Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মৃত্যুর মুখোমুখি

‘বাসাংসি জীর্নানি যথা বিহায়
নবানি গৃহ্নাতি নরোহপরাণি...’
কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। মৃত্যুর আগে এও এক মৃত্যু-যন্ত্রণা। রাত শেষ হলেই কার্যকর হবে ফাঁসি। তার আগেই, সকালে এমন অবিচল কণ্ঠে গীতা পাঠ... আগে কখনও শোনেনি প্রহরীরা।
পরদিন, ১২ আগস্ট অমৃতবাজার পত্রিকায় লেখা হল—‘মজঃফরপুর ১১ আগস্ট—অদ্য ভোর ছয় ঘটিকায় ক্ষুদিরামের ফাঁসি হইয়া গিয়াছে। ক্ষুদিরাম দৃঢ় পদক্ষেপে প্রফুল্লচিত্তে ফাঁসিমঞ্চের দিকে অগ্রসর হয়। এমনকি যখন তাহার মাথার উপর টুপিটি টানিয়া দেওয়া হইল তখনও সে হাসিতে ছিল।’
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জল্লাদকে ক্ষুদিরাম বসুর শেষ প্রশ্ন ঩ছিল, ‘ভাই তোমরা ফাঁসির দড়িতে মোম মাখাও কেন?’ ঠিক যেন নচিকেতা ও যমের সংলাপ!
কয়েক মাস পরের কথা। ১০ নভেম্বর, ১৯০৮। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল। হেমন্তের ভোররাত্রি। দৃঢ় পদক্ষেপে ফাঁসির মঞ্চে উঠলেন কানাইলাল দত্ত। আগের দিন তাঁর সহবন্দি সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন আচার্য শিবনাথ শাস্ত্রী। সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কানাইলালের সেলের সামনে এসেও কিছু না বলে ফিরে যান। ফিরে এসে শিবনাথ শাস্ত্রী বলেছিলেন, ‘কানাইকে দেখলুম যেন পিঞ্জরাবদ্ধ সিংহ। বহু যুগ তপস্যা করলে তবে ওকে আশীর্বাদ করা যায়।’ ফাঁসির আগে নিজের চশমা ঠিক করাতে চেয়েছিলেন কানাইলাল। কেন? ফাঁসির মঞ্চের পথ দেখতে যাতে অসুবিধা না হয়। ভুলবশত হোঁচট খেলে যে ইতিহাসে লেখা হবে, কানাইলাল ফাঁসির মঞ্চে উঠতে ভয় পেয়ে হোঁচট খেলেন। এ যেন মৃত্যুকেই অস্বীকার!
১১ দিন পর, ২১ নভেম্বর সেই এক পথ ধরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। সঙ্গী সেপাই কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে জানতে চাইল, ‘আপনার ভয় করছে না?’ মৃদু হেসে প্রিয় কবিতার লাইন উচ্চারণ করলেন সত্যেন্দ্রনাথ—
‘প্রকৃত সন্তান হবে সেইজন
নিজদেহ প্রাণ করি বিসর্জন
যে করিবে তার বন্ধনমোচন
হবে তার মাতৃঋণ প্রতিদান’
আলিপুর বোমা মামলায় সরকারপক্ষের সাহায্যকারীরা তখন দেশের শত্রু। সরকারি উকিল আশুতোষ বিশ্বাসকে হত্যা করেন চারুচন্দ্র বসু। ১৯০৯ সালের ১৯ মার্চ আলিপুর সেন্ট্রাল জেলেই ফাঁসি হয় চারুচন্দ্রের। শেষ চিঠিতে শ্যালক ছত্রপতি ঘোষকে লিখেছিলেন স্ত্রী কিরণবালার কথা। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে নিজের কাজের জন্য গর্ববোধ করার পাশাপাশি স্ত্রীর প্রতি অবিচারের কথাও লিপিবদ্ধ করেছিলেন তিনি। চারুচন্দ্রের মৃত্যুর পর কী হয়েছিল তাঁর কিশোরী বধূর? ইতিহাসে সেকথা অবশ্য লেখা নেই।
আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের কনডেমড সেল এমন বহু বিচিত্র বিনিদ্র রজনীর সাক্ষী। ১৯২৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, হাল্কা শীত পড়ছে। সকালের আলস্য ঝেড়ে উঠে পড়েছেন কয়েদিরা। হাসির শব্দে সরগরম জেল প্রাঙ্গন। প্রাণ খুলে হাসছেন অনন্তহরি মিত্র ও প্রমোদরঞ্জন চৌধুরী। কে বলবে, একটু পরেই ওঁদের ছাড়তে হবে এই পৃথিবী! দক্ষিণেশ্বর বোমা মামলায় অভিযুক্ত দুই বিপ্লবী জেলের ভিতরেই হত্যা করেন বিশ্বাসঘাতক ভূপেন চট্টোপাধ্যায়কে। কবিতা ভালোবাসতেন অনন্তহরি। মৃত্যুর আগে অনর্গল আবৃত্তি করছেন—
‘আমি করিব না মিছে ভয়, আমি নীরবে করিব ত্বরণ
সেই মহারষার রাঙা জল, ওগো মরণ হে মোর মরণ।’
দেওয়ালে দেওয়ালে উঠল প্রতিধ্বনি। ‘মরণ হে মোর মরণ।’
এরপরই প্রহরীর হাত ছাড়িয়ে ফাঁসির মঞ্চে কে আগে উঠবেন, তাই নিয়ে শুরু হল রেস। প্রাণপণে দৌড়চ্ছেন অনন্তহরি আর প্রমোদরঞ্জন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এক অদ্ভুত দৌড় প্রতিযোগিতার সাক্ষী রইল গোটা কারাগার।
গান গাইছে কে? ফাঁসির আসামি! প্রাণের কবি রবীন্দ্রনাথই শেষ সময়ের সঙ্গী বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর। রাইটার্স বিল্ডিংয়ের যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন বাদল গুপ্ত। নিজের হাতেই মরণকে নিজের প্রাণ সঁপেছেন দধীচি বিনয় বসু। আজ এসেছে দীনেশের সময়। দিনের সূর্য আলো নিঃশেষ করে অস্তাচলের পথে। তার সঙ্গেই অস্ত যাবেন দীনেশ। ফাঁসির ১১ ঘণ্টা আগে মাকে লিখেছেন, ‘তোমার জন্য কিছুই কোনওদিন করিতে পারি নাই। সে না করা যে আমাকে কতখানি দুঃখ দিয়েছে তাহা কেহ বুঝিবে না।’ তখন আষাঢ় মাস। মেঘাচ্ছন্ন সন্ধ্যার আকাশ। শেষ গান গাইলেন বিপ্লবী কবি দীনেশ গুপ্ত... 


