Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

শীতের সার্কাস
কৌশিক মজুমদার

আমাদের দক্ষিণবঙ্গে শীত আসে দেরিতে, যায় তাড়াতাড়ি। জয়নগর থেকে মোয়া আসা শুরু হয়েছে। স্বর্ণচূড় ধানের খই দিয়ে তৈরি, উপরে একফালি বাদামি কিশমিশ। রোদের রং সোনা হয়েছে। সকালের রোদ বাড়তে বাড়তে পা ছুঁলেই মিষ্টি এক উত্তাপ। মাঝেমাঝে হিমহিমে একটা বাতাস কোথা থেকে বয়ে বয়ে কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। গাছের পাতা হলুদ থেকে খয়েরি হচ্ছে। সামনের বকুল গাছটায় শীতের পরিযায়ী পাখিরা বাসা বেঁধেছে। মর্নিং ওয়াকে মানুষের সংখ্যা কমেছে, কুয়াশা বেড়েছে। অন্ধকারের পাতলা সর সরে যেতে না যেতে মাফলার জড়িয়ে ব্যাগ হাতে বাজারুদের ভিড়। আমার ছেলেবেলায় উঁচু তাকে উঠিয়ে রাখা লাল লাল লেপ নেমে আসত এই সময়। লেপ শুকোতে দেওয়া হত ন্যাড়া ছাদে। সারাদিন রোদে তাপিয়ে সন্ধ্যে হতেই পড়াশুনো ছেড়ে ঠাকুরদার লেপের ওমে নিজেকে সেঁকে নিতাম। ঠান্ডা ঠান্ডা হাত পা। গায়ে লাগলে নিজেই চমকে উঠতাম।
তখন কারেন্ট যেত খুব। বাইরে রান্নাঘরের বেড়ার ফাঁকফোকরে জমাটবাঁধা অন্ধকার ফিসফিস করে কীসব যেন কথা বলত। আমি শিউরে শিউরে উঠতাম। দাদুকে বলতাম, ‘ভূতের গল্প শোনাও...।’ উদ্বাস্তু দাদু ফেলে আসা বিক্রমপুরের একেবারে নিয্যস সত্যি ভূতের গল্প শোনাতেন। মা ঠিক জানত, এরপরে আর উঠোন পেরিয়ে রান্নাঘরে যাব না আমি। তাই কানাওঠা থালায় ভাত মেখে চটকে আধা ঘুমন্ত আমাকে একরকম জোর করেই খাওয়াত। আমি খেতে চাইতাম না। দাদু বলত, ‘থাউক, আর খাওয়াইও না।’ যদি অল্প বাকি থাকত, তখন বলত, ‘খাইয়া লও দাদুভাই, চাঁছিমুছি স্বর্গবাসী।’ রেডিওতে চলত বিবিধ ভারতী। নাটক। কখনও সিবাকা গীতমালা... রাত ঘনিয়ে আসত। আর আমি চোখ বুজে এক অলীক ঘুমে ঢলে পড়ার আগে দিন গুনতাম। দিন গুনতাম শহরে সার্কাস আসার।
আমাদের এই আধা মফস্সল শহরে বাৎসরিক উত্তেজনা বলতে ছিল ওই বৎসরান্তের সার্কাস। সত্যি বলতে কি, বহুদিন অবধি আমি জানতাম ওলিম্পিক আসলে একটা সার্কাসের নাম। সেই যেবার হরিপুর মাঠে ফেমাস সার্কাস এল, তার দিন পনেরো আগে থেকেই হই হই কাণ্ড, রই রই ব্যাপার। গোটা অশোকনগর-হাবড়াজুড়ে উজ্জ্বল লাল, হলুদ আর সবুজে পোস্টার। উপরে উড়ে যাচ্ছে স্বল্পবসনা দুই নারী, মাঝে কাগজ ফুটো করে এম জি এম-এর মতো বিরাট হাঁ করা এক সিংহ যেন দেখলেই গিলে খাবে। আশেপাশে রিকশ টানা কাকাতুয়া, টুপি পরা বাঘ, শুঁড় তোলা হাতি আর বেঁটে জোকার। নীচে বড় করে লেখা, ‘শো শুরু ২৫শে ডিসেম্বর। ১টা- ৪টে- ৭টা।’ পাড়ায় পাড়ায় সাইকেল রিকশ চেপে চোঙামুখে প্রচার করে যেত একজন ‘জগৎবিখ্যাত ফেমাস সার্কাস এবার হরিপুর ময়দানে। আছে বাঘের খেলা, ট্র্যাপিজ, বলের উপরে হাতির ব্যালেন্স, দুর্ধর্ষ সিংহ আর মনমোহিনী ট্র্যাপিজ।’ আমরা যারা খুব ছোট ছিলাম, সেই রিকশর পিছন পিছন দৌড়তাম। তাতে অবশ্য ফলও মিলত। এক ঝাঁক শীতালি পাখির ডানার মতো মাঝে মাঝেই সেই ঘোষক ছড়িয়ে দিত গোলাপি, হলুদ, সবুজ পাতলা লিফলেট। তাতে ছাপা সার্কাসের তারিখ, স্থান আর ব্লকে ছাপা বাঘের ছবি। হুড়োহুড়ি করে সে কাগজ নিয়ে এসে যত্ন করে রেখে দিতাম বইয়ের ভাঁজে। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে উল্টে দেখতাম, আর বাবার কাছে ঘ্যানঘ্যান—‘কবে নিয়ে যাবে আমাকে?’
অবশেষে আসত সেই প্রতীক্ষিত দিন। আগের রাতে ঘুম নেই। বুক ঢিপঢিপ। বাবার হাত ধরে মাঠে পৌঁছবার আগেই চোখে পড়ে বিরাট বড় বড় পোস্টার আর তার চেয়েও বড় লাল, সাদা কাপড়ের তাঁবু। লম্বা লাইন দিয়ে টিকিট কেটে দাঁড়াতে হতো লোহার বন্ধ গেটের সামনে। সময় হলেই দরজা খুলবে। যেন আলিবাবার গুহার মুখ। মিনেজারির ভিতর থেকে ভেসে আসত সিংহের গর্জন, বাঘের ডাক, হাতির বৃংহন। বাবা সেই ফাঁকে কানের সামনে গুনগুনিয়ে বলতেন বাঙালির সার্কাসের গল্প—
‘সে অনেককাল আগের কথা। ১৮৭২ সাল। কলকাতায় রমরমিয়ে খেলা দেখাচ্ছে ইউরোপের দল উইলসন্স গ্রেট ওয়ার্ল্ড সার্কাস। হিন্দুমেলার প্রতিষ্ঠাতা নবগোপাল মিত্রের সাধ জাগল সার্কাসের দল খুলবেন। উঠল বাই তো কটক যাই। নবগোপালের কর্নওয়ালিস স্ট্রিটের বাড়িতেই শামিয়ানা খাটিয়ে বাদ্যি বাজিয়ে শুরু হয়ে গেল বাঙালির প্রথম সার্কাস। কিন্তু উইলসন সাহেবের সার্কাসের কাছে সে কিছুই না। খেলা বলতে ব্যায়াম, জিমন্যাস্টিক্স আর হাড় জিরজিরে একখানা টাট্টু ঘোড়া। নবগোপালের বন্ধু মনমোহন বসুর ছেলে প্রিয়নাথের এই সার্কাস দেখেই মাথায় এক অদ্ভুত আইডিয়া এল। একটা সার্কাসের দল খুললে কেমন হয়? ইচ্ছে থাকলেও বাড়ির মত নেই। ১৮৮৭ সালে নবগোপালের সার্কাস মুখ থুবড়ে পড়লে কাউকে না জানিয়ে টাট্টু ঘোড়া সমেত গোটা দলটাই কিনে নিলেন তিনি। শুনে বাবা তো রেগে ব্যোম! ধমকি দিলেন ত্যাজ্যপুত্তুর করবেন। কিন্তু প্রিয়নাথকে রোখা তখন শিবের অসাধ্য। জাগলিং শিখছেন। প্যারালাল বার-হরাইজন্টাল বারের উপরে কসরত শিখছেন। শিখছেন জন্তু জানোয়ারকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পন্থা। সেবছরই নতুন দল খুললেন প্রিয়নাথ। নাম দিলেন ‘দ্য গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’।
