Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’ 
শুভদীপ মাথায় টোপর চাপিয়ে মায়ের সামনে এসে দাঁড়াল। প্রণাম করে বলল, ‘মা তোমার জন্য দাসী আনতে যাচ্ছি।’ মা ছেলেকে আশীর্বাদ করে বলল, ‘ওকথা বলতে নেই বাবা। এখন তো আর সেই যুগ নেই। এখন তুই তোর জীবনসঙ্গিনী নিয়ে আয়, যে আমাদের এই সংসারে সকলের মধ্যে একজন হয়ে থাকবে।’ 
শুভদীপ বলল, ‘মা, তুমি তো সংস্কারহীন একজন মানুষ। আমাকে সেভাবেই বড় করেছো। তবু আমার বিয়েতে তুমি যেতে পারলে না? সেই সংস্কারের মধ্যেই নিজেকে আটকে রাখলে!’
মলিন মুখে মা হেসে বললেন, ‘কিছু কিছু সংস্কার সংসারের পক্ষে মঙ্গল বাবা।’ শুভদীপের বুঝতে বাকি রইল না, মায়ের মন সংস্কার মুক্ত হওয়ায় সংসারের বা সমাজের নানা বাধার নিষ্পেষণ তাঁকে সহ্য করতে হয়। এসব বাধা মা অক্লেশে মেনে নিতে পারেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ছেলের বিয়েতে যাওয়ার জন্য হয়তো বাবার থেকেই সবচেয়ে কটু কথাটা শুনতে হবে মাকে। সুতরাং সংস্কারহীন হওয়া সত্ত্বেও অশান্তি এড়াতে ছেলের বিয়েতে গেলেন না মা। 
বাঙালিদের জীবনে এ এক অবাক করা সংস্কার! মা ছেলেকে গর্ভে ধারণ করে, তাকে মানুষ করে। কিন্তু সেই সন্তানের জীবনের সবথেকে আনন্দের দিনে মা উপস্থিত থাকতে পারে না। এ এক অত্যন্ত নিষ্ঠুর প্রথা। মাতৃত্বের পক্ষে সবথেকে অবমাননাকর একটা কুসংস্কার। কিন্তু সন্তানের কল্যাণ কামনায় মাকে এই সংস্কার মানতেই হয়। কেন? সংস্কারের প্রথম শর্তটাই হল, ছেলের বিয়েতে মা উপস্থিত থাকলে নাকি ছেলের অমঙ্গল হয়। কী অন্ধ এবং মধ্যযুগীয় একটা রুচিহীন সংস্কার! আচ্ছা, মেয়ের বিয়েতে তাহলে মা উপস্থিত থাকলে কোনও দোষ থাকে না কেন?
আসলে আমাদের কুসংস্কারগুলো সবই অন্ধ। শিক্ষা বা যুক্তি দিয়ে তার বিচার চলে না। সেই মধ্যযুগীয় কুসংস্কার আজও আমাদের শিক্ষিত মনের অন্ধকার স্তর দিয়ে বয়ে চলেছে। এর পিছনে রয়েছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ভাবনা এবং ব্রাহ্মণ্যবাদের আধিপত্য।
আমাদের পঞ্জিকা অনুযায়ী মলমাস পালন করা হয়। বলা হয়, মলমাসে কোনও শুভ কাজ করতে নেই। তাতে দোষ লাগে। সম্ভবত সেই একই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সমাজে মেয়েদেরও কিছু কিছু শুভ কাজে তাদের ‘অশুচি’ বলে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে বিধবা এবং ঋতুমতী মহিলারাই বাঁধা পড়ে যান ভিত্তিহীন নিয়মতন্ত্রের নানা নিগড়ে। সংসারে থেকেও তাঁরা থাকেন মলিন মানুষ হয়েই।
রাখি পূর্ণিমার আগে থেকে কিশোরী শকুন্তলার খুব আনন্দ। ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে দেবে। স্কুলের পয়সা জমিয়ে সে ভাইয়ের জন্য একটা সুন্দর গিফ্ট কিনে সেটা লুকিয়ে রেখেছে। ভাইকে সারপ্রাইজ দেবে। কিন্তু শকুন্তলা ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে দিতে পারল না। মা বলল, ‘আর হবে না। শরীর খারাপ নিয়ে ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধার মতো শুভ কাজ করা যায় না।’ কিশোরী শকুন্তলা কথাটা শুনেই ভেঙে পড়ল। ভাসল চোখের জলে।