‘আমার দিন ফুরালো ব্যাকুল বাদল সাঁঝে/ গহন মেঘের নিবিড় ধারার মাঝে।’ 
যুগান্তর পত্রিকায় দীনেশ গুপ্তের মৃত্যুর আগের মুহূর্তের কথা পড়েছিলেন প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য। দীনেশ গুপ্তের হাতে গড়া বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্সের সৈনিক। প্রিয় দীনেশদার পথই তাঁর আদর্শ। মেদিনীপুরের জেলাশাসক রবার্ট ডগলাসকে হত্যা করে ১৯৩৩ সালের ১২ জানুয়ারি মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসির মঞ্চে উঠলেন। ফাঁসির আগে মাকে চিঠিতে লিখলেন ‘আমার যাবার কল্পনা যা সেদিন মনে করে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে এসেছি তা সফল হতে চলল। ফাঁসির কাঠটা আমার কাছে ইংরাজের একটা পুরনো রসিকতা।’ প্রদ্যোতেরও প্রাণের সখা রবীন্দ্রনাথ। ফাঁসির আগে পাঠ করেছিলেন—
‘আকাশ হতে প্রভাত আলো
আমার পানে হাত বাড়ালো
ভাঙা কারার দ্বারে আমার
জয়ধ্বনি উঠলরে ঐ উঠল রে।’
শেষ সময়ে প্রদ্যোতের হাসি আর গান গাওয়া ভয় ধরিয়েছিল জল্লাদ শিবু ডোমের মনেও।
মাস্টারদা সূর্য সেন আবার ফাঁসির আগে গীতার মহামন্ত্রে সন্ধান করেছেন মৃত্যুর অর্থ। শেষ সময়ে লেখা চিঠিতে ছিল তার প্রতিফলন, ‘হত বা প্রাবাসী স্বর্গম জিত্বা বা ভোক্ষ্যসে সহীম তস্মাৎ উত্তীষ্ট কৌন্তেয় যুদ্ধায় কৃতনিশ্চয়।’
যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, বাঘাযতীনের সহযোগী ছিলেন চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী, নীরেন দাশগুপ্ত, মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত, জ্যোতিষচন্দ্র পাল। বালেশ্বরে একসঙ্গেই তাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন ব্রিটিশ পুলিসের বিরুদ্ধে। তুমুল গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন যতীন্দ্রনাথ ও চিত্তপ্রিয়। বিচার শেষে ফাঁসির আদেশ হয় নীরেন্দ্রনাথ ও মনোরঞ্জনের। বালেশ্বর কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে উঠেই কুড়ি ও বাইশ বছরের দুই তরুণ চিৎকার করে বলে ওঠেন বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথের আদর্শের কথা। কেন? তার আগে বালেশ্বরের গ্রামে গ্রামে ব্রিটিশ পুলিস রটিয়ে দিয়েছিল যতীন্দ্রনাথ ও তাঁর সহযোদ্ধারা আসলে দুর্ধর্ষ ডাকাত। তাঁরা যে ডাকাত নন, মৃত্যুর আগে সেকথা মানুষকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বাঘাযতীন। অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় সেই অন্তিম আদেশ।
18th  August, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
বিশদ

