Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

পদ্মাপারে চীনের ফুটপ্রিন্ট

মৃণালকান্তি দাস:  আমেরিকাকে ‘সবক’ শেখাতে শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেছিলেন চীনকে। তাঁর শেষ চীন সফর—৮ জুলাই।বেজিংয়ের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার হাট করে খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা। পদ্মা সেতু, পদ্মা রেল (ঢাকা-মাওয়া-যশোর), কর্ণফুলি টানেল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র, শাহজালাল সার কারখানা, পদ্মা জল শোধনাগার প্রকল্প, তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো ও ডিজিটাল সরকার প্রকল্প, মোবাইল অপারেটরের একচেটিয়া নেটওয়ার্ক ভেন্ডর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নজরদারি সফটওয়্যার, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর মতো একাধিক প্রকল্পে বেজিংয়ের ছায়া। ৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, ২৩ বিলিয়ন ডলারের ঠিকাদারি কাজ ও বছরে ১৩ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলারের আমদানি নিয়ে চীন এতদিনে বাংলাদেশে তার ফুটপ্রিন্ট সুগভীর করে ফেলেছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮-২২ এই সময়ে বিশ্বের শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারী দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ ২৫তম। এই সময়ে দেশের মোট আমদানির ৭৪ শতাংশ চীন থেকে হয়েছে (১৩ মার্চ ২০২৩, নিউএজ), যার ধারেকাছে কেউ ছিল না। অথচ, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সঙ্কটে বেজিং কখনও ঢাকার পাশে দাঁড়ায়নি। আরাকান সঙ্কট সমাধান ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রায় প্রতিটি প্রস্তাবে বাংলাদেশের স্বার্থের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে চীন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আমেরিকার বিপরীতে চীনের অনুদানও নগণ্য। তবুও চীনের সঙ্গে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল হাসিনা সরকারের।
প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের এত আগ্রহ কেন? ঠিক কী ধরনের স্বার্থ রয়েছে তাদের? আসলে, সুপার পাওয়ার হতে চাওয়া চীন মূলত এই অঞ্চলে আধিপত্য রাখতে চায়। বিশেষত, বঙ্গোপসাগরে। আর, এই আগ্রহের প্রধান কারণ আমেরিকার ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’। ২০২১ সালে আমেরিকা এই স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করে। সেখানে চীনকে বাদ দিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ফিলিপিন্স, বাংলাদেশ সহ অন্য দেশগুলিকে সঙ্গে নিয়ে একটি নিরাপদ ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল’ গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করে আমেরিকা। এই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ বাস করে। ফলে যে কোনও পণ্যের বাজার হিসেবে এই অঞ্চলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও। সেই কারণেই এই অঞ্চলে নজর আমেরিকার। বেজিংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমেরিকান স্ট্র্যাটেজিতে আঘাত হেনেছিলেন শেখ হাসিনা। ফলে শেষ কামড় দিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমেরিকাও।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, তিনি ও তাঁর সরকার কী চাইছে। ছোট তালিকা। তবে তাতে যথেষ্ট স্পর্শকাতর উপাদান ছিল। বিশেষ করে আমেরিকা চেয়েছে, ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে তাদের পাশে থাকুক বাংলাদেশ। এজন্য তারা দু’টি সামরিক চুক্তিও করতে চায়। এসব প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য কিছুটা বিব্রতকর। কারণ, একই অঞ্চলে আমেরিকার স্বার্থের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে চীন। রয়েছে ভারতও। সকলের স্বার্থ এক রকম নয়।
সমস্যাটা কোথায়, পোড় খাওয়া কূটনীতিক পিটার হাস নিশ্চিত জানতেন। নিজেই বলেছিলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ওয়াশিংটন-ঢাকা বন্ধুত্বে কোনও বাধা হওয়ার কথা নয়। যদিও বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। কারণ, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আর দু’টি দেশের সাধারণ সৌজন্যে আটকে ছিল না। ৪৭ বছরে তা ক্রমাগত কাছে এসেছে। উভয়ের এখনকার বন্ধন বহুমাত্রিক এবং অনেক গভীর। একাত্তরে স্বীকৃতি দিতে দেরি করে ভুল করেছিল বেজিং। পরে সেটা পুষিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের পক্ষে চীনের প্রতিপক্ষ আমেরিকার সঙ্গে মাখামাখি