝোপঝাড়, লতাপাতা, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, বিল-ডোবা-পুকুর ও বন্যপ্রাণ আছে—সকলকে সে হাতের তালুর মতো চেনে। সেই সুমনকে আমরা কেউ চিনি না। যার গা থেকে উঠে আসে অন্যতর এক মাটির গন্ধ। 
অঙ্কন: সুব্রত মাজী
17th  January, 2021
স্বদেশ বিদেশ

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন সমীর রক্ষিত। বিশদ

আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- শেষ কিস্তি। বিশদ

আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- অষ্টম কিস্তি। বিশদ

17th  January, 2021
চলার পথে

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

17th  January, 2021
সিনেমা  তোলার 
ঝকমারি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন প্রদীপচন্দ্র বসু। বিশদ

10th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- সপ্তম কিস্তি। বিশদ

10th  January, 2021
শেষ আপদ
সুমন মহান্তি

এই পাড়াকে শহরে সবাই একডাকে চেনে। অভিজাত এই পাড়ায় জমির দাম অনেক বছর আগেই আকাশছোঁয়া হয়েছিল, এখন জমি অমিল বলে পুরনো সব বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট তৈরি শুরু হয়েছে। এই পাড়ার মধ্যেই আছে আরেক পাড়া, চকচকে মাখন-শরীরে বিসদৃশ ঘামফোঁড়া মনে হয় সেই পাড়াটিকে। বিশদ

03rd  January, 2021
চলার পথে
উপলব্ধি

চলার পথে তো কত কিছুই ঘটতে থাকে, কিন্তু সেইসব ঘটনা সাধারণত নজরেই পড়ে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তার মাহাত্ম্য উপলব্ধি হচ্ছে। এমনটা ঘটেছিল কল্লোল যুগের প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রবোধকুমার সান্যালের অভিজ্ঞতায়। হিমালয় ভ্রমণের সময় একবার রাস্তার পাশে সুদৃশ্য এক পাথর তাঁর নজরে আসে। বিশদ

03rd  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- ষষ্ঠ কিস্তি। বিশদ

03rd  January, 2021
বিশ্বাস অবিশ্বাস

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন কাবেরী রায়চৌধুরী। বিশদ

27th  December, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- পঞ্চম কিস্তি। বিশদ

27th  December, 2020
কালবৈশাখী
অদিতি বসুরায়

কলকাতা শহরটাতে কী যে আছে ভেবে পায় না রাকা। এই  ‘কিছু’ থাকাটা মানে বড় বড় আকাশছোঁয়া বাড়ি, বাস-ট্রাম, মস্ত তিন-চারতলা দোকান-টোকান নয়। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, চিড়িয়াখানা, ময়দান, রাজভবন এসবও নয়। একেবারে আলাদা কিছু। দুর্গাপুজোর ঢাকের বোলের মতো। ‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন’— মন ভালো হয়, আবার পালাই-পালাইও করে। ঠিকঠাক বুঝিয়ে সে বলতে পারে না। বিশদ

20th  December, 2020
চারিদিক যখন শূন্য

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অনীশ দেব। বিশদ

20th  December, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- চতুর্থ কিস্তি। বিশদ

20th  December, 2020
একনজরে
সিডনি টেস্টে হনুমা বিহারি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জুটি ম্যাচ বাঁচাতে সাহায্য করেছিল টিম ইন্ডিয়াকে। চোট নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিরুদ্ধে যেভাবে তাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তা এক ...

গ্রামের অর্থনীতিকে উন্নত করতে মুক্তিধারা প্রকল্পের মাধ্যমে উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের হাটগাছা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের গদাইপুর গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ...

শারীরিক অবস্থার অবনতি হল আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের। তাঁকে দিল্লি এইমসে স্থানান্তর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাঁচির হাসপাতালে আট সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড ...

শনিবার দিনে দুপুরে কালিয়াচকের সুজাপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুটের চেষ্টা চলে। ছুটি থাকায় দুষ্কৃতীরা ওই ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টা করে। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের ছক বানচাল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০ - ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২ - তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৬৫ - ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮৭ - উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেরে জন্ম
১৯৮৮ - ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১ - হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২২ টাকা ৭৩.৯৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৫১ টাকা ১০১.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৯ টাকা ৯০.৫৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  January, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৯৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2021

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী ৪১/৩১ রাত্রি ১০/৫৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৪/৭ রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ১/৩৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৭ গতে ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী রাত্রি ৯/৫০। রোহিণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/২৯। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ১/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৭ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১২/১৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৯ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৯ গতে ৩/৮ মধ্যে। 
১০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হার্টে ব্লক পাওয়া গেল অরূপ রায়ের
সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের হার্টে ব্লক পাওয়া গেল। আজ প্রথমে ...বিশদ

07:18:00 PM

কালীঘাটে বস্তাভর্তি পোড়া টাকা উদ্ধার
কালীঘাটের মুখার্জিঘাটে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি পোড়া টাকা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ...বিশদ

04:29:00 PM

সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে রাজ্যের একাধিক স্টেশনে হাই অ্যালার্ট
মাঝে কেবলমাত্র কালকের দিনটি। এরপরই সাধারণতন্ত্র দিবস। তার আগে জঙ্গি ...বিশদ

04:05:00 PM

লালুপ্রসাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা মমতার 
অসুস্থ লালুপ্রসাদ যাদবের দ্রুত আরোগ্য কামনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। আজ বিহারের ...বিশদ

03:32:00 PM

২৬ জানুয়ারির দুপুর পর্যন্ত স্টেশন সংলগ্ন পার্কিং লট বন্ধ, জানাল দিল্লি মেট্রো
সাধারণতন্ত্র দিবসে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আগামীকাল সকাল থেকে ২৬ ...বিশদ

03:03:15 PM

মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে: অভিষেক 

02:52:00 PM