প্রতি মুহূর্তে এমনই অসংখ্য ‘অশুচি’ মেয়ে আমাদের সমাজে অপমানিত হচ্ছে। প্রাচীন যুগ থেকেই তা চলে আসছে। নারীকে এক পণ্য হিসাবে দেখা হতো। তাই মহাভারতে যুধিষ্ঠির দ্রৌপদীকে বাজি ধরতে পারেন। বাজিতে হেরে যাওয়ার পর রজঃস্বলা দ্রৌপদীকে সভার মাঝে অপমানিত করলেও বিদ্বজ্জনরা তার প্রতিবাদ করেননি। কেউ কেউ নারীত্বের এই অপমান উপভোগও করেছিলেন। সেই লাঞ্ছনার সময় মহাভারতের বীরগণ দ্রৌপদীকে ‘অশুচি’ ভাবেননি। বিভিন্ন শাস্ত্রকার, বেদভাষ্য, মনু মেয়েদের নানাভাবে পিছন থেকে টেনে ধরতে চেয়েছেন। আসলে সমস্ত নিয়মতন্ত্রের মধ্যে রয়েছে পুরুষের পেশিশক্তির প্রকাশ এবং আধিপত্যবাদের চেষ্টা। 
কেরলের কনকদুর্গা নামের মেয়েটা এক সময় সংবাদপত্রের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। সাধারণ এই মেয়েটি দীর্ঘদিনের এক সংস্কার ও নারীত্বের অবমাননা দূর করতে প্রয়াসী হয়েছিলেন। কেরলের শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সি মেয়েদের প্রবেশ নিষেধ। সুপ্রিম কোর্ট মেয়েদের প্রবেশাধিকারের পক্ষে রায় দিলেও মন্দিরের পুরোহিত এবং অসংখ্য ভক্ত তা মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু কনকদুর্গা এবং বিন্দু আম্মিনি পুলিসের প্রহরায় মন্দিরে প্রবেশ করেন। তাই নিয়ে রাজ্যে হইহই কাণ্ড। কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা হরতালের ডাক দিলেন। আর নিজের ঘরের দরজাই বন্ধ হয়ে গেল কনকদুর্গার সামনে। মন্দির থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর রাগে তাঁর শাশুড়ি চ্যালাকাঠ দিয়ে মেরে কনকদুর্গার মাথা ফাটিয়ে দেয়।  
শুধু কি শবরীমালা? এমন অনেক মন্দির আছে ভারতজুড়ে। কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে অন্নপ্পা স্বামীর মন্দিরেও মেয়েরা প্রবেশ করতে পারে না। কেরলের শ্রীপদ্মনাভস্বামী মন্দির কিংবা মহারাষ্ট্রে শিরডির কাছে শিংনাপুরের শনি মন্দিরের গর্ভগৃহেও মেয়েরা প্রবেশ করতে পারে না। এছাড়া হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরের ধৌলাগিরি পাহাড়ে বাবা বালকনাথ মন্দির, রাজস্থানের পুষ্করের কার্তিকেয় মন্দির, অন্ধ্রপ্রদেশের ভবানী দীক্ষা মণ্ডপমে মেয়েরা অচ্ছ্যুৎ। বারবার মেয়েদের বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তুমি ঋতুমতী, তাই তুমি অপবিত্র। এর কোনও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা নেই। অন্য সব মন্দিরে যদি মেয়েদের প্রবেশাধিকার থাকে, তবে এইসব মন্দিরেই বা থাকবে না কেন? 
মেয়েদের পৌরোহিত্য করার কোনও অধিকার ব্রাহ্মণরা দেননি। মেয়েরা বাড়ির পুজো করলেও পুরোহিত বৃত্তি গ্রহণ করায় অনেক বাধা ছিল। ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ চলচ্চিত্রে শবরীর পুরোহিত হওয়ার লড়াই, বিয়ে দেওয়ার অধিকার আদায়ের লড়াই এক প্রতিবাদের মতো। সেই লড়াই আজ অনেকটাই যেন সফল হয়েছে। এখন বাস্তব জীবনে বহু মহিলা পৌরোহিত্য করছেন, বিয়ের আসরে মাঙ্গলিক মন্ত্রে দু’টি হৃদয়কে জোড়া দেওয়ার কাজ করছেন। 
বিধবারা এক সময় সমাজে নানা শুভ কাজে অপাংক্তেয় ছিলেন। গৌরীদানের পর অল্প বয়সে একটি মেয়ে বিধবা হলে তাকে কী অসহনীয় নিয়মের পীড়ন সহ্য করতে হতো, তা বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন কাহিনিতে আছে।
আদিকাল থেকেই দেখা যায়, পুরুষ যেহেতু শারীরিকভাবে বলবান, তাই সে চিরকাল নারীর ওপর প্রভুত্ব করে গিয়েছে। নারীকে সে কার্যত ক্রীতদাস হিসেবেই বিবেচনা করে এসেছে। মনুবাদী ন্যায়শাস্ত্র হল একটি ব্রাহ্মণ্যবাদী শাস্ত্র। এতে মেয়েদের সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তা এক কথায় চরম অপমানজনক। 
