Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

সুরেন্দ্রনাথের সাংবাদিক সত্ত্বা 
ডাঃ শঙ্করকুমার নাথ

সংবাদপত্র জগতের ইতিহাসে সাংবাদিক সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারাবাস একটি মর্মস্পর্শী ঘটনা। ১৮৮৩ সালের এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের কোনও এক মামলায় বড়বাজারের বাসিন্দা বটুকনাথ পণ্ডিতের কাছে যে শালগ্রাম শিলা ছিল, তা বিচারপতি জন ফ্রিসেন নরিসের নির্দেশে আনা হয় হাইকোর্টের বারান্দায়। এই পবিত্র শিলা আনা হয়েছিল বাদী এবং প্রতিবাদী উভয়পক্ষের আইনজীবীদের পরামর্শেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠে গেল, শালগ্রাম শিলা কি অপবিত্র হয়ে গেল কোর্টে আনার জন্য?
এই ঘটনার সমালোচনা করে ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘The Brahmo Public Opinion’ পত্রিকার সম্পাদক ভুবনমোহন দাস (দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের বাবা) ১৮৮৩ সালের ১৯ এপ্রিল সংখ্যায় বেশ খানিকটা লেখেন। এরপর সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সম্পাদিত ইংরেজি পত্রিকা ‘The Bengalee’তে এর পাঁচদিন পর ২৪ এপ্রিল ভুবনমোহন দাসের লেখার প্রেক্ষিতে আরও কিছু লেখেন। ফলে এই শালগ্রাম বিষয়ক লেখা থামল না। ভুবনমোহন দাস ওই একই বিষয়ে আবার লিখলেন ২৬ এপ্রিল তাঁর পত্রিকায়। এরপর সুরেন্দ্রনাথও পবিত্র শালগ্রাম শিলাকে কোর্ট চত্বরে আনার ঘটনাকে তীব্র সমালোচনা করে সম্পাদকীয় লিখলেন ২৮ এপ্রিলের সংখ্যায়। যার অংশবিশেষ হল, ‘What are we to think of Judge who is so ignorant of the feeling of the people and so disrcspectful of their cherished conviction, as to drag into court and then to inspect, an object of worship which only Brahmins are allowed to approach?’ আর এই মন্তব্যেই শুরু হয়ে গেল আদালত অবমাননার মামলা। ২ মে, ১৮৮৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ‘The Bengalee’ পত্রিকার সম্পাদক সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুদ্রাকার-প্রকাশক রামকুমার দে’র নামে রুল জারি করার নির্দেশ দিল এবং পরের দিন তা কার্যে পরিণত হল। বলা হল— ‘আদালত অবমাননা করার অপরাধে কেন জেলে যাইবেন না, তাহার কারণ প্রদর্শন করুন।’
এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। বেশ কিছু মিটিং-মিছিল সংগঠিত হল। স্টার থিয়েটারের সভাতে সভাপতিত্ব করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। সুরেন্দ্রনাথের জীবনীকার সূর্যকুমার ঘোষাল লিখছেন—‘অভিযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ ও রামকুমার দে’র সম্বন্ধে কর্ত্তব্যাকর্ত্তব্য স্থিরীকরণের নিমিত্ত ৩রা মে বৃহস্পতিবার সুরেন্দ্রনাথের সুহৃদমিলনরূপ পরামর্শ-সভা বসিল। আনন্দমোহন বসু, মনোমোহন ঘোষ, শ্রীযুক্ত মন্মথনাথ মল্লিক, শ্রীযুক্ত তারকনাথ পালিত, এই চারিজন বিশিষ্ট আইনাভিজ্ঞ পণ্ডিত তালতলার বেঙ্গলি অফিসে সম্মিলিত হইলেন।’