প্রথম দিকে দলে লোক কম ছিল। খেলা দেখাতেন মশালের আলোয়। মাটিতে চাটাই পেতে বসত 
দর্শকরা। ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে লাগল। নতুন নতুন খেলোয়াড় আসতে শুরু করল দলে। ডালপালা মেলতে থাকল প্রিয়নাথের সার্কাস-সংসার। রংপুরের রাজবাড়িতে খেলা দেখিয়ে খুব নামডাক হল প্রিয়নাথের। রেওয়ার মহারাজা খেলা দেখে খুশি হয়ে উপহার দিলেন একজোড়া বাঘ। তাদের নাম রাখা হল লক্ষ্মী আর নারায়ণ। আর এরাই হয়ে উঠল গ্রেট বেঙ্গলের দুই তারকা! চমক এখানেই শেষ না, প্রথমবার বাঙালির সার্কাসে মেয়েদের নিয়ে এলেন প্রিয়নাথ। সুশীলাসুন্দরী আর তাঁর বোন কুমুদিনী। একজোড়া বাঘ নিয়ে খেলা দেখাতেন। খালি হাতে খাঁচায় ঢুকতেন, সামান্য লাঠি পর্যন্ত থাকত না। খেলা দেখাতে দেখাতে বাঘের গালে চুমু খেতেন। ট্র্যাপিজ আর জিমন্যাস্টিক্সেও দারুণ পারদর্শী। আরও একটা বিপজ্জনক খেলা দেখাতেন— সুশীলাকে মাটিতে সমাধি দেওয়া হতো। তারপর একটা ঘোড়ার খেলা। সেটা হয়ে গেলে আবার মাটি খুঁড়ে তোলা হতো তাঁকে। একবার খেলা দেখানোর সময় প্রবল ঝড়ে সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়, যে যেদিকে পারে ছুটে পালায়। সুশীলা মাটিতে সমাধিস্থ ছিলেন, তাঁর কথা কারও মনে ছিল না। দুর্যোগ শেষের পর খেয়াল হয় সবার। তখন খোঁজাখুঁজি শুরু করতেই দেখা যায় সুশীলা একটা খুঁটির গায়ে হেলান দিয়ে শুয়ে কাঁপছেন, পা দুটো তখনও মাটির মধ্যে। নিজের চেষ্টায় বেরিয়ে এসেছেন। একবার নতুন বাঘ নিয়ে খেলা দেখানোর সময় বিগড়ে যায় পশুটি। তাঁকে আক্রমণ করে। রক্তাক্ত শরীরে গড়িয়ে গড়িয়ে কোনওমতে বাঘের নাগাল থেকে বেরিয়ে আসেন সুশীলা। সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত। কলকাতায় এনে মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করানো হয় তাঁর। সুস্থ হতে প্রায় এক বছর সময় লেগেছিল।