তাই একদল পুরুষ যখন বলে, ‘নারী হল নরকের দ্বার’, আবার অন্যদল বলে, ‘নারী তুমি অর্ধেক আকাশ।’ তখনই বোঝা যায়, আমাদের ভাবনায় কোনও সামঞ্জস্য এখনও আসেনি। তাই পদে পদে মেয়েদের নানা ধরনের জীবন-যন্ত্রণায় শামিল হতে হয়। আজ তো ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে গিয়েছে অনার কিলিংয়ের ঘটনা।  
বাংলা রেনেসাঁ এবং পরবর্তী সময়ে রামমোহন, বিদ্যাসাগর, স্বামী বিবেকানন্দ, ভগিনী নিবেদিতা, লেডি অবলা বসু সহ বেশ কিছু মানুষ নারী জাগরণে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তাঁরা বুঝেছিলেন সমস্ত বাধা পেরতে গেলে মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজন। হাঁচি, কাশি, টিকটিকির মধ্যে সংস্কারকে আটকে রাখলে বাঙালি কুয়োর ব্যাঙ হয়েই থাকবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্ত্রীর পত্র’-এর মধ্য দিয়ে পুরুষতন্ত্রের খবরদারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ঘোষিত হয়েছে। আশাপূর্ণা দেবীর ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’, ‘সুবর্ণলতা’ ও ‘বকুল কথা’ উপন্যাসে সত্যবতী, সুবর্ণলতা ও বকুল তিনটি চরিত্রই যেন সামাজিক কুসংস্কার, অন্যায় এবং কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ।     
বছর কুড়ি আগে মেদিনীপুরের সরবেড়িয়ার কাছে একটি গ্রামে আলাপ হয়েছিল লক্ষ্মী বাগদির সঙ্গে। খেতে কাজ করে। লক্ষ্মীকে গ্রামের মাতব্বররা ডাইনি অপবাদ দিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল। কারণ গ্রামে মুরগি মরে যাচ্ছিল। তখনও বার্ড ফ্লু’র নাম এভাবে ছড়ায়নি। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, লক্ষ্মী ডাইনির জন্যই মুরগি মরে যাচ্ছে। লক্ষ্মী পাঁচ হাজার টাকা দিতে পারেনি। প্রাণের ভয়ে গভীর রাতে মরদের হাত ধরে সে পালিয়ে এসেছিল সরবেড়িয়ায়। 
শুধু কি নারীরা? পুরুষরা অচ্ছুত থাকেনি! সূতপুত্র কর্ণের সঙ্গে অর্জুন দ্বন্দ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ হননি। একলব্যের মতো এক দলিত শিক্ষার্থীকে দ্রোণাচার্য অস্ত্রশিক্ষা দিতে রাজি হননি। একলব্যের দক্ষতা ছিল অর্জুনের কাছেও ঈর্ষণীয়। তাই গুরুদক্ষিণার নামে দ্রোণাচার্য একলব্যের দক্ষতাকে শেষ করে দিয়েছিলেন।
তৃষ্ণার্ত সন্ন্যাসী আনন্দকে জল দিতে গিয়ে হাত কেঁপেছিল চণ্ডালকন্যা প্রকৃতির। সন্ন্যাসী শিখিয়েছিলেন, মানুষের স্পর্শে জল কখনও অশুচি হয় না। মানুষও কখনও অস্পৃশ্য হয় না। নতুন এক মানবিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছিল প্রকৃতি। চণ্ডালিকার প্রকৃতি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছিল।  
এই অচ্ছুত মানসিকতা ভেদ করার চেষ্টা করেছিলেন শ্রীচৈতন্য। ধর্ম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তিনি আদ্বিজ-চণ্ডালকে বুকে টেনে নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে রেনেসাঁর মধ্য দিয়ে মানবিকতার আলোক বিচ্ছুরিত হলেও আমরা কিন্তু মধ্যযুগীয় ক্ষুদ্র সংস্কারের গণ্ডি ভেঙে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারিনি। 
08th  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
মৃত্যুর মুখোমুখি

কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। বিশদ

18th  August, 2024
বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
বিশদ

11th  August, 2024
পদ্মাপারে চীনের ফুটপ্রিন্ট

আমেরিকাকে ‘সবক’ শেখাতে শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেছিলেন চীনকে। তাঁর শেষ চীন সফর—৮ জুলাই।বেজিংয়ের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার হাট করে খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা।
বিশদ

11th  August, 2024
অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি

কলকাতার খুব কাছেই কোন্নগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে ‘অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি’, যেন একটুকরো ছোট্ট শান্তিনিকেতন। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে যে বাড়ির স্মৃতিচারণ করেছেন অবন ঠাকুর। সেই বাগান বাড়ি ঘুরে তার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

04th  August, 2024
রং কই রং দাও? গুরুর আদেশ! রং তুলি নিয়ে বসলেন নন্দলাল। তারপর..? 
সুশোভন অধিকারী, প্রাক্তন কিউরেটর নন্দন, কলাভবন বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন 

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক সত্ত্বা ছিল। তিনি যেমন কড়া শিক্ষক, তেমনই ছিলেন ছাত্র অন্তঃপ্রাণ। শিল্পের জন্যই তিনি নিবেদিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক। বয়সের ব্যবধান মাত্র ১০ বছর। কিন্তু, লেখায় রবীন্দ্রনাথ, আঁকায় অবন ঠাকুর, এ এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। বিশদ

04th  August, 2024
উত্তমপুরুষ: সিঁড়ি থেকে নামার সময় মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন উত্তমদা
রঞ্জিত মল্লিক

উত্তম কুমারের সঙ্গে আমার গোটা পাঁচেক ছবি করার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রথম ছবি ছিল ‘মৌচাক’। আর শেষ ছবি ‘ওগো বধু সুন্দরী’। প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভালো, আমি এরকম সারা ভারতে দেখিনি। পৃথিবীতেও আর কোথাও আছে কিনা জানি না। বিশদ

28th  July, 2024
উত্তমপুরুষ: হাত নাড়তে নাড়তে ইডেনে নামলেন উত্তম জেঠু 
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

বাবার (শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে যখন উত্তম কুমার কাজ করছেন, আমি তখন খুবই ছোট। কাজেই উত্তম কুমার কী, কেন, সেই বিষয়ে আমার কোনও আগ্রহই ছিল না। বিশদ

28th  July, 2024
একনজরে
চারিদিক আগাছায় ভরা। তার মধ্যে ছোট্ট দু’টি ঘরে চলছে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ঘরের দেওয়ালেও ধরেছে ফাটল। ফলে, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো অবস্থা ...