তখনকার দিনে নামকরা সাহেব ব্যারিস্টার জ্যাকসন সাহেব, গ্রিফিত এভানস্‌ সা঩হেব, ট্রিভিলিয়ান সাহেব, রবার্ট এ্যালেন সাহেবদের কাছে আর্জি জানানো হল সুরেন্দ্রনাথের পক্ষে দাঁড়াতে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে এঁরা কেউই রাজি হলেন না। অবশেষে সুরেন্দ্রনাথের পক্ষে দাঁড়ালেন উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গণেশচন্দ্র চন্দ্র (ড. প্রতাপচন্দ্র চন্দ্রর ঠাকুর্দার বাবা)।
৩ মে, রাতটা সুরেন্দ্রনাথ ও রামকুমার দে উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের খিদিরপুরের বাড়িতে কাটালেন। সেখানেই মামলাটি নিয়ে গভীর আলাপ-আলোচনাও হল। ৪ মে, সকলেই হাইকোর্টে হাজির হলেন। এই মামলায় ছিলেন পাঁচজন বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি রিচার্ড গার্থ, আর অন্যেরা হলেন, ম্যাকডোনেল সাহেব, কানিংহ্যাম সাহেব, নরিস সাহেব এবং রমেশচন্দ্র মিত্র। সরকারের পক্ষে দাঁড়ালেন ব্যারিস্টার চার্লস, পল এবং টিয়াপকার সাহেব।
রামকুমার দে বললেন, ‘আমি ইংরেজি লেখাপড়া জানি না; সম্পাদকের দায়িত্বে ও আদেশে ছাপার কার্য্য করিয়া থাকি।’
সুরেন্দ্রনাথ বললেন, ‘আমারই আদেশে রামকুমার দে কার্য্য করিয়া থাকে। অতএব উহার দায়িত্বের জন্য আমিই সম্পূর্ণ দায়ী... আমি আমার কৃত সমালোচনা অকপটে প্রত্যাহারপূর্ব্বক আদালতের নিকট ভ্রান্তিদোষ স্বীকার করিতেছি এবং তজ্জনিত দণ্ডবিধান হইতে নিষ্কৃতি চাহিতেছি।’ সেদিনের মতো মামলা মুলতুবি রইল।
৫ মে, শনিবার রায় দানের দিন। এদিন আদালত চত্বরে লোকে লোকারণ্য। কোর্টের বাইরেও হাজার হাজার মানুষ, বহু ছাত্র এসেছেন। ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন পরবর্তীকালের স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। তিনি তখন বিএ ক্লাসের ছাত্র। এমনকী পাইকপাড়ার ইন্দ্রচন্দ্র সিংহ এক লক্ষ টাকা নিয়ে আদালতে উপস্থিত, উদ্দেশ্য— যদি সুরেন্দ্রনাথের জরিমানা হয়, তাহলে টাকাটা তিনিই দিয়ে দেবেন।
রায়ে রামকুমার দে মুক্তি পেলেন, কিন্তু সুরেন্দ্রনাথের দু’মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড হল। পাঁচ বিচারপতির মধ্যে চারজন ইংরেজ বিচারপতি যখন কারাদণ্ডের পক্ষে মত দিলেন, তখন একমাত্র ভারতীয় বিচারপতি রমেশচন্দ্র মিত্র বলেছিলেন—আসামীর শুধুমাত্র জরিমানা করলেই আইনের উদ্দেশ্য সাধিত হবে। না, তাঁর কথা শোনা হয়নি, বরং তাঁকে কারাবাসের পক্ষেই মত প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হয়েছিল, তিনি রাজি হননি।
সুতরাং সুরেন্দ্রনাথের জেল হয়ে গেল। আদালতের বাইরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল জনতা। সুরেন্দ্রনাথ গেলেন প্রেসিডেন্সি জেলে। উল্লেখ করতেই হবে— সাহেবদের পত্রিকা ‘The Statesman’ কিন্তু এর বিরুদ্ধে কলম ধরেছিল। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও কালো ফিতে ধারণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ‘The Indian Mirror’ সহ বহু সংবাদপত্র সুরেন্দ্রনাথের পাশে ছিল। সমগ্র ভারত জুড়ে অসংখ্য মিটিং মিছিল হয়েছিল।
