Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অথৈ সাগর 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 

পর্ব ২২


আর এক বন্ধু ‘সোমপ্রকাশ’ সম্পাদক দ্বারকানাথ নতুন একটা প্রস্তাব দিলেন-যে বহুবিবাহ করবে, তাকে ট্যাক্স দিতে হবে (পাঁচশো টাকা!)। ধনীর পক্ষে সম্ভবপর হলেও যে সব দরিদ্রের কুঁজো হয়েও চিৎ হয়ে শোয়ার ইচ্ছের মতো একাধিক বিয়ে করার ইচ্ছে হবে- তাঁদের কথা ভেবে সরকার এই প্রস্তাব খারিজ করে দিল। এবার বিদ্যাসাগর সরেজমিনে তদন্ত করে ১৭৭টি গ্রামের বহুবিবাহের ঘটনার তালিকা প্রকাশ করে দেখান যে, সেখানে বহুবিবাহ করেছিলেন এমন পুরুষের সংখ্যা ৬৫২। তাঁরা বিয়ে করেছিলেন ৩ হাজার ৫৬৮ টি বঙ্গবালাকে। গড়ে সাড়ে পাঁচজন করে স্ত্রী! এদের মধ্যে ৫৫ বছরের এক যুবক মোট ১০৭টি বিয়ে করেন! সরকার বললে, এই তালিকা অতিরঞ্জিত। কিন্তু বিদ্যাসাগরের পক্ষে কাশীরাজ দেবনারায়ণ সিংহ দাঁড়ালেও কাজের কাজ কিছু হল না। সিপাহি বিদ্রোহ লেগে গিয়েছে ততদিনে। সরকার এই আন্দোলনে জল ঢেলে দিল। বহুবিবাহ রদ আইন পাশ হল না।
হবেই বা কী করে বিরোধী দল যে বেশ ভারি। স্বয়ং বঙ্কিমচন্দ্র পর্যন্ত বলে বসলেন, ‘পুরুষের একাধিক বিবাহ সকল অবস্থাতে অধর্ম নয়।’ দেশীয় এই প্রথা রদ করার জন্য আইন পাশ করানো মুশকিল ছিল। এর আরও একটা বড় কারণ মুসলমানদের বহুবিবাহ প্রথার রীতি ও নিজস্ব আইন।
কিন্তু বিদ্যাসাগর মশায় ক্ষান্ত হওয়ার পাত্র ছিলেন না। তাঁর রসাশ্রিত হৃদয় সহসা ব্যঙ্গপ্রবণ হয়ে উঠল। তিনি পরপর লিখলেন- স্বনামে ‘নিষ্কৃ঩তিলাভপ্রয়াস’ এবং বেনামে ‘অতি অল্প হইল’, আবার অতি অল্প হইল, ‘ব্রজবিলাস’ এবং ‘রত্নপরীক্ষা’— পাঁচখানি পুস্তিকা। এর মধ্যে প্রথম তিনটির বেনামদার ‘কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য’, চতুর্থখানি ‘কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোসহচরস্য’ প্রণীত। এই পুস্তিকাগুলি তৎকালীন আচার্য কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য পড়ার পর মন্তব্য করেছিলেন, ‘ব্রজবিলাস, রত্নপরীক্ষা— এই সকল গ্রন্থে যে সকল হাসি-তামাসার অবতারণা করা হইয়াছে, তাহা অতীব কৌতুকাবহ। এই রসিকতা সেকালের ঈশ্বর গুপ্ত বা গুড়গুড়ে ভট্টাচার্যর মতো গ্রাম্যতাদোষে দূষিত নহে; ইহা ভদ্রলোকের, সুসভ্য সমাজের যোগ্য এবং পিতা-পুত্রের একত্র উপভোগ্য। এরূপ উচ্চ অঙ্গের রসিকতা বাঙ্গালা ভাষায় অতি অল্পই আছে এবং ইহার গুণগ্রাহী পাঠকও বেশী নাই।’ মজার কথা এই যে, বিদ্যাসাগরের অন্যতম জীবনীকার বিহারীলাল সরকার এই বেনামী রচনাগুলো প্রথমে বিদ্যাসাগরের নয় বলে দাবি করেছিলেন। পরে অবশ্য বলেছিলেন, ‘বাচস্পতি মহাশয় যেরূপ বিদ্যাসাগর মহাশয়কে আক্রমণ করিয়াছিলেন এবং বিদ্যাসাগর মহাশয় বাচস্পতি মহাশয়কে যেভাবে আক্রমণ করিয়াছিলেন তাহা বিজ্ঞোচিত হয় নাই।’ বেনামী বিদ্যাসাগর নাম দিয়েছেন বাচস্পতিকে ‘খুড়া মহাশয়’ এবং নিজে ভাইপো সেজে বিদ্যাসাগরের একরাশ নিন্দেবান্দা করেছেন পরিচয় গুপ্ত করার জন্যে। বলেছেন, ‘খুড়ো, বুড়ো হয়ে বুদ্ধিহারা হইয়াছেন। বুদ্ধিহারা না হইলে, দুর্বুদ্ধির অধীন হয়ে, আমার পুস্তকের উত্তরদানে অগ্রসর হইতেন না।’ অর্থাৎ ভাইপোর বইয়ের উত্তর দিয়েছেন খুড়ো এবং সে বইটি হল ‘বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক বিচার’— যা কিনা বিদ্যাসাগর মশায়ের স্বনামে রচিত। ভাইপোর রসিকতাবোধের একটু নমুনা দিই— ‘খুড়ো পৃথিবীর মধ্যে কাহাকেও মানুষ জ্ঞান করেন না। তিনি সিদ্ধান্ত করিয়া রাখিয়াছেন, সংস্কৃতবিদ্যা কেবল তাঁর পেটেই অন্তঃসলিলা বহিতেছে।’ ‘হতভাগার বেটা কি শুভক্ষণে জন্মগ্রহণ করিয়াছিল’ ইত্যাদি। বিদ্যাসাগরের বইয়ের উত্তরে ‘খুড়ো’ তারানাথ কুড়ি পৃষ্ঠার একটি উত্তর লিখেছেন। অন্য এক ব্যক্তি তাঁর পরিচয় ‘কস্যচিৎ উচিতবাদন’ ছদ্মনামে ‘প্রেরিত তেঁতুল’ নামে পঁচিশ পৃষ্ঠার একটি উত্তর লিখেছিলেন। সে যাক গে, রসিক বিদ্যাসাগরকে পেলাম, তেমনই পেলাম তিনি ইচ্ছে করলেই চলিত বাংলা যে কত গুছিয়ে লিখতে পারতেন তার প্রমাণ। স্বামী বিবেকানন্দ, প্রমথ চৌধুরীদের কত আগে যে তাঁর সূচনা করে গিয়েছেন তার উজ্জ্বল প্রমাণ এই বেনামী পুস্তিকা চতুষ্টয়। বহুবিবাহ নিরোধক আইন পাশ হল না বটে, কিন্তু বাংলা সাহিত্যের প্রবাহ শুরু হয়েছিল যে তাতে সন্দেহ রইল না।
তবে এটা আমাদের মনে থাকবে যে তারানাথ বিধবা বিবাহের সমর্থক তো ছিলেনই, বিদ্যাসাগরপুত্র নারায়ণ বিদ্যারত্নের স্ত্রী ভবসুন্দরীকে তিনিই প্রথম বরণ করে বাড়িতে তোলেন বহুজনের আপত্তি সত্ত্বেও।
বিবাহ সংক্রান্ত তিনটি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বিদ্যাসাগর মশায় বিধবা বিবাহের ব্যাপারে জয়যুক্ত হয়েছিলেন। আইন পাশ হয়েছিল, তাঁর অর্থানুকূল্যেই বহুতর বিধবার বিবাহ সম্পাদিত হয়েছিল। তবে, এই বিশ্বাস থেকে তিনি কোনওদিন সরে আসেননি যে বাল্যবিবাহই বৈধব্যের মূল কারণ। এটা একটা সমাপতন কিনা জানি না ১৮৫০ সালের আগস্ট মাসে ঠনঠনিয়ার ‘সর্ব্বশুভকরী সভা’র মুখপত্র ‘সর্ব্বশুভকরী পত্রিকা’ নামে যে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়, তার প্রথম সংখ্যাতেই বিদ্যাসাগর মশায়ের একটি লেখা পত্রস্থ হয় ‘বাল্য বিবাহের দোষ’ নামে। এটিই ছিল তাঁর সমাজসংস্কার মূলক লেখাপত্রের মধ্যে প্রথম লেখা। এটিকে তিনি এ বিষয়ের ‘উপক্রম’ বলেছেন, অর্থাৎ তাঁর আরও লেখার বাসনা ছিল। প্রকৃতপক্ষে তাঁর এই লেখার পর থেকে ১৮৫২-১৮৭০ এর মধ্যে এই বিষয়ে বহু লেখাপ্রবন্ধাকারে ও পুস্তকাকারে একত্রিত হতে থাকে। এমনকী, ‘বাল্য বিবাহ নিবারণী সভা’ নামে একটি প্রতিবাদী সভাও স্থাপিত হয়। এই বিদ্যাসাগর মশায় পরে ১৮৯১ সালে কী করে ‘গর্ভাধান’ প্রথাকে সমর্থন করেছিলেন বুঝতে পারি না। তিনিই তো বাল্যবিবাহের দোষের কারণে ‘আমরা অশেষ শ্লেষ ও দুর্দ্দশা ভোগ করিতেছি’ লেখার পরে আরও লিখেছিলেন ‘অস্মদ্দেশীয়রা ভূমণ্ডলস্থিত প্রায় সর্ব্বজাতি অপেক্ষা ভীরু, ক্ষীণ দুর্ব্বল স্বভাব এবং অল্প বয়সেই স্থবিরদশাপন্ন হইয়া অবসন্ন হয়...বাল্যবিবাহই এ সমুদায়ের মূল কারণ হইয়াছে।’
বঙ্কিমচন্দ্র বাল্যবিবাহে শাস্ত্রীয় অনুমোদন আছে বলেছিলেন। বিদ্যাসাগর তা জেনেও শাস্ত্রের পরিবর্তে মানবিকতাকেই সাক্ষ্য মেনেছিলেন। শুধু আমাদের মনে হয়, যিনি ‘বাল্যবিবাহের দোষ’ নিয়ে প্রবন্ধ লিখলেন, নানা আন্দোলন করলেন , যিনি মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেননি— তাঁকেই এক সময় পিতার নির্দেশে চোদ্দো বছর বয়সে বালিকা কন্যা দীনময়ীকে বিবাহ করতে হয়েছিল, পাত্রীর বয়স তখন মাত্র সাত কিংবা আট।
(ক্রমশ)
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
03rd  May, 2020
ভৈরবী মা
সঙ্গীতা দাশগুপ্ত রায়

