Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

চারিদিক যখন শূন্য

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অনীশ দেব।

মহেশ্বর দণ্ডবতের সঙ্গে আমার আচমকাই আলাপ হয়েছিল। মানুষটা এত অদ্ভুত যে, ওঁকে ভোলা যায় না।
সময়টা ছিল সকাল, এই সাড়ে সাতটা মতো হবে। শীত সবে হামাগুড়ি দিয়ে আকাশে-বাতাসে ঢুকে রাজ কায়েম করতে শুরু করেছে। আমি বড় রাস্তার ধারে ফুটপাথের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছিলাম। অফিসের বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
আজ, বুধবার, এই এলাকায় একটা হাট বসে— জামাকাপড়ের বড়সড় হাট। একটু দূরেই চোখে পড়ছে কাঠের ছোট-ছোট চৌকি পেতে হাটুরিয়ারা শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছে। তার ওপরে ঝুঁকে পড়েছে মানুষের ঝাঁক।
আমি অলসভাবে তাকাচ্ছিলাম চারপাশে। ব্যস্ত রাস্তায় বাস, গাড়ি, মোটরবাইক, সাইকেল ভ্যান সব এদিক-ওদিক ছুটে চলেছে। তারই মধ্যে লোকজন কায়দা করে রাস্তা পারাপার করছে। এসব দেখছিলাম আর ভাবছিলাম, আমার বাসটা কখন আসবে।
হঠাৎ দেখি মোটামতন একজন ভদ্রলোক ফুটপাত ধরে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন। শুধু এগিয়ে আসছেন না, আমার দিকে তাকিয়ে হাসছেনও।
‘আরে, সকাল-সকাল এখানে দাঁড়িয়ে? কী বেপার?’ খুব-চেনা মানুষের মতো প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন তিনি। তার সঙ্গে আন্তরিক হাসিটা এমন, যেন কত দিনের চেনা। ওঁর কথায় সামান্য হিন্দি টান টের পেলাম।
আমি মনের ভেতরে ডেসপারেটলি স্মৃতি হাতড়াচ্ছিলাম। আমার সামনে একগাল হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই মানুষটিকে আমি কি চিনি?
গোলগাল মুখ। মাজা রং। মুখে দিনদুয়েকের না কামানো খোঁচা-খোঁচা দাড়ি। মাথার চুল পাতলা হয়ে এসেছে। বয়স পঞ্চাশ-টঞ্চাশ হবে।
ওঁর গায়ে ফিকে রঙের শার্ট, তার ওপরে সরু-সরু খয়েরি স্ট্রাইপ। পায়ে পাজামা। মুখের হাসিটা একেবারে শিশুর মতো সরল। 
না, মনের মধ্যে শত খোঁজাখুঁজি করেও কোনও মুখের স্মৃতির সঙ্গে এই মুখটাকে মেলাতে পারলাম না। 
সামান্য দ্বিধা কাটিয়ে ওঁর কথার উত্তর দিলাম, ‘অফিসের বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি।’
‘আপনার নামটা কী যেন?’
একটু অস্বস্তি হলেও নিজের নাম বললাম। উত্তরে ভদ্রলোক হেসে বললেন, ‘আমার নাম মহেশ্বর দণ্ডবত।’ তারপর সামনের একটা গলির দিকে আঙুল দেখিয়ে বললেন, ‘ওই গল্লিটায় ঢুকে খানিকটা এগিয়ে গেলে একটা ছোটা কালীমন্দির পাবেন, পাশে একটা বড় বটগাছ। সেটার গা ঘেঁষে একটা সরু গল্লি ঢুকেছে— সেখানেই আমার ঘর।’
কী অদ্ভুত নাম! মহেশ্বর দণ্ডবত! আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না এখন আমার কী বলা উচিত। ঘাড় লম্বা করে দূরে রাস্তার দিকে তাকালাম। নাহ, অফিসের বাস এখনও মায়া। 
‘বোলেন, আপনার খবর বোলেন। ওনেকদিন পর দেখা হল। বাড়ির সবকিছু কুশল-মঙ্গল আছে তো?’
নিজেকে খুব অসহায় মনে হল। কী জবাব দেব এই প্রশ্নের? 
কিন্তু চুপ করে থাকলে ব্যাপারটা আরও বোকা-বোকা হবে। তাই হেসে বললাম, ‘হ্যাঁ, সব ভালো আছে।’
মনে-মনে আমি এলোমেলো অনেক কিছুই ভাবছিলাম। মহেশ্বর কি শেষ পর্যন্ত আমার কাছে টাকাপয়সা চাইবেন? কী জানি!
এরপর আমার বাড়ি কোনদিকে, কোন রাস্তায়, সেসব তথ্য জানার পর মহেশ্বর ওঁর নিজের গল্প শুরু করলেন।