করা কঠিন। রয়েছে তাইওয়ান প্রশ্নও। হাসিনা জমানায় তাইওয়ানের পৃথক স্বাধীন সত্তা স্বীকার করেনি বাংলাদেশ। অথচ, আমেরিকার ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ তাইওয়ানকে সুরক্ষা দেওয়া। তবে বাংলাদেশে চীনের নৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি দুর্বল। ভারত বা আমেরিকা তার তুলনায় অনেক এগিয়ে। তাই বাংলাদেশকে শুধু চীনের সঙ্গে নয়, তিন সীমান্তের প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গেও ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়। তাহলে বাংলাদেশ কোন দিকে হাত বাড়াবে? এই অঙ্কই কষেছেন পিটার হাস। তাদের হাতে রয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ, রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং নানা মিশনের প্রভাব-প্রতিপত্তি। তিনি নিশ্চিত জানতেন, বিপদে পড়লে কোনওদিনই হাসিনার পাশে দাঁড়াবে না বেজিং!
আর্ল মিলারের পর বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হয়েছিলেন পিটার। ২০২২ সালের মার্চে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কয়েক মাস স্বাভাবিক নিয়মে রুটিনমাফিক কাজ করে গিয়েছেন। কিন্তু ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে তাঁকে দেখা যায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে মাথা ঘামাতে। আসলে ‘হাসিনা বিরোধী’ লড়াইটা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ঘিরেই। হাসিনা বিরোধীরাও দ্রুত বুঝে গিয়েছিলেন আগামী দিনে তিনিই হবেন ‘পালাবদলের অনুঘটক’। ফলে মার্কিন দূতাবাসে বিএনপি নেতাদের আনাগোনাও বেড়ে যায়। উল্টোদিকে হাসিনা সরকার আমেরিকার সঙ্গে দূরত্ব ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছিল।
২০২৩ সালের ২৪ মে নয়া ভিসা নীতি ঘোষণা করে আমেরিকা। বলা হয়, বাংলাদেশে যারা নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করবে, আমেরিকা তাদের সে দেশে যাওয়ার ভিসা দেবে না। এর পরই সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার হতে শুরু করে পদ্মাপারে। নয়া উদ্যমে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বাংলাদেশের রাজনীতির আলোচনার মূল স্রোতে ঢুকে পড়ে সে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ ‘সেন্ট মার্টিন’। আমেরিকা নৌঘাঁটি বানাতে দ্বীপটি নিতে চায় এবং বিএনপি দ্বীপটি ‘বিক্রির মুচলেকা’ দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়—ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের এই অভিযোগ ওয়াশিংটনে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের প্রেস ব্রিফিং পর্যন্ত গড়ায়। মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, এটি ঠিক নয়। গুঞ্জন উসকে দিয়ে হাসিনা বলেন, ‘যতই চাপ আসুক দেশের এক ইঞ্চি ভূখণ্ডও অন্য কোনও দেশকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার প্রশ্ন আসে না।’ এরপর বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে মার্কিনিরা যে উতলা, তা টের পাওয়া যায় আমেরিকার দূতাবাসের সক্রিয়তায়। তবু ঘুম ভাঙেনি হাসিনা সরকারের। আওয়ামি নেতারা ব্যস্ত ছিল অঙ্ক কষতে, কীভাবে বিনা-নির্বাচনে পরের ভোট উতরে যাওয়া যায়। 
এভাবে সময় গড়াতে গড়াতে আসে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর। ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাপক মারধর। এক পুলিস হত্যা। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা সহ নজিরবিহীন তাণ্ডব দেখে ঢাকা। এই ঘটনায় কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিলেন পিটার হাস। এই সময় শ্রীলঙ্কা হয়ে নিজের দেশ সফরের পর আর বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং আমেরিকার মুখে শোনা গিয়েছিল অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা। কিন্তু আওয়ামি লিগের রাজনৈতিক উগ্রতায় শেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ছবিটা বদলে যায়। পরে অবশ্য সেই উগ্রতাই কাজে লাগিয়েছে বিরোধীরা। ভোট দিতে না পারার যন্ত্রণা উস্কে দিয়েছিল জনগণের মধ্যে। 
শুরুটা হয়েছিল পড়ুয়াদের ‘কোটা আন্দোলন’ থেকে। তারপর আন্দোলনের অভিমুখ ঘুরে যায় ‘এক দফা’ দাবি। আন্দোলন-সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে পদ্মাপারের দেশ।
ফের লাল কালিতে লেখা শুরু হয় বাংলাদেশের ইতিহাস। লেখা চলছে...।
         গ্রাফিক্স: সোমনাথ পাল  সহযোগিতায় : বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী
11th  August, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
মৃত্যুর মুখোমুখি

কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। বিশদ

18th  August, 2024
বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
বিশদ

11th  August, 2024
অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি

কলকাতার খুব কাছেই কোন্নগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে ‘অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি’, যেন একটুকরো ছোট্ট শান্তিনিকেতন। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে যে বাড়ির স্মৃতিচারণ করেছেন অবন ঠাকুর। সেই বাগান বাড়ি ঘুরে তার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

04th  August, 2024
রং কই রং দাও? গুরুর আদেশ! রং তুলি নিয়ে বসলেন নন্দলাল। তারপর..? 
সুশোভন অধিকারী, প্রাক্তন কিউরেটর নন্দন, কলাভবন বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন 

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক সত্ত্বা ছিল। তিনি যেমন কড়া শিক্ষক, তেমনই ছিলেন ছাত্র অন্তঃপ্রাণ। শিল্পের জন্যই তিনি নিবেদিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক। বয়সের ব্যবধান মাত্র ১০ বছর। কিন্তু, লেখায় রবীন্দ্রনাথ, আঁকায় অবন ঠাকুর, এ এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। বিশদ

04th  August, 2024
উত্তমপুরুষ: সিঁড়ি থেকে নামার সময় মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন উত্তমদা
রঞ্জিত মল্লিক

উত্তম কুমারের সঙ্গে আমার গোটা পাঁচেক ছবি করার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রথম ছবি ছিল ‘মৌচাক’। আর শেষ ছবি ‘ওগো বধু সুন্দরী’। প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভালো, আমি এরকম সারা ভারতে দেখিনি। পৃথিবীতেও আর কোথাও আছে কিনা জানি না। বিশদ

28th  July, 2024
উত্তমপুরুষ: হাত নাড়তে নাড়তে ইডেনে নামলেন উত্তম জেঠু 
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

বাবার (শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে যখন উত্তম কুমার কাজ করছেন, আমি তখন খুবই ছোট। কাজেই উত্তম কুমার কী, কেন, সেই বিষয়ে আমার কোনও আগ্রহই ছিল না। বিশদ

28th  July, 2024
একনজরে
চারিদিক আগাছায় ভরা। তার মধ্যে ছোট্ট দু’টি ঘরে চলছে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ঘরের দেওয়ালেও ধরেছে ফাটল। ফলে, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো অবস্থা ...

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা হয়েছিল আগেই। এবার চূড়ান্ত দল বেছে নেওয়ার পালা। হাতে সময় কম। ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু প্রথম টেস্ট। তাই কাজটা দ্রুততার ...

ব্যবহৃত সিরিঞ্জ বেঁকিয়ে ফেলার দরকার নেই। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষ এমনই নির্দেশ দিতেন ওয়ার্ডের নার্সদের। হাসপাতাল সূত্রে মিলেছে এই ...

ফের হত্যার চেষ্টা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে রায়ান ওয়েসলে রুথ নামে এক ডেমোক্র্যাট সমর্থককে। গুলি চালানোর ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবারই ৫৮ বছর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩০: আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৪৬: সাপ্তাহিক ‘দর্পণ’ প্রকাশিত হয়
১৮৬৭: চিত্রশিল্পী গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি
১৯১৫: জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী  মকবুল ফিদা হুসেনের জন্ম
১৯২৪: হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন
১৯৪০: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়
১৯৪৪: বিশিষ্ট অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯১৫: চিত্রশিল্পী এম এফ হুসেনের জন্ম
১৯৫০: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্ম
১৯৫৪: কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর মৃত্যু 
১৯৬৫: প্রাক্তন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভার জন্ম
১৯৭০:  প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম
১৯৭৭: ইংরেজ উদ্ভাবক ও ফটোগ্রাফির পুরোধা উইলিয়াম টলবোটের মৃত্যু
১৯৮০: পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজের জন্ম
১৯৮৬: ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জন্ম
১৯৯৯: কবি ও গীতিকার হসরত জয়পুরির মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৭ টাকা ৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৫ টাকা ১১২.২০ টাকা
ইউরো ৯১.৫৭ টাকা ৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ আশ্বিন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। চতুর্দশী ১৫/৪৫ দিবা ১১/৪৫। শতভিষা নক্ষত্র ২১/৫ দিবা ১/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৭/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৩৪/৫৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৫ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ১১/৭ মধ্যে । রাত্রি ৭/৫৭ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৯/৩২ গতে ১১/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৫৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১ গতে ২/৩১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ গতে ৮/৩২ মধ্যে।   
৩১ ভাদ্র, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। চতুর্দশী দিবা ১১/৫। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ২/২৮। সূর্যোদয় ৫/২৭, সূর্যাস্ত ৫/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫২গতে ১০/১৬ মধ্যে ও ১২/৪০ গতে ২/১৬ মধ্যে ও ৩/২ গতে ৪/৪০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৬ মধ্যে ও ৮/৪০ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/৩ গতে ২/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৬ গতে ৮/৩৫ মধ্যে।  
১৩ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আর জি কর কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই

11:57:47 PM

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তি, জাতীয় সড়ক অবরোধ
বন্যা বিধ্বস্ত আরামবাগে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের ...বিশদ

10:51:00 PM

এনসিপি (এসসিপি)-তে যোগদান করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিধায়ক বাপু সাহেব তুকারাম পাথারে

10:18:00 PM

এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জয়ী ভারতীয় পুরুষ হকি দলকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

10:13:00 PM

আইএসএল: গোয়াকে ২-১ গোলে হারাল জামশেদপুর

09:35:00 PM

মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিশেষ টিম তৈরি করল খড়্গপুর জিআরপি
দেশের সর্বোচ্চ আদালত মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরই ...বিশদ

09:28:00 PM