আর ছিলেন যাদুকর গণপতি চক্রবর্তী। সার্কাসে যোগ দেন বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকার জন্য। কিন্তু অল্প সময়েই প্রিয়নাথ বসুর নজরে আসে তাঁর প্রতিভা। গণপতি সার্কাস রিঙের খোলা জায়গায়, তিনদিকে দর্শক রেখে খেলা দেখাতেন। তাঁর একটি প্রসিদ্ধ খেলা ছিল ‘ইলিউশন বক্স’। গণপতিকে পিছমোড়া করে বেঁধে একটা থলেতে পোরা হতো। সেই থলের আবার মুখ বেঁধে ঢোকানো হতো কাঠের বাক্সে। তারপর সেটিকে দড়ি দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে, তাতে বিশাল এক তালা লাগাত সহকারীরা। চাবিটা দেওয়া হতো কোনও এক দর্শককে। এরপর বাক্সের উপর তবলা আর আর একটা ঘণ্টা রেখে চারপাশে পর্দা ফেলে দিত সহকারীরা। এবার দর্শকদের মধ্যে কেউ কোনও তালের নাম বললে পর্দার পিছনে তবলা বেজে উঠত সে‌ই তালে। খেলার শেষে ঘণ্টা বাজাতে বাজাতে পর্দার বাইরে আসতেন গণপতি। তারপর দর্শকদের কাছ থেকে চশমা, ভিজিটিং কার্ড, আংটি ইত্যাদি সংগ্রহ করে বাক্সটা তিনবার প্রদক্ষিণ করে পর্দা তুলে ভিতরে ঢুকে পড়তেন। সঙ্গে সঙ্গে পর্দা তুলে দেখা যেত, তিনি নে‌ই। বাক্স খুললে ভিতরে থলিতে পোরা গণপতিকে পাওয়া যেত। সঙ্গে দর্শকদের থেকে সংগৃহীত জিনিসপত্র। আর একটা খেলা ছিল— ‘ইলিউশন ট্রি’। গণপতিকে হাতকড়া, পায়ে বেড়ি পরিয়ে শিকল দিয়ে বাঁধা হতো একটা ক্রুশের সঙ্গে। সামনে একটা হারমোনিয়াম রেখে চারদিকে পর্দা ফেলে দেওয়া হতো। এবার এক-দুই-তিন বলা মাত্র ভিতরে হারমানিয়াম বেজে উঠত। বাজনা শেষে আবার এক-দুই-তিন বলার সঙ্গে সঙ্গে পর্দা তুলে দেখা যেত গণপতি শিকলে আগের মত‌োই বাঁধা।
গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস একবার খেলা দেখাতে যায় বড়লাটের বাসভবনে। বড়লাট তখন লর্ড ডাফরিন। আখড়ার ছেলেপুলেদের সঙ্গে প্রিয়নাথ নিজেও পুরোদমে কসরত করছেন মঞ্চে। হঠাৎ ডাফরিন প্রশ্ন করে বসলেন, ‘হু ইজ দ্যাট প্রফেসর?’ সকলে হইহই করে গুরুর নাম জানাল সাহেবকে। আর সেই থেকে প্রিয়নাথ হয়ে গেলেন প্রফেসর বোস। আর দলের নাম—‘প্রফেসর বোসে’জ গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস।’
আর একজন ছিলেন কৃষ্ণলাল বসাক। মাত্র ১৭ বছর বয়সে শোভাবাজার রাজবাড়িতে কসরত দেখিয়ে নাম কেনেন। ১৯০০ সালে বিশ্বভ্রমণে বেরলেন এক ইউরোপীয় সার্কাস দলের সঙ্গে। তাঁর জাগলিং, প্যারালাল বার, ফ্লাইং ট্র্যাপিজ, জাপানি টপ স্পিনিংয়ের খেলা দেখে সাহেবদেরও চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! দেশে ফিরেই কৃষ্ণলাল খুলে বসলেন নিজস্ব দল—‘দ্য গ্রেট ইস্টার্ন সার্কাস’, বা ‘হিপোড্রোম সার্কাস’। সেই দলের সবচেয়ে পরিচিত সদস্য ছিলেন ভবানীচরণ সাহা ওরফে ভীমভবানী। তিনি নাকি দাঁত দিয়ে তিনটে মোটরগাড়ি টেনে নিয়ে যেতে পারতেন। চিৎ হয়ে শুয়ে বুকের উপর 