‘এই তো, এখন নাতির একটা সোয়েটার কিনতে বেরিয়েছি। মাত্র সাড়ে চারবছর বয়স, কিন্তু বেজায় নটখট—সবসময় এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে। আমার মেয়ে আর দামাদ তো ওকে নিয়ে একেবারে নাজেহাল। এই এক হপ্তা হল ওরা আমার কাছে থাকতে এসেছে। আমি ভালো-মন্দ বাজার-টাজার করছি। এ ছাড়া দামাদজির একঠো মোটরবাইক কেনার ব্যাপার আছে...’
মহেশ্বর দণ্ডবতের অটোবায়োগ্রাফি শুনতে-শুনতে আমার অফিসের বাস এসে গেল, আমিও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। কোনওরকমে ওঁকে ‘আচ্ছা, আজ আসি,’ বলে বিদায় নিলাম।
এরপর থেকে ভোরবেলায় অফিসের বাসের জন্য আমি একটু আনকমন জায়গায় দাঁড়াতাম, যাতে ওঁর সঙ্গে দেখা না হয়। এপাশ-ওপাশ নজর চালিয়ে দেখেও নিতাম, মহেশ্বর কোথাও নেই তো?
এরপর বেশ কিছুদিন ওঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। তারপর হঠাৎই একদিন, সেদিন হাটবার ছিল, ভিড়ের মাঝে ওঁকে দেখতে পেলাম। একজন বয়স্ক মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন আমার কাছ থেকে দশ-বারো মিটার তফাতে। ওঁদের দুপাশ দিয়ে লোকজন যাতায়াত করছে।
ঘড়ি দেখলাম। আমার অফিসের বাস আসতে এখনও অনেক দেরি। তা হলে মহেশ্বরের সঙ্গে একটু মজা করলে হয়!  যাই, গিয়ে ওঁদের আলাপের মধ্যে ঢুকে পড়ি। 
কিন্তু ওঁদের কাছকাছি পৌঁছতেই যে-কথাগুলো আমার কানে এল তাতে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লাম। 
এসব কী বলছেন মহেশ্বর! আমাকে আগেরদিন যেসব কথা উনি বলেছিলেন হুবহু সেই কথাগুলো বলছেন! যেন টিভি সিরিয়ালের রিপিট টেলিকাস্ট চলছে। 
‘এই তো, এখন নাতির একটা সোয়েটার কিনতে বেরিয়েছি। মাত্র সাড়ে চারবছর বয়স, কিন্তু বেজায় নটখট...’
আমি চুপচাপ সরে এলাম। অবাক হয়ে মহেশ্বরের ব্যাপারটা ভাবতে লাগলাম। কেসটা কী? মানুষটা কি চিট, না কি পাগল? উহুঁ, চিট নয়, কারণ, তিনি তো টাকাপয়সা চাননি আমার কাছে। আর ওঁকে আমার মোটেও পাগল বলে মনে হয়নি।
এই ধাঁধাটার কোনও উত্তর খুঁজে পেলাম না। কিন্তু প্রশ্নটা মনের ভেতরে খোঁচা মারতে লাগল। এরপর থেকে রোজই ভাবতাম, হঠাৎ করে যদি মহেশ্বর দণ্ডবতকে একা দেখতে পাই তা হলে ওঁকে চেপে ধরব। এই ধাঁধার উত্তর জানতে চাইব। কিন্তু সে-সুযোগ আর হয়নি। দু-দিন ওঁর দেখানো গলিটায় ঢুকে একা-একাই ওঁর আস্তানার খোঁজ করেছি, কিন্তু পাইনি।
শেষে একদিন অফিস থেকে ফেরার পথে আমার হঠাৎ কেমন গোঁ চাপল। তখন সন্ধে অনেকটা গড়িয়ে গেছে। আকাশে একটা মস্ত বড় সুন্দর চাঁদ। 
একটু ঠাহর করে মহেশ্বরের দেখানো গলিটায় ঢুকে পড়লাম। একটু এগিয়ে ওঁর বলা বটগাছটাকে দেখতে পেলাম। তার গোড়াটা বেদির মতো বাঁধানো। ওটার লাগোয়া একটা ছোট্ট কালীমন্দির। তার পাশ দিয়ে ঢুকে গিয়েছে আঁকাবাঁকা একটা সরু গলি। অন্ধকার গলিটায় একটা টিমটিমে বাল্ব জ্বলছে। 
গলিতে ঢুকতে ভরসা পেলাম না। বটগাছের বেদিতে একজন বুড়োমানুষ চাদর জড়িয়ে একা বসে ছিল। একটু ইতস্তত করে তাকেই জিজ্ঞেস করলাম মহেশ্বরের কথা। 
আমার দিকে কয়েক সেকেন্ড চুপচাপ তাকিয়ে রইল সে। তারপর ঘষা গলায় বলল, ‘ও, মহেশ্বর! ওর তো মাথার ঠিক নেই। মাস দেড়েক হল ওর জামাই, মেয়ে আর নাতি রোড অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে। হাই রোডে ওরা বাইক চালিয়ে আসছিল। ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা। আর ওর বউটা তো আগেই ক্যান্সারে চলে গিয়েছিল। এখন রাস্তায়-রাস্তায় ঘুরে এর-তার সঙ্গে আলাপ জমানোর চেষ্টা করে। দুঃখ ভোলার চেষ্টা করে। এ ছাড়া আর কী-ই বা করবে বলুন!’
কোনও কথা না বলে চুপচাপ সরে এলাম। 
আকাশের চাঁদের দিকে চোখ গেল আবার। চাঁদটাকে আর আগের মতো সুন্দর লাগছিল না।
20th  December, 2020
স্বদেশ বিদেশ