 ‘নিজে রান্নাবান্না পারেন?’ ‘নাহ, একদম আনাড়ি,’ অর্জুন হাসে। ‘তবে তো এ ব্যবস্থাই বেশ। ওনার ফেরার কোনও ঠিক থাকে না। আপনাকে ন’টায় খেতে দেব তো? আর হ্যাঁ, কোনও অসুবিধা হলে বউদি বলে ডাক দেবেন ভাই।’ একটু আন্তরিকতা ছুঁইয়ে দিয়ে যান মহিলা। বিশদ

24th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে
তুলসী চক্রবর্তী

‘ওরে, আমি হলাম গিয়ে হেঁশেলবাড়ির হলুদ। ঝালে-ঝোলে-অম্বলে সবেতেই আছি। হাসতে বললে হাসব, কাঁদতে বললে কাঁদব, নাচতে বললে নাচব, দু’কলি গান গেয়ে দিতে বললে তাও পারব। হলুদ যেমন সব ব্যঞ্জনেই লাগে তেমনই আর কী! কিন্তু হলুদের কি নিজস্ব কোনও স্বাদ আছে? তাই আমার এই অভিনয়কে আমি অভিনয় বলি না গো!
বিশদ

24th  May, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব ২৫

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

24th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- শেষ কিস্তি। 
বিশদ

17th  May, 2020
অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

17th  May, 2020
ঠুলি 

শুচিস্মিতা দেব: বসন্তের সকাল। আলো-ছায়া মাখা গাছেদের কচি পাতায় সবুজাভা। দোতলার বারান্দা থেকে পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা অবশিষ্ট দু’চার পিস করবীফুল, ডাল টেনে টেনে সফলভাবে পেড়ে ফেলে নিজের কৃতিত্বে বেশ ডগমগ হয়ে উঠলেন নীপা।  
বিশদ

17th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে 
পর্ব-২৩

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- দ্বাদশ কিস্তি। 
বিশদ

10th  May, 2020
অথৈ সাগর 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

10th  May, 2020
সুখ চাই 
চিরঞ্জয় চক্রবর্তী 

সুমন আর ভারতীর বিয়ের আজ সাতান্ন বছর পূর্তি। যখন বিয়ে হয়েছিল সুমনের বয়স সাতাশ, ভারতী তেইশ। দেখতে দেখতে ভারতীর আশি, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দীর্ঘদিন সরকারি ভাষায় বরিষ্ঠ নাগরিক।  
বিশদ

10th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-২২ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- একাদশ কিস্তি। 
বিশদ