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহারের পর কেটে গিয়েছে পাঁচটি বছর। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর এই প্রথম ভূস্বর্গে ভোট গ্রহণ হতে চলেছে। সেই ভোট গ্রহণ ...

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তারদের টানা কর্মবিরতিতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ চরমে। গুরুতর অসুস্থ রোগীকে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ প্রথম থেকেই। এবার চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই রোগীদের ছুটি নিতে ‘চাপ’ সৃষ্টির অভিযোগ উঠল। ...

ব্যবহৃত সিরিঞ্জ বেঁকিয়ে ফেলার দরকার নেই। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষ এমনই নির্দেশ দিতেন ওয়ার্ডের নার্সদের। হাসপাতাল সূত্রে মিলেছে এই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩০: আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৪৬: সাপ্তাহিক ‘দর্পণ’ প্রকাশিত হয়
১৮৬৭: চিত্রশিল্পী গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি
১৯১৫: জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী  মকবুল ফিদা হুসেনের জন্ম
১৯২৪: হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন
১৯৪০: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়
১৯৪৪: বিশিষ্ট অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯১৫: চিত্রশিল্পী এম এফ হুসেনের জন্ম
১৯৫০: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্ম
১৯৫৪: কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর মৃত্যু 
১৯৬৫: প্রাক্তন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার জন্ম
১৯৭০:  প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম
১৯৭৭: ইংরেজ উদ্ভাবক ও ফটোগ্রাফির পুরোধা উইলিয়াম টলবোটের মৃত্যু
১৯৮০: পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজের জন্ম
১৯৮৬: ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জন্ম
১৯৯৯: কবি ও গীতিকার হসরত জয়পুরির মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৭ টাকা ৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৫ টাকা ১১২.২০ টাকা
ইউরো ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ আশ্বিন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। চতুর্দশী ১৫/৪৫ দিবা ১১/৪৫। শতভিষা নক্ষত্র ২১/৫ দিবা ১/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৭/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৩৪/৫৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৫ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ১১/৭ মধ্যে । রাত্রি ৭/৫৭ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৯/৩২ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৫৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১ গতে ২/৩১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ গতে ৮/৩২ মধ্যে।   
৩১ ভাদ্র, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। চতুর্দশী দিবা ১১/৫। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ২/২৮। সূর্যোদয় ৫/২৭, সূর্যাস্ত ৫/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫২গতে ১০/১৬ মধ্যে ও ১২/৪০ গতে ২/১৬ মধ্যে ও ৩/২ গতে ৪/৪০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৬ মধ্যে ও ৮/৪০ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/৩ গতে ২/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৬ গতে ৮/৩৫ মধ্যে।  
১৩ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আর জি কর কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই

11:57:47 PM

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তি, জাতীয় সড়ক অবরোধ
বন্যা বিধ্বস্ত আরামবাগে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের ...বিশদ

10:51:00 PM

এনসিপি (এসসিপি)-তে যোগদান করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিধায়ক বাপু সাহেব তুকারাম পাথারে

10:18:00 PM

এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জয়ী ভারতীয় পুরুষ হকি দলকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

10:13:00 PM

আইএসএল: গোয়াকে ২-১ গোলে হারাল জামশেদপুর

09:35:00 PM

মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিশেষ টিম তৈরি করল খড়্গপুর জিআরপি
দেশের সর্বোচ্চ আদালত মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরই ...বিশদ

09:28:00 PM