11th  August, 2024
পদ্মাপারে চীনের ফুটপ্রিন্ট

আমেরিকাকে ‘সবক’ শেখাতে শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেছিলেন চীনকে। তাঁর শেষ চীন সফর—৮ জুলাই।বেজিংয়ের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার হাট করে খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা।
বিশদ

11th  August, 2024
অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি

কলকাতার খুব কাছেই কোন্নগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে ‘অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি’, যেন একটুকরো ছোট্ট শান্তিনিকেতন। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে যে বাড়ির স্মৃতিচারণ করেছেন অবন ঠাকুর। সেই বাগান বাড়ি ঘুরে তার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

04th  August, 2024
রং কই রং দাও? গুরুর আদেশ! রং তুলি নিয়ে বসলেন নন্দলাল। তারপর..? 
সুশোভন অধিকারী, প্রাক্তন কিউরেটর নন্দন, কলাভবন বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন 

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক সত্ত্বা ছিল। তিনি যেমন কড়া শিক্ষক, তেমনই ছিলেন ছাত্র অন্তঃপ্রাণ। শিল্পের জন্যই তিনি নিবেদিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক। বয়সের ব্যবধান মাত্র ১০ বছর। কিন্তু, লেখায় রবীন্দ্রনাথ, আঁকায় অবন ঠাকুর, এ এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। বিশদ

04th  August, 2024
উত্তমপুরুষ: সিঁড়ি থেকে নামার সময় মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন উত্তমদা
রঞ্জিত মল্লিক

উত্তম কুমারের সঙ্গে আমার গোটা পাঁচেক ছবি করার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রথম ছবি ছিল ‘মৌচাক’। আর শেষ ছবি ‘ওগো বধু সুন্দরী’। প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভালো, আমি এরকম সারা ভারতে দেখিনি। পৃথিবীতেও আর কোথাও আছে কিনা জানি না। বিশদ

28th  July, 2024
উত্তমপুরুষ: হাত নাড়তে নাড়তে ইডেনে নামলেন উত্তম জেঠু 
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