একসঙ্গে তুলতে পারতেন তিন-তিনখানা হাতি।’
এদিকে, সার্কাসের ফাইনাল বেল বেজে গিয়েছে। এবার সবাইকে ভিতরে ঢুকতে হবে। পরের দু’ঘণ্টা যে কেমন করে কেটে যেত, জানি না। একদিকে হাতের নাগালে সব বাঘ-সিংহ, অন্যদিকে ঘোড়ার দলের পিঠে দাঁড়িয়ে অসাধারণ সব খেলা। দূরে রাখা গোলপোস্টে তাক করে বল মারছে লোমশ সাদা কুকুর আর ব্ল্যাক বোর্ডে হাতি কষছে নির্ভুল অঙ্ক! একগাদা রং-বেরঙের পাখি আর চোখধাঁধানো ব্যালেন্সের খেলা। দড়ি বেয়ে উঠে যাচ্ছে একের পর এক ছেলেমেয়ে আর সেখানেই দু’হাতে রঙিন বোতল কিংবা চাকতি নিয়ে চলছে জাগলিং। টানটান উত্তেজনা। আর মাঝে কমিক রিলিফের মতো জোকারের মজার মজার কাণ্ডকারখানা। একবার তো যা-তা হল। সেই অঙ্ক কষা হাতির বাহ্যের বেগ এসে গিয়েছিল। সে একেবারে আমার মুখের সামনে পিছনের দুই পা সামান্য মুড়ে ফুটবলের মত গোলাকার মলখানি ত্যাগ করল। কিছু বোঝার আগেই পাশ থেকে কে যেন চিৎকার করে উঠল, ‘এই হাতিটা নিশ্চয়ই গোটা বেল খেয়েছিল। তাই আস্ত বেল বার করল।’ অনেক পরে জেনেছি, এসব ভুল, মিথ্যে কথা। তবু সেই মিথ্যের মধ্যেই অদ্ভুত এক রূপকথার বুনন ছিল।
এখনও শীত আসে। কিন্তু হরিপুরের মাঠে সার্কাস আর আসে না। যেবার শুনলাম আর প্রাণীদের ব্যবহার করা যাবে না, তখন থেকেই জৌলুস হারাল সার্কাস। প্রথমে বাঘ-সিংহ। তারপর বিদায় নিল হাতিরাও। ছেঁড়া তাঁবু, চলটা ওঠা পোস্টারে জিমন্যাস্টিক্স, ব্যালেন্সিং আর ম্যাজিশিয়ানের ম্লান ছবি। চারিদিকের বিনোদনের আলোতে খাঁ খাঁ করে সার্কাসের এরিনা। ফাইনাল বেল বেজে যায়। দর্শক আসে না। গুটিকয় যুবক-যুবতী খুনসুটি করে দূরে দূরে গ্যালারিতে বসে। ওরাও জানে, এখানে ওদের কেউ বিরক্ত করতে আসবে না। মাঝে আলোর বৃত্তে দাঁড়িয়ে খেলা দেখিয়ে চলে পেটের টানে সব খোয়ানো কিছু মানুষ। কে যেন ওদের শিখিয়েছিল, ‘লাইভ শো নেভার এন্ডস!’
05th  January, 2025
বছর শেষে কোন পথে দেশ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘তালা খুলে দাও!’ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে বললেন অরুণ নেহরু। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ। শাহবানু মামলা নিয়ে হিন্দুরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। খোদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থাগুলি তেমনই রিপোর্ট দিচ্ছে। রাজীব গান্ধী উদ্বিগ্ন। তিনি বুঝতে পারছেন, ক্রমেই রাজনীতির মধ্যে হিন্দুত্ব প্রবেশ করছে। বিশদ