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন সমীর রক্ষিত। বিশদ

আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- শেষ কিস্তি। বিশদ

মাটির গন্ধ
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী

একথা বলে সুমন মিটিমিটি হাসতে লাগল। তখন আমরা মাঠ পেরচ্ছি। দইয়ের ডোবা, মুক্তি ডোবা— আমাদের আশপাশের ডোবাদের নাম। ডোবা মানে যে বিশাল ব্যাপার, তা কিন্তু নয়। একেবারে নাতিদীর্ঘ আয়তন, বর্ষায় টইটম্বুর হয়ে ফুলে থাকে। জল যত কমে, টুলু পাম্প বসিয়ে তুলে নেয় চাষিরা। বিশদ

17th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- অষ্টম কিস্তি। বিশদ

17th  January, 2021
চলার পথে

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

17th  January, 2021
সিনেমা  তোলার 
ঝকমারি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন প্রদীপচন্দ্র বসু। বিশদ

10th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- সপ্তম কিস্তি। বিশদ

10th  January, 2021
শেষ আপদ
সুমন মহান্তি

এই পাড়াকে শহরে সবাই একডাকে চেনে। অভিজাত এই পাড়ায় জমির দাম অনেক বছর আগেই আকাশছোঁয়া হয়েছিল, এখন জমি অমিল বলে পুরনো সব বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট তৈরি শুরু হয়েছে। এই পাড়ার মধ্যেই আছে আরেক পাড়া, চকচকে মাখন-শরীরে বিসদৃশ ঘামফোঁড়া মনে হয় সেই পাড়াটিকে। বিশদ

03rd  January, 2021
চলার পথে
উপলব্ধি

চলার পথে তো কত কিছুই ঘটতে থাকে, কিন্তু সেইসব ঘটনা সাধারণত নজরেই পড়ে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তার মাহাত্ম্য উপলব্ধি হচ্ছে। এমনটা ঘটেছিল কল্লোল যুগের প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রবোধকুমার সান্যালের অভিজ্ঞতায়। হিমালয় ভ্রমণের সময় একবার রাস্তার পাশে সুদৃশ্য এক পাথর তাঁর নজরে আসে। বিশদ