সুরেন্দ্রনাথের কারামুক্তি ঘটে ৪ জুলাই, ১৮৮৩ সালে। ‘প্রবাসী’ সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ১৯২৫ সালে স্মৃতিচারণ করলেন—‘সেকালে সুরেন্দ্রনাথ কিরূপ লোকপ্রিয় ছিলেন, তাঁহার মুক্তির সময় আবার পরিচয় পাওয়া যায়। যেদিন তাঁর খালাস পাইবার কথা, সেই দিন অতি প্রত্যুষে হাজার হাজার লোক প্রেসিডেন্সি জেলের অভিমুখে যাত্রা করে। উহা তখন হরিণবাড়ি জেল নামে অভিহিত ছিল। এখন গড়ের মাঠে যেখানে ভিক্টোরিয়া স্মৃতি মন্দির অবস্থিত, উহা তাহার নিকট ছিল। সেদিন শেষ রাত্রি হইতে মুষলধারে বৃষ্টি হইতে থাকে। আমরা ভিজিতে ভিজিতে জেলের ফটকের নিকট পৌঁছিয়া কিছুক্ষণ পরে জানিতে পারিলাম যে, তাঁহাকে রাত্রি থাকিতেই মুক্তি দিয়া গাড়ি করিয়া তালতলায় তাঁহার পৈতৃক বাটিতে পৌঁছাইয়া দেওয়া হইয়াছে। তখন আবার জনতা তালতলা অভিমুখে রওনা হইল। সেখানে গিয়া দেখিলাম, সুরেন্দ্রনাথের গৃহ জনাকীর্ণ, আর স্থান নাই; তাঁহার বন্ধু আনন্দমোহন বসু মহাশয় বক্তৃতা করিতেছেন।’
বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক সাংবাদিক রামগোপাল সান্যাল মশাই ১৮৮৯ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত বই ‘A General Biography of Bengal Celebrities’-এ সুরেন্দ্রনাথের কারামুক্তির দিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন— ‘চার জুলাই তাঁকে (সুরেন্দ্রনাথ) অভিনব উপায়ে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। জেল কর্তৃপক্ষ জানতেন যে, তাঁর সম্মানে বিরাট জনপ্রিয় সমাবেশ হবে, তাই তাঁকে জেলের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য এক নজিরবিহীন, পথ অবলম্বন করলেন। জেলার সাহেব তাঁকে ভোর চারটের সময় ঘুম থেকে তুলে দিলেন এবং একটি হ্যাকনি গাড়িতে চাপিয়ে লোয়ার সার্কুলার রোড ধরে চালাবার নির্দেশ দিলেন, কেন না জেলার সাহেব জানতেন এই রাস্তায় জনসাধারণ জমায়েত হবেন না। আর এইভাবেই তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন।’ (বঙ্গানুবাদ)
সূর্য্যকুমার ঘোষাল লিখছেন—‘সুরেন্দ্রনাথ যদিও গর্ভধারিণীর নিকট তালতলায় থাকিতেন না, কিন্তু প্রতিদিনই প্রায় জননীর সহিত সাক্ষাৎ করিতেন... কারামুক্ত সুরেন্দ্রনাথ জননীকে প্রণামাদি করিয়া, সমাগত বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন প্রভৃতিকে যথোপযুক্ত অভিবাদন করিলেন। তৎপরে জানিতে পারিলেন যে, জেলের নিকট অসংখ্য লোক তাঁহার জন্য প্রতীক্ষা করিতেছেন। কাজেই আবার তিনি জেলখানার নিকট গমন করিলেন। সুরেন্দ্রনাথকে পাইয়া সকলে আনন্দ সহকারে তাঁহাকে পুষ্পমাল্যে বিভূষিত করিলেন। অনন্তর সকলেই তাঁহার সহিত তালতলায় আসিলেন। বেলা দশটার সময় সুরেন্দ্রনাথ সকলকে আদর আপ্যায়ণে ও বন্ধুবান্ধবগণকে প্রীতিভোজে পরিতুষ্ট করিলেন।’
সুরেন্দ্রনাথের এই কারাবাসের পরবর্তীকালে সুদূরপ্রসারী ফল হয়েছিল। জাতীয় সংহতি এবং জাতীয়তাবোধের উন্মেষে ইন্ধন জুগিয়েছিল সমগ্র ভারতেই। পথ প্রশস্ত হয়েছিল ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স’ এবং ‘ন্যাশনাল কংগ্রেস’ প্রতিষ্ঠারও।
* তথ্যসূত্র: কর্মবীর সুরেন্দ্রনাথ-সূর্য্যকুমার ঘোষাল (১৯১১)/ মাসিক বসুমতী, শ্রাবণ, ১৩৩২/ A Nation in Making (1925)/ প্রবাসী ভাদ্র, ১৩০২)
স্কেচ  লেখক 
10th  November, 2019
অনন্য বিকাশ 