03rd  May, 2020
জিরাফের গলা 

রজত ঘোষ: দু’দিন হল পঞ্চায়েত ভোটের রেজাল্ট বেরিয়েছে। আজ একটু পরে তাই বিজয় মিছিল বের করবে বিজয়ী দল। টেবিলের মাঝখানে দিস্তাখানেক লিফলেট। তার ওপর একটা পেপার ওয়েট। রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে গণেশ এতক্ষণ আঙুলের কায়দায় পেপারওয়েটটাকে ঘোরাচ্ছিল।  
বিশদ

03rd  May, 2020
মাছভাজা
শ্যামলী আচার্য

হিতেন্দ্রনাথ সান্যালের কথা শেষ হল না। হয় না। ওঁর সাতচল্লিশ বছরের প্রাচীন জীবনসঙ্গিনী আজ অবধি কোনও বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়া ব্যবহার করতে দেননি। একজন সিনিয়র সিটিজেনের বুকে ব্যথার সামান্য আভাসও তাঁকে বিচলিত করল বলে মনে হল না।
বিশদ

26th  April, 2020
 অথৈ সাগর
পর্ব ২১

 চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

26th  April, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-২১

জহর রায়ের কৌতুক নকশার রেকর্ড করত মূলত মেগাফোন কোম্পানি। পরে পলিডোর কোম্পানি কিছু নকশা রেকর্ড করেছিল। ওদের কোম্পানি থেকে ১৯৭২ সালে বেরয় ‘ফাংশন থেকে শ্মশান’। পরের বছর কেতকী দত্তের সঙ্গে ‘সধবার একাদশী’।
বিশদ

26th  April, 2020
একনজরে
নয়াদিল্লি, ২৭ মে: বিভিন্ন হোটেলের শ্রেণিবিন্যাস ও অনুমোদনের সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করল পর্যটন মন্ত্রক। এই অনুমোদনের মেয়াদ থাকে পাঁচ বছর। মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে আতিথেয়তা শিল্প একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগচ্ছে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: লকডাউনে কাজ হারানো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাড়ে আট হাজার মানুষকে প্রচেষ্টা প্রকল্পে মাথাপিছু ১০০০ টাকা দিল রাজ্য সরকার। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘স্নেহের পরশ’ এবং কাজ হারানো দুঃস্থ মানুষদের জন্য ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।   ...

জয়পুর, ২৭ মে: দেশে করোনার সংক্রমণের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে পঙ্গপালের হানা। ইতিমধ্যে পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে হানা দিতে শুরু করেছে পঙ্গপালের ঝাঁক। লকডাউনের মধ্যে নয়া ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে পঙ্গপালের হামলার কোনও সতর্কবার্তা এখনও জারি করেনি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক। কিন্তু, রাজ্য কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, উত্তর ও পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির তুলনায় অনেক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৪২ - লন্ডনে প্রথম ইনডোর সুইমিংপুল চালু
১৮৮৩- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকারের জন্ম
১৯২৩- রাজনীতিক ও তেলুগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এনটি রামা রাওয়ের জন্ম
২০১০- পশ্চিমবঙ্গে জ্ঞানশ্বেরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪১জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৬.৬১ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯৪.১২ টাকা
ইউরো ৮১.২৯ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৮ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠী ৪৬/১৯ রাত্রি ১১/২৮। পুষ্যা নক্ষত্র ৬/১৬ দিবা ৭/২৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬/১৭, সূর্যাস্ত ৬/১১/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৩ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫২ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৪ মধ্যে।
১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৮ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৫৩। পুষ্যানক্ষত্র প্রাতঃ ৫/৩৫ পরে অশ্লেষানক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৪৫। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে ৬/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২ গতে ৯/১০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৪ গতে ৬/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১২/৫৫ মধ্যে।
৪ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৪২ - লন্ডনে প্রথম ইনডোর সুইমিংপুল চালু১৮৮৩- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক ...বিশদ

07:03:20 PM

লকডাউন নিয়ে মতামত জানতে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ 

10:24:41 PM

গুজরাতে করোনায় আক্রান্ত আরও ৩৬৭ জন, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৫৭২ 

09:18:00 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ২,৫৯৮ জন, মোট আক্রান্ত ৫৯,৫৪৬ 

08:49:48 PM

১৭ জুন শুরু হচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

08:41:00 PM

উম-পুন: সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি ফিরহাদ হাকিমের 
উম-পুন উত্তর কলকাতায় দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ ...বিশদ

07:33:14 PM