03rd  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- ষষ্ঠ কিস্তি। বিশদ

03rd  January, 2021
বিশ্বাস অবিশ্বাস

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন কাবেরী রায়চৌধুরী। বিশদ

27th  December, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- পঞ্চম কিস্তি। বিশদ

27th  December, 2020
কালবৈশাখী
অদিতি বসুরায়

কলকাতা শহরটাতে কী যে আছে ভেবে পায় না রাকা। এই  ‘কিছু’ থাকাটা মানে বড় বড় আকাশছোঁয়া বাড়ি, বাস-ট্রাম, মস্ত তিন-চারতলা দোকান-টোকান নয়। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, চিড়িয়াখানা, ময়দান, রাজভবন এসবও নয়। একেবারে আলাদা কিছু। দুর্গাপুজোর ঢাকের বোলের মতো। ‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন’— মন ভালো হয়, আবার পালাই-পালাইও করে। ঠিকঠাক বুঝিয়ে সে বলতে পারে না। বিশদ

20th  December, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- চতুর্থ কিস্তি। বিশদ

20th  December, 2020
একনজরে
শারীরিক অবস্থার অবনতি হল আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের। তাঁকে দিল্লি এইমসে স্থানান্তর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাঁচির হাসপাতালে আট সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড ...

শনিবার দিনে দুপুরে কালিয়াচকের সুজাপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুটের চেষ্টা চলে। ছুটি থাকায় দুষ্কৃতীরা ওই ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টা করে। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের ছক বানচাল ...

প্রথমে ভাবা হয়েছিল, দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণেই রাজ্যে দেওয়া হবে কোভ্যাকসিন। শনিবার আইসিএমআর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির জরুরি বৈঠকে কেন্দ্রীয় কর্তারা রাজ্যকে জানিয়ে দিলেন দ্রুত ...

গ্রামের অর্থনীতিকে উন্নত করতে মুক্তিধারা প্রকল্পের মাধ্যমে উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের হাটগাছা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের গদাইপুর গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় শিশুকন্যা দিবস
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০ - ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৫২ - তৎকালীন বোম্বেতে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরু
১৯৬৫ - ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু
১৯৮৭ - উরুগুয়ের ফুটবল লুইস সুয়ারেরে জন্ম
১৯৮৮ - ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু
২০১১ - হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২২ টাকা ৭৩.৯৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৫১ টাকা ১০১.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৯ টাকা ৯০.৫৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  January, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৯৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2021

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী ৪১/৩১ রাত্রি ১০/৫৮। রোহিণী নক্ষত্র ৪৪/৭ রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/১৫/২০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ১/৩৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৭ গতে ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬ গতে ১/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১০ মাঘ ১৪২৭, রবিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, একাদশী রাত্রি ৯/৫০। রোহিণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/২৯। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ১/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৭ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১২/১৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৯ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৯ গতে ৩/৮ মধ্যে। 
১০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হার্টে ব্লক পাওয়া গেল অরূপ রায়ের
সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের হার্টে ব্লক পাওয়া গেল। আজ প্রথমে ...বিশদ

07:18:00 PM

কালীঘাটে বস্তাভর্তি পোড়া টাকা উদ্ধার
কালীঘাটের মুখার্জিঘাটে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি পোড়া টাকা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ...বিশদ

04:29:00 PM

সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে রাজ্যের একাধিক স্টেশনে হাই অ্যালার্ট
মাঝে কেবলমাত্র কালকের দিনটি। এরপরই সাধারণতন্ত্র দিবস। তার আগে জঙ্গি ...বিশদ

04:05:00 PM

লালুপ্রসাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা মমতার 
অসুস্থ লালুপ্রসাদ যাদবের দ্রুত আরোগ্য কামনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। আজ বিহারের ...বিশদ

03:32:00 PM

২৬ জানুয়ারির দুপুর পর্যন্ত স্টেশন সংলগ্ন পার্কিং লট বন্ধ, জানাল দিল্লি মেট্রো
সাধারণতন্ত্র দিবসে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আগামীকাল সকাল থেকে ২৬ ...বিশদ

03:03:15 PM

মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে: অভিষেক 

02:52:00 PM