পাহাড়ী স্যান্যাল থেকে উত্তমকুমার সবাই ছিলেন তাঁর অভিনয়ের গুণমুগ্ধ ভক্ত। হেমেন গুপ্তের ‘৪২’ ছবিতে এক অত্যাচারী পুলিস অফিসারের ভূমিকায় এমন অভিনয় করেছিলেন যে দর্শকাসন থেকে জুতো ছোঁড়া হয়েছিল পর্দা লক্ষ্য করে। এই ঘটনাকে অভিনন্দন হিসেবেই গ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা বিকাশ রায়কে নিয়ে লিখেছেন বেশ কিছু সিনেমায় তাঁর সহ অভিনেতা ও মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যাপক ডঃ শঙ্কর ঘোষ।  
বিশদ

19th  January, 2020
যদি এমন হতো! 
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

যদি এমন হতো? সিমুলিয়ার দত্ত পরিবারে নরেন্দ্রনাথ এসেছেন, ধনীর আদরের সন্তান; কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব পৃথিবীতে আসেননি। তাহলে নরেন্দ্রনাথ কি স্বামী বিবেকানন্দ হতেন! মেধাবী, সাহসী, শ্রুতিধর এই সুন্দর যুবকটি পিতাকে অনুসরণ করে হয়তো আরও শ্রেষ্ঠ এক আইনজীবী হতেন, ডাকসাইটে ব্যারিস্টার, অথবা সেই ইংরেজযুগের সর্বোচ্চ পদাধিকারী, ঘোড়ায় চাপা ব্রাউন সাহেব— আইসিএস। ক্ষমতা হতো, সমৃদ্ধি হতো।
বিশদ

12th  January, 2020
সেলুলয়েডের শতবর্ষে হিচকক 
মৃন্ময় চন্দ

‘Thank you, ….very much indeed’
শতাব্দীর হ্রস্বতম অস্কার বক্তৃতা। আবার এটাও বলা যেতে পারে, মাত্র পাঁচটি শব্দ খরচ করে ‘ধন্যবাদজ্ঞাপন’।
হ্যাঁ, হয়তো অভিমানই রয়েছে এর পিছনে।
বিশদ

05th  January, 2020
ফিরে দেখা
খেলা

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি। 
বিশদ

29th  December, 2019
ফিরে দেখা
বিনোদন

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি।  
বিশদ

29th  December, 2019
ফিরে দেখা
রাজ্য 

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি।   বিশদ

29th  December, 2019
ফিরে দেখা
দেশ-বিদেশ 

আর তিনদিন পরেই নতুন বছর। স্বাগত ২০২০। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে পুরনো বছরকেও। তাই ২০১৯ সালের বেশকিছু স্মরণীয় ঘটনার সংকলন নিয়ে চলতি বছরের সালতামামি।  
বিশদ

29th  December, 2019
বঙ্গ মিষ্টিকথা 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মিষ্টান্ন ভোজন। যার সঙ্গে জড়িয়ে বাঙালির আবেগ, অনুভূতি, অ্যাডভেঞ্চার। ডায়েটিংয়ের যুগে আজও বহু বাঙালি ক্যালরির তোয়াক্কা করে না। খাওয়া যতই আজব হোক, মিষ্টি না হলে ভোজ সম্পূর্ণ হয় না যে! 
বিশদ