29th  December, 2024
আকাশ ছোঁয়ার শতবর্ষ

কলকাতা বিমানবন্দরের ১০০ বছর! গড়ের মাঠের এয়ারফিল্ড থেকে দমদমার মাঠে বিমানবন্দর গড়ে ওঠার কাহিনি রূপকথার মতো। সেই অজানা ইতিহাসের খোঁজে অনিরুদ্ধ সরকার
বিশদ

22nd  December, 2024
অজানা আতঙ্ক ডিজিটাল অ্যারেস্ট
সৌম্য নিয়োগী

পুলিস নেই, হাতকড়া নেই, গারদ নেই... স্রেফ ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার বা ট্যাবলেট নিদেনপক্ষে একটা স্মার্টফোন থাকলেই ব্যস— ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট থুড়ি ডিজিটাল বিশদ

15th  December, 2024
আজমিরের দরবারে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

আজমির দরগায় কি মহাদেবের মন্দির ছিল? আচমকা এমন এক প্রশ্ন ঘিরে তোলপাড় দেশ। যুক্তি, পাল্টা যুক্তির মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলাল ‘বর্তমান’ বিশদ

08th  December, 2024
উমা থেকে দুর্গা

বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এল সত্যজিতের ছবিতে। সারা জীবনে একটি ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস হয়ে আছেন। কিন্তু নতুন প্রজন্ম মনে রাখেনি তাঁকে। ১৮ নভেম্বর নিঃশব্দে চলে গেলেন তিনি। ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  December, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

24th  November, 2024
হারানো বইয়ের খোঁজে

সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
একনজরে
ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে প্রয়াত হলেন মুরারই-১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রমেশ রাজবংশী(৪০)। তাঁর বাড়ি মুরারই-১ ব্লকের গোঁড়শা পঞ্চায়েতের ডালিম্বা গ্রামে। ...

প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা প্রকল্পটিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরও কার্যকরী করে তুলতে ৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ...

এদেশে কোনও পণ্যের গুণমান নির্ধারণ এবং তা যাচাইয়ের অধিকার রয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের আওতাধীন ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস বা বিআইএস-এর। ...

প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে প্রবাদপ্রতিম লেখকদের ছাপিয়ে গেল রকমারি কেরিয়ার গাইডেন্স বই। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলা বইমেলার শেষদিনে বই বিক্রির এমনই তথ্য উঠে এল জেলা গ্রন্থাগার দপ্তর সূত্রে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০৬: মার্কিন লেখক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ও কূটনীতিবিদ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের জন্ম
১৮৩৮: হাতে কলমে টেলিগ্রাফের কার্যকারিতা প্রদর্শন করেন স্যামুয়েল মোর্স
১৮৫২: দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক লুই ব্রেইলের মৃত্যু
১৮৮৪: বংশগতির প্রবক্তা গ্রেগর মেন্ডেলের মৃত্যু
১৯২৯: কলকাতায় এলেন মাদার টেরিজা
১৯৫৯: প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কপিল দেবের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী বিন্দিয়া গোস্বামীর জন্ম
১৯৬৬: সঙ্গীত পরিচালক তথা শিল্পী এ আর রহমানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারের জন্ম
১৯৭১: জাদুসম্রাট সিনিয়র পিসি সরকারের মৃত্যু
১৯৮০: বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার তথা সঙ্গীতজ্ঞ দীলিপকুমার রায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: সঙ্গীতশিল্পী তথা মঞ্চাভিনেত্রী আঙুর বালার মৃত্যু
২০১৭: অভিনেতা ওম পুরির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৩ টাকা ৮৬.৬৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৭২ টাকা ১০৮.৪৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৮১ টাকা ৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২২ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী ৩০/৫ রাত্রি ৬/২৪। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৩১/৫৩ রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/২/৪৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১২/২১ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪২ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ২/২৩ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৩ গতে ১১/৪২ মধ্যে। 
২১ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী রাত্রি ৬/৪৩। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৭/৫৬। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪২ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ২/২৩ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। 
৫ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লিবেরাল পার্টির নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

10:32:00 PM

আগামী ৮-৯ জানুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশাতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

10:31:00 PM

তামিলনাড়ুতে এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত দুই

10:08:00 PM

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো

09:42:00 PM

হাওড়ায় বাড়িতে ডাকাতি
হাওড়ায় দুঃসাহসিক ডাকাতি। গতকাল, রবিবার বিকেলে হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন থানা ...বিশদ

09:35:03 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ৩-২ গোলে হারাল মুম্বই সিটি

09:31:00 PM