বাবার (শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে যখন উত্তম কুমার কাজ করছেন, আমি তখন খুবই ছোট। কাজেই উত্তম কুমার কী, কেন, সেই বিষয়ে আমার কোনও আগ্রহই ছিল না। বিশদ

28th  July, 2024
একনজরে
চারদিন ধরে বিদ্যুৎহীন ছিল পূর্বস্থলীর বৈদ্যপুর গ্রাম। সেখানকার মানুষ বারবার বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসে সমস্যার কথা জানিয়েও সুরাহা পাননি। বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জলেরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অবশেষে সোমবার তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে পারুলিয়া-জামালপুর সড়ক অবরোধ করেন ...

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহারের পর কেটে গিয়েছে পাঁচটি বছর। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর এই প্রথম ভূস্বর্গে ভোট গ্রহণ হতে চলেছে। সেই ভোট গ্রহণ ...

ব্যবহৃত সিরিঞ্জ বেঁকিয়ে ফেলার দরকার নেই। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষ এমনই নির্দেশ দিতেন ওয়ার্ডের নার্সদের। হাসপাতাল সূত্রে মিলেছে এই ...

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তারদের টানা কর্মবিরতিতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ চরমে। গুরুতর অসুস্থ রোগীকে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ প্রথম থেকেই। এবার চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই রোগীদের ছুটি নিতে ‘চাপ’ সৃষ্টির অভিযোগ উঠল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩০: আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৪৬: সাপ্তাহিক ‘দর্পণ’ প্রকাশিত হয়
১৮৬৭: চিত্রশিল্পী গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি
১৯১৫: জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী  মকবুল ফিদা হুসেনের জন্ম
১৯২৪: হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন
১৯৪০: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়
১৯৪৪: বিশিষ্ট অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯১৫: চিত্রশিল্পী এম এফ হুসেনের জন্ম
১৯৫০: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্ম
১৯৫৪: কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর মৃত্যু 
১৯৬৫: প্রাক্তন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার জন্ম
১৯৭০:  প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম
১৯৭৭: ইংরেজ উদ্ভাবক ও ফটোগ্রাফির পুরোধা উইলিয়াম টলবোটের মৃত্যু
১৯৮০: পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজের জন্ম
১৯৮৬: ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জন্ম
১৯৯৯: কবি ও গীতিকার হসরত জয়পুরির মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৭ টাকা ৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৫ টাকা ১১২.২০ টাকা
ইউরো ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ আশ্বিন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। চতুর্দশী ১৫/৪৫ দিবা ১১/৪৫। শতভিষা নক্ষত্র ২১/৫ দিবা ১/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৭/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৩৪/৫৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৫ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ১১/৭ মধ্যে । রাত্রি ৭/৫৭ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৯/৩২ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৫৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১ গতে ২/৩১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ গতে ৮/৩২ মধ্যে।   
৩১ ভাদ্র, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। চতুর্দশী দিবা ১১/৫। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ২/২৮। সূর্যোদয় ৫/২৭, সূর্যাস্ত ৫/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫২গতে ১০/১৬ মধ্যে ও ১২/৪০ গতে ২/১৬ মধ্যে ও ৩/২ গতে ৪/৪০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৬ মধ্যে ও ৮/৪০ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/৩ গতে ২/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৬ গতে ৮/৩৫ মধ্যে।  
১৩ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আর জি কর কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই

11:57:47 PM

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তি, জাতীয় সড়ক অবরোধ
বন্যা বিধ্বস্ত আরামবাগে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের ...বিশদ

10:51:00 PM

এনসিপি (এসসিপি)-তে যোগদান করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিধায়ক বাপু সাহেব তুকারাম পাথারে

10:18:00 PM

এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জয়ী ভারতীয় পুরুষ হকি দলকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

10:13:00 PM

আইএসএল: গোয়াকে ২-১ গোলে হারাল জামশেদপুর

09:35:00 PM

মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিশেষ টিম তৈরি করল খড়্গপুর জিআরপি
দেশের সর্বোচ্চ আদালত মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরই ...বিশদ

09:28:00 PM