22nd  December, 2019
সংবিধানের ৭০
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত এবং বিশেষ করে আগামীদিনের শাসক কংগ্রেসের সঙ্গে এভাবে চরম তিক্ততার সম্পর্ক করে রেখে পৃথক পাকিস্তান পাওয়ার পর, সেই নতুন দেশের নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত? কীভাবে সম্ভাব্য পাকিস্তানের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করা যাবে? কী কী সমস্যা আসতে পারে?  
বিশদ

15th  December, 2019
রাজ সিংহাসন
প্রণবকুমার মিত্র

 দরবারে আসছেন মহারাজ। শিঙে, ঢাক, ঢোল, কাঁসর ঘণ্টার বাদ্যি আর তোপের শব্দ সেটাই জানান দিচ্ছে। তারপর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মহারাজ ধীর পায়ে গিয়ে বসলেন রাজ সিংহাসনে। আগেকার দিনে রূপকথার গল্পে এটাই বলা হতো।
বিশদ

08th  December, 2019
আ ম্মা হী ন তামিল রাজনীতি
রূপাঞ্জনা দত্ত

২৪ ফেব্রুয়ারি। তামিলনাড়ুর কাছে এটা একটা বিশেষ দিন। মন্দিরে মন্দিরে উপচে পড়ত ভিড়। সবার একটাই প্রার্থনা, ‘আম্মা নাল্লামাগা ইরঙ্গ’। ‘আপনি ভালো থাকুন’। ওইদিন তিনিও যেতেন মন্দিরে। নিজের জন্মদিনে ভক্তদের ভালোবাসা বিলোতে। সেটাকে অবশ্য ‘পুরাচি থালাইভি’র আশীর্বাদ বলেই গণ্য করত সবাই।   বিশদ

01st  December, 2019
অর্ধশতবর্ষে শ্বেত বিপ্লব 
কল্যাণ বসু

‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে...’
রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে ঈশ্বরী পাটনীর কালজয়ী বর প্রার্থনা ছিল এটাই। ‘অন্নপূর্ণা ও ঈশ্বরী পাটনী’র এই অবিস্মরণীয় পংক্তিতে সন্তানের মঙ্গলচিন্তা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সন্তানের মঙ্গলার্যে বিরাট কোনও লোভ না দেখিয়ে শুধুমাত্র দুধ-ভাতের আজীবন জোগান প্রার্থনা করা। সুস্থ-সবল সন্তানের জন্য ভাতের সঙ্গে দুধের অপরিহার্যতার কথাও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে এই প্রার্থনায়।  
বিশদ

24th  November, 2019
অচেনা অযোধ্যা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সরযূ নদীর নয়াঘাটে মাঝেমধ্যেই দেখা যাবে এক টানাপোড়েনের দৃশ্য। গোন্দা জেলার মানকপুর গ্রামের রমাদেবী নিজের মেয়ের সামনে হাতজোড় করে বলছেন, ‘আমাকে ছেড়ে দে রে..আমি কয়েকদিন পর আবার চলে যাব..সত্যি বলছি যাব।’ মেয়ে জানে মায়ের কথার ঠিক নেই। আজ বিশ্বাস করে ছেড়ে দিলে, সত্যিই কবে যাবে, কোনও ঠিক নেই।
বিশদ

17th  November, 2019
বিস্মৃতপ্রায় সুরেন্দ্রনাথ
রজত চক্রবর্তী

কালো পুলিস ভ্যানটা ঢুকতেই উত্তেজিত জনতা যেন তাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। আন্দোলনের নেতৃত্বে স্বয়ং ‘বাংলার বাঘ’ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। হবে নাই বা কেন! বাংলার জাত্যাভিমানকে পরিচিতি দিয়েছিলেন পুলিস ভ্যানের ভিতরে বসে থাকা ব্যক্তিটিই। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর জন্মদিন। বিশদ

10th  November, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, কান্দি: বৃহস্পতিবার রাতে খবর পেয়ে বড়ঞা থানার শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম সাদ্দাম শেখ। ওই গ্রামেই তার বাড়ি।   ...

দাভোস, ২৪ জানুয়ারি: ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় গণতন্ত্রকে ‘ধ্বংসের মুখে’ ঠেলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার দাভোসের ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম-এর মঞ্চ থেকে ...

অকল্যান্ড, ২৪ জানুয়ারি: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়ে একদিনের সিরিজ জেতার পর ভারতের আত্মবিশ্বাস যে অনেকটাই বেড়েছে তার প্রমাণ মিলল শুক্রবার। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের প্রথম ...

জীবানন্দ বসু, কলকাতা: সংঘাতের আবহেই কি আগামীকাল রবিবার সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখোমুখি হতে চলেছেন? সাংবিধানিক রীতি ও সৌজন্যের কারণেই কি তাঁদের দু’জনকে কাল পাশাপাশি দেখা যাবে? ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় ভোটদাতা দিবস
১৮৫০: অভিনেতা অর্ধেন্দু শেখর মুস্তাফির জন্ম
১৮৫৬: সমাজসেবক ও লেখক অশ্বিনীকুমার দত্তের জন্ম
১৮৭৪: ইংরেজ লেখক সামারসেট মমের জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫১ টাকা ৭২.২১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৯৮ টাকা ৯৫.৩২ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৮ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৭১০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৬২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,২০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, প্রতিপদ ৫৫/২৪ রাত্রি ৪/৩২। শ্রবণা ৫৫/৩৩ রাত্রি ৪/৩৬। সূ উ ৬/২২/৭, অ ৫/১৫/৩১, অমৃতযোগ দিবা ১০/০ গতে ১২/৫৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ১০/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/১৪ গতে ২/০ মধ্যে পুনঃ ২/৫২ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৪ গতে উদয়াবধি। 
১০ মাঘ ১৪২৬, ২৫ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, প্রতিপদ ৫২/৪৫/৪২ রাত্রি ৩/৩১/৩১। শ্রবণা ৫৪/৮/১ শেষরাত্রি ৪/৪/২৬। সূ উ ৬/২৫/১৪, অ ৫/১৪/৮, অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৭ মধ্যে ও রাত্রি ৭/৫৮ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬/২১ মধ্যে ও ৩/৫৪/২ গতে ৫/১৪/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৫৪/১ মধ্যে ও ৪/৪৬/২০ গতে ৬/২৪/৫৫ মধ্যে। 
২৯ জমাদিয়ল আউয়ল  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: দাম্পত্যজীবন শুভ। বৃষ: উপার্জন ভাগ্য শুভাশুভ মিশ্রিত। মিথুন: কথাবার্তায় সংযত না ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
জাতীয় ভোটদাতা দিবস১৮৫০: অভিনেতা অর্ধেন্দু শেখর মুস্তাফির জন্ম১৮৫৬: সমাজসেবক ও ...বিশদ

07:03:20 PM

পদ্মভূষণ পাচ্ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনহর পারিক্কর, ব্যবসায়ী আনন্দ মহিন্দ্রা ও ভেনু শ্রীনিবাসন, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধু, নাগাল্যান্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস সি জমির এবং জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুজাফ্ফর হোসেন বেগ 

09:18:00 PM

পদ্মবিভূষণ পাচ্ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি, স্বরাজ, জর্জ ফার্ণান্ডেজ, বক্সার মেরি কম, মরিশাসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অনিরুদ্ধ জগন্নাথ 

09:13:00 PM

 পদ্মশ্রী পাচ্ছেন কঙ্গনা রানউত, একতা কাপুর, আদনান সামি এবং করণ জোহর

09:07:04 PM

ম্যাচ চলাকালীন অশ্লীল ভাষা ব্যবহার, ম্যাচ ফি কাটা হল বেন স্টোকসের
জোহানেসবার্গ টেস্ট চলাকালীন অশ্লীল ভাষা ব্যবহারের অপরাধে ইংল্যান্ডের খেলোয়ার বেন ...বিশদ

08